ভাবনার বনসাই: এক-শো সাতষট্টি

১. প্রতিদিনই পাপ করি।
প্রতিদিনই প্রার্থনা করি।
প্রতিদিনই ক্ষমা পাই।
প্রতিদিনই শান্তি পাই।
২. কেউ কেউ পদাধিকারবলে জ্ঞানী,
কেউবা চাপাধিকারবলে জ্ঞানী।
পদের ভারে, চাপার জোরে...
জ্ঞান বাড়ে।




৩. রাস্তার রাজা
ক্ষমতার দাপটে
সন্ধেবেলায় লুটে নেয়
অন্ধ ভিখিরির থালের সব পয়সা।




৪. আগুন নেভানোর মন্ত্র জানে না
ধর্মগ্রন্থের একটিও অক্ষর!




৫. যে ব‌ইটা পোকায় কাটে
সেই ব‌ইয়ের পাঠক পোকাই!




৬. বালির সমুদ্রে
লুকোয় যে পাথর,
সে তো বালির মতোই কণা।




৭. ধনীর কুকুর
লেজ নাড়ে
গরিব পথিক
যখন‌ই দেখে!




৮. কালো কাপড়ে ঢাকা
টকটকে লাল গোলাপ‌ও
...কালোই!




৯. কেউ রুটিতে মাখন মাখে,
কেউবা মাখনে রুটি মাখে।




১০. পিঁপড়ের বাসা---
যার নিয়তি বাঁধা
নয় পিঁপড়ের শ্রমে,
বরং জুতোর সোলে।




১১. রুমের পর্দা সরাও,
অন্ধকার আসুক।




১২. ছোটোবেলায়
কার‌ও কান্না থামাতে
চাঁদ আসে;
কারও বেলায়...ভূত!




১৩. চুরি-করা খাবার
খাওয়ার সময়
জানালায় যদি কাক‌ও এসে বসে,
কিছুটা খাবার ওদিকে ছুড়ে দিয়ো।




১৪. রেললাইনে কান পেতে
রাস্তার বাচ্চাগুলো
ভবিষ্যতের শব্দ শোনে।




১৫. বসন্তেও এত শীত কীসের?
বুড়ো হলোটা কে?
আমি? না কি আমার মন?




১৬. আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরো!
এতটাই শক্ত, যাতে আমাদের মাঝ দিয়ে
হাওয়া পেরোতেও সাহস না পায়!




১৭. বাবার পোর্ট্রেটে
শিশুটি কেবলই চুমু খায়।
মা শাড়ির আঁচলে
অশ্রু লুকোয়।




১৮. তীব্র জ্বরে কাঁপতে কাঁপতে
লোকটা প্রলাপ বকে...
বাবা, ঠান্ডা লাগাসনে,
সোয়েটারটা পর!




১৯. নিজের চোখের সামনে
বাবা-মা'কে বৃদ্ধ হতে দেখা---
দুর্ভাগ্য নয়, সৌভাগ্য।
অনেকের বাবা-মা বৃদ্ধ হবার সুযোগটাই পায় না!




২০. শত বৎসরের পুরোনো দেয়ালঘড়িতে
বদলায় না সময়।
শত বৎসর আগে অকালে মৃত কিশোরের
বাড়ে না বয়স।