১. পাশে থাকলে তুমি, নেশায় ডুবতে সুরার কী প্রয়োজন!?
২. তার কাছে গিয়েছিলাম খুনই হতে, আর সে কিনা আমায় ফেরত পাঠাল পঙ্গু করে!
৩. তোমাকে পাইনি বলে বহু বহু পাপের হারিয়েছি রুচি!
৪. তুমি ছিলে যখন, রক্তে বইত ঢেউয়ের তুফান... কখনও পরোয়া করিনি। আজ তুমি নেই; আজ মৃদু ঢেউয়েও বড়ো কাবু হয়ে পড়ি!
৫. মরুতেও আমার মেটে তৃষ্ণা, তুমি যদি থাকো। ভরানদীতেও ডুবি তৃষ্ণায়, তোমার শূন্যতায়।
৬. ভালোবাসায় মরে দু-জনেই--- চিতায় যে ওঠে, চিতায় যে ওঠায়।
৭. নববধূ... ঢেকে ঢেকে চলে--- লজ্জা? না কি সুখচিহ্ন?
৮. কবে থেমে গেল, তা না বুঝে বেচারির স্বর ব্যগ্র বড়োই... দোহাই লাগে, থেমো না!
৯. নিজের ধর্ম কখনও হয় না নষ্ট পরের কাজে।
১০. ভালোবেসেছি যাদের, ওরা মরেনি কেউই... শুধু পৃথিবী ছেড়েছে!
১১. প্রার্থনার সময় হলো, অথচ তুমিই নেই! তোমাকে ছাড়া প্রার্থনা করি কী করে, বলো?
১২. এই তপ্ত দুপুরেও আমার পুরো শরীরে তুমি গলে পড়ছ চাঁদের আলো হয়ে...
১৩. তোমার লাশের পাশে কত কত আতর আর আগরবাতি! অথচ কোথাও ঘ্রাণ নেই এতটুকুও! হায়, আজ কোথায় তোমার সেই ঘামের ফোঁটা, যেখানে থাকত ছড়িয়ে গোলাপের ঘ্রাণ!
১৪. মাত্রই তো শুরু! এখনই এত কাঁদছ! এই তুমিই তো একদিন খুব করে চাইতে...প্রেমে পড়তে!
১৫. বয়সটাকে আরও একটু বাড়তে দাও। এরপর নাহয় এইসব বাড়তি কথা বোলো!
১৬. শরীর চাইছ তো ভালো কথা! 'ভালোবাসি' বলছ কেন তবে? শরীরই দেখো না চেয়ে...ক্ষুধা তো আমারও আছে! চাও তো দেহই, তবে মনকে কেন খোঁচাও?
১৭. তুমি চলে গেলে, তবু বেঁচে তো আছি! গেলাস ফাঁকা... তবু দেখছে সবাই...জলে ভর্তি!
১৮. তোমায় যেতে দিয়ে কেঁদেছি যত, বুঝেছি ততই... অনুশোচনার প্রতিটি অশ্রুবিন্দুই ঈশ্বরের বিচার!
১৯. এই হৃদয় ছিল যখন পরিপূর্ণ, আমার ঘরটা ছিল শূন্য! আজ শূন্য হৃদয়ে, সেই আমাকেই কিনা ঘরভর্তি মেহমান সামলাতে হচ্ছে!
২০. আজ ঈশ্বরের পা ছুঁতে গিয়ে মনে পড়ল হঠাৎ, এই দু-হাত ছুঁয়েছিল তোমার মেহেদি-রাঙা আঙুল!
২১. প্রয়োজনে আহত করো, এই শরীর থেকে রক্ত ঝরাও... তবু নীরব থেকো না! তোমার নীরবতা, আমার মৃত্যু।
২২. আজ যদি কিছু না-ই বলবে, তবে সেদিন তাকালে কেন অমন করে?
২৩. যদি অন্ধকারই নিয়তি আমার, তবে হলাম না কেন তোমার বাম থুতনির তিল?
২৪. প্রভু, এ কেমন আয়ু, যার অর্ধেকই গেল মৃত্যুতে!
২৫. যে কারাবাসে থাকে না শেকল, তার চাইতে বড়ো শাস্তি পেয়েছে কে কোথায়?