ভাবনার বনসাই: এক-শো চুয়ান্ন

১. তোমায় আমি হারিয়েছি যত,
তুমিও কি আমায় হারিয়েছ তত?




২. কথা বলতে বারণ করলে;
মনে আনতে বারণ করলে না কেন তবে?




৩. তোমায় ফিরিয়ে দিয়েছি বলেই মরতে পারি না।
মরে গেলে পরে এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত কে করবে?




৪. থাকতে যে চায়,
তাকে মেনে নিতে হয়।




৫. এখন তো পাতা ঝরে যাবার সময়!
নতুন পাতার গল্প এখন নাহয় তোলাই থাকুক?




৬. যাকে নিজের করে পেতে আমি মরতেও রাজি,
সে-ই কিনা প্রতিমুহূর্তেই আমার মৃত্যুকামনা করে!




৭. ধর্মগ্রন্থ...
যতটা পড়ার জন্য,
ততোধিক বোঝার জন্য।




৮. হে লেখক! পাঠক দেখলেই ঝাঁপিয়ে পোড়ো না!
হে পাঠক! লেখক পেলেই ঝাঁপিয়ে কিনো না!




৯. ব‌ই ছাপলেই লেখক হয় না।
ব‌ই কিনলেই পাঠক হয় না।




১০. একসময় ভাবতাম, তোমাকে না পেলে বোধ হয় মরেই যাব!
এখন বুঝি, লোকে না পেয়ে মরে না, পেয়েই মরে।




১১. হে আকাশ! চাঁদকে আড়াল করে কী হবে?
ভরা পূর্ণিমাতেও এ দু-চোখে শুধুই আঁধার দেখি!




১২. তোমার ঈশ্বরের পথে আমায় টানছ কেন এমন করে? তাঁকে পেতে আমাকে লাগবেই বুঝি?




১৩. কোলাহলে ঈশ্বর নয়, শব্দদূষণ থাকে।




১৪. নিজের ছায়াও যখন শত্রু হয়ে ওঠে,
তখন‌ও মানুষ বাঁচে কী করে!




১৫. তোমায় আমি ঘৃণা করি না।
এ জীবনে তুমি না এলে
মানুষকে অবিশ্বাস করা আমায় কে শেখাত?




১৬. মৃত্যু আমায় এমন কী মহত্ত্ব এনে দেবে,
যদি আমার সমাধিতে তুমিই আলো না জ্বালাও?




১৭. কেন তোরা বারে বারে তার কথা ওঠাস?
কেন তোরা ইচ্ছে করেই আমার হৃৎকম্প থামাস?




১৮. সূর্য উঠলেই-বা কী!
চাঁদ‌ই যেখানে আঁধার টানে,
সূর্যের সেখানে কী-ইবা প্রতাপ!




১৯. একসঙ্গে বাঁচতে গেলে
ভালোবাসা নয়, ক্ষমাই লাগে।




২০. বেঁচে থাকতে না হলে
দুঃখের আবাদ করতে
বেঁচে থাকত‌ই-বা কে!