ভাবনার বনসাই: এক-শো উনষাট

১. নিজের হাতে সময় থাকলেই
অন্যের সময় নষ্ট করতে হয় না।




২. চাই না তাকে,
যে শুধু আমায় ভেবেই
কাটিয়ে দেবে পুরোটা জীবন
...আকাশ না দেখেই!




৩. কেন আমায় তাচ্ছিল্য করছ?
আমি অজ্ঞ বলেই তো
বিজ্ঞ তোমার এমন কদর!




৪. বড়ো হতে হতে
মানুষ নিজের অজান্তেই
ছোটো হতে শুরু করে।




৫. যে কলার চেপে ধরে,
নাক বরাবর
ঘুসি বসিয়ে দেবার
সাহসটাও তার থাকে।




৬. আঁধার নামলে
লোকে সূর্যের নয়,
চাঁদেরই খোঁজ করে।




৭. জ্যোৎস্নায় জ্যোৎস্নায়
গলতে থাকে
নদীর শরীর।




৮. এখনও কি জেগে থাকো
বিনিদ্র আলিঙ্গনের স্বপ্নে?




৯. কার‌ও মৃত্যু,
কার‌ও ভোজ।




১০. বর্তমান লাশের
ছায়াতলে
নিশ্চিন্ত মনে ঘুমোয়
ভবিষ্যৎ লাশ।




১১. পাতায় পাতায়
শিশিরফোঁটার সজ্জা...
যেন বসন্তের মহড়া।




১২. কে আগে যায়,
কে-ইবা পরে,
তার চাইতে জরুরি জানা
...সবাই-ই যাবে!




১৩. জলের গায়ে
গায়ে জল না মেখেই
হাঁসের দল
সাঁতরে চলে।




১৪. মেয়েটি
অন্তঃসত্ত্বা হবার আগ অবধি
ছেলেটির প্রেমিকা ছিল।




১৫. হাওয়া যখন আসে,
ঘুণে-ধরা জানালাটিও
তখন ছটফট করে!




১৬. বাড়ি উঠিয়ে
বাড়িতে ওঠার ঠিক আগে
বাড়ির মালিক
গত হলেন।




১৭. একেকটা সিঁড়ি,
একেকটা ঘেউ;
একেকটা লক্ষ্য,
একেকটা কান্না।




১৮. বৃদ্ধদের দেখে
ঠাট্টায় মাতে
যুবকের দল।
তা দেখে সময় হাসে।




১৯. জলের উপর সাঁকো
চাঁদের প্রতীক্ষায়...
নিজেকে দেখবে বলে।




২০. বৃষ্টিকে কি কেউ থামাতে পারে?
কাউকে কি বৃষ্টি থামাতে পারে?