ভাবনার বনসাই: এক-শো আটান্ন

১. বৃদ্ধ হঠাৎ তরুণীর দিকে তাকায় আর ভাবে,
আমার বসন্ত কি সত্যিই ফুরিয়ে গেছে!




২. বিগতযৌবনা বেশ্যা
পরামর্শ দেন
কিশোরীদের...
ওরা যেন অসময়ে কুমারিত্ব না খোয়ায়।




৩. প্রজাপতিও কেন আয়নায় গিয়ে বসে?
নিজের রঙে নিজেই মুগ্ধ হতে?




৪. পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে
ছেলেটি কেবলই
ব‌ইয়ের ভাঁজ খুলে খুলে
নাক ডুবোয়, ঘ্রাণ নেয়।




৫. অসমপ্রেমে, সমপ্রেমে...
আপত্তি যাদের,
তারা কি সেই বিধাতা,
যাঁর হাতে মনের চাবি?




৬. ফড়িংটা যেতে চাইছে
ঠিক কোন দিকে?
ও আসলে কী চায়?




৭. তোমার প্রেমে পড়ার পর থেকে
আমার মাথার উপর শকুন ওড়ে।




৮. খড়ের ঘরেও
আলো আসে,
যদি আসার পথটা থাকে।




৯. গোলাপের বাগানে এসেও
কখনও কখনও
পথ হারায় মৌমাছি!




১০. এমন কাঁপা কাঁপা হাতে
আমায় জড়িয়ে ধোরো না;
আমি মুক্তি চাইছি না।




১১. আমার মাঝে তোমাতে মগ্নতা,
তোমার মাঝে আমাতে নগ্নতা।




১২. সবার কাছ থেকে
পালিয়ে এসে
ছোট্ট পাখি আশ্রয় নেয়
শিশুটির হাতে।




১৩. জলের ঘোমটায়
হাজারো পাথরের মাঝে
শিকারির প্রতীক্ষায় প্রতীক্ষায়
মাছেদের বার্ধক্যযাপন।




১৪. সূর্য ওঠার আগেই
কাজে নেমে যায়
তাপস ও তস্কর।




১৫. তবে কি
যে ঝরনা দৃষ্টির আড়ালে,
তার গায়ে গায়ে
নাচে না প্রজাপতি?




১৬. তোমার দৃষ্টিসীমানার বাইরেও
হাজারো পাখি ওড়ে...
সত্যটা মেনে নাও।




১৭. যে ফুলটা আমাদের অগোচরে
ফোটে, আবার ঝরেও পড়ে,
তা-ও কি সুন্দর নয়?




১৮. অন্ধ যুবকটি
প্রতিদিন ভোরে
ছাদে ওঠে
সূর্যোদয় দেখতে।




১৯. ঝিমিয়ে-পড়া শ্রমিক,
ঘুমিয়ে-পড়া তরুণ...
অস্তে-যাওয়া সূর্য।




২০. উপেক্ষিত
সূর্যের আলোয়
চাঁদের ঐশ্বর্য...
কবির খাতায়।