ভাবনার বনসাই: এক-শো উনপঞ্চাশ

১.
: চা? না কি কফি?
: ঠান্ডা লাগলে গরম পানিও আরাম দেয়।




২.
: বই লিখবে কবে?
: আগে পড়ে তো শেষ করি!




৩.
: কবিতা লিখতে কে বলে?
: আমার অন্তরাত্মা।




৪.
: ফ্রি'তে যা পাওয়া যায়, তার কিছুই ভালো না।
: পেস্টের চেয়ে কয়লায় দাঁত বেশি সাদা হয়, জানো তো?




৫.
: আমি কি এখানে কিছুক্ষণ থাকতে পারি?
: আমি তো সারাজীবনের জন্য থাকতে বলেছিলাম!




৬.
: এত জোরে কেন কথা বলো আজকাল?
: আমরা কেউ কারুর কথা আর ধরতে পারি না, তাই চেঁচাতে হয়...দু-জনকেই...




৭.
: আরেক বার জন্ম নিলে আমাকে ভালোবাসবে?
: আমি ভুলেও আর জন্ম নিতে যাব না!




৮.
: অভিমান করে আছ?
: তুমিও অভিমান বুঝতে চাইছ? সময় এতই খারাপ চলে তোমার!




৯.
: কতক্ষণ আছ?
: কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার আগ অবধি।




১০. 
: ক্ষুধা পায় না?
: তৃষ্ণা, তৃষ্ণা, তৃষ্ণা...




১১.
: গান লিখে দিয়ো?
: আমার সারাশরীরে হাত বুলিয়ে নাও, গানের কথা পেয়ে যাবে।




১২.
: ঠিক কী করলে লিখতে পারব?
: চোখের জলে স্নান করতে পারলে।




১৩.
: নিজেকে চেনোই না তুমি!
: এতটাই ভালো করে চিনি যে, নিজেকে কনভিন্স করতে করতেই বেলা কেটে যায়...আর কারুর জন্য সময়‌ই হয় না...




১৪.
: ক্ষুধা পেলে কী করো?
: খুন...খুন...খুন...




১৫.
: এত অভিযোগ নিয়ে কেউ বেশিদিন বাঁচে নাকি?
: বেশিদিন বেঁচে কী করবে সে, যার অভিযোগ করার কেউই নেই...! হা হা হা!




১৬.
: কবিতা লিখতে জানে, এমন কাউকে বিয়ে করে নিয়ো, কেমন?
: কেন?
: যে কবিতা লিখতে পারে, সে পাট-না-ভাঙা শাড়ির মতন, আজীবনই নতুন থাকে।




১৭.
: ঘুমোবে, চলো।
: তুমি যেই সময়টাতে ঝিমুচ্ছিলে, সেই সময়টাতেই আমি ঘুমিয়ে নিয়েছি।




১৮.
: ভালোবাসো? কতটা?
: যতটা বাসলে তোমায় সারাজীবন কাঁদানো যাবে!




১৯. এতটাই কষ্ট দিয়েছি নিজেকে যে,
কষ্টের শোধ তুলতে আরও কয়েক বাটি কষ্ট গিলিয়েই ছাড়ব!




২০.
: কত টাকা নেবে তোমার কবিতার জন্য?
: আমি অক্ষর বেচি না।