বিতৃষ্ণ নারীর পাপে

 শরতের পূর্ণ রংটা মেহেদি পাতার মধ্যেই দেখেছিলাম।
এক ত্রস্ত সূর্যমুখীর জন্যই কিছু চড়ুইয়ের ফুড়ুৎফাড়ুৎ পেয়েছিলাম।
বিব্রত কালচে গোলাপ ফুটেছিল মাতৃত্বের প্রতি বিতৃষ্ণ নারীর পাপে।


মনে আছে, প্রথম বৃষ্টিতে ফোটা শস্যের পর হাঁটুগেড়ে প্রার্থনা করেছিলাম।
জীবন কোথাও না কোথাও পূর্ণতা পেয়েই যায়, তবু
সেই কোথাওটা ঠিক কোথায়, সে খোঁজ সবাই এক জীবনে পায় না।
যাদের আমরা চিনি, তাদের প্রায় সবারই জীবন কেটে যাচ্ছে
ছায়া ও কুয়াশার এলোমেলো স্মৃতিতে আর নিরর্থক কিছু অশ্রুবাষ্পে।


ওরা আজও একটি সুন্দর দিনের আশা না করেই সকালে চোখ মেলে।
ওদের কারও হাসি ফিরে আসে না, যা হারিয়ে গেছে কোনও নিভৃত দেয়ালের নিরুত্তাপে।
উজ্জ্বল কিছু গ্লাসের পেছনে কৃত্রিম আনন্দে কৃত্রিম চিত্ত কৃত্রিম চিত্রে ভাসতে থাকে।
রঙ ওদের চোখকে প্রলুব্ধ করে, তখন ওরা বন্ধুত্বের দাম দিয়ে দেয় অপ্রতিরোধ্য একাকিত্বে।