বরে শাপ

আমার রিকোয়েস্ট অ্যাক্সেপ্ট করার জন্য ধন্যবাদ। অনেক কষ্ট করিয়েছি আপনাকে, তার জন্য সরি। আজকে আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলাটা সার্থক হয়েছে।

সার্থক মানে? কী বলছেন এইসব?

সার্থক মানে, আমার প্রবল ইচ্ছে ছিল ফেসবুকে আপনার বন্ধু হওয়ার, সেটা আজকে হয়ে গেছে। এটাকেই আমি সার্থকতা মনে করছি। যার সার্থকতা যেখানে আরকি!

ও আচ্ছা! তা-ই বলুন! ঠিক আছে!

ছবিতে আপনাকে অনেক নিষ্পাপ লাগে। মনে হয়, খুব সহজ সরল নরোম মনের একজন মানুষ। বাস্তবে কি আপনি এমন? আপনি অনেক ভাল বোধহয়। আপনার ফ্রেন্ডদের সাথে একটা ছবিতে সবাই যার যার ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু আপনি খুবই সিম্পলভাবে আছেন। আমার খুব ভাল লেগেছে। অনেক কিউট লাগছিলো আপনাকে।

থ্যাংকস।

আপনি যা যা করতে ভুলে যান, একজন আছে, যে আপনাকে সেইসব কাজ করিয়ে দিতে মনে করিয়ে দিতে পারে, যদি এই কাজটা করার জন্য তাকে পারমিশন দেয়া হয়। সে খুশিমনেই কাজটা করবে।

কে সে?

আছে একজন। জাস্ট পারমিশন দিলেই সে সামনে আসবে, আর তখনই জানতে পারবেন, সে কে। সে খুবই আন্তরিকতার সাথে আপনার এই কাজটা করে দিতে ইচ্ছুক।

…………………………………………………………

খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মনে হচ্ছে……..তবে ব্যস্ততার মাঝে ফ্রেন্ডদের ভুলে থাকলেও নিজের এবং নিজের ফ্যামিলি মেম্বারদের কেয়ার নিতে অবশ্যই ভুলবেন না। আমি জানি, আপনি আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশি জানেন এবং বুঝেন, তারপরও নিজের অনুভূতিটা বললাম। ভাল থাকবেন।

…………………………………………………………

স্ট্যাটাস পড়লাম। আপনার কষ্টটা কি জানতে পারি যা সবাই আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে? এমন কী আছে, যা অন্যরা মনে করিয়ে দিলে কষ্ট বাড়ে? একটু বলবেন?

না।

আচ্ছা, বলেন তো আপনার হাইট কত? একটা ছবি দেখলাম আপনার একটা ছাত্রীর সাথে (ওর নামটা মনে হয় সুভদ্রা)। ওকে ছবিতে আপনার পাশে এত শর্ট লাগছিলো যে আপনার হাইট সম্পর্কে আমার জানতে ইচ্ছে করল। আরো একটা ছবিতে আরেকজনকে আপনার পাশে দেখলাম, তারও দেখি একই অবস্থা!

কী দরকার?

দরকার ছাড়া কি বলা যায় না? আর আমাকে আপনার হাইট জানালে আপনার হাইট একটুও কমে যাবে না, এইটুকু আশ্বস্ত করতে পারি। জানতে ইচ্ছে করল, তাই জিজ্ঞেস করেছি। ছবিতে দুইটা মেয়েকেই শার্ট দেখাচ্ছিলো, তাই আমি বুঝতে পারছি না, আপনি অনেক লম্বা, নাকি ওরা অনেক খাটো! আরেকটা কারণ হল, আপনার সাথে কখনো দেখা হলে আমি একটা ছবি উঠাবো। তাই আমার অবস্থাও যদি ওদের মতো হয়, তাহলে তো……..মানে, একটু জেনে রাখা আরকি! আর কিছু না। মেয়েদের মন—কৌতূহলের সমুদ্র, আই মিন, মহাসমুদ্র! বোঝেনই তো!

৫-১১।

৫-১১! তাইতো বলি, ওদের এত শর্ট কেন লাগছে! এখন বুঝতে পারলাম। আচ্ছা, আপনি কখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এসেছেন? কিংবা কোনো আত্মীয়স্বজন আছে এখানে? বিরক্ত হবেন না, প্লিজ! আপনার সম্পর্কে জানার আগ্রহ দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে। আরো অনেক কিছুই জানতে ইচ্ছে করে, আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে……….আরো কত কী! কিন্তু নিজেকে অনেক কষ্টে কন্ট্রোল করি। জীবনে এই প্রথম কারো জন্য ফিল করছি। মাঝেমাঝে মনে হয়, আমি ঠিক করছি না, কারণ এর আগে কারো সাথে কখনো মেশা দূরে থাক, কারো কথাও এতটা ভাবিনি।

কন্ট্রোল করার দরকার নেই, বলুন, কী বলতে চান।

সত্যিই বলবো? কিন্তু এখনো, কেন জানি না, ভয় পাচ্ছি।

…………………………………………………………

আচ্ছা, আপনি বললেন না যে আপনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে কখনো এসেছিলেন কি না, কিংবা এখানে কোনো আত্মীয় আছে কি না।

এসেছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোন জায়গায় এসেছিলেন? কবে এসেছেন? প্লিজ, একটু বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।

মনে নেই।

আসলে কী জানেন, আপনার ছবি দেখার পর থেকেই মনে হচ্ছে, আপনি আমার খুব চেনা কেউ, আর আপনাকে কোথাও দেখেছি। কত সালে এসেছিলেন? কারো বাসায় বেড়াতে? নাকি কোনো অনুষ্ঠানে?

মনে নেই।

আপনার তো দেখছি কিছুই মনে নেই! তাহলে কি ছোটবেলায় এসেছিলেন?

হ্যাঁ।

আপনি পারেনও বটে! কালকে থেকে আমি চিন্তা করেই যাচ্ছি আপনার মনে না থাকার কারণ কী হতে পারে, এরপর চিন্তা করে বের করলাম হয়তো ছোটবেলায় এসেছিলেন, আর ওটাই ঠিক হল। আচ্ছা, কালকে যদি এটা বলে দিতেন, তাহলে কী হতো, বলেনতো?

………………………………………………

আমার ভাললাগার গল্প শুরু হয়েছে আপনাকে নিয়ে আর আমি পড়া সব ভুলে গেছি। যদিও এই গল্পের নাম নেই, তবু আপনি শুনতে চাইলে বলতে পারি। আর ভাল কথা, সব মেয়েই কিন্তু আপনার আজকের পোস্টের মতন না। আর ব্যতিক্রমগুলি আপনার পোস্টে উল্লেখ থাকলে যারা ওরকম না, তারা খুশি হতো। মেয়েদের খুশি রাখলে ঈশ্বরও খুশি হন।

…………………………………………….

আপনি আমাকে পাঠানো লাস্ট মেসেজে বলেছিলেন, কন্ট্রোল করার দরকার নেই, বলেন, কী বলতে চান। আচ্ছা, আমি কি আপনাকে আমার কথাগুলি বলতে পারি?

ওকে।

বলছি। আমি ঠিক করে রেখেছিলাম জীবনে কখনো প্রেম করবো না। বাবা-মা আমাকে যার সাথে বিয়ে দেবে, তাকেই বিয়ে করবো। কিন্তু এখন সে কথা রাখতে পারছি না। কেন জানেন? শুধু আপনার জন্য। আমি কীভাবে বললে যে আপনি বিশ্বাস করবেন, আমি জানি না, তবে এটা জানি, আমি আপনার প্রতি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছি যে বলার মতো না। আমি নিজেকে চেপে রাখার অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমি বারবারই নিজের মনের কাছে হার মেনে গেছি, পারিনি নিজেকে চেপে রাখতে। মন বড়ো বেয়াড়া জিনিস! আমি জানি না, আপনি আমার মেসেজ পড়ে কী ভাববেন, তবে আমি যা বলছি, মন থেকেই বলছি। আমি সত্যিই আপনাকে ভালোবাসি। জানি, আপনার অনেক গুণ, যোগ্যতা, দক্ষতা, স্ট্যাটাস, সবই আছে, আর আমার এত কিছু না থাকলেও ভাল একটা মন আছে। আমার যতো অনুভূতি, সবই আপনাকে ঘিরে। আমি আমার মন দিয়ে আপনার মন জয় করতে চাই। প্লিজ, আমাকে কিছু একটা বলুন!

সরি!

কারণটা কী, জানতে পারি?

সরি!

কালকে থেকে বিষয়টা নিয়ে অনেক ভেবেছি আর খুব খারাপ ফিল করেছি। নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়েছে। আর মনকে এই বলে সান্ত্বনা দিয়েছি যে আমি হয়তো আপনার যোগ্য না। একটা অনুরোধ, আমাকে খারাপ মনে করবেন না, প্লিজ! আমি যদি কিছু ভুল বলে থাকি, প্লিজ, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আর সবচাইতে বড়ো কথা হল, আমাকে আমার মনের কথাটা বলতে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। যদি কখনো আপনার ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আসা হয়, আমাকে নিশ্চয়ই জানাবেন, প্লিজ! আর ভাল থাকবেন।

………………………………………………….

হাই! কেমন আছেন?

ভাল। আপনি?

আমিও আছি একরকম। রিপ্লাই করার জন্য ধন্যবাদ।

I want to hear your voice. Can I make a call to you, please?

OK. But, first send a message. If I tell you to call, then call.

OK. Thank you.

…………………………………………………………..

তুমি না থাকলে এই ভালোবাসা সৃষ্টি হতো না! আমি আপনাকে যেমন ভেবেছিলাম, তার চেয়ে অন্যরকম আপনি। কেমন আছেন আপনি?

ভাল। আপনি?

ভাল খারাপ দুটো মিলিয়ে আছি একরকম।

আচ্ছা। ঢাকায় থাকেন নাকি?

না। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে থাকি। জাস্ট পরীক্ষা থাকলে দিতে যাই, এই আরকি!

হুম!

একটা কথা জিজ্ঞেস করি?

ওকে।

আপনি কেমন পাত্রী খুঁজছেন?

কেন?

আমার মনের একটা ইচ্ছে আছে।

কী ইচ্ছে?

বলতে তো ইচ্ছে করছে, কিন্তু বললে আপনি যে আমাকে কী ভাববেন, সে ভয়ে বলতে চাইছি না।

বলে ফেলুন!

থাক আমার কথা! আপনি বলুন, আপনি কেমন পাত্রী খুঁজছেন!

আপনার কথাটা বলে ফেলুন।

মানে, বলতে চাইছিলাম কী, জানা থাকলে নিজেকে ওই জায়গায় স্থান করে দেয়ার জন্য সুযোগ চাইতাম আর প্রস্তুত হতাম।

কেন? অদ্ভুত কথা বলছেন তো!

জানি, অদ্ভুতই বটে, কিন্তু মন এটাই চাইছে! কেন, এর উত্তর আমার জানা নেই। মন চাইলে আমার কী করার আছে!

মনকে বোঝান, শান্ত করেন। ঈশ্বর আপনার সহায় হোন।

ঈশ্বরের উপরেই সব ছেড়ে দিয়েছি। জানি না, ঈশ্বর আমার সহায় হবেন কি না!

নিশ্চয়ই হবেন।

কীভাবে নিশ্চিত হয়ে বলতে পারলেন? আমি তো চাই, ঈশ্বর আপনাকে তা বোঝার ক্ষমতা দিন আমি যা বলতে চাইছি।

কী বলতে চাইছেন?

বলতে চাচ্ছি……….থাক, এখন আর না বলি। আপনি বলুন না, আপনি কেমন মেয়ে খুঁজছেন?

কী বলতে চাচ্ছেন?

বললে আপনার কাছে আরো অদ্ভুত লাগবে, তাই এখন আর বলবো না।

সমস্যা নেই, বলুন!

আসলে আমি তো আপনার পরিচিত না, মূল সমস্যাটা ওখানেই। তারপরও বলছি, I feel something something!

কী?

আপনি কি কিছুই বুঝেন না? সেইজন্যই বলছি, ঈশ্বর আপনাকে বুঝার ক্ষমতা দিক।

কী বুঝার ক্ষমতা?

মানুষের, মানে আমার মন বুঝার ক্ষমতা। আমিও তো একটা মানুষ!

সব ক্ষমতা ব্যবহার করতে হয় না। কিছু ক্ষমতা ব্যবহার না করলেই বরং সুন্দর থাকে।

সব ক্ষমতা তো চাইছি না, আমি একটা ক্ষমতাই চাইছি আপনার জন্য।

একটা চাওয়া ভাল না। বেশি করে চান।

তাই নাকি? আপনি মানেন এটা? একটা চাইলে কী হয়?

চাইতেই পারেন। কিন্তু এই চাওয়াটা ঠিক নয়।

তাহলে ঈশ্বরকে কেন আমার সহায় হতে বললেন?

আপনি যাতে অন্য কিছু ভাবতে পারেন, সেজন্য………..

কারণটা জানতে পারি?

…………………………………….

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রইল।

আপনাকেও।

কারণটা বলুন না, প্লিজ!

আপনাকে আমি ছোটবোনের মতো দেখি। আপনি আমার আপন বোন।

আমি জানি আপনি কেন এই কথা বলেছেন। শেষ পর্যন্ত আমাকে আপনার বোন বানিয়ে দিলেন! কাজটা ভাল হল না।

কেন? আপনি কি আমার বোন হতে পারেন না? আমার তো কোনো ছোটবোন নেই। আমার একটা ছোটবোনের খুব শখ!

জানি, আপনার বোন নেই। তাই বলে আমাকেই কেন বোন বানাতে হবে? দুনিয়ায় কি মেয়ের অভাব পড়েছে বোন বানানোর জন্য? আমি কি অন্য কিছু হতে পারি না?

আমি আপনাকে বোনের মতোই দেখি। ছোটবোনের মতো। ভাইবোনের সম্পর্ক অতি পবিত্র সম্পর্ক। আমার জন্য ভালই হল, একটা ছোটবোন পেয়ে গেলাম! আহা! ঈশ্বরকে ধন্যবাদ এমন আশীর্বাদের জন্য! বিয়েভাঙা থেকে যদি ভাল কিছু হয়, তাহলে তো বিয়েভাঙাই ভাল!

ইসস্‌ রে! কারো শাপে বর, আর কারো বরে শাপ! বারেবারে একই কথা বলে যাচ্ছেন! কবে থেকে আমাকে বোনের মতো দেখেন, বলুনতো? আমি আপনাকে ওই কথাগুলি বলার পর থেকে?

না না, সেই যেদিন আপনি প্রথম আমাকে আপনার ছবি দেখালেন, সেই দিন থেকে। আপনি আমার আদরের ছোটবোন।

আবারো সেই এক কথা! আপনার পিলিজ লাগে, এমন করে বলবেন না। (‘পিলিজ লাগে’ কথাটা আপনার কাছ থেকেই শিখেছি।)

ওকে ছোটবোন, আর বলবো না। আপনি আমার বোন। ১০টা নয়, ৫টা নয়, ১টা মাত্র বোন। আমার বোনের মতো বোন!

It’s not fair! খুব মজা পাচ্ছেন, তাই না? হাসেন, বেশি করে হাসেন! দরকার হলে আরো কয়েকজনকে নিয়ে হাসেন। কিন্তু কোনো কাজই হবে না। আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি, ভালোবেসেই যাবো!

মজা পাবো কেন? তুই আমার ছোটবোন। এটা ভাবতেও আমার অনেক ভাল লাগে। আর বোন তো ভাইকে ভালোবাসবেই!

ও মাই গড! আমি যে কোথায় যাবো না! গাছে উঠবো নাকি পাতালে চলে যাবো, বুঝতে পারছি না!

তুই আমার ছোটবোন হয়েই থাক, আর কোথাও যেতে হবে না।

আর একবার আমাকে ছোটবোন বললে কিন্তু আমি কেঁদেই দিবো, বলে রাখলাম!

কাঁদিস না, বোন আমার! তুই কাঁদলে আমি মরেই যাবো!

কাঁদবো না, ঠিক আছে। তবে আপনার মায়ের কাছে নালিশ করবো, বলে দিচ্ছি!

কী নালিশ করবেন? আপনি আমার ছোটবোন, এটা কোনো নালিশ হল?

হে প্রিয়ে! এমন করিয়া বলিও না, তাহাতে যে আমার মনের ব্যথা বাড়িয়া যাইতেছে!

এই পাগলী! দাদাকে কেউ প্রিয়ে বলে!

প্রিয়ে প্রিয়ে প্রিয়ে প্রিয়ে প্রিয়ে! একশোবার বলবো!

……………………………………………………….

অবশ্য, আমি আপনাকে একদিক থেকে দাদা বলে ডাকতে পারি, সেটা হল, আমার যদি ছোটবোন থাকতো, আমি তাকে বলতাম আপনাকে দাদা ডাকতে। যেহেতু আমার ছোটবোন নেই, তাই তার পক্ষ থেকে নাহয় আমিই ডেকে নেবো! কী? বলেন, এখন খুশি তো, প্রিয়ে?

আমরা ভাইবোন। তুই আমার ছোটবোন, আমি তোর দাদা।

ছিঃ দাদা! এমন করে না! দিদি অনেক কষ্ট পাচ্ছে। (এই কথাটা আপনাকে আমার ছোটবোন বলেছে।)

……………………………………………………..

আপনার একটা কথা আমার খুব ভাল লেগেছে। আপনি বলেছিলেন যে আমার ছবি দেখার পর থেকে আপনি আমাকে বোন ভাবতে শুরু করেছেন। কারো ছবি দেখলে বোনের মতো লাগে, আর কারো ছবি দেখলে বউয়ের মতো লাগে, তাই না, প্রিয়ে দাদা?…………….ওই মেসেজটা আপনি এখন চ্যাট হিস্ট্রিতে গিয়ে একবার পড়েন, খুব মজা পাবেন। (যেমনটা এখন আমি পাচ্ছি!)

কোন মেসেজের কথা বলছেন, বোন?

সত্যি, আপনি পারেনও! প্রিভিয়াস মেসেজগুলি চেক করেন, পেয়ে যাবেন। হাহাহাহাহা

আচ্ছা, বোন, ঠিক আছে।

হে প্রিয়ে! কী হেতু এরূপ সম্বোধন করিতেছ? আমার কোনোরূপ ভ্রান্তি হইয়া থাকিলে আমায় মার্জনা করিয়া দাও। দাও দাও দাও, হে প্রিয়ে!

লক্ষ্মী বোন আমার, পাগলামি করে না। ভাল থাকিস। বাই।

কার্ত্তিক আমার, অ্যাত্ত রাগ করে না! খুব খুব খুব ভাল থেকো। ঠিক আছে? বাই।

……………………………………………….

লাঞ্চ করেছেন?

হ্যাঁ, করেছিলাম।

………………………………………………..

হাই! কেমন আছেন?

ভালই। আপনি?

ফর্মালভাবে বললে, ভাল আছি। সত্যিটা বললে, নেই।

কেন?

এমনিতেই!

………………………………………………….

আজকের স্ট্যাটাসটা একেবারে আমার মনের সাথে মিলে গেছে! এই আমিই কত হাজারবার আপনার ওয়ালে এসেছি আর আসছি, (হয়তো) আসবোও, আমি তা নিজেও গুনে বলতে পারব না।

…………………………………………………………

Happy birthday to your younger brother!

Thank you so much!!! Hope you’re fine with everything. মজার ব্যাপার হল, আমার ছোটভাই আমার দেয়া গ্ল্যাডিওলা ফুলগুলি রেখেছে আপনার গিফটকরা ফুলদানিতেই!

Wow!!! I’m so much happy to hear this! I know my gift is not the best selection for you because you love books more than other things……..By the way, how are you with your family members? এবারো গিফট পাঠানোর অনেক ইচ্ছে ছিল, কিন্তু সেবার যেমন করে আপনাকে কষ্ট করে রাজি করিয়েছিলাম গিফট অ্যাক্সেপ্ট করার জন্য, এবার আর আপনাকে রাজি করিয়ে বিরক্ত করতে চাইনি। আপনার ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।

…………………………………………………

কেমন আছেন আপনি?

ভাল। আপনি?

জব নিয়ে ডিপ্রেসড আছি। না পুরোপুরি পড়ায় মন দিতে পারছি, না ফ্রি থাকতে পারছি। এই দুইয়ের মাঝে যতটা ভাল থাকা যায়, ততটা ভাল আছি। এ জীবনে আপনিও নেই, জবও নেই। এ কেমন জীবন আমার!

……………………………………………………..

Happy Birthday to your dear father! আপনার জন্মদিন আজকে, আপনি আপনার বাবার বড়ো সন্তান, সে হিসেবে আপনার বাবারও জন্মদিন আজকে, কেননা আপনি হওয়ার আগে তো আর তিনি বাবা ছিলেন না! শুভ জন্মদিন আপনাকে! সাথে বাবাকেও!

Thank you so much. Take care.

Welcome and take care too!