প্রতিশোধ

 
ট্রেনটা ছেড়ে দেবে দেবে..., তাই খুব তড়িঘড়ি করছে সায়েম। তবে তুলির মধ্যে কোনও তাড়াহুড়ো নেই। এমনকি ট্রেনের হুইসেল শুনেও সে খুব স্বাভাবিকভাবেই বসে রইল।


সায়েম চিৎকার করল, ‘উঠে এসো, তুলি! ট্রেন ছেড়ে দেবে!’ তুলির ওতেও কোনও হেলদোল নেই। ট্রেন সত্যিই ছেড়ে দিল। হাতটা যতদূর সম্ভব বাড়িয়ে দেয় সায়েম, তুলিও ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু না, উঠতে আর পারে না শেষপর্যন্ত।


ট্রেন চলে যায়। তুলি একটা মেসেজ পাঠায়। ‘পরের স্টপেজে ট্রেন দাঁড়াবে ১০ মিনিট। আমি বাস ধরে চলে আসছি। আমাদের বগি ‘ঘ’, সিট নম্বর ৩৩ - ৩৪। তাই তো? আমি ঠিকমতো পৌঁছে যাব। তুমি টেনশন কোরো না।’ সায়েমের উত্তর আসে। ‘বাঁচালে, তুলি! সাবধানে এসো। ভালোবাসি।’


তুলি মেসেজ দেখে হাসল। মন খুলে হাসল। মনে মনে বলল, ভালোবাস, না? হা হা হা! আজ কত বছর পর মন খুলে হাসল তুলি। আহা!


অনার্স ফার্স্টইয়ারে পড়ার সময় সায়েমের সাথে প্রেম হয় তুলির। তখন সায়েম পড়ত সেকেন্ডইয়ারে। জীবনের সবচেয়ে রঙিন সময়টা পার করছিল তুলি। সায়েমই ছিল তার পুরো পৃথিবী! হঠাৎ একদিন সে আবিষ্কার করল, সায়েমের জীবনে অন্য কেউ এসেছে। সায়েমকে ফোন করলে বিজি দেখায়, মেসেজের রিপ্লাই পাওয়া যায় না। ফেসবুকে সায়েম অ্যাক্টিভ থাকে, কিন্তু তুলিকে মেসেজ দেয় না।


একদিন চৈতির কাছ থেকে শুনে ‘দ্য হেভেনস’ কফিশপে গিয়ে তুলি সায়েমের সাথে জয়াকে দেখতে পায়, খুবই অন্তরঙ্গ অবস্থায়। তুলিই দেখতে পেয়েছে ওদের, ওরা তো নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত ছিল, তুলিকে ওরা দেখতে পায়নি। সায়েমকে ওই অবস্থায় দেখে কিছুক্ষণের জন্য ওর দুনিয়া স্থির হয়ে যায়। নিজেকে সামলে নিয়ে সেখান থেকে বের হতে হতে ভাবে, এরপর তো আসলে আর কোনও কথা বলার থাকে না। কিংবা থাকলেও কী বলতে হয় এরকম অবস্থায়, সেটা তুলির জানা নেই। কী করবে এবার তুলি? সামনাসামনি কথা বলবে সায়েমের সাথে? কেন, কী কারণ, সমস্যাটা কোথায়…এগুলি কি জিজ্ঞেস করা যায়? জিজ্ঞেস করেই-বা কী হবে? তুলি ভাবতে থাকে।


যে মেয়ের প্রেমিক অন্য এক মেয়ের সাথে এরকম খোলাখুলিভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সে মেয়ের আর কীই-বা বলার থাকে প্রেমিককে? কিছুই বলে না তুলি, যদিও তুলি একবার সায়েমকে ফোন করেছিল। তারপর সায়েম যে কথাটা বলেছিল, সে কথা আজীবন মনে থাকবে তুলির। ওটা শুনে তুলি আর কথা বাড়ায় না। মেনে নেয় সায়েমের সিদ্ধান্ত। চুপচাপ সরে আসে সম্পর্ক থেকে। সায়েমও আর তুলিকে নক করে না।


এরপর ধীরে ধীরে একদমই চুপসে যায় তুলি। একা একাই চুপচাপ দিন পার করতে থাকে। প্রায় দেড় বছর পর একদিন যোগাযোগ করে সায়েম। কথা বলে সাধারণভাবেই। এ-কথা সে-কথার মাঝে ইনডিরেক্টলি সায়েম বোঝাতে চায়, সে ভালো নেই। পুরনো আবেগ খুব কষ্টে চেপে রেখে তুলি বলে, তুমি আসলে কী চাও, আমাকে একটু সরাসরি বলবে, সায়েম? ওদের মধ্যকার কথোপকথনটা ছিল এরকম---


- তুলি, আমি ভালোবাসি তোমাকে, আর কিচ্ছু জানি না।
- তুমি তো একটা সম্পর্কে আছ, তাই না?
- হ্যাঁ, তুলি। এই জয়ার কারণে বাবা-মায়ের সাথে আমার সম্পর্ক নেই। তারা আমাকে ত্যাজ্য করে দিয়েছে। ও আমাকে সবার থেকে দূরে নিয়ে শুধু ওর করে রেখেছিল। আমি এতদিনে বুঝেছি, তুলি, এটা মোটেও ভালোবাসা না। এটা শুধুই দখল-করা। ও তোমার মতন না, ও আমার মনের মতনও না। ওর আর আমার সম্পর্ক তোমার আর আমার সম্পর্কের মতন না। ও খুবই স্বার্থপর। শুধু নিজের ভালোটা বোঝে, আমাকে একটুও বোঝে না।


তুলি বলতে চাইল, আর তুমি কোনটা বোঝো, সায়েম? কিন্তু কিছুই না বলে ফোনটা রেখে দেয় তুলি। ওর মনে পড়তে থাকে দেড় বছর আগেকার সায়েমের বলা শেষ কথাগুলি---আমি জয়াকে ভালোবাসি। তুমি প্লিজ আমাদের মাঝে এসো না। আমি ওর মতো করে আর কাউকে ভালোবাসতে পারব না, তুলি!


তুলির মাথা ঘুরতে থাকে ওসব মনে করে করে। তখনি সায়েমের মেসেজ আসে।
- কিছু বলবে না, তুলি?
- কী বলব?
- থাকবে না আমার সাথে? আমি বিয়ে করতে চাই তোমাকে।
- তোমার ফ্যামিলি?
- তারা আমাকে আর চায় না। আমিও আর ফেরত যাব না তাদের কাছে।
- আর জয়া? ও তো ভালোবাসে তোমাকে। ওর কী দোষ?
- আমি বাসি না। আমি তোমাকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাব, তুলি!


তুলির বাবা-মা মারা গেছেন অনেক আগেই। ওর নিজের বলতে শুধু এক বিধবা খালা। খালাকে রাজি করিয়ে সায়েমকে বিয়ে করে ফেলে তুলি। ওর বিয়ের পর খালা গ্রামে চলে যান, আসেন মাঝে মাঝে ওদের দেখতে। সায়েম খালাকে বারবারই ওদের সাথে থেকে যেতে বলার পরেও খালা থাকতে রাজি হননি।


সায়েম একটা প্রাইভেট ফার্মে জব করে। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে আর কোথাও ভর্তি হয়নি তুলি। বিয়ের পর সায়েমই জোরাজোরি করে এমবিএ-তে ভর্তি করে দিয়েছে ওকে।


ভালোই চলছিল তাদের নতুন সংসার। ভালো মানে, রীতিমত হিংসে হবার মতন ভালো! খুব সুন্দর করে সব গুছিয়ে নিয়েছে দুজনে। সব মেয়েই যেমন সংসার চায়, ঠিক তেমন একটা সংসার পেতেছে ওরা দুজন মিলে। এরকম কিছু কখনও আশাও করেনি তুলি। অথচ এই দেড় বছরে সংসারের চিন্তাকরা দূরে থাক, সায়েমকে ভুলতেই পারেনি সে। সায়েমের কথা ভেবে নীরবে কতই-না চোখের জল ফেলেছে তুলি। সায়েম ওদের ঘরের নাম দিয়েছে ‘টোনাটুনির ঘর’।


একদিন রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে সায়েম বলতে থাকে, আমাদের তো সবই হলো, কিন্তু দেখো, তোমার আর আমার কারুরই বাবা-মা আমাদের সুখ দেখতে পেলেন না। আমাদের দোয়া করে দিলেন না। সায়েম তুলির একহাত ওর দুইহাত দিয়ে শক্ত করে ধরে বলে, ‘তুমি আমার আগের ভুলগুলি ক্ষমা করে দিয়েছ তো, তুলি?’
- কী যে বলো না তুমি! ওসব ছেলেবেলার কথা আমার মনে আছে নাকি? আমার চুল পেকে যাচ্ছে এই চিন্তায় যে গেস্টরুমে কোন রং করব, আমাদের এই রুমটার পর্দাগুলি কি নেটের হবে, না কি সিল্কের? বলো না, কোনটা ভালো হবে?
- তুমি যেটা ভালো মনে করো, তুমি এত সুন্দর করে সাজিয়েছ বাসা, এখানে আর আমার নাক গলানো চলে না।


এই বলে তুলিকে জড়িয়ে ধরে সায়েম। তুলির বুকের উপর মাথা রাখে। তুলি ওর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে, আহা! বিশাল একটা কাজ বাদ পড়ে গেছে গো!
- কী কাজ? বলো?
- এটা সারপ্রাইজ। এখন বলা যাবে না, হলেই দেখতে পাবে।
- হা হা! আচ্ছা, ঠিক আছে।


আসলে তুলি এসেছে প্রতিশোধ নিতে, শেষ করে দিতে সায়েমকে। তুলি বিশ্বাস করে, ‘প্রথম-ভালোবাসায় দ্বিতীয়বার বলে কিছু নেই। সেখানে জায়গা নেই দ্বিতীয় কোনও সুযোগের।’ অনেক বেশিই ভালোবেসেছিল সায়েমকে সে, অনেক! বিয়ের পর সায়েমের স্পর্শে, ভালোবাসায়, স্নেহে, সম্মানে তুলির পুরনো ঘৃণা উলটো একটু একটু করে প্রতিদিনই বাড়তে থাকে। শাণিত হতে থাকে প্রতিশোধের আগুন। কিন্তু সায়েমকে সে তার মনের অবস্থার একদম বিপরীতটা বোঝাতো সব সময়। সায়েম কিছুই বুঝতে পারে না।


দেখতে দেখতে কেটে যায় সাড়ে তিন মাস। কিন্তু কোনও সুযোগই পায় না সে, সায়েমকে শেষ করার। ভেবে পায় না, কী করা যায় সায়েমের সাথে।


এর মধ্যে একদিন সায়েম ওর বাল্যবন্ধু অনন্যকে বাসায় নিয়ে আসে। অনন্য একটা মাল্টিন্যাশনালে আছে। কথায় কথায় ওদের তিনজনের বেশ ভালো বোঝাপড়া হয়ে যায়। ওরা একসাথে ব্যাডমিন্টন খেলে, ছুটির দিনে একসাথে সিনেমা দেখে। এমনও এক-একদিন হয়, অনন্য আর তুলি আগে আড্ডা শুরু করে, অফিস থেকে ফিরে তারপর সায়েম ওতে যোগ দেয়।


একদিন অনন্য বলে, আচ্ছা, আপনাকে ভাবি বলা কি জরুরি কিছু? তুলি নামটা ছোটই যেহেতু, নাম ধরেই বলি? তুলি কিছু বলার আগেই সায়েম বলল, হ্যাঁ হ্যাঁ, তা-ই তো বলবি! হা হা হা…


তুলি অবশ্য আপত্তি করে না, কিন্তু সে নিজে অনন্যকে আপনি করেই সম্বোধন করে।


এরই মধ্যে একদিন তুলির খালা আসেন ওদের বাসায়, ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে। অনন্যর এত ঘনঘন আসা, তা-ও আবার সায়েমের অনুপস্থিতিতে, ব্যাপারটা একেবারেই ভালো চোখে দেখেন না তিনি। খালাকে ডাক্তার-দেখানো, চেকআপ-করা, ওষুধপত্র-কেনা, সবই সায়েম নিজে উপস্থিত থেকে করে দেয়। খালা বাড়ি ফিরে যাবার সময় সায়েমকে বলে যান, ‘বাবা, শোনো, যুগ তো ভালো না, তুমি তোমার বন্ধুকে বাসায় এত বেশি প্রশ্রয় দিয়ো না। আমার তুলিটা একা একা থাকে।’ সায়েম বলে, ‘খালা, আমি তুলিকে বিশ্বাস করি, ও এ ধরনের মেয়েই না। আপনি কোনও চিন্তা করবেন না। আমরা খুব ভালো আছি। আপনি শুধু আমাদের জন্য দোয়া করেন, খালা।’


ওদিকে তুলি আর অনন্যর বন্ধুত্বও বেশ শক্ত হয়েছে। অনন্য অফিসে গিয়ে টেক্সট দেয় তুলিকে, অফিস থেকে ফেরার সময়ও টেক্সট দেয়। শুভ সকাল, কিংবা শুভ মধ্যরাত্রি…এসব লিখে পাঠায়। তুলিও রিপ্লাই করে, কিন্তু অতটুকুই। ওর মনে বন্ধুত্বের বেশি অন্য কোনও কিছুই নেই অনন্যর জন্য। কিন্তু অনন্য ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে তুলির প্রতি। সেগুলি তুলি কখনও খেয়ালই করে না।


একদিন রাতে খাবারটেবিলে সায়েম বলছিল, জানো, অনন্যটার জন্য মায়া হয়! ও খুব ভালো ছেলে। আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু।
- কেন? মায়া কেন হয়?
- ওর বাবা-মায়ের সেপারেশন হয়ে গেছে অনেক আগেই। এরপর থেকে ও কেমন যেন হয়ে গেছে। বিয়ে করতে বলি, শোনে না। বলে, আমাকে দিয়ে সংসার হবে না রে। আমি কোনও সংসারী ছেলে নই, বন্ধু।
- ও আচ্ছা।


ওদিকে অনন্য সারাদিন এটা ওটা মেসেজ দিয়ে দিয়ে তুলিকে পাগল করে ফেলে। একদিন দুপুরে মেসেজ পাঠাল, আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি, তুলি! প্লিজ, এটা শুনে কোনও যুক্তি টেনো না, মন ওসব বোঝে না। আমি বোধহয় পাগল হয়ে যাচ্ছি, তুলি! আমাকে ফিরিয়ে দিয়ো না। সব আছে আমার, আর কিছুই চাওয়ার নেই। আমি শুধুই ভালোবাসার কাঙাল। ভালোবাসবে আমায়? আমার হবে, তুলি?


সব দিক ভেবে তুলি ঠিক করল, সে অনন্যকে ফেরাবে না। অনন্যকে ওর ভালো লাগে, কেমন যেন একধরনের স্নিগ্ধতা আছে ওর মধ্যে। তবে ওকে ভালোবাসে না তুলি। ও যা করতে যাচ্ছে, সবই প্রতিশোধ নিতে। ও তো অপেক্ষাতেই ছিল শুধু একটা সুযোগের! যা করার, এখনি করতে হবে।


এর মধ্যে অফিসের ট্যুরে নেত্রকোনায় তুলিকেও সাথে নিয়ে যাবার অনুমতি পায় সায়েম।


তুলি ইচ্ছে করেই ট্রেন মিস করে। এখন সে প্ল্যাটফর্মে বসে অপেক্ষা করছে অনন্যর জন্য। আবার এক নতুন জীবন। আচ্ছা, অনন্য কি তুলিকে সত্যিই ভালোবাসবে? না বাসুক গিয়ে, কী আর এসে যায়? সে নিজেও তো বাসে না। ভালোবাসে না সে আর কাউকেই! তার মধ্যে ভালোবাসা যা ছিল, সায়েম সবই শেষ করে দিয়েছে সেই কবেই! তুলি তো বেঁচেই আছে শুধু প্রতিশোধ নিতে। না হলে তো কবেই…


তুলি বসে বসে ভাবছে সায়েমের কথা। বাবা-মায়ের ত্যাজ্যপুত্র সায়েম। জয়ার কাছেও তার আর ফেরার রাস্তা নেই। এত সাধনায় ফিরেপাওয়া প্রেমিকা এবং একই সাথে স্ত্রী, পালিয়ে যাচ্ছে তারই সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর হাত ধরে! এর চেয়ে বড়ো প্রতিশোধ আর কী হতে পারে একজন পুরুষ, প্রেমিক কিংবা স্বামীর জন্য?


শান্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে সে আর মনে মনে বলে, সব অপরাধীর ক্ষমা আছে, বিশ্বাসঘাতকের ক্ষমা নেই, প্রতারকের ক্ষমা নেই। আমার জীবনে যা-ই ঘটুক, তোমার জীবনটা তো আমি ঠিকই থামিয়ে দিলাম!


তুলি একটা শেষমেসেজ পাঠায় সায়েমকে। ‘সায়েম, আমার মনে জমেথাকা ঘৃণাই যথেষ্ট ছিল তোমাকে মেরে ফেলার জন্য, কিন্ত আমি তোমাকে মেরে ফেললে অনেক বছর আগে আমাকে ওরকম একা ফেলে যাওয়ার দমবন্ধ-করা অনুভূতিটা তুমি বুঝতে কী করে? কষ্ট পেতে হলেও তো বেঁচে থাকতে হবে, তাই না? তুমি বরং মরে মরে বেঁচে থাকো, কেমন? শুভকামনা রইল তোমার জন্য।’


লেখার পর একটু কেমন কেমন যেন লাগে তুলির। টেক্সটটা সে কিছুতেই পাঠাতে পারছে না! কী এটা? মায়া? নাহ্‌, মায়া না! তার সমস্ত মায়া, দয়া, স্নেহ, ভালোবাসাকে অনেক আগেই খুন করে দাফন পর্যন্ত করে ফেলেছে সায়েম!


…ওই তো! অনন্য আসছে। ওদিক থেকে আসছে পরের ট্রেনটাও। তুলি শেষবারের মতো সায়েমের চেহারা মনে করতে চাইল, কিন্তু তখনই কানে ভেসে এল,…আমি ওর মতো করে আর কাউকে ভালোবাসতে পারব না, তুলি!


অনন্য তুলির লাশের কাছে আর এল না। কী না কী উটকোঝামেলায় পড়ে যায় আবার! কী দরকার!