পুরোনো মানুষ

এমন দুপুরবেলায় প্রায়-প্রায়ই আমার কেমন জানি হাঁসফাঁস লাগে। খোঁজ নিতে ইচ্ছে করে আমার সেই পুরোনো মানুষটার, যে বলেছিল, “বিয়ে করলেই তুই ঠিক হয়ে যাবি।”




মাঝে মাঝে দীর্ঘসময় ধরে তার দিকে প্রশ্নবোধক চাহনিতে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। সে নিশ্চয়ই সেই চাহনিকে উপেক্ষা করে আমার বিবাহিত জীবনের অসুখ, আমার কিছু লিখতে না পারার বেদনা, আমার চুপ হয়ে যাবার গল্পগুলোকে আবিষ্কার করতে পারবে।




আমি জানি, ও পারবেই। মানুষটার সব আমি জানি। তার মতন করে আমাকে তো আর কেউ কখনোই আবিষ্কার করতে পারেনি। আমাকে বোঝে একজন, আমার সাথে ঘর করে আরেকজন। আমি একজনের তুই, আরেকজনের তুমি।




এমন কড়া দুপুরবেলায় লোকটা অফিসে থাকে। প্রচণ্ড ব্যস্ততায় অফিসের শত শত ফাইলে সিগনেচার করতে থাকে, মাঝেমধ্যে চিনি ছাড়া রং-চা খায়, কাজের চাপে লাঞ্চের কথা প্রায়ই ভুলে যায়। চাকরির পড়া যার কাছে একদিন অসহ্য লাগত, আজ সেই মানুষটাই এমন কাজপাগল!




আচ্ছা, আজ কি কোনও এক অজুহাতে মানুষটাকে একটা টেক্সট করব? করিই না? কী এমন ক্ষতি হবে করলে? একটা টেক্সটই তো!




উফফ্‌! এত ঘনঘন কলিংবেল বাজাচ্ছে কে? ওহ্‌, আয়রা নিশ্চয়ই স্কুল থেকে ফিরেছে ওর বাবার সাথে!