পিএটিসি ডায়েরি: ৩ ফেব্রুয়ারি

ডেটলাইন ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ভোরের আলো ফুটতে দেখা পৃথিবীর সবচাইতে সুখকর আর পবিত্র অভিজ্ঞতাগুলোর একটি। একটা সময়ে কেউ একজন ভোর দেখা শিখিয়ে দিয়েছিল। তখন মনে হতো, একটা ভোর দেখার জন্য সহস্র-এক বিনিদ্র রজনীযাপন করা যায়। রাতের অন্ধকারের বুক চিরে আলোর ফুলকি দেখা দেয়। দূরের বাড়িগুলো, ছাদগুলো, পিচঢালা ঝকঝকে রাস্তাগুলো, রিকশার হর্নের আলতো টুংটাং, ভোরের পাখিরা, মর্নিংওয়াকে বের-হওয়া ধবধবে মানুষগুলো, পলেস্তারা খসে-পড়া পুরোনো কয়েকটা দেয়াল, ফুটবে বলে প্রতীক্ষায়-থাকা ফুলের কলি—ওরা সবাই-ই এই ঘুমভাঙা শহরে ওই আলোর নরোম ধারায় স্নান করে নেয়। অবশ্য, পাহাড়ের কিংবা অরণ্যের ভোরের কাছে শহরের ভোর নিতান্তই শিশুতোষ। যাঁদের জীবনে পুণ্যের পাল্লাটা ভারী, তাঁরা অনায়াসেই ওরকম একটা ভোর দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতে পারেন। জীবনে না হোক, মৃত্যুর পর হলেও স্বর্গে সেই ভোরের দেখা পাবেন। আর যাঁরা আমার মতো পুণ্যের ভাগের ভার নিয়ে সন্দিহান, তাঁদেরকে বলছি, বেঁচে থাকতেই জীবনের কিছু হিসেব বেহিসেবের খাতায় জমা রেখে একবার ঘুরে আসুন বান্দরবানের পাহাড় কিংবা সিলেটের অরণ্য থেকে। এমনভাবে যাবেন, যাতে আপনার জীবনের অন্তত একটা ভোর সেখানেই হয়।

আমি ভাবি, মরে যাবার অনেক কষ্ট। মৃত মানুষ ভোর দেখতে পারে না। আর কিছু হোক না হোক, এরকম একটা ভোর দেখার জন্যও তো বেঁচে থাকা যায়। পিএটিসি’তে আজকের ভোরটাকে বড্ড আপন মনে হলো। এই ভোরটার আলো-হাওয়া-মায়ায় আগেও একবার ডুব দিয়েছিলাম না? এক বারই নাকি শুধু? আজকের এই স্যুরিয়েল ভোরটার মন্তাজ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, এইসময় মাঠের সমান্তরালে দেখলাম, ঘন কুয়াশা কোথাও কোথাও জড়ো হয়ে একেকটা ছায়ামূর্তির মতো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওরা অশরীরী, শীতের অতন্দ্র প্রহরী। আহা, শুধু ভোর ছুঁলেই মরে। ওরা মরতে শুরু করছে একটু একটু করে আর আমরা এগিয়ে যাচ্ছি একটা ভোরের আলোয় ঝকঝকে হয়ে স্নান-করা কাঁচাপাকা রাস্তার পাশ দিয়ে, যেটায় ছুটে গিয়ে একটুখানি হেঁটে-ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। পাখিদের ঝগড়া বেধে গেছে। ওরা কী নিয়ে যেন কিচিরমিচির করে ঝগড়া করছে। ঝগড়া? না কি খুনসুটি? এসব ভাবতে ভাবতে টেনিস কোর্টে গিয়ে থামলাম।

ব্রেকফাস্ট সেরে ক্লাসে যাবার পথে করিডোরের পাশের বাগানে সকালের আলোয় চন্দ্রমল্লিকাগুলোকে ঝলমল করতে দেখলাম। কফি-কর্নারের আশপাশটায় যত্নে ছড়িয়ে-থাকা ক্রটোনের সকালের রূপকে উপেক্ষা করে পেছনে ফেলে যাওয়াটা কঠিন। এই কঠিনেরে ভালোবেসে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। অডিটোরিয়ামে কমন সেশন, সব সেকশন একসাথে। ক্লাসে পেছনের দিকে বসে মনে হতে লাগল, সামনের একটা মেয়েকে সাইড থেকে অতিরূপসী মনে হচ্ছে। কিন্তু আমার জানামতে ওই সেকশনে তো কোনো রূপসী নেই। ধ্যাৎ! হিসেব মেলাতে পারছি না। এই সময়ে কেউ একজন বলে উঠল, আগামী সোমবার নাকি এটিকেটস অ্যান্ড ম্যানারস-এর উপর একটা একজাম আছে। কারা নাকি পরীক্ষার জন্য একদফা গ্রুপ স্টাডিও করে ফেলেছে! শিষ্টাচার সম্পর্কিত দলবদ্ধ পড়াশোনা! আমি বললাম, পড়বে না তো কী করবে? শিষ্টাচার পরীক্ষার জন্য গ্রুপ স্টাডি না করা যে রীতিমতো শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ! সবাইকেই অশিষ্ট হতে হবে কেন?

ক্লাসের কাউকে কাউকে দেখে বুঝলাম, সবসময় যে সঙ্গদোষে লোহা ভাসে, তা ঠিক নয়, মাঝে মাঝে সঙ্গগুণে লোহা ডুবেও। এই কথার মানে কী? বলা যাবে না। (আমার ইন্টিলিজেন্ট ব্যাচমেটরা একটু চেষ্টা করে দেখুন তো!) স্যার পড়িয়েই যাচ্ছেন আর আমি কিছু না শুনেই যাচ্ছি। কিছু মজার জিনিস দেখতে লাগলাম। কেউ একজন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নাক ডাকতে শুরু করলেন। পাশের জন ওঁকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে দিতেই বলে উঠলেন, “পাখিটা কই?” একজন ঘুমোতে ঘুমোতে পাশের জনের কাঁধে হেলে পড়লেন। পাশের জন বললেন, “বস, গায়ে পড়েন, প্রবলেম নাই; কিন্তু একটু পারফিউম দিয়া আইসেন।” ঘুমন্ত একজন মুখ হাঁ করে ৪৫ ডিগ্রিতে মাথা উপরের দিকে দিয়ে ডান দিকে হেলতে হেলতে প্রায় চেয়ার-সহ পড়েই যাচ্ছিলেন, পাশের ভদ্রমহিলা কলম দিয়ে গুঁতো মেরে তুলে দিলেন। আমি এসব দেখছি আর ভাবছি, ক্লাসে ঘুমোলে আমাকেও নিশ্চয়ই কেউ-না-কেউ দেখে দেখে মজা পায়। পিএটিসি’র ক্লাসরুমে মোবাইল সাথে রাখা গেলে দারুণ হতো; ছবি তুলে রাখা যেত। আজ থেকে অনেক দিন পরে এসব ক্লাসের বিন্দুমাত্রও কিছু যদি মনে থাকে, সেই কিছু নিশ্চয়ই ক্লাসের পড়াগুলো হবে না। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট জাজকে দেখলাম সেইরকম সিরিয়াস আর আঁতেল! আমার পাশের জন মন্তব্য করলেন, “খাইসে! এই লোক তো মনে হয় মুরগিচুরির মামলায় ২০০ পৃষ্ঠার রায় দিয়ে দিবে।” উল্লেখ্য, উনিও একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট জাজ।

চেহারার সৌন্দর্য মানুষকে বড়ো করে না। ভেতরের সৌন্দর্য থাকতে হয়। আমার অভিজ্ঞতা বলে, সুন্দর চেহারার অনেক মানুষই কুৎসিত মানসিকতার হয়। বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, আমি এই পর্যন্ত যতগুলো অ্যান্টি-স্মাগলিং অপারেশনের সাথে যুক্ত ছিলাম, সেগুলোর শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই স্মাগলারের শরীরসৌষ্ঠব ও চেহারা দেখার মতো। রীতিমতো জিম-করা ফিগার। কারও কারও হাইট আমার চাইতেও (৫ ফুট ১১ ইঞ্চিরও) বেশি। কথাবার্তাও খুব চমৎকার। ওই অতিসুদর্শনদের দেখে ক্রাশ খাবে না, এমন সৌন্দর্য-নিঃস্পৃহ খুব বেশি মেয়ের জন্ম হয়নি। কথা সেটি নয়। কথা হলো, চেহারার অসৌন্দর্যও কিন্তু মানুষকে বড়ো করে না। আর চেহারার সৌন্দর্য থাকলেই যে ভেতরের সৌন্দর্য থাকবে না, এমনও কিছুতেই নয়। একথা কেন বললাম? এমনি। (এমনি মানে, বলা যাবে না।) আজ রুমে এসে এক স্যারের মিস্টার বিন স্টাইলে হাঁটা, কথা বলা, হাত নাড়ানো, দৌড়োনো, চোখ-নাক-মুখ দিয়ে কথা বলা…এসব নকল করার অনেক চেষ্টা করলাম; পারলাম না। আমি মিমিক্রিতে ভালো না। আমার ছোটোভাইয়ের কাছ থেকে এই বিদ্যেটা শিখে নিতে হবে।

বিকেলে খেলার মাঠে গেলাম। আজকের সেশনটা ছিল ভলিবলের। অনেককেই দেখলাম, খুব সিরিয়াসভাবে খেলাধুলা করছেন। আর আমি ভাবছি, যে-বয়সে খেলোয়াড়রা অবসরগ্রহণ করে আত্মজীবনী লিখতে বসেন, সে বয়সেই কিনা আমরা সবাই খেলা শিখতে শুরু করেছি। কী দরকার এত পেইন নেবার! ভলিবল খেলার সময় আমাদের কমেডি ছিল দেখার মতো। বলে ঘুষি মারতে গিয়ে সামনের জনের হাতে মেরে দিচ্ছি। ভলিবলে আঘাত করার সময় চেঁচিয়ে বলতে হয়, ‘লিভ!’ আমাদের মধ্যে যাঁরা যাঁরা এটা বলতে ভুলে যাচ্ছিলেন, ইন্সট্রাক্টর ওদেরকে বলছিলেন ৩ বার করে পুশআপ দিতে। আমি ২ বার বলতে ভুলে গেলাম, পুশআপও দিলাম। এর পরের বার বলে আঘাত করার সময় ‘লিভ!’ না বলে বলে উঠলাম, ‘পুশআপ!’ আজকের সেশনটাতে কেন জানি বার বার ‘দ্য থ্রি স্টুজেস’-এর কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল।

একটা ইন্টারেস্টিং ঘটনা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না। আজ বিকেলবেলায় মাঠে ১৫ মিনিট আগেই গিয়েছিলাম। এক আপুর সাথে গল্প করছিলাম। রুডিয়ার্ড কিপলিং তাঁর ‘ফলস ডন’ গল্পের এক জায়গায় লিখেছেন, “Never praise a sister to a sister, in the hope of your compliments reaching the proper ears, and so preparing the way for you later on. Sisters are women first, and sisters afterwards; and you will find that you do yourself harm.” আজও সেটা দেখলাম। মেয়েরা ওদের সবচাইতে কাছের বান্ধবীর প্রশংসাও সহ্য করতে পারে না। মাঝখান থেকে আমি জানলাম, আমার মেয়েদেরকে ‘জাজ করার’ ক্ষমতা কম। অবশ্য সব মেয়ে এরকম নয়। তবে মজার ব্যাপার হলো, সব মেয়েকেই কৌশলে এরকম করে দেওয়া যায়। হা হা হা . . .

কিছু ভাবনা শেয়ার করে লেখাটা শেষ করছি।

মৃত্যু কী সহজ!

কখনো কখনো মৃত্যু বেঁচে থাকাকে পর্যন্ত সহজ করে দেয়।

এই আজকের আমি যদি আগামীকালই ‘নেই’ হয়ে যাই, তবে আজকের এই অস্তিত্ব কী প্রকট সত্য নয়? জীবনটাকে নিয়ে কী সিরিয়াস আমরা, অথচ এই জীবন আমাদের পাত্তাই দেয় না। দূরের মানুষদের কাছে পাবার আশায় কাছের মানুষদের দূরে ঠেলে দেই। রং বদলাই মুহূর্তেই। কে কষ্ট পেল, সেটা নিয়ে ভাববার সময়টুকু পর্যন্ত নেই। আর কিছু দিতে পারি না পারি, কষ্ট দিই। শূন্য হাতে কেউ ফিরে যায় না। সাথে করে নেয় ভালোবাসা কিংবা কষ্ট। শত বছরের প্ল্যান গুছিয়ে বসে থাকি বেঁচে থাকার এই মুহূর্তকে ভুলে গিয়ে। ঠিক পরের এক-শো সেকেন্ড বাঁচবো কি না, সে কথা কি ভেবে দেখি কখনো?

৩টি মৃত্যুর মিছিল। আমাদের এক কলিগের ১০ মাস বয়েসি মেয়ের আর দুই কলিগের বাবার।

কে পারে মৃত্যুকে আটকে দিতে? ভালোবাসা? কিংবা অঘৃণা? সে আসেই-বা কার অবিরত ইশারায়? ঘৃণার? না কি অভালোবাসার? পৃথিবীতে শুধু মৃত্যুটাই সত্য; অথচ তাকেই ভুলে যাই৷ বাকি সব অলীক; তবুও তাদের নিয়েই ভুলে থাকি৷ সবসময়৷ সেই মিছিলে আমি নেই৷ কেন নেই? না কি থেকেও নেই? চুম্বন করছি প্রগাঢ় আলিঙ্গনে, অথচ ছুঁয়ে দেখছি না৷ এ-ই কি? স্পর্শের স্বাদ নিইনি, নিয়েছি শুধুই ভালোবাসা কিংবা ঘৃণা, যাদের কাউকে মৃত্যু তোয়াক্কাই করে না৷ মৃত ভাবনাগুলোর মন্তাজে জীবিত আমি মৃতদের করুণায় বেঁচেবর্তে আছি৷ সেই মিছিলে? নাহ্! এখনও আড়ালে৷ কী সুখ! আহ্!

জাহানারা ইমামের মৃত্যুসংবাদ হুমায়ূন আহমেদকে দেন আসাদুজ্জামান নূর। এর পরের অনুভূতি নিয়ে তিনি লিখছেন:

“মা জায়নামাজে বসলেন।

আর আমি একা-একা বসে রইলাম বারান্দায়। একধরনের শূন্যতাবোধ আমার ভেতর জমা হতে থাকল। কেবলই মনে হতে থাকল, একটা মস্ত বড়ো ভুল হয়ে গেছে। কী পরিমাণ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এই মানুষটির প্রতি আমার ছিল, তা তাঁকে জানানো হয়নি। আমার একটাই সান্ত্বনা, মৃত্যুর ওপাশের জগত থেকে আজ তিনি নিশ্চয়ই আমার বিপুল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অনুভব করতে পারছেন।”

পড়ে আঁতকে উঠেছিলাম। বার বারই মনে আসতে লাগল, আজ যদি বাসায় আর না ফিরতে পারি? যদি…মাকে ফোন করলাম। এরপর বাবাকে। ছোটোভাইকেও জিজ্ঞেস করলাম, ও কেমন আছে, কী করছে। কেন? সত্যিই কোনো কারণ নেই। কিন্তু মনে হলো, ওরা খুশি হয়েছে। কেন? এরও কোনো কারণ নেই। প্রকৃতি কিছু ব্যাপারে রহস্য পছন্দ করে। বিশেষ করে, ভালোবাসার ব্যাপারে। ঠিকই তো! বাবাকে বলা হয় না, ভালোবাসি। মাকে গালে চুমু খেয়ে কতদিন বলি না, ভালোবাসি। ছোটোভাইকে, ও যে খুব অসাধারণ একজন মানুষ, এটাও তো কোনোদিনও বলা হয়নি। কেন হয়নি? এসব কিছু নাকি বলা যায় না। অথচ পৃথিবীতে ওরাই একমাত্র আছে, যারা ভালোবাসি বললে সরল মনে বিশ্বাস করবে। বাকিরা কারণ খুঁজবে। যদি এমন হয়, আর কোনোদিনও বলতেই না পারি? আমি এর আগেই চলে যাই? কিংবা…না, আর ভাবতে পারছি না। বাসায় ফিরব।

ঈশ্বর মানুষকে খারাপ কাজের শাস্তি দিতেই পৃথিবীতে পাঠানোর সময় সাথে করে ভালোবাসার অনুভূতি দিয়ে দিয়েছেন। প্রকৃতি এমনই নির্মম, যাদেরকে মন খারাপ করে থাকলে একটুও মানায় না, তাদেরকে পৃথিবীর সব কষ্ট দিয়ে রাখেন। মাঝে মাঝে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যখন কাছের মানুষ বুকে জড়িয়ে ধরলে সেটা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ভাষার চেয়েও অনেক বেশি শান্তি দেয়। যখন শূন্যতা লেপটে থাকে ভাবনার সমস্ত গা জুড়ে, হাত বাড়ালেও হাতটা কেউ এসে ধরে না, তখন খুব কান্না পায়। তবুও কাঁদতে ইচ্ছে করে না। যে-অশ্রুর মৃত্যু অর্থহীন, সে বুঝি জন্মেই শুকিয়ে যায়।

মোগল সম্রাট শাহজাহানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দুনিয়ায় সবচেয়ে ভারী বস্তু কি? তাঁর উত্তর ছিল—পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ। আমাদেরই এক ভাইকে দিয়ে ঈশ্বর সেই বোঝাটি নির্মমভাবে বহন করালেন। ঈশ্বরকে খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে, হে ঈশ্বর! যে অবোধ শিশুটি অপরাধ করার সময়ই পায়নি, ওকে তুমি নিয়ে গেলে কোন অপরাধে?

৩টি মৃত্যুর তীব্র বেদনাবোধ বুকে বয়ে আমরা ট্রেনিং করছি। আমরা ওঁদের আত্মার শান্তিকামনা করি।

পিএটিসি’তে জন্মমৃত্যু হাত ধরাধরি করে চলে। আজ আমাদের এক কলিগ একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের বাবা হলেন। আমরা প্রার্থনা করি, ও বেঁচে থাকুক, সুস্থ থাকুক। শুধু বেঁচে থাকলেও অনেক কিছু হয়। বেঁচে থাকাটাই পৃথিবীর সবচাইতে আনন্দের ব্যাপার।