পিএটিসি ডায়েরি: ২ ফেব্রুয়ারি

 
ডেটলাইন ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

“ক্লাস থাকতে বিছানায় কী?”
ভোরবেলায় এটা বলে রুমমেটের ঘুম ভাঙিয়ে দিলাম। ক্লাসে ঘুমোতে পৃথিবীর যত সুখ। রুম তো আর ঘুমোনোর জায়গা না। অন্যদিনের মতো শীত আজকেও জাঁকিয়ে বসেছিল। লেকের ধারে হাঁটতে হাঁটতে, আমরা যেদিকটায় হাঁটছিলাম, সেদিকে উঁচু উঁচু কিছু ফুলের গাছ দেখে ছোটোবেলার কথা ভাবতে ভাবতে হাঁটতে লাগলাম। ছোটোবেলায় বাবার সাথে মর্নিংওয়াক করতে বের হবার সময় ফুলের সাজি নিয়ে বের হতাম। হাতে বাঁশের লম্বা কঞ্চি কিংবা লাঠি থাকত। পুজোর ফুল তুলে সাজি ভরতাম। বলাই বাহুল্য, শিশুর এই আগ্রহের উৎস ধর্মে অনুরক্তি নয়, আনন্দের অন্বেষণ। উঁচু উঁচু গাছগুলো থেকে বাঁশের কঞ্চি কিংবা লাঠি দিয়ে ফুল ছিঁড়তাম। ভোরে উঠে শিউলিতলায় নরোম ফুল কুড়নোর সুখ একদমই অন্য রকমের ছিল। ভোরের শিউলিছোঁয়ার শিহরন ভোলার নয়। বাবা ধরে ধরে ফুল চিনিয়ে দিতেন, গাছ চিনিয়ে দিয়ে বলতেন, গাছও ব্যথা পায়, ওদের ডালপাতা ছিঁড়িস না, ওদের যত্ন নিতে হয়। আমার তখন ‘যা-ই শুনি, তা-ই বিশ্বাস করি’ এই বয়স। বাবা ছোট্ট আমার গুটিগুটি আঙুলগুলো হাতের মধ্যে জড়িয়ে নিয়ে ঝরাপাতার উপর দিয়ে হাঁটতে ভালোবাসতেন। শুকনো ঝরাপাতার বনে হাঁটতে থাকা তখন থেকেই আমার খুব প্রিয় একটা কাজ। এই অভ্যেসটা বাবার কাছ থেকে পাওয়া। আমাদের পিএটিসি’তে একটা ছোটো পার্ক আছে, যেখানে ঝরাপাতা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। ওর ওপর দিয়ে হাঁটতে বড়ো আরাম। একটা কৃষ্ণচূড়ার গাছ আছে, যেখানে নিচে শুকনো পাতা ঝরে পড়ে, কিছু উড়ে এসে বিছানার মতো হয়ে আছে। সেখানে গেলে ‘দেবদাস’-এর শেষদৃশ্যটার কথা মনে পড়ে, ওরকম করে শুয়ে থাকতে বড্ড ইচ্ছে করে। কিন্তু হায়! মরতে যে ইচ্ছে করে না। কার জন্যই-বা মরব? আমার পার্বতীরও বিয়ে হয়ে গেছে। কথা সেটা নয়। সমস্যা হলো, সে আমাকে মনেই রাখেনি, ভুলে গেছে। (আদৌ রেখেছিল কি কখনো?) আমি এখানে মরে পড়ে থাকলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত মৃত্যুর দায়ে বড়োজোর একটা মরণোত্তর শোকজ খাব। আর কিছু নয়। কী লাভ মরে?

ক্লাসে প্রতিদিন শেভ করে যেতে ইচ্ছে করে না। কেন? দুটো কারণে। এক। শেভ না করে গেলে শোকজ করার কোনো নিয়ম নেই। দুই। কে কে যেন আমাকে বলেছে, মাঝে মাঝে শেভ না করে থাকলে আমাকে ‘রাফ লুকে’ দেখতে বেশ লাগে। আর তা ছাড়া আমি ঠিক করেছি, না করলেই নয়, কিংবা আমাকে আনন্দ দেয়, এরকম কাজগুলোই শুধু করব। ছোটো ছোটো অলস বিলাসিতা উপভোগ করার এই সুযোগ হাতছাড়া করব কেন? তা ছাড়া আমি তো আর বেণী কিংবা খোঁপা করতে পারার মতো দাড়ি গজাচ্ছি না, এর আগেই কেটে সাফ করে ফেলছি। আজ আবারও মনে হলো, রবীন্দ্রনাথ বাঙালির বড়ো আদরের। ভালোবাসা, ঘৃণা, অভালোবাসা, সুখ, অসুখ, আনন্দ, বেদনা, প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি-সহ জীবনের সকল অনুভূতি ওঁর কথাতেই কত সহজে পেয়ে যাই। এমনকী স্নানঘরেও আমাদের সাথে থাকেন, নিজ হাতে স্নান করিয়ে দেন। আজ কনকনে ঠান্ডা জল গায়ে ঢালার সময় মাথায় আর ঠোঁটে বাজছিল রবীন্দ্রনাথ। কেঁপে কেঁপে বরফশীতল জল গায়ে ঢালছি আর গেয়ে যাচ্ছি, প্রখর দারুণ অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন! এর মানে কী? এত করে চেষ্টা করলাম, মাথায় অন্য গান বাজুক, এমনকী ‘পোলা তো নয় যেন আগুনের গোলা’-টাইপের হলেও চলবে, কিন্তু কিছুতেই অন্যকিছু এল না। আসলে, মাথায় কী বাজবে আর কী বাজবে না, সেটা কিছুতেই পারিপার্শ্বিকতার উপরে নির্ভর করে না। মাথায় এমনিতেই কোথা থেকে যেন একটা গান এসে ভর করে আর ওটা থেকেই যায়; ওটাই অবিরাম বাজতে থাকে।

এই মুহূর্তে একদিনের অভিজ্ঞতা মনে পড়ছে, সেদিনের ফেইসবুক স্ট্যাটাসটাই হুবহু শেয়ার করছি: “বস রুমে ডাইক্যা ঝাড়ি মারতাসে। আর আমার মাথায় কোইত্থেইক্যা জানি বাইজ্যাই চলতাসে বাইজ্যাই চলতাসে...সাইয়া দিল মে আনা রে...আ কে ফির না জানা রে...মুখডারে যতটুক সম্ভব দুখী দুখী ফইন্নির পুত ইশটাইলে রাখার জান-কোরবান চেষ্টা করতাসি, অথচ কুনু কাম হইতাসে না। খালি হাসি পাইতাসে খালি হাসি পাইতাসে! যখনই বস সিরিয়াসলি খেইপ্যা উঠতাসে, তখনই মাথায় ইশট্রাইক দিতাসে...ছম ছমা ছম ছম...” স্নানটান সেরে ক্লাসে যাচ্ছি। আচ্ছা, সেদিনের নোটে একটা ক্যুইজ দিয়েছিলাম না? ওটা ছিল, “পিএটিসি তো আমাদের ডানপন্থী হতে শেখায়। মানে, করিডোরে, সিন্ডিকেট বিল্ডিংয়ে, লেকচার থিয়েটারে—সব জায়গাতেই আমাদেরকে ডান দিকে হাঁটতে হয়। ডান দিকটায় নিচে একটু পর পর অ্যারো আঁকা আছে। ভুল পথে হাঁটতে গেলে বেখাপ্পা লাগবেই। আচ্ছা, করিডোরের একটা জায়গায় একটা অ্যারো ভুলে উলটোভাবে আঁকা হয়েছে। বলতে হবে, অ্যারোটা কোথায়?” উত্তরটা দিয়ে দিচ্ছি। হাঁআআআআ...(বলুন তো, কার মুদ্রাদোষ?) অ্যারোটা আমাদের লাইব্রেরির ঠিক সামনেই। আজ ওটার পাশ দিয়ে যেতে যেতে ভাবছিলাম, লাইব্রেরি থেকে জ্ঞানার্জন করে বেরিয়ে এসেই এই উলটো পথে হাঁটতে শেখা। ব্যাপারটা সিম্বলিক নয় তো?

এই ৮:১০টায় বের হয়েও ব্রেকফাস্ট করতে হলো। ‘করলাম’ বলছি না, কারণ সোয়া ৮টায় ব্রেকফাস্ট করার শেষ সময়, আমি ক্যাফেটেরিয়ায় পৌঁছেছি ৮:১৩টায়; এত তাড়াহুড়োয় ব্রেকফাস্ট হয় নাকি? তবুও খেতে হয় মায়ের জন্য। মা রাতে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, ব্রেকফাস্ট করেছি কি না। মাকে মিথ্যে বলতে ইচ্ছে করে না। মা বড়ো বেশি বিশ্বাস করতে জানেন যে! ব্রেকফাস্ট করিনি বললে মা কষ্ট পান। মাকে কষ্ট না দেবার জন্যই চেষ্টা করি ব্রেকফাস্টটা করতে। ক্লাসে যাবার পথে দেখলাম, রোদ উঠে গেছে, সোনা সোনা রোদ ঝরছে কসমস-ডালিয়া-সিলভিয়া-গাঁদা-গোলাপ-স্নোবল-ঘাসফুলের গায়ে, ঘাসের হলদেটে সবুজ পিছলে পিছলে যাচ্ছে শিশিরমাখা রোদের ঝরঝর বৃষ্টি। গোলাপের বাগানে লাফিয়ে লাফিয়ে উড়ছে নাম-না-জানা ছোট্ট ছোট্ট পাখি। ওদের কণ্ঠে যেন হাজারো যন্ত্রসংগীতের স্বর্গীয় দ্যোতনা। এই দৃশ্য দেখে ভাবতে ইচ্ছে হলো, হয়তো হাফিজ এই গোলাপের বাগানে বসেই লিখেছিলেন,
এখন যদিও ঝরছে আমার উষ্ণ অশ্রুজল—
এখনও তো আমি দুই চোখে সেই উদ্যান রেখে চলি।
গোলাপ যেখানে—সেখানেই যেতে হাঁটা এ অন্ধ গলি।
সে কি ভোলা যায়, ভুলো না!
……………………………………………………….....
হৃদয়, গোলাপ হও, ফুটে ওঠো রক্তলাল হয়ে।
এই তো সময়—তুমি কেন বসে?—কাল যায় বয়ে!
……………………………………………………….....
গোলাপ রয়েছে ফুটে ওই থরে থরে—
ভোরের প্রথম আলো বুকে তারা ধরে।
করুণ একটি তারা ভোরবেলাকার—
এখনও রয়েছে ছুঁয়ে আকাশের পাড়।

এসব ভাবতে ভাবতে হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাসে মিলিয়ে গেল বিষাদমাখা কিছু লাইন:
ওই যে দ্যাখ, গোলাপ ফোটে, টকটকে কী পাপড়ি লাল—
যেন প্রিয়ার মুখটি রাঙা, শরমে তার রঙিন গাল।
……………………………………………………….....
লালিমা রেখো গালে তোমার, গোলাপ যেন না ভোলায়!
চিবুক রাখো উন্নত ওই দেবদারুটির উচ্চতায়!

এইভাবে নিরন্তর শব্দদের শোকসভা চলতে থাকে। ভাবছিলাম আর তখনই মাথায় বেজে-চলা মান্না দে’র গানটাকে প্রশ্রয় দিতে ইচ্ছে করল...দীপ ছিল, শিখা ছিল, শুধু তুমি ছিলে না বলে আলো জ্বলল না। ভাষা ছিল, কথা ছিল, কাছে ডাকলে না বলে মন কথা বলল না...

প্রথম ক্লাস; সিন্ডিকেট ভবনে। যিনি ক্লাসে এলেন, ওঁকে দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। কেন? ‘ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়লে উনি কিছুই বলবেন না’—ওঁর চেহারায় এই ধরনের একটা ভালোমানুষ ভালোমানুষ ভাব আছে। আজ অনেক দিন পর ক্লাসে মাইন্ডম্যাপিং করলাম। এটা কী? ধরুন, আপনাকে একটা বিষয় নিয়ে আধা ঘণ্টা কিছু বলতে হবে। এক্সটেম্পোর স্পিচ। প্রিপারেশন নেবার জন্য আপনি হাতে সময় পেলেন ৩ মিনিট। যদি এই সময়ে শুধু ১৫-২০টা পয়েন্টের নাম লিখে নেন, তবে সবার সামনে গিয়ে কী কী বলবেন, সেটা নিয়ে একটু কম ভাবলেও চলবে। যে-পয়েন্টগুলো লিখেছেন, সেগুলোকে এক্সপ্লেইন করে দিলেই তো আধা ঘণ্টা শেষ! আজ সেটার প্র্যাকটিস হয়ে গেল। আমার কলিগরা অনেক স্বচ্ছভাবে ভাবতে পারেন। আমি মুগ্ধ! শেষ দুটো ক্লাস ছিল, গবেষণা কীভাবে করতে হয়, সেটার উপর। ক্লাস নিশ্চয়ই খুব ভালো হয়েছে, কারণ ক্লাসের সবাই-ই চুপচাপ স্যারের কথা মন দিয়ে শুনছিলেন, কেউই আমার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাননি।

এই দুটো ক্লাসের মাঝখানে ব্রেক ছিল। ব্রেকের সময় আমরা সবাই দলে দলে মিছিলে মিছিলে বাথরুমে যাই। আমার ধারণা, দুটো ক্লাসে কয়েকবার ব্রেক দিলেও আমরা কয়েক বার বাথরুমে যাব। সবার মাঝে বিসর্জনের সুর বাজে বলেই যে সেখানে যাওয়া, এমন কিন্তু কিছুতেই নয়। আমি গবেষণা করে দেখেছি, ক্লাসের ব্রেকে আমরা বাথরুমে যাই, মজুত জলের নিম্নচাপ ঘটুক আর না-ই বা ঘটুক, আমরা ঘটাই; বেসিনের সামনে দেখে নিই, আমি এই এক ঘণ্টায় আগের চাইতে আরও একটু সুন্দর হয়েছি কি না; ক্লাসে গিয়েই আবারও ঘুমিয়ে পড়ব, এটা নিশ্চিত জেনেও চোখেমুখে জলের ঝাপটা দেই। ভেবে দেখলাম, লোকের স্টকে তো আর অত জল থাকে না। তবুও আমরা বাথরুমে যাই, গল্প করি, মূত্রবিসর্জন করতে করতে কুশলাদি বিনিময় করি, সামাজিকীকরণের টয়লেট-পাঠ নিই। স্যার ক্লাসে গবেষণা পদ্ধতির উপর এত চমৎকার আলোচনার পর সেটাকে হাতেকলমে আর কেউ করে দেখেছেন বলে তো মনে হয় না। আমি ঘুমিয়েছিলাম, তবুও স্যারের ক্লাসটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছি আমিই প্রথম। ভালো কথা, আমার রিসার্চ হাইপোথিসিস ছিল: “ক্লাসরুম অপেক্ষা বাথরুম উত্তম।”

ক্লাসে বসে আমার একটাই নীতি: “তুমি জাগিয়া রহিয়াছ, তাই বলিয়া আমি ঘুমাইয়া পড়িব না কেন?” আমি ক্লাসে প্রায়ই খাতায় লিখতে থাকি। এটা দেখে অনেকেই ভাবেন, আমি ক্লাসে বসে বসে খাতায় ক্লাস-লেকচার তুলি। তাঁদের সবিনয়ে জানাচ্ছি, আমি খাতায় যা নিই, সেটা লেকচার নয়, আমার ডায়েরি লেখার রসদ, আমার নিম্নমানের স্মৃতিশক্তির কৈফিয়ত। ক্লাস-লেকচার তোলার বয়স সেই ছোটোবেলাতেই শেষ!

আজ আমাদের সবার মধ্যে ছিল ইদ ইদ আবহ। আজ লাঞ্চের পর কোনো ক্লাস ছিল না। মানে, আমরা অন্তত ২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে-টুমিয়ে বিকেল ৪টায় খেলার মাঠে গেছি। ২টার আগেই সবাই রুমে ফিরতে পেরেছি। আহা! কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে! একটা সত্যি কথা বলি। এই পিএটিসি’র ট্রেনিং কিন্তু চাকরি থেকে ঢের ভালো। চাকরিতেও এত আরামে থাকা যায় না। শুধু ভোরে উঠে করতে-হওয়া পিটি’টাকে বাদ দিলে আমরা এখানে সবাই অনেক ভালো আছি, রিলাক্সে আছি। চাকরি মাত্রেই অতি প্যারাদায়ক বস্তু। আমরা সবাই খাই-দাই, ঘুরে বেড়াই আর গুরু নচিকেতার কাছ থেকে ধার করে গান গাই...এই বেশ ভালো আছি। এই বেশ ভালো আছি।/ এই বেশ ভালো আছি, কর্ম-কাজ নেই, গাড়ি-ঘোড়া কিছু নেই,/ অফিস-কাচারি নেই, হাজিরাকামাই নেই,/ শব্দ বা পরিবেশ দূষণ বালাই নেই,/ সময় দেই না বলে তেলেবেগুনে জ্বলে গিন্নির রাগ নেই,/ টেলিফোনে ডাক নেই, শহরেতে কারফিউ, লোকজন কেউ নেই,/ এক-চার-চার ধারা, ফুটপাথে থাকে যারা, কেউ কোথ্-থাও নেই,/ নেই নেই কিছু নেই, তবুও তো আছে কিছু, বলতে যা বাধা নেই–/ দু-নয়নে ভয় আছে, মনে সংশয় আছে...কীসের ভয়? কীসের সংশয়? ভয় পাবার ভয়; এখনও শোকজ খাচ্ছি না কেন, সে সংশয়। তবুও সত্যিই ভালো আছি। আমাদের সব কিছুর ব্যাপারে পুরো কোর্স ম্যানেজমেন্ট বেশ আন্তরিক। ব্যাচমেটরা ৯৯%ই বিন্দাস! বাকি ১% আঁতেল! সেই ১% আছে বলেই এখনও হেসেখেলে পচানি দিয়ে ৬ মাস কাটানোর স্বপ্ন দেখি। আঁতেল মানেই তো বিনোদনের রেডিমেড ডিব্বা! আমরা চাই, আঁতেল আরও বাড়ুক, বিনোদন আরও বাড়ুক।

আমাদের ব্যাচমেটরা একটার চাইতে আরেকটা জিনিস (পড়ুন, জিনিয়াস)। পিএটিসি’তে আমরা একটা নতুন শুভকামনা কয়েন করেছি। হিসু করার সময় আমরা একে অপরকে বলি: Happy Peeing! এই মহাআবিষ্কার আমাদের ব্যাচের নামে পেটেন্ট করা। আমরা ৫৮তম বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সের পক্ষ থেকে আমাদের এই অভাবনীয় অভিবাদনের ব্যাপক প্রচার, প্রসার ও প্রচারণা কামনা করছি। আমরা চাই একদিন বাংলার ঘরে ঘরে সবাই হাসিমুখে বলবে, Happy Peeing! (ধীরে ধীরে মানুষ একদিন ‘Happy Pooing!’ অভিবাদনেও পৌঁছে যাবে! সেদিন আমাদের ব্যাচের নামযশ বাংলার আকাশে-বাতাসে দুর্গন্ধের মতন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে!)