নির্জন লজ্জার রং

চাইলে না এসেও থাকতে পারো;
শুধু বলো, ভালোবেসেও কাছে না এসে
কোন স্বর্গে গিয়েছে কোন পূর্বপুরুষ?




নির্জন লজ্জার রঙে রঙিন হাওয়ার উত্তাপ 
শেষ হবার আগেই এসো।
তুমি আর আমি আদিম আকাঙ্ক্ষার অনিরুদ্ধ স্রোতে বহমান হই, চলো...




আত্মসংবৃতির শেকল ভেঙে
বেলা ফুরোবার আগেই তুমি এসো।




বুনো পশুদের মুখে দু-একটা হাড় গুঁজে দিই;
তারপর বাসনাবেদীতে বসি তুমি আর আমি
হাজার বছরের নৈপুণ্যে... মধ্যবর্তী দেয়াল ভেঙে।




অরুন্তুদ প্রেমতাপগুচ্ছ ফিরে পাক
অনায়াস প্রবাহের অনিমেষ ঝলক শরীর।
কিছু মোহে আর কিছু অঙ্গুরি-সংরাগে...
প্রাণের দ্যোতন যাকে ক্রমে এনে দেবে
মূলে পৌঁছনোর এক স্রোতস্বল গতি।




তারপর ক্রমে বয়ে যাবে
কিছুদিন কিছুরাত্রি
অনুরূপ অবর-চুম্বনে...
আলিঙ্গনের স্তিমিত স্রোতে।




আবেদন ক্রমশ প্রেমার্ত হবে
প্রাণজ উচ্ছ্বাসে, স্বেদার্দ্র কামনায়।




অবশেষে, সমস্ত যামের সমাপনে 
বালার্ক-আলোকের আবছায়ায় 
আমরাই খুঁজে পাবো
শরীরের গিরিপথ খুঁড়ে
নীলাকাশ-বোধিত ব্যাপ্তসুধা...
হৃদয়মথিত নীলপদ্ম-মণি।