দেয়ালের সাথে আলাপ

১. জীবন এত এত কষ্ট দিয়েছে আমাকে, এখন আমি ফুল হাতে নিয়েও কাঁটাগুলোকেই বরং ভালোবাসি।




২. ভালো থেকো তুমি। মনে রেখো, বেঁচে থাকাকেই ভালো থাকা বলে।




৩. দুঃখ পেয়ে পেয়ে এতটাই অভ্যেস হয়ে গেছে যে, কোথায় আনন্দ পেতে হবে বুঝতেই পারি না।




৪. দেখো আমার চেহারা, আমার চাহনি… দেখো ভালো করে। সব-হারিয়ে-ফেলা মানুষকে দেখতে আমার মতন লাগে।




৫. তোমাকে তো আমি সারাক্ষণই দেখতে পাই। তাহলে তোমার ঠিকানা পর্যন্ত কষ্ট করে আর কেন যাব?




৬. তুমি ইদানীং কম কম অবহেলা করো কেন? আমার যে এত কমে পোষায় না!




৭. তোমার ছুরি হচ্ছে জবান, আমার ছুরি হচ্ছে চোখ।
তাকাও ভালো করে, বুঝতে পারবে।




৮. সব আনন্দই কখনো-না-কখনো ফিকে হয়ে আসে, কিন্তু কাঁদতে পারার আনন্দ কখনও ফিকে হয় না।




৯. আমার পুরোনো আমি তোমার পুরোনো তুমিটাকে খোঁজে। কোথায় লুকিয়ে ফেললে একমুহূর্তে! বিশ্বাসই করতে পারি না!


১০. সুখের লোভ না দেখিয়ে আমার সেই দুঃখগুলো ফেরত দাও, যা বহুবছর আগে তোমাকে বিনে পয়সায় দেওয়া হয়েছিল।




১১. তোমার অত সুখের কী দাম, বলো? তুমি তো আমার মতন কাঁদতেই পারো না!




১২. ভালোবাসা
মানুষের হাতে-পায়ে শেকল পরিয়ে দেয়,
আকাশের পাখিকে করে খাঁচায় বন্দি।




১৩. তোমার দিকে তাকালে আরও একটা দিন বেশি বাঁচতে ইচ্ছে করে। আবার না তাকিয়েও থাকতে পারি না। এই অসহায়ত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি বহুবছর ধরে।




১৪. আমার বিরাট অবসর আর তোমার মনটা কাজে!
তোমার সময় কেন চায় মেয়ে?
এ যে এক্কেবারেই বাজে!




১৫. জীবন যদি কাটাবেই ওই ব্যস্ততা আর চাকরিতে,
স্বপ্ন কেন আঁকলে বলো, মাটির ঘর আর লাকড়িতে?




১৬. দুয়ে দুয়ে চার মেলালে! তিনে একেও তো চার হয়!
আমি হারলেও খুব ভেবে দেখো, খেলাটা কিন্তু তোমার নয়!




১৭. ভক্তি পাবার লোভে লোভে প্রণাম পাবার দাবি,
প্রসাদ ফেলে রেখেই তুই অতটা পথ যাবি?




১৮. না চাইলে হিমালয়—
চাইতে গেলে স্বপ্ন!