দীর্ঘশ্বাসের সন্তানেরা

১. তোমার ঠোঁটে এত ঘুম, আর চোখে কেন এত বেদনা?




২. মেরে ফেলছ না কেন?
আবারও ভালোবাসবে বলে?




৩. প্রজাপতির গায়ের রং আমার গায়ে এসে লাগল . . . পৃথিবী এত রঙিন, আগে তো জানতাম না!




৪. এত দুঃখ বুকে যে, নিজেকে সবসময় রাজা রাজা লাগে!




৫. ছেড়ে যাও...ছেড়ে যাও...
এখানে কেউ থাকতে আসে না, সবাই-ই ছেড়ে যায়।




৬. শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে বলে যাই…তোমাকে ঘৃণা করি, ভীষণ ঘৃণা করি!




৭. প্রার্থনার উত্তর পেয়েছি, এবার প্রার্থনার ধরন বদলানোর সময় এসেছে।




৮. প্রাণ দিয়ে যা আঁকড়ে ধরব, তা-ই হারিয়ে ফেলব, সেটা মাথায় রেখেই হারিয়েছি। হারানোতেও এত সুখ!




৯. তোমার কত পয়সা আছে? আমি একরাতে যতটা কাঁদি, ততটা জলের দাম দিতে পারবে?




১০. এত কষ্ট পেয়েও পৃথিবীর সব বাঁচা আমিই বেঁচে নিলাম। তোমরা এত বলো আমাকে নিয়ে, তোমাদের বাঁচা হলো তো? নাকি অন্য সবার মতো কোনরকমে বেঁচে-টেচে মৃত্যুরই অপেক্ষা করে যাচ্ছ?




১১. আমার চোখে তাকালে অন্তর পর্যন্ত দেখা যায়। আচ্ছা, বলো তো, কে আমি?




১২. যেদিন থেকে কারও ভালোবাসার মানুষ তার বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করা ছেড়ে দেয়, সেদিন থেকেই মানুষটা মৃত। কাফন, দাফন তো তখন বিলাসিতা। 




১৩. এত কষ্ট দিয়েছ যে, কষ্টকে আর আলাদা কিছু মনে হয় না। মনে হয়, জীবন তো এরকমই!




১৪. করাও অপেক্ষা, দাও শাস্তি! সব একদিন ফিরে আসবে একইভাবে, একইরূপে।




১৫. মনের দেয়াল খসে পড়ছে, বৃষ্টির জল ঢুকে পড়ছে। এবার তাহলে কোথায় পালাই?




১৬. যে তোমার সময় পাবার জন্য চিৎকার করত একসময়, তার স্থিরতাকে, তার চুপ হয়ে যাওয়াকে ভয় করো। একদিন তুমি সময় হাতে নিয়ে বসে থাকবে, কিন্তু সে থাকবে না।




১৭. পাশে থেকে কী হয়?
পারলে মাঝেমধ্যে কাছেও থেকো।




১৮. তোমার শরীরের সাথে আমার শরীরের যে-দূরত্ব, তার নামই আলিঙ্গন।




১৯. ভালো থেকো, দূরে থেকো।
কাছে থাকলে ভালো থাকা যায় না।




২০. আমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস বিনা মূল্যে যাকে দিয়ে দিলাম, সে ওই জিনিস ছুঁয়েও দেখল না। একেই বোধ হয় পাপের শাস্তি বলে।




২১. তুমি যা চাও, তা তো আমি চাই না। তবে কেন তোমার তা দেখে কাঁদি, যা আমার নেই?