জন্মদিনের সাড়ে তিন কাহন

২ নভেম্বর ২০১৫

জন্মদিন পালন করাটা মূর্খতা। নতুন একটা জন্মদিন মানেই তো মৃত্যুর দিকে আরও একটা বছর এগিয়ে যাওয়া। জন্মদিন হল খরচের দিন। ওসব বার্থডে কার্ডটার্ড কেনা আর দেয়া, এইতো জন্মদিন! ব্যবসার ধান্দা ছাড়া আর কী! ওয়েস্টার্ন কালচারে দেশটা গেল! জীবন থেকে আরও একটা বছর চলে গেল, এটা নিয়ে আফসোস না করে কী সব কেকফেক কাটাকুটি! বুড়ো হতে চললে হে, আদিখ্যেতা এখনও গেল না!

ওপরের কথাগুলিও শোনা যায়!

একটু ভাবুন তো, জন্মদিন মানে আসলে কী? এর মানে, আপনি আরও একটা বছর বেশি বেঁচে রইলেন সবার মাঝে। বেঁচে থাকাটাই তো বোনাস, বাপু! আমি তো প্রায় প্রায়ই ভাবি, আমি মরে গেলে কী হবে? এই ভেবে মৃত্যুর জন্য সবসময়ই প্রস্তুত হয়ে থাকি। এই লেখাটি শেষ করার আগেও তো মরে যেতে পারি, কিংবা এই লেখা হতে পারে আমার শেষ লেখা। একটু আগেই যে মানুষটির মন খারাপ করে দিয়েছি, সে মানুষটির শুভকামনা আর কখনওই পাওয়ার সুযোগ নাও হতে পারে! আমি এমন কে যে আমাকে বাঁচিয়ে রাখতেই হয়েছে? বেঁচে যে আছি, এর পুরোটাই তো ঈশ্বরের দয়া। আচ্ছা, ঈশ্বর দয়া করলেন কেন? আমি তো অতটা বহিরঙ্গ ধার্মিকও না। তাঁকেও যে অতো ডাকিটাকি না। তবে? আচ্ছা, মানুষ কি শুধু নিজের উছিলাতেই বেঁচে থাকে পৃথিবীতে? মনে তো হয় না। মানুষ বাঁচে অন্যের প্রার্থনায়, ভালোবাসায়। শুধু নিজের প্রয়োজনে নয়, অন্যেরও প্রয়োজনে। জন্মের দায় শুধু মৃত্যুতেই শোধ হবার নয়। অর্থহীন মৃত্যু কোন দায়ই শোধ করতে পারে না। ও যে নিজেই একটা দায়! যে মানুষগুলির শুভকামনায় আমি বেঁচে আছি, সেই বেঁচে থাকার আরও একটি বছর শেষে একটু সেলিব্রেট করব না? জন্মদিন তো শুকরিয়া আদায়ের দিন। যে মানুষগুলির ভালোবাসায় বেঁচে আছি, তাঁদেরকে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন। পয়সা খরচ হচ্ছে? রাত ১২টা বাজার আগেই মরে গেলে সে পয়সা কি আমার থাকত? কী কাজেই বা লাগত? বেঁচে আছি, সেটাতে একটু খুশি হয়ে গেলই বা কিছু পয়সা ‘জলে’! আমি মৃত হওয়ার আগেই সব পয়সা খরচ করে ফেলার পক্ষে। আমরা নেহায়ত ভাগ্যের জোরে বাঁচি। ঈশ্বরের কোন এক দুর্জ্ঞেয় ইশারায় আমরা মৃত্যুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একটা একটা করে জন্মদিন পাই। না পেলে কোন ক্ষতিই হত না। আমরা কেউই এই পৃথিবীর জন্য অপরিহার্য নই। তাই, বেঁচে আছি, এটাই সবচাইতে বিস্ময়ের আর আনন্দের ঘটনা। বেঁচে থাকার চাইতে বড় সাফল্য আর নেই। এই বিস্ময়ের জন্য মাথা নত করে শুকরিয়া আদায় করি। মাকে বলি, মা, তুমি আমাকে এই পৃথিবীতে এনেছ, তাই তোমাকে ধন্যবাদ। ঈশ্বরকে বলি, তুমি আমাকে দয়া করে বাঁচিয়ে রেখেছ, তাই তোমাকে ধন্যবাদ। বাবাকে বলি, বাবা, তুমি আমাকে বেড়ে উঠতে দিয়েছ, তাই তোমাকে ধন্যবাদ। যাদের ভালোবাসা আছে, এটা বিশ্বাস করে আমাদের এখনও বাঁচবার সাধটুকু ফুরিয়ে যায়নি, তাদেরকে এক পিস বার্থডে কেকও খাওয়াবো না? একটা কৃতজ্ঞতাভরা থ্যাংকসও দেবো না? আমি জন্মদিনের প্রথম প্রণামটা করি মাকে, এর পরেরটা ঈশ্বরকে। যতক্ষণ বেঁচে আছি, ততক্ষণই ভালোবাসার খোঁজে ছুটে যাব। ভালোবাসা পেতে হলে ভালোবাসার মতো কাজ করতে হয়। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ। এটা নিয়ে বাঁচাটাই জীবন।

ইদানীং আমি ফোন রিসিভ করি বেছে বেছে। আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম, কালকে ১২টা বাজার পর থেকে যত ফোন আসবে, তার সবক’টাই ধরব। ধরেছিও। এমনকি যাদেরটা ধরতে পারিনি, কলব্যাক করেছি। নিজের সমস্ত অহম বিসর্জন দিয়ে আজ আমি ভিখারির মতো ভালোবাসা কুড়িয়ে নিয়েছি। মানুষের শুভকামনা আর নিখাদ ভালোবাসায় আরও অনেকদিন ধরে বাঁচব, এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘুমাতে গেলাম। মাঝরাতে ঘুম ভেঙেও কিছু ফোন রিসিভ করেছি। আমার স্বভাবগত বদরাগকে ভুলে থেকে সবার সাথেই হেসে কথা বলেছি। সকালে ঘুম ভাঙল এক মায়ের ফোনে। উনার ধারণা, উনার ছেলে আমার কথা শুনে আর লেখা পড়ে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। উনি জানালেন, উনি আজকে আমার শুভকামনায় রোযা রেখেছেন। বন্ধুরা আর শুভাকাঙ্ক্ষীরা কে কী করেছেন, সে কথা অন্য পোস্টে বলব।

অফিসে গেলাম। যাওয়ার পথে অফিসের সবার জন্যই সন্দেশ আর মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার ড্রাইভার এক দৌড়ে আমার জন্য কিছু ফুল এনে দিয়ে বলল, “স্যার, হ্যাপি বার্থডে!” বেচারা গরীব মানুষ। উনার জন্য ১০০ টাকার ব্যুকেও অনেক দামি! উনাকে শুধু ভাল ব্যবহার ছাড়া আর কিছু কখনও কিছু দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। বস হিসেবে আমি খুব কঠোর কখনও হইনি। আমি এই প্রতিজ্ঞা করে সরকারি চাকরিতে এসেছি : আমার কলমের খোঁচায় কখনওই কারো রিজিকের কোন ক্ষতি হবে না। আমি মানুষকে ক্ষমা করে দিতে ভালোবাসি। কারণ আমি নিজে একজন ভুলেভরা মানুষ। আমিও আমার ভুল কাজের জন্য ঈশ্বরের কাছ থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা করি। অফিসের সবাই আমাকে ভাল যদি নাও বাসে, কেউই ঘৃণা করে না, একথা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। কোন সুবিধা আমি কারো সাথে ভাগ না করে একা নিয়েছি, কিংবা কোন অসুবিধার ভাগীদার আমি নিজেও হইনি, আমার কোন অধীনস্থকে একা ভোগ করতে হয়েছে, এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি, ভাল অফিসার নয়, ভাল মানুষ হতে। ভাল অফিসার হলে বাহবা মেলে, আর ভাল মানুষ হলে ভালোবাসা মেলে। যার যেটা দরকার! আমি ভালোবাসার কাঙাল। এ পৃথিবীতে সবচাইতে বড় ব্যর্থতা : মানুষের ভালোবাসা অর্জন করে নিতে না পারা।

আমি আগে থেকে কাউকেই কিছু জানাইনি। অফিসের সবাই একটা ফুলের তোড়া আর একটা কলম দিয়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানালেন। সবাই মিলে মিষ্টিমুখ করলাম। ইচ্ছে ছিল, সকালে মন্দিরে পুজো দেবো। এই ইচ্ছেটা আমার কবে কোন জন্মদিনে হয়েছে, মনে করতে পারি না। আজকে কেন হল, সেটাও জানি না। ওই সময়ে তো আর অফিসের বাইরে থাকা যায় না, তাই মনের ইচ্ছেটা মনেই রেখে দিলাম। আমার এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা উনার ডায়রিতে আজকের দিনের জন্য কিছু কথা লিখে দিলেন। উনার হাতের লেখা মুগ্ধ করে দেয়ার মতো সুন্দর। আমিও নিচে কিছু একটা লিখে দিলাম। এ জন্মদিনে একটা মজার ব্যাপার ছিল। আমাকে সাধারণত কেউ বই উপহার দিলে সেটি আমার সংগ্রহের সাথে মিলে যায়। এবার ৭টি বায়োগ্রাফি পেয়েছি, যেগুলির একটাও আমার সংগ্রহে নেই। (আমার সংগ্রহে জীবনী আর আত্মজীবনী গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৩৫০।) দুইজন নবীন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বিসিএস পরীক্ষা দিচ্ছেন। উনাদের অনেক সময় ধরে বিভিন্নভাবে কাউন্সেলিং করলাম। আমার এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছোটভাইয়ের সাথে ফোনে ১০ মিনিট কথা বললাম, চেষ্টা করলাম, ওকে ভালকিছু পরামর্শ দিতে।

এ জন্মদিনে আমার পাশে কলিগ ছাড়া আর কেউ ছিল না। একা একা জীবনকে সেলিব্রেট করার অভ্যেস অবশ্য আমার অনেক পুরোনো। প্রেমিকা নেই তো কী হয়েছে? আমি একা একা রিকশায় ঘুরতে বের হয়ে পড়ি, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ফুচকা কিনে খাই, বাদামওয়ালার সাথে সুখদুঃখের গল্প করি। খেটেখাওয়া মানুষের সাথে মিশে ওদের জীবনটাকে দেখি। ওরা তো আর সুশান্ত পালকে চেনে না। নিজেকে পুনরাবিষ্কার করতে এটা একটা বড় সুবিধা। যা-ই হোক, বিকেলে অফিস থেকে বের হয়ে সাতক্ষীরার একটা ক্যাথলিক গির্জায় গেলাম। দেখি, ওখানে মৃতদের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে প্রার্থনাসংগীত চলছে। পাশের গ্রেভইয়ার্ডে সবাই ফুল দিচ্ছে। শান্তসমাহিত পরিবেশে হাতজোড় করে প্রার্থনায় চলছে শান্তির আবাহন। সে দৃশ্য মনকে একেবারে শান্ত করে দেয়। পাশেই একটা অনাথাশ্রম। ওখানে দুঃস্থ আর অনাথ শিশুরা থাকে। ওদের সাথে গল্প করলাম। মজার ব্যাপার দেখলাম, ওরা সবাই কনভার্টেড খ্রিস্টান হলেও মুখে কিছুতেই তা বলে না। মাতা মেরির মূর্তির সামনে গিয়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকলাম। উনার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলে একটা সময়ে এসে মনে এক ধরনের মঙ্গলভাব এসে পড়ে। ধর্মের প্রধান কাজই মানুষের মনে শান্তির আশ্রয় দেয়া, আর কিছু নয়। এই অশান্তির পৃথিবীতে শান্তির বারতার আজ বড় বেশি প্রয়োজন। পাশের বাগানে ঘাসের উপর বসে অনাথ শিশুদের কাছ ওদের জীবনের গল্প শুনলাম। ওদের চোখে জীবনটাকে দেখার চেষ্টা করলাম। মানুষের প্রথম চাওয়াই হচ্ছে, সুন্দরভাবে বাঁচা। সে বাঁচায় ভালোবাসা থাকলে এর জন্যে জীবন বাজি রাখা থেকে শুরু করে যেকোনোকিছুই করে ফেলা যায়। এরপর গেলাম সাতক্ষীরার সবাচাইতে বড় এবং পুরোনো মন্দির প্রাঙ্গনে। এ প্রাঙ্গনের নাম মায়ের বাড়ি। সেখানে কালীবাড়ি আছে। পাশেই আছেন মহাদেব, কালভৈরব, পার্বতী আর রাধাগোবিন্দ। সন্ধ্যায় আরতি শুরু হয়। সবাই সেখানে আসে শান্তির খোঁজে। সারাদিনের কর্মের ক্লান্তি ধুয়েমুছে ফেলে দিতে ধর্মের আশ্রয়ে এসে মানুষ নিজেকে অন্যমানুষ হিসেবে নিবেদন করে। মায়ের মন্দিরে বাতি আর ধূপ জ্বালিয়ে দিলাম, সেখানে প্রার্থনাসংগীত চলছে আর আমার মাথায় বেজেই চলছিল মান্না দের ‘আমায় একটু জায়গা দাও মায়ের মন্দিরে বসি…’ গানটি। মনে হচ্ছিল, আমি মন্ময়তায় ডুবে যাচ্ছি। মন্দির প্রাঙ্গনে যে কয়টি মন্দির আছে, সবকটিতেই প্রাচীনত্বের ছাপ সুস্পষ্ট। দেয়ালের গায়ে ফ্রেস্কোর কাজ খুব সহজেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করে নেয়। পুরো এলাকা ঘুরে ঘুরে ইটসুরকির এই প্রাচীন খেলা দেখতে লাগলাম, ওদিকে সন্ধ্যার নৈঃশব্দ্য চিরে খোল কাঁসা ঘণ্টা ঢাকের ঐকতানে মায়ের মন্দিরে চলছে শান্তির আরাধনা। এ পরিবেশ বড় সম্মোহিত করে দেয়। মন্দিরের বিগ্রহের সাথে তন্ময়তায় একটা সন্ধ্যাকে মনে হচ্ছিল হাজার বছরের প্রাচীন সংস্কারবদ্ধ হাজারটা সন্ধ্যা। সুরের মিতালিতে সময়ের প্রৌঢ়ত্বের দীক্ষায় জন্মদিনের আশ্চর্য নিঃসঙ্গ সন্ধ্যা কাটাচ্ছিলাম। পুজোর প্রসাদে যে স্বাদ পেলাম, সেটা পৃথিবীর সবচাইতে দামি কেকে আপনি খুঁজে পাবেন না। ৩১টি বাতি ছিল না, ছিল ৩১ সহস্র আলোর মনঃফানুসের ওড়াওড়ি। মন্দিরের পাশেই একটা অনেক বুড়ো চাঁপাফুলের গাছ। গাছটার নিচে কিছু সময়ের জন্য বসলাম। হঠাৎ করেই কোত্থেকে যেন নিঃসঙ্গতার বেদনায় পেয়ে বসল। মনে হতে লাগল, কী যেন নেই কী যেন নেই! মাথায় বাজতে লাগল হাজার বাঁশির বিষাদমাখা রাখালিয়া সুর। ওভাবে কতক্ষণ ছিলাম, জানি না। “স্যার, লাইব্রেরি ৮টায় বন্ধ হয়ে যায়। এখন যাওয়া উচিত।” ড্রাইভারের একথায় ঘোর ভাঙে। দেখি, ঘড়ির কাঁটা ৭টা ছুঁইছুঁই। ওখান থেকে সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরিতে গেলাম। অনেক পুরোনো লাইব্রেরি। বেশ কিছু পুরোনো আর দুষ্প্রাপ্য বই দেখলাম। কিছু বই ভাল লেগে গেল। লাইব্রেরিয়ানের সাথে কথা হল। বেশ আলাপি মজার মানুষ। আমার বইয়ের সংগ্রহের কথা শুনে বেশ সম্মান করে কথা বললেন। কথায় কথায় জানলাম, ওখান থেকে বই ফটোকপি করে নেয়ার ব্যবস্থা আছে। আমি অতীশ দীপঙ্করের উপরে লেখা বই তেমন একটা দেখিনি। লাইব্রেরিতে দেখলাম, কুমিল্লার কোনো এক বৌদ্ধবিহার থেকে অনেক অনেক বছর আগে ছাপানো এক ভিক্ষুর লেখা ওরকম একটা বই আছে। উল্টেপাল্টে দেখলাম, লেখনি আর তথ্যের উপস্থাপনা, দুইই বেশ মানসম্মত। পাশেই শহীদুল্লাহ কায়সারের রোজনামচা, মুক্তধারা থেকে বের হওয়া। দুটোই ফটোকপি করে দিতে বললাম। জন্মদিন, আর নিজেকে বই উপহার দেবো না, এ কী করে হয়? তার উপর এমন দুটো বই, যেগুলি খুব একটা পাওয়া যায় না। এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচাইতে দামি মানুষটিকে আমি পৃথিবীর সবচাইতে দামি উপহারটি দেবো। উনাকে ফটোকপি করে দিতে অনুরোধ করাতে উনি বললেন, “আপনি এ দুটো বই নিয়ে যান, আস্তেধীরে পড়ে দিলেই হবে।” অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও ফটোকপি করে দিলেন না। পরে বললাম, ঠিক আছে, আমি আপনাকে কালকের মধ্যেই ফটোকপি করে পাঠিয়ে দিচ্ছি। উনি হেসে বললেন, “আচ্ছা, ঠিক আছে। দেবেন আপনার সময় করে।” লাইব্রেরির পাশেই বিশাল দিঘি। পুরো কমপ্লেক্সটার নাম, শহীদ রাজ্জাক পার্ক। একাত্তরে আব্দুর রাজ্জাক নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা রিকশাচালককে এখানে হত্যা করা হয়েছিল। উনার কবরের সামনে গিয়ে কিছু সময়ের জন্য মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম। এরপর দিঘির পাড় ঘেঁষে হাঁটতে হাঁটতে ক্ষীণ কণ্ঠে বিড়বিড় করতে লাগলাম, হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে, সিংহল সমুদ্র থেকে আরো দূর অন্ধকারে মালয় সাগরে……….. হয়তো এ পাগলামির মানে কিছুই না। কিন্তু আজকের এই জন্মদিনের সন্ধ্যায় এক নিঃসঙ্গ মানুষের কাছে এর আবেদন ছিল আকাশের মতন অসীম। জলের ঠাণ্ডা হাওয়া এসে দিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিল, একাকীত্বের বেদনাতে একটা মধুর প্রলেপ দিয়ে দিল যেন! মসজিদ থেকে আযানের মধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। পার্কের মসজিদে মুসল্লিরা দলে দলে নামাজ পড়তে যাচ্ছেন। আর আমি পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর এক কোনায় হাজার বাতির ঝলমলে আলোয় নৈঃশব্দ্যের চাদরে ঘেরা জন্মদিনের সন্ধ্যা কাটাচ্ছি। মসজিদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সবাই সারি সারি দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করছে। বড় স্নিগ্ধ সে দৃশ্য। ওই মুহূর্তে মনে হতে লাগল, আমি পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর দৃশ্য দেখছি। মসজিদের বাইরে একটা খোঁড়া কুকুর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। আমার মনে হল, কী এক অসহায় দৃষ্টিতে সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ঠিক সেই মুহূর্তে প্রার্থনা করলাম, “ঈশ্বর, তুমি ওকে দেখে রেখো।”

আমি আগে থেকেই প্লান করে রেখেছিলাম, আজকে বাইরে ডিনার করব। হোক, সাথে কেউ নেই। আমি তো আছি আমার সাথে! ড্রাইভারও আছে, যে দিনের প্রথম ফুলের শুভেচ্ছাটা আমায় দিয়েছিল। হঠাৎ করেই ইচ্ছে হল, আজকের দিনটাতে ঠিক এই মুহূর্তে কাউকে খুশি করি। এক শুভাকাঙ্ক্ষীকে ফোন করলাম। ওর বাসা সাতক্ষীরাতেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স করেছে। ঢাকাতেই থাকে, কিন্তু ওর মা একটু অসুস্থ বলে মায়ের সেবা করার জন্য বাসায় এসে থাকছে। আমার সব লেখা খুব বেশি অখণ্ড মনোযোগ দিয়ে পড়ে, এমন কিছু পাঠকের মধ্যে ও একজন। নিমন্ত্রণ জানিয়ে বললাম, চল, আজকে আমার সাথে ডিনার কর। ইন্ডিয়ান মাসালা’তে চলে আস। ও চলে এল। সাথে কিছু গিফট। সেখানে এমন একটা গিফট ছিল, যেটা দেখে আমি সত্যিই বিস্মিত হয়ে গেছি। এতটা নিবিড়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় পড়াশোনা করা কেউ আমার ছেলেমানুষিতে ভরা বাংলা লেখা পড়ে, এ অনুভূতি আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। সেই গিফটের কথা আমি অন্য কোনো লেখায় বলব। ওর সাথে কথায় আর গল্পে একটা গ্র্যান্ড ডিনারে নিভৃত জন্মদিনের অনানুষ্ঠানিক আনুষ্ঠানিকতার ইতি টানলাম।

আমি আমার ওয়াল অফ করে রেখেছিলাম। তা সত্ত্বেও যারা আমাকে ভালোবাসে, আমার কথা ভাবে, তারা ভালোবাসা জানিয়েছে, ইনবক্সে লিখে, আমাকে নিয়ে দেয়া পোস্টে ট্যাগ করে, আমার ছবি কিংবা আমার সাথে তোলা ছবি প্রোফাইল পিকচার হিসেবে দিয়ে। এর বেশি কিছুও কেউ কেউ করেছে। সেসব দেখে বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি, বারবারই চোখ ভিজে উঠেছে। অসীম মুগ্ধতায় বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে, স্রেফ এমন একটা জন্মদিনের জন্যও বেঁচে থাকা যায়!

৩ নভেম্বর ২০১৫

সংযুক্তি: ইনবক্সের সব বার্থডে উইশ চেক করা অনেকটা অসম্ভবের পর্যায়ে চলে গেছে!! তবু স্ক্রল করেকরে ভাললাগা কয়েকটি উইশ এবং এর সাথে আমার নিজের কিছু কথা শেয়ার করছি।

এক। A belated happy birthday, Sushanta Paul dada. May your words keep inspiring others for decades.

দুই। তোমার লেখা পড়লাম। বিকেলের পরের অংশটুকু আর সন্ধ্যার চিত্রায়ণ, উপলব্ধিগুলির এত সুন্দর উপস্থাপন…!!!! অনেকদিন পর এরকম একটা লেখা পেলাম। খুব খুব খুব ভাল লাগল।

তিন। আমি বোধহয় একমাত্র বান্দা যে তোমাকে বার্থডেতে উইশ করেনি।

~~তুই একটা বদ পিচ্চি।

চার। আমি কিন্তু উইশ করিনি, দাদা! তবে প্রার্থনাটা ঠিকই করেছি!

পাঁচ। অসাধারণ! ভাই, আমিও আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেছি মনে হয়। সাধারণ কিছু বিষয়কে এত অসাধারণ করে তুলেছেন! সত্যিই লেখাটি বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায়।

আপনার লেখা পড়া মানেই নতুন কিছু শেখা।

সবার উইশকরা দেখে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, তাই অনেক দেরি করে উইশ করেছি খুব সাদামাটাভাবে।

ভালোবাসাই তো মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আপনিও বেঁচে থাকুন হাজার বছর!

শুধু এমন একটা লেখা পড়ার জন্যই ফেসবুক অন করা যায়।

ছয়। প্রতিটা কথার ভেতরেই যেন মুগ্ধতার আবেশ ছড়ানো দ্যুতিতে ভরা। ক্ষণিকের জন্য হলেও নৈঃশব্দ্যের প্রাচীন প্রহরে আকণ্ঠ ডুবে গিয়েছিলাম। সম্বিৎ ফিরল লেখার যবনিকাতে এসে…তবে, কুকুরের চোখের ভাষাটা বড়ই ভাবিয়েছে!

সাত। শুভ জন্মদিন, প্রিয় দাদা। ফেসবুকে না থাকায় তোমাকে ঠিক সময়ে উইশ করতে না পারলেও তোমার জন্মদিনের শেষ উইশগুলোর অন্তত একটা হোক আমার কাছ থেকে। অনেক কিছু বলতে ইচ্ছা করছে, কিন্তু কিছু বলার থেকে তোমার ওয়ালটা পড়তে ভাল লাগছে। ভাল আছ, ভাল থেকো, আর আমাদের তুমি যে নির্ভেজাল ভালোবাসা দিয়ে যাচ্ছ, সেইটা অব্যাহত থাকুক অনন্তকাল ধরে।

আট। ভেবেছিলাম, আপনাকে কিছু দেবো। ইচ্ছে ছিল খুবই। মনে আছে, একবার আপনাকে কিছু বই দিয়েছিলাম। সেবার আপনি আমাকে বলেছিলেন, শ্রাবণী, বইগুলি তাকেই দাও, যার বই কেনার সামর্থ্য নেই, কিন্তু বই পড়ার ইচ্ছে আছে। সে পেয়ে উপকৃত হবে। তো আজ সেটাই করলাম। খুবই ইচ্ছে ছিল আজ সাতক্ষীরা যাবো আপনাকে উইশ করতে। কিন্তু যেতে পারলাম না, চাকরি করলে যা হয় আরকি! ছুটি পেলাম না। তাই ভাবলাম, অন্য কোনো বুদ্ধি বের করি। আমার এক ছোটভাইকে ওর প্রয়োজনীয় কিছু বই কিনে দিলাম। ছেলেটা অনার্সে পড়ে, টিউশনি করে চলে, সংসার চালায়। ও বইগুলি হাতে নিয়ে যে হাসিটা দিয়েছিল, তা আপনি দেখলেন না, মিস করলেন, কিন্তু ওর দোয়া আপনার জন্য রইল। আপনার ভাষায়ই বলি, এমন হাসি দেখার জন্যও বেঁচে থাকা যায়। আপনিও বেঁচে থাকুন আকাশের ওই ধ্রুবতারা হয়ে, যা পথ দেখাবে হাজারো পথহারাকে। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানবেন।

নয়। কেউ একজন বলেছিলেন, দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে। আমি নিজ থেকে কিছু যোগ করে দেই। আসলে জীবন বদলানোর জন্য এত কিছু লাগে না। কখন কীভাবে আপানার জীবনটা ট্রাফিক জ্যামের মত বদলে যাবে বুঝতেও পারবেন না। একটা ভাল মিউজিক, একটা ভাল বই, একটা ভাল মুভি কিংবা Sushanta Paul ভাইয়ের একটা আর্টিকেলও আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। আর হ্যাঁ, আপনি যদি নিজ থেকে বদলাতে না চান, তবে দুনিয়ার কোনো কিছুই আপানাকে বদলাতে পারবে না।

দশ। (নিচের লেখাটি হুবহু ইনবক্স থেকে নেয়া। লেখাটি ইংরেজি ফন্টে ছিল। একটু আগে আমি লেখাটি বাংলায় টাইপ করছিলাম আর বাচ্চাদের মতো করে কাঁদছিলাম।)

এই মানুষটিকে আমি কখনওই দেখিনি। পুরো সততা নিয়ে বুকে হাত রেখে বলতে পারি, মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষের জন্য এতটা মঙ্গলকামনা আমি আজ পর্যন্ত কখনওই করতে পারিনি। আরেকজন মানুষকে এতটা নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসার ক্ষমতা আমার মধ্যে নেই।

আমার আজকের জন্মদিনে মন থেকে প্রার্থনা করছি: হে ঈশ্বর! তুমি আমার কাছ থেকে ৫টি জন্মদিন এই মানুষটিকে দিয়ে দিয়ো। পৃথিবীকে ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখার মানুষের যে আজ বড় অভাব!

ডিয়ার অ্যাঞ্জেল, তান্নি!! ভাল থেকো!!)

হ্যাপি বার্থডে, ডিয়ার অ্যাঞ্জেল!

কাল আপনার ওখানে আমার দাওয়াত! হাহাহা…ওটা আমার কপালে নাই।

ফার্স্টেই সরি বলে নিলাম। আপনার বার্থডেতে আমার খুব ইচ্ছা ছিল যে, আপনাকে কিছু বই গিফট করব। কিন্তু আপনি যেহেতু একটা স্ট্যাটাসে বলেছিলেন যে কারো গিফট আপনি নিতে পছন্দ করেন না, তাই ভাবলাম, কী করা যায়! আমি তো আপনাকে বই দিতে চাই, কিন্তু দিতে পারছি না, তবে ওই টাকা দিয়ে অন্যরকম একটা প্লান করলে খারাপ হয় না।

যে-ই ভাবা, সে-ই কাজ। আজকের সারাটা দিন আমার লাইফে মেমোরেবল হয়ে থাকবে। এই দুনিয়ায় তো বহুত গিফট আপনি পেয়েছেন, সামনে আরও পাবেন। তাই আমিও ট্রাই করলাম এমনকিছু, যা একটু ভিন্ন রকমের।

আজ বস্তির কিছু ৩০ জন বাচ্চাকে নিয়ে আপনার বার্থডে সেলিব্রেট করলাম। দেখুন, এই বাচ্চারা খুবই গরীব, তাদের কেউ কেক দেয় না, কেউ বার্থডে পার্টিতে দাওয়াতও দেয় না, তারা কোনো ফাস্ট ফুডও খেতে পারে না। তাই তাদেরকে নিয়েই আপনার বার্থডে সেলিব্রেট করা। তারা আজ যে পরিমাণ খুশি হয়েছে, তা দেখে আমার চোখে জল এসে গেছে খুশিতে!

কারো জন্য কিছু করে বলতে হয় না, এটা মানি, কিন্তু ডিয়ার সুশান্ত পাল, কিছুটা আনন্দ দিতে চাই আপনাকে। আশা করব, এই গরীব মানুষগুলোর খুশিতে আপনিও সুখী হবেন।

সরি, মাইন্ড করবেন না, প্লিজ! আমার চাওয়া জাস্ট এইটুকুই ছিল যে, বাচ্চারা খেয়ে মন থেকে যে দোয়া করবে, সেটা যেন আপনার দোয়ার খাতায় লিখা হয়। বিশ্বাস করুন, আপনি সামনে থাকলে দেখতে পেতেন তাদের আনন্দটা!

ওইখানে আরও মানুষ ছিল। সবাই কেক খেয়েছে আর প্রার্থনা করেছে আপনার জন্য।

একটা কথা বলি, এই পার্টির টাকাটা আমার পরিশ্রমের ইনকামের। আমি আমার বাবার টাকায় কিছুই করি নাই। আরও বড় করে পার্টি দেয়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু পারি নাই।

আমি ক্ষমা চাচ্ছি, আপনি যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন আমার কাজে।

এগারো। Happy Birthday, সুশান্ত দাদা! আমার খুব খুব পছন্দের একজন মানুষ!

যিনি আপনাকে তার জীবনে অপরিহার্য মনে করেন না, তাকে আপনার জীবনে অপরিহার্য মনে করার বাজে অভ্যেস থেকে সরে আসুন।

যে মানুষটা আপনাকে ছাড়াই সুস্থভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, তার জন্যে দম আটকে মরে যাওয়ার তো কোনো মানে হয় না। আপনি যত বেশি তার জন্য ফিল করবেন, তিনি তত বেশি এক ধরনের অসুস্থ জয়ের আনন্দ উপভোগ করবেন।

ভুল মানুষকে ভুলে থাকতে জানাটা মস্ত বড় একটা আর্ট। আপনি কত সময় ধরে তার সাথে ছিলেন, সেটা বড় কথা নয়; বরং সামনের সময়টাতে কত বেশি তাকে জীবন থেকে ডিলিট করে থাকতে পারবেন, সেটাই বড় কথা,

your passion pays! books, music, movies & of course facebook! no matter whatever it is!! basically, you are what you love!

আপনারই কিছু কথা লিখলাম! এখন আপনার আরো কিছু কথাকে নিজের মতো করে বলি।

এই যে মুভি দেখি, গান শুনি, বই পড়ি, কবিতা আবৃত্তি ভাল লাগে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখি আর স্ট্যাটাস পড়ি…অনেক ভাল আছি তো! এতটা ভাল না থাকলেই বা কী এসে যেত? আমি এমন কে? আমাকে আল্লাহ পাকের বাঁচিয়ে রাখতে হয়েছেই বা কেনো?? বেঁচে আছি, এই বেশ! আর দশটা উজ্জ্বল মানুষের মত না হোক, একটা অনুজ্জ্বল মানুষের মত বেঁচে থাকলেও অনেক কিছু হয়। স্রেফ বেঁচে থাকলেই অনেক কিছু হয়। আর কেউ না জানুক, আমি তো জানি, আমার যে কিছুই পাওয়ার ছিল না, তাও পেয়েছি তো! এসএসসি পাস করার কথা ছিল না, পাস করেছি তো। কলেজে পড়ার ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু কলেজেও তো পড়লাম, অনার্স-এ পড়ার চিন্তাও ছিল না! আর এখন কত দিব্যি করেই অনার্স পড়ছি! আর কী চাই? আরো দূরে যেতে হবে, আমি জানি, আমি যাবই, স্রেফ বেঁচে থাকলেই হবে, বাকিটা এমনিতেই হয়ে যাবে! একদিন ভেবেছিলাম ওসব বেঁচে থেকেটেকে কী হবে? ইসস্‌! কী ভুল ভাবতাম! ছেলেমানুষি আরকি! এইসব ভাবি এখন।

নিজের পছন্দের উপর আমি খুব জোর দিই, পছন্দ না হলে কোনো কাজ করেই তৃপ্তি পাই না, like attracts like…আমি এই কথার খুব বিশ্বাসী।

আপনার আরো কিছু কথা মেনে চলি:

পছন্দ না হলে বিয়ে করতে হবে কেন? ক্যারিয়ার খুব ভাল? সুখে থাকবেন? শিওর? আপনি একজন মানুষকে বিয়ে করবেন, উনার ক্যারিয়ারকে নয়। আমি কোনোদিনও ওরকম করে ভাবি না, ভাববোও না।

চাকরি দিয়ে কী হয়? জীবনটাই তো আসল। বাকি সবকিছু ছেলেভুলানো গপ্পো।

আমি ক্যারিয়ারিস্ট মানুষ পছন্দ করি না। আমি নিজে বিন্দুমাত্রও ওরকম নাতো, তাই। যারা ওরকম, ওরা থাক ওদের মতো করে ভাল। আমি একজনকে ফিরিয়ে দিয়েছি, কিংবা ও-ই আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে, কিংবা ভাগ্যই আমাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে, কারণ ও ভাবত, আগে ক্যারিয়ার, এরপর জীবন। আমি উল্টোটা ভাবি। আগে জীবন, সময় পেলে, ক্যারিয়ার। বাঁচবই বা কদিন? মরে গেলে এসব দিয়ে কী হবে? জীবনটাকে খুব ভালোবাসতে ইচ্ছে করে। হাসতে ইচ্ছে করে। পাখি আর ফুলের সাথে খেলতে ইচ্ছে করে। ভুল করতে ইচ্ছে করে। নিজের মতো করে বাঁচতে ইচ্ছে করে। আফসোস ছাড়া বাঁচতে ইচ্ছে করে। কারো প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে বাঁচতে ইচ্ছে করে। বাঁচব, হাসব, ভুল করব, এই একটু ঘুরেটুরে দেখব, এরপর একদিন হুট করে হাসতে হাসতেই নেই হয়ে যাবো। এইতো!

আমি যা ভাবি, যা বিশ্বাস করি, আমি তা-ই বলি আর বলব। কালকে বাঁচব কি না তারই তো ঠিক নেই। ১০০ বছরের প্ল্যান গুছিয়ে কী হবে? আমি প্রতি মুহূর্তের পৃথিবীতে বেঁচেথাকা বোকাসোকা মানুষ। যতক্ষণ বেঁচে আছি, বাঁচব। এই ধরুন, যদি আজকের পরই নেই হয়ে যাই, কোনো দুঃখ থাকবে না। চড়ুইয়ের মতো ফুড়ুৎফাড়ুৎ একটা জীবন হবে আমার; ছোট্টো জীবন। খুব বেশিদিন বাঁচতে চাই না। একটাই চাওয়া, যতদিন বাঁচি, যাতে আফসোস ছাড়া বাঁচি। কারো মনে কষ্ট না দিয়ে, কারো কোনো ক্ষতি না করে বাঁচি।

নিজের কিছু কথা আপনার মতো করে বলি:

আমি অতো ধার্মিক না, কিন্তু কোরআনের মূল কথায় খুব বিশ্বাসী। ওটাকে জীবনে ধারন করি, এভাবে করেই বেঁচে আছি! ওরা জিতে যাক! পারব না আমি, তোমরা দেখো, আমি হেরে গিয়েই জিতে যাবো। আরে… কখনোই জিততে চাইনি বলেই কখনো হারিনি! তাছাড়া আফসোস ছাড়া প্রতিদিন বাঁচাই জেতা!

বারো। আমার চোখে অসাধারণ সেই মানুষটাকে এতো এতো মানুষের চোখে অসাধারন হতে দেখে সত্যিই অনেক ভাল লাগে।

আশেপাশের বন্ধুবান্ধবরা যখন দাদাকে কেবল সেলিব্রিটির নজরে নয়, বরং এর চেয়ে অনেক বেশি সম্মান দিয়ে ফলো করে, দাদার গল্প করে, বিশেষ করে মেয়েরা দাদার ফটো ডাউনলোড করে যখন বলে, “এই মানুষটা এত্তো হ্যান্ডসাম!”… এইসব দেখে অন্নেক ভাল লাগে, অবাকও লাগে। প্রাউড ফিল করি…জীবনে চারটা বছর এই মানুষটার সান্নিধ্যে থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছি।

কড়া শাসন, ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা…সবকিছু খুব কাছ থেকে পেয়েছি, এখনো এগুলোর কমতি নেই।

এভাবেই সাফল্য সাথে নিয়ে সবার ভালোবাসায় আজীবন ভরপুর থাকুক আপনার জীবন। শুভ জন্মদিন, দাদা।

তেরো। পৃথিবীতে কিছু মানুষ জন্ম নেয় মানুষকে ভালোবাসার অসীম ক্ষমতা নিয়ে, উনারা যেমনি মানুষকে ভালোবাসেন কোনো রকমের স্বার্থ ছাড়াই, তেমনি উনারা ভালোবাসা পানও কোনো রকমের স্বার্থ ছাড়াই।

আপনি যদি এই সমস্ত মানুষের সাথে একটু কথাও বলেন, তবে তাদের বিনয়ী আচরণে মুগ্ধ হয়ে নিজের অজান্তে পরম শ্রদ্ধায় মাথা নত করতে বাধ্য হবেন।

পৃথিবীতে অনেক অনেক মহামানব অনেক কালেই এসেছে, আবার চলেও গেছে, আমি তাদের কাউকেই দেখিনি, কিন্তু আমি দেখেছি, ধন্য হয়েছি মানুষ নামক মহামানব Sushantaদা-কে দেখে, তাঁর সাথে কথা বলে।

চৌদ্দ। আমাকে যদি এই মুহূর্তে কেউ পছন্দের ব্যক্তিত্বের তালিকা করতে বলে, তবে চোখ বন্ধ করলে আমি কেন জানি সুশান্তদাকে দেখতে পাই, বিশ্বাস করুন, একবিন্দুও মিথ্যা কথা বলছি না!

গত বছর যখন উনি সিলেটের হবিগঞ্জে আসলেন, তার আগের রাত সারারাত আমি ঘুমোতে পারিনি, আমার অনেক দিনের স্বপ্ন সফল হতে যাচ্ছে, উনাকে দেখবো; এতএত স্টুডেন্টের ভিড়ে আমি কি আদৌ সুযোগ পাবো?? তাছাড়া সুশান্তদাও তো তার অনেক অনেক ফ্যান এর মাঝে আমাকে চিনবে না!!!

ভাইয়াকে মেসেজ দিলাম যে, ভাইয়া আমি আপনার সাথে একটা ছবি তুলতে চাই!!!

ভাইয়ার উত্তর কী ছিল, জানেন???

ভাইয়া, একটা না, আমরা কয়েকটা ছবি তুলবো এবং হ্যাঁ, আমরা কয়েকটা ছবিই তুলেছিলাম।

আমাকেও ভাইয়া বলে সম্বোধন, খুশিতে আমি গদগদ অবস্থা!!!

আজ আমার পছন্দের সেই মানুষটার জন্মদিন!!!

কী বলে উইশ করবো বুঝতে পারছি না, শুভ জন্মদিন, দাদা!! অনেক অনেক শুভ জন্মদিন!!

মহান স্রষ্টার কাছে একটাই চাওয়া, সুশান্তদা যেন অনেক অনেক সুস্থ থাকে।

এমন নিঃস্বার্থ মানুষের জন্য স্রষ্টার কাছে আরও একটি প্রার্থনা, আমার সুশান্তদা যেন অনেক অনেক লক্ষ্মী একটা মেয়ে জীবনসঙ্গী হিসেবে পায় খুব দ্রুত!!!

পনেরো। দাদা…আপনাকে ফোন দিয়েছিলাম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। কিন্তু ফোনটা যখন রিসিভ করেননি, তখন ভাবলাম হয়তো আপনি ব্যস্ত ছিলেন, হঠাৎ মনে এটাও চিন্তা এসেছিল, হয়তো দাদা আমার নাম্বারটা ডিলিট করে দিয়েছেন, তাই অপরিচিত নাম্বার রিসিভ করছেন না…কিন্তু কিচ্ছুক্ষণ পর যখন আপনার নাম্বার থেকে ফোনটা আসলো, আর আপনি ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলে উঠলেন…সালমি, ভাই, বলো কী অবস্থা…মনটা খুশিতে ভরে গেলো। কী আর বলবো, দাদা… আপনি অসাধারণ…আপনিই পারেন ছোট ভাইয়ের বন্ধুকে নিজের ভাইয়ের মতো স্নেহআদর দিয়ে আগলিয়ে রাখতে…শুভ জন্মদিন, দাদা…

ষোলো। Happy birthday to you the biggest inspirational & motivational leader of this country…

সতেরো। জানুয়ারি কি ফেব্রুয়ারি, ২০১১। আইবিএর এমবিএ প্রোগ্রাম অফিস। ভর্তির কাজগুলো করার জন্য নোটিশ দেখছি। কারও সাথে তখনও পরিচয় হয়নি। এমন সময়ে একজনের সাথে দেখা। পরিচয় হল। অনেক কথা হল। খুবই বিনয়ী একজন মানুষ। এমবিএ’র ক্লাসও শুরু হল। একসাথে একই গ্রুপে কাজ করা, ওনার হোস্টেল রুমে একসাথে পড়াশোনা আর মজা করা—এভাবে এক বছর যেতেই উনি বিসিএস-এ চান্স পেয়ে গেলেন।

এরপর কেটে গেছে আরও তিন বছর। কিন্তু সেই মানুষটা এখনও সেরকমই আছেন। ওনার বিনয় আজও এতটুকু কমেনি। আমার আইবিএ জীবনের সেই প্রথম বন্ধুটির আজ জন্মদিন।

শুভ জন্মদিন, Sushanta ভাই। অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

আঠারো।

#‎ Develop success from failures. Discouragement and failure are two of the surest stepping stones to success. ~Dale Carnegie.

‪#‎ A strong, positive self-image is the best possible preparation for success. ~Joyce Brothers.

‪#‎ It took me almost 2 decades to decide what I really want. When I’d decided finally, it took me only 1 year to get what I really want . . . . In short, this is the story of my life till date. ~Sushanta Paul

তিনি প্রতিদান চান না। কিন্তু কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকে কি আমরা পারি না তাকে একটি উপাধিতে ভূষিত করতে? যদিও তার এসব কিছুই চাই না। তবুও আমাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, ভক্তি ও আনুগত্য থেকে…

সুশান্তদা-কে ‘A man with the lamp’ উপাধিতে ভূষিত করা হোক।

আপনি কি একমত? যদি একমত হোন তবে আগামী ক্যারিয়ার আড্ডায় তাঁকে এ উপাধিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভূষিত করা হোক, কী বলেন?

…দাদার মত মানুষকে আসলে কোন উপাধি দিয়ে যে যথাযথভাবে সম্মানিত করা যাবে, সেটা আসলে আমার মত ক্ষুদ্র, নগণ্য মানুষ কীকরে যাচাই করবে? আসলে দাদাকে কি আমরা তাঁর যথাযথ সম্মানটুকু দিতে পারছি? তাঁকে সম্মানিত করার ব্যাপারে সবার মত আমিও একমত।

উনিশ। ক্লাস নাইনে খারাপ রেজাল্ট করার পর সৌম্য আর রাসেলের কাছে আপনার নাম শুনি। যেদিন কোচিং-এ ফার্স্ট গেলাম, ভেবেছিলাম আপনি কীরকম হবেন। বয়স্ক কোনো স্যার অথবা বেইজ কোচিং সেন্টারের পরিচালক ভাইদের মত কেউ। সেদিন আপনি এসে দরজা খুললেন। লাল পাঞ্জাবিটা পরেছিলেন। কী অমায়িক কথা বলার ধরন! অনেক ভাল লাগে আপনাকে। সেদিনই ঠিক করেছিলাম, আপনাকে অনুসরণ করে যাবো আজীবন। আসলেই তা-ই। আপনাকে এখনো অনুসরণ করি। অনুপ্রেরণা পাই আপনার লেখা পড়ে। অনেককে দেখি আপনাকে দেখে আশ্চর্য হতে, আপনার থেকে জীবনশিক্ষা নিতে। এখন আপনার হাজারহাজার ফলোয়ার দেখে সত্যি নিজেকে তখন লাকি মনে হয় এই ভেবে যে আমরা তো ৪ বছর আপনার কাছেই পড়েছি। কত কী শিখেছি। নিজ হাতে পিটিয়ে শিখিয়েছেন। ধন্যবাদ, স্যার। আর শুভ জন্মদিন।

আপনার কাছে পড়তে না গেলে এই শুভর জীবন শুভ হতো না। অনেকেই আপনার সাথে ছবি পোস্ট করছে, আবার অনেকে আপনার ওয়াল থেকে ছবি ডাউনলোড করে তা আবার আপ দিয়ে লিখছে অনেক কিছু। আমি আমার তোলা এই ছবিটা আপনাকে উৎসর্গ করছি। এই প্রবারণা পূর্ণিমায় তোলা। ছবিটার থিম হচ্ছে…পৃথিবীতে সবার জীবন একরকমভাবে চলে না। কারো জীবন আতশবাজির মত গতিশীল। অনেকের জীবন আবার উড়ন্ত ফানুসের মত স্থির। আবার কারো জীবনপ্রদীপ নিভেও যায় হুট করে। চড়াইউৎরাই নিয়েই জীবন।…পুরো বিষয়টা আনতে চেষ্টা করেছি একই ফ্রেমে।

Caption: ফানুস আর মানুষের সমান্তরাল প্রবাহচিত্র।

আশা করি ভাল লাগবে আপনার।

বিশ। Sushanta দাদা সম্পর্কে যা বলার, সবই সবাই বলেই দিয়েছে। আমি ভাগ্যবান যে দাদার সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হয়েছে। আজ দাদার জন্মদিন। এই নগণ্য মানুষের পক্ষ থেকে দাদাকে অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

একুশ। একদিন সকালে ফেজবুকে ঢুকে দেখি Sushanta Paul আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন! ভুল দেখছি না তো? নাকি ফেইক আইডি? নাহ! ঠিকই তো আছে। নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না! প্রায় এক লক্ষ ফলোয়ারের মধ্য থেকে আমার আইডি তাঁর নজরে আসল কীকরে? এমন একজন মানুষ আমাকে তাঁর ফ্রেন্ডলিস্টে জায়গা দেবেন, এই ভাবনাটা মাথায় কখনও আসেনি।

ভদ্রলোককে ফলো করছিলাম অল্প কিছুদিন ধরে। ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় কিংবা বিসিএস-এ সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম হওয়া কাউকে নয়। আমি ফলো করছিলাম একজন লেখককে। কোনোকোনো লেখা পড়ে চোখের কোণ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে, আবার কোনোটা পড়ে হাসতেহাসতে পেটে খিল ধরে যায়। তার চেয়েও বড় কথা, তাঁর লেখা পড়ে মানুষ আশা খুঁজে পায়। প্রতিটি লেখাই যেন একএকটি রত্ন।

আমি নিশ্চিত, আত্মহত্যা করতে যাওয়া কেউ যদি তার বিষের পেয়ালায় চুমুক দেয়ার আগে Sushanta Paul-এর দুটো লাইন পড়ে, তাহলে সে বিষের পেয়ালা ছুঁড়ে ফেলে নতুন জীবনের সন্ধানে নেমে পড়বে।

সেই প্রিয় Sushanta Paul দাদার জন্মদিন আজ। অন্তর থেকে দোয়া করি, দীর্ঘজীবী হউন, সুস্থ থাকুন।

শুভ জন্মদিন. . . . . . .

বাইশ। এত সৌভাগ্য সাথে করে দিয়ে আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে!! আমাদের কাজ শুধু বেঁচে থাকা, জীবনটাকে বুঝতে শেখা, স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা আর প্রচণ্ড পরিশ্রম করে স্বপ্নছোঁয়ার জন্য নিজের সাথেই প্রতি মুহূর্তেই যুদ্ধ করে যাওয়া। বিশ্বাস রাখতে হবে, সুন্দর দিন আসবেই আসবে!! এইতো জীবন!!

যার কথা লিখলাম, আজ তাঁর জন্মদিন। ভাল থাকুক মানুষটা।

তেইশ। শুভ জন্মদিন, Sushanta Paul দাদা! এই সেই দিন যেই দিন একবিন্দু আলো জন্মেছিলো, আজ সে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে অনেক অনেক দূরে। আলোকিত হচ্ছে অগণিত অন্ধকারের মানুষ। এই আলো জ্বলন্ত থাকুক আরো অনেক অনেক দিন…!

চব্বিশ। জীবনটা উপভোগ করো। এইরকম বোহেমিয়ান হয়ে বেঁচে থাকো। গত বছর এই দিনে বাতিঘরে এই কথাটাই তুমি বলেছিলে আমায়। আজ তোমার কথাই তোমাকে ফিরিয়ে দিলাম। মানুষকে আরো স্বপ্ন দেখাও, স্বপ্ন দেখো, ভাল থেকো।

পঁচিশ। পৃথিবী তোমাকে দিচ্ছে দুহাত ভরে, যা তোমার ন্যায্য প্রাপ্য। আমরা যারা ফেসবুকিং করি, তাদের ভালোবাসা হয়ত তুমি দেখতে পাও, কিন্তু তোমার জন্য আমাদের পুণ্যবান পিতামাতাদের দোয়া কিংবা প্রতিদিনের প্রার্থনায় দুহাতে তোমার মঙ্গলকামনার কথা হয়ত তুমি কখনই জানবে না। তবে এর সুফল পেয়ে যাবে নিশ্চয়ই। এগুলো থাকে রুধির ধারার মত গোপন, ফুলের মাঝে মাটির মমতারসের মত অলক্ষ্যে। তাই বলছি, শোনো:

সম্মান আর ভালোবাসা পাবার এই তো শুরু!

হলভর্তি মানুষের ভালোবাসা দেখেছো, স্টেডিয়ামভর্তি ভালোবাসা তোমারি অপেক্ষায়………শুভ জন্মদিন, Sushanta Paul

ছাব্বিশ। ভেবেছিলাম ঠিক বারোটা এক মিনিটে বার্থডে উইশ করব…হুঁ…ঠিক বারোটা এক মিনিটে!! ভয়ভয় লাগছে! এত মহান মানুষ, তাতেই কি যথার্থ হবে?! হাজার উইশের ভীরে আমারটা তো চ্যাপ্টা হয়ে যাবে! তাই একটু দেরি করেই বলছি, শুভ জন্মদিন!

সাতাশ। দাদা, ভার্চুয়াল লাইফে আপনি যেমন হেল্পফুল, প্রাক্টিকাল লাইফেও ঠিক তেমনটাই। একটা মানুষকে কীভাবে এতোটা কাছে টেনে নেয়া যায়, সেটা আপনার সান্নিধ্য ছাড়া বুঝা অসম্ভব! আপনার জন্মদিন আজ। কেক তো খাওয়া সম্ভব না, আশীর্বাদটুকুই বাকি রইলো।

শুভ জন্মদিন, দাদা!

আটাশ। বহু চেষ্টা করেও তোমার প্রোফাইলের দেয়ালে শুভেচ্ছা জানাতে পারলাম না। তাই ভাবলাম, নিজের প্রোফাইলের দেয়ালই সই। শুভ জন্মদিন, Sushanta!

অনেক অনেক ভাল থাকো, সুখে আর আনন্দে থাকো, এই প্রার্থনাই করছি। (কেক তো আর খাওয়াবা না, তাই ওই আশাও করি না!)

…দোয়া করি, আন্টির মতো হও। I just love her! শিখো, বুঝসো? কিছু শিখো।

…আলেমের ঘরেই জালেম হয় রে, ভাই। আমি শত চেষ্টা করেও আম্মুর মতো হতে পারবো না। আম্মু আম্মুই।

…আমি তোমার ভাই?

…কথার কথা। তুমি তো দোস্ত!

…আর ভাল কথা… থাক, কিসু না বলি…

…জ্বি, কিছু কথা থাক না গুপন!

…ওহ্‌, আম্মু তোমাকে হ্যাপি বার্থডে বলতে বলেছে!

…আন্টিকে আমার পক্ষ থেকে পা ছুঁয়ে সালাম করে আসো, যাও! ভুঁড়ি কমবে।

…মুড়ি খাও।

উনত্রিশ। শুভ জন্মদিন, ভাইয়া। আপনার আজকের পাওয়া সবটুকু ভালোবাসার সমপরিমাণ দাবিদার নিঃসন্দেহে যে বাবা-মা, তাঁরা অনেক অনেক ভাল থাকুক, অবশ্যই সাথে আপনিও।

অনেকেই আপনার কাছে শুধু বিসিএস আর ক্যারিয়ার নিয়ে শিখতে চায়, আর আমি ভাবি, ওসব না, শুধু মানুষ Sushanta-র মত যদি হওয়া যেত…

অহংকার করার মত সবকিছু থাকার পরেও দারুণ সাধারণ একজন বিনয়ী মানুষ…

আমার বিশ্বাস যত মানুষ আপনাকে ফলো করে, তত মানুষ যদি ‘আপনার মত প্রথম হওয়া’র চেয়ে ‘আপনার মত বিনয়ী’ হওয়াটাকে প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নিত, চারপাশটা অনেক বদলে যেত।

অনেক অনেক ভাল থাকুক বাপ্পি-পাপ্পু পরিবার!

ত্রিশ। কীভাবে বন্ধুত্ব অর্জন করতে হয়? How to win friends?

(সুশান্ত পালের জন্মদিনের শুভেচ্ছা হিসাবে উৎসর্গকৃত)

খুব ছোটবেলায় স্কুলজীবন থেকে আমি ডেল কার্নেগীর বই পড়া শুরু করি। বলতে গেলে আমার জীবন সম্পর্কে যে একটু অন্যরকম দৃষ্টিভঙ্গি, তার জন্য উনিই আমার প্রথম গুরু।

প্রথম যে বইটা আমি ডেল কার্নেগীর পড়ি, তা হল কীভাবে বন্ধুত্ব অর্জন করতে হয় ও লোকজনকে প্রভাবিত করা যায়। আমি পড়তাম ও প্রতিটি আইডিয়া ফলো করতে চেষ্টা করতাম।

সুশান্ত পালের সাথে যখন আমার পরিচয় হল, তখন দেখলাম ডেল কার্নেগীর বলা প্রতিটি আইডিয়া ওনার মাঝে আছে। মজার ব্যাপার হল উনি কখনো ডেল কার্নেগীর বই পড়েননি। আসলে ডেল কার্নেগী হলেন এ বিষয়ের সবচেয়ে পুরনো গুরু। ওনার লেখার আলোকে পরবর্তীতে অনেক লেখক লিখেছেন, যা উনি পড়েছেন আর ফলো করেছেন।

যেহেতু আমি এই ব্যাপারগুলো নিয়ে অনেক পড়েছি, সেহেতু এই ব্যাপারগুলো যার মধ্যে দেখি, আমি খুব খেয়াল করি। সুশান্ত পালের মধ্যে এই গুণগুলি পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান।

একটা লোককে লোকজন এত বেশি ভালোবাসে, এই বিচারে সুশান্ত আমার দেখা প্রথম স্থান অধিকারী। এত বেশি লোকজন যাকে ভালোবাসে সে অনেক ভাল লোক না হয়ে পারে না। তাই আমিও তাকে ভালো না বেসে পারি না। শুভ জন্মদিন, সুশান্ত। আমরা সবাই আপনাকে অনেক ভালোবাসি।

একত্রিশ। যিনি আপনাকে তাঁর জীবনে অপরিহার্য মনে করেন না, তাঁকে আপনার জীবনে অপরিহার্য মনে করার বাজে অভ্যাস থেকে সরে আসুন। যে মানুষটা আপনাকে ছাড়াই সুস্থভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, তাঁর জন্য দম আটকে মরে যাওয়ার তো কোনো মানে হয় না। আপনি যত বেশি তাঁর জন্য ফিল করবেন, তিনি তত বেশি এক ধরনের অসুস্থ জয়ের আনন্দ উপভোগ করবেন। ভুল মানুষকে ভুলে থাকাটা মস্ত বড় একটা আর্ট। আপনি কতটা সময় ধরে তাঁর সাথে ছিলেন, সেটা বড় কথা না, বরং সামনের সময়টাতে কত বেশি তাঁকে জীবন থেকে ডিলিট করে থাকবেন পারবেন, সেটাই বড় কথা।

এই কথাগুলি যাঁর, আজ তাঁর জন্মদিন। তাঁর জন্য নিরন্তর শুভ কামনা।

অতএব, ভুল মানুষকে ভুলে থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশ্বের সকল প্রাণী সুখী হোক। শান্তি! শান্তি!!

বত্রিশ। শুভ জন্মদিন, দাদা…আপনার জন্মদিনে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা আর

শুভেচ্ছা রইলো। এগিয়ে যান বহুদূর, আপনার চলার পথ আরো সুদীর্ঘ হউক…

তেত্রিশ। Sushanta Paul দাদা, পরিবারের বাইরে আমি কাউকে এত্ত ভালোবেসেছি কি না জানি না৷ আমাদের মন যখন কিছু একটা নিয়ে চিন্তায় থাকে, তখন আপনি ঠিক সেটা নিয়ে কিছু কথা লিখে দেন। কীভাবে বুঝতে পারেন আমাদের মনের কথাগুলো, আমি এ সমীকরণটা কখনও বুঝতে চাইনি চাইবোও না৷ মনের অজান্তেই কখন যে আপনাকে এত্ত বেশি ভালোবেসে ফেলেছি, তা জানি না জানতেও চাই না। কী হবে জেনে!

দাদা। শুভ জন্মদিন৷ অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন৷ আপনি বেঁচে থাকুন আমাদের মাঝে আমাদের সবার জন্য শত বৎসর৷

ছবি: আমার দেখা সবচেয়ে শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ভালোবাসামিশ্রিত একটি ছবি

চৌত্রিশ। ক্রিকেটের ঈশ্বর শচীন কিংবা ব্র্যাডম্যান, ফুটবলের বরপুত্র মেসি কিংবা রোনালদো, কিন্তু বিসিএস-এ সময়ের সেরা শুধুমাত্র একজন…দ্য গ্রেট ‘সুশান্ত পাল’!

বিসিএস কিংবা আইবিএ-তে প্রথম হয়ে তিনি থেমে থাকেননি। শুরু হয় এক নতুন পথচলা। ‘ক্যারিয়ার আড্ডা’ নামক প্রোগ্রামটি তাঁরই সৃষ্টি। নিজের কথা না ভেবে বিনা পয়সায় হাজারহাজার তরুণকে স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছেন। স্বপ্ন সাধারণত মানুষ ঘুমিয়েঘুমিয়ে দেখে, কিন্তু সুশান্ত পাল মানুষকে শিখিয়েছেন কীভাবে জেগে থেকে স্বপ্ন দেখতে হয়! হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো সবাইকে মোহিত করে যাচ্ছেন, সাফল্যের পথটা ক্রমশ মসৃণ করে দিচ্ছেন।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও রংপুরসহ পুরো বাংলাদেশে প্রায় ৬০টির অধিক ‘ক্যারিয়ার আড্ডা’ প্রোগ্রাম সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে এতো সুন্দর ও সাবলীলভাবে বলা শুধুমাত্র সুশান্ত পালের পক্ষেই সম্ভব।

একটা ঘটনা শেয়ার করি। সালটি ছিল ২০১০। চুয়েটে ICT Festival প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছিল। সকল এক্স-স্টুডেন্ট কে কোথায় জব করছে, পালাক্রমে বলছিল। দাদা তখন বলার মত কিছুই করতেন না, তাই স্টেজে উঠতে চরম বিব্রতবোধ করছিলেন। এরকম এক পরিস্থিতিতে জোরপূর্বক দাদাকে স্টেজে পাঠিয়ে দেয়া হলো। দাদা নিচুস্বরে জবাব দিলেন, “কিছু করার মত করা বলতে যা বুঝায়, এমন কিছু করার চেষ্টা করছি।“ দাদা সেদিন খুব লজ্জা পেয়েছিলেন, আড়ালে ফুপিয়ে কেঁদেছিলেন। পৃথিবীতে নোবোডি হয়ে বেঁচে থাকাটা সত্যিই কষ্টের।

চুয়েট থেকে ২.৭৪ পাওয়া যে ছেলেটিকে নিয়ে কেউ স্বপ্নই দেখেনি, সে ছেলেটি আজ হাজারো তরুণকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সত্যিই কী অদ্ভুত! তাই না ? লাইফটা সবসময় এক গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকে না। সিদ্ধান্ত নিতে সময় লেগেছিল ২০ বছর, কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছতে সময় নিয়েছেন মাত্র এক বছর।

বিসিএস ক্যাডার সুশান্ত এবং ব্যক্তি সুশান্ত একটি অন্যটিকে ছাড়িয়ে যায়। অসাধারণ হয়েও খুব সাধারণ জীবনযাপন পছন্দ করেন। সহজেই যে কারো সাথে মিশে যেতে পারেন। ছোট থেকে খুব কাছ থেকে দেখেছি…এতোটা সৎ, নম্র, বিনয়ী, অমায়িক চরিত্রের মানুষ পৃথিবীতে সত্যিই খুব কম হয়।

একধারে লেখক, শিক্ষক, সাহিত্যিক, স্পিকার, মোটিভেটর, বিসিএস ক্যাডার, কোনো উপমাই যে দাদার জন্য যথেষ্ট নয়। ক্যারিয়ারে অনেকেই সফল হয়, কিন্তু একজন সুশান্ত পাল হয়ে ওঠা কখনোই সম্ভব নয়। সুশান্ত পাল শুধুমাত্র একজন। উনার পরিচয় উনি নিজেই।

গতবার দাদার জন্মদিন বাতিঘরে পরিবারের সাথে উদযাপন করেছিলাম। এবার দাদা সাতক্ষীরায়, চট্টগ্রামে থাকলে অবশ্য খুশি হতাম। যেখানে থাকুন না কেন…সবসময় ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

আজ দাদার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন…বড়দা। বেঁচে থাকুন মানুষের ভালোবাসায়!

পঁয়ত্রিশ। কিছু মানুষের জন্য কোনো কিছু না করাটাই উত্তম, তাতে কমতি রয়েই যায়। আমার বানানো এই ভিডিওটা আপনার টাইমলাইনে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ব্যর্থ হলাম। Happy Birthday To You…

ছত্রিশ। পূর্ণিমার এক আকাশে দু-দুটো চাঁদ উঠলে যে অপূর্ব আনন্দময় অনুভূতির সৃষ্টি হয়, আজ ঠিক সে ফিলিংস হচ্ছে…আজ আমার অত্যন্ত প্রিয় দুজনের জন্মদিন…আনন্দ তো হবেই…

১) লাবণ্য বড়ুয়া মুগ্ধ…আমার ভাগ্নি, আমার মা, আমার টুকটুকি… মা রে, ইচ্ছেমত প্রাণস্ফুরণ নিয়ে বেঁচে থাক আজীবন…Nupurদা, আমার মাটাকে একটু দেখে রাখিয়েন…সে যেন সদাহাস্যময়তা নিয়ে এখনকার মত সবাইকে মাতিয়ে রাখে আজীবন…শুভ জন্মদিন, মামণি…

২) দুধরনের মানুষ থাকে, যাদের সাথে কথা বলা যায় না…এক। যারা পরশ্রীকাতর, হিংসুটে, নিন্দুক, অন্যের ছিদ্র অন্বেষণ করে তৃপ্ত থাকে, তাদের সাথে কথা বলতে সবচেয়ে অপছন্দ করি…আর কিছু মানুষ থাকে, যেসকল মানুষের সামনে গেলে উনাদের ব্যক্তিত্বের গভীরতায়, আচরণে, কথাবার্তায়, পরোপকারী মানসিকতা দেখে মুগ্ধতায়, সম্মানে, শ্রদ্ধায় মাথা আপনাআপনিই নত হয়ে আসে, মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলি…২য়টির মত লাইফে যে কয়েকজনকে সামনাসামনি দেখে তীব্র মুগ্ধতায়, শ্রদ্ধায় ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম, আজ ঠিক সে রকম এক ব্যক্তিত্বের জন্মদিন…আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন Sushanta Paul দাদা…শুভ জন্মদিন, দাদা…আজ মাসিমাকে সামনে পেলে আরো একবার প্রণাম করতাম… আমাদের একটা জলজ্যান্ত আদর্শ উপহার দিয়েছেন, একটু সম্মানে কি আর উনার ঋণ পরিশোধ করা যায়? যায় না…যা-ই হোক, ভাল থাকবেন, দাদা…দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হাজার হাজার মানুষকে যিনি আলো দেখিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন, উনি ভাল না থাকলে হাজারো স্বপ্নবাজেরা কি ভালো থাকবে? একদমই না…আজকের দিনে একরাশ শ্রদ্ধা, দাদা…ভাল থাকবেন সবসময়ই…

সাইত্রিশ। এমন কিছু মানুষ থাকে, যারা মানুষের আত্মার সাথে মিশে যান। বলছিলাম ব্যক্তি সুশান্তের কথা। প্রথমবার যেদিন ছবি তুললাম, মনে করেছিলাম সম্ভবত একজন বড় মানুষের সাথে ছবি তুলেছি। এরপরের দেখায় প্রথম আলাপে মনে হয়েছে আমি তার মতই একজন। ব্যক্তি সুশান্তের পরিচয় একজন সহকারী কাস্টম কমিশনার থেকে অনেক সুউচ্চে। যিনি ভাবতে শেখান আমি তার মতই একজন।

শুভ জন্মদিন, দাদা। আপনার জীবনের মুহূর্তগুলো শান্তিময় হোক।

আটত্রিশ। যতটুকু জানি, সিলেট আপনার পছন্দের একটি জায়গা। তাই সিলেটের সুন্দর বৃষ্টি, রোদ, গাছ, পাহাড়, ঝরণা, সবকিছু দিয়ে আপনাকে উইশ করলাম। শুভ জন্মদিন!

উনচল্লিশ। ২৭ বছর বয়সে…এই লেখাটা পড়ে দাদার লেখার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। লেখার মধ্যে এত অনুপ্রেরণা উৎসাহ আশা জাগানিয়া ভাব ফুটিয়ে তোলা দাদার এক অদ্ভুত ক্ষমতা…ভাল থাকবেন সবসময়, দাদা। ভাল রাখছেন, রাখবেন সর্বদা সবাইকে…আগামী জন্মদিনে বৌদিসহ প্রোফাইল পিকচার দিবেন, এই শুভ কামনা ব্যক্ত করে জানাই শুভ জন্মদিন।

চল্লিশ। শুভ জন্মদিন, ভাইয়া। আমাদের মাঝে যেন শতবছর বেঁচে থাকেন, সেই দোয়া করি। আর আপনার সব অপূর্ণতা যেন ২ নভেম্বর তারিখে পূর্ণতা পায়, সেই কামনা করি।

ইতি

আপনার নগণ্য ভক্ত

একচল্লিশ। Sushanta Paul-দার সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে। পরিচয় বলতে যদি তাকে জানাশোনা বুঝানো হয়, তবে সেরকম না। প্রথমে আমি তার লেখনির ভক্ত, তারপর ফলোয়ার এবং তারও পরে তার ৮৬ হাজার ছয়শত ফলোয়ারের সাথে যে ৫০০০ ফ্রেন্ড আছেন তাদের একজন। তারপর কখনো হয়ত মেসেঞ্জারের পাতায় টুকটাক দু-চার কথা, এই তো। কিন্তু এটা আমার জন্য বিরল এক সন্মান যে তিনি আমাকে তার ফ্রেন্ডলিস্টে ঠাঁই দিয়েছেন।

যা-ই হোক, সুশান্তদা’র সৌম্যশান্ত ব্যক্তিত্ব, চারিত্রিক মাধুর্য, লেখনশৈলী, শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত আমাদের মত কিছু মানুষদের টেনে উপরে তোলা ও বাঁচার মত বাঁচতে শেখানোর অপূর্ব নৈপুণ্য আমাকে যারপরনাই মুগ্ধ করে। সত্যি কথা বলতে, আমার মত জীবনযুদ্ধে বারবার পরাজিত সৈনিককে নতুন করে জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার পথে চলার তীব্র আকাঙ্ক্ষার জন্মদাতা তিনি। আজ আমি যা-ই করি, সে পড়ালেখা হোক, আর যা-ই হোক, তা সুশান্তদা’র অনুপ্রেরণা হতে করি। তাঁর বিভিন্ন পরামর্শমূলক লেখা প্রিন্ট করে নিজের কাছে রেখেছি, যেন যদি কখনো ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাই, তখন লেখাগুলো যাতে আমাকে জীবনীশক্তি সঞ্চার করতে পারে। এবং লেখাগুলি আমাকে সত্যি আজ ভেঙে পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তবে আমি আমার জীবনে সফলতা পাব কি পাব না, তা নিয়ে আমি এখন আর ভাবি না। শুধু এটুকু জানি যে, জীবনটা অনেক সুন্দর এবং সুন্দর জীবনটাকে হতাশার মধ্য দিয়ে পার করার কোনো মানেই হয় না। কুঁড়ে ও ভীতুরাই জীবনকে ভয় পায়।

সুশান্তদা। তিনি হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও কোনো এক অপরিচিত ভাই বা বোন বা বন্ধুর জন্য নিজে আলো হয়ে অথবা আলোকবর্তিকা হাতে নিঃস্বার্থভাবে পথ দেখানোর সুমহান দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন স্বেচ্ছায়। তিনি যদি এ কাজটা না করতেন, তবে কারো কিছু বলার ছিলো না কিংবা তিনি বিসিএস ক্যাডার বলে অন্যদেরও বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য পরামর্শ দিতে তিনি বাধ্য, তাও নয়। তবুও তিনি নিজের ভাললাগা থেকে অন্যকে পথ দেখাতে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন। একের পর এক পরামর্শ দিয়ে অন্যদেরকেও জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে উজ্জীবিত করে চলেছেন। বাঁচার মত বাঁচতে শেখাচ্ছেন। এসবই আমাদের জন্য এক বড় পাওয়া।

সত্যি আমি গর্বিত যে, এমন একজন মহান মানুষের সমসাময়িককালে আমার জন্ম হয়েছে, তাঁর সান্নিধ্য পাচ্ছি। তাঁর অনুপ্রেরণা পাচ্ছি প্রতিটি কাজে।

থ্যাংকস, দাদা। এভাবেই সবাইকে বাঁচতে শেখান হাজার বছর ধরে, এই কামনা করি।

বিয়াল্লিশ। দাদা, আজ আপনার জন্মদিন। আপনার জন্মদিনে কোনো উপহার দেয়ার সামর্থ্য আমার নেই। তবে যদি ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলকে ‘Lady with the lamp’ বলা হয়, তবে আপনিও আমাদের জন্য ‘Man with the lamp’। আপনার জন্মদিনে এই উপাধিটাই আপনার জন্য আমাদের উপহার।

‎শুভ জন্মদিন! অনেক ভাল থাকবেন, দাদা।

তেতাল্লিশ। একটা মানুষ। বিনয়ী, নম্র, ধৈর্যশীল, মিষ্টভাষী, সদালাপী, সুবক্তা। অচেনা মানুষকে অনায়াসে আপন করে নেবার ক্ষমতা, মানুষকে উৎসাহিত করার প্রবণতা, এতগুলি গুণ থাকা কীকরে সম্ভব, তা খুব কাছে থেকে সুশান্ত দাদাকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না। এই যেন এক যাদুকর মানুষ। এর বর্ণনা করার অযোগ্য আমি।

আরেকটি গুণ বলা হয়নি। তা হল দাদা কিন্তু অনেক ভোজনরসিক মানুষ। খেতে প্রচুর ভালোবাসে, আমার মনে হয়। শুধু তাই না, মানুষকেও খাওয়াতে ভালোবাসে। আমাকে তো অনেক খাবার খাইয়েছিল, যেমন: ইটালিয়ান পাস্তা, সল্টেড মাশরুম, কফি, চিকেন, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি। সত্যি বলছি এত খাবার খেয়ে আমি রাতে আর কিছুই খাইনি। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেলাম দাদা নাকি রাতে বিরিয়ানি খেয়েছিল।

সবসময়ই বলি, অনেক শুভ কামনা তোমার জন্য, আজও বলছি অনেক শুভ কামনা, সূর্যের মত দীপ্তিমান হোক তোমার পথচলা।

Finally, it’s time to say, “Happy Birthday To You, Sushanta Paul-দা।

চুয়াল্লিশ। Happy Birthday,Sushanta দাদা! আমি মেঝদাকে ছাড়া কেবল তোমাকেই দাদা বলে সম্বোধন করি! তোমার জন্মদিনের তারিখটা আমার রিমাইন্ডার ডাইরিতে লেখা ছিল।

ট্রিট দিয়ে দিও মনে করে!

পঁয়তাল্লিশ। দাদা, স্যার, সুশান্ত পাল, যেটাই বলি, কী পরিমাণ যে খুশি লাগছে, বললে বিশ্বাস হবে না, ভাইয়া। আপনার জন্মদিনে এই অধমকে আপনি অনেক বড় পুরস্কার দিয়ে দিলেন, দাদা। অনেক ভাল থাকবেন। মাঝেমাঝে আপনার ওই কথাটাই কানে বাজে বেশিক্ষণ, কিছুদিন আগে একটা সেমিনারে বলেছিলেন: জীবনে স্রেফ বেঁচে থাকো, অনেক কিছু দেখতে পারবে।

এই অধমকে একটু দেখে রাখবেন।

ছেচল্লিশ। তরুণসমাজের স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষটা বেঁচে থাকুক আরও হাজার বছর ধরে। কীভাবে জীবনে বাধা ডিঙিয়ে সাফল্য অর্জন করতে হয়, তা নিয়ে বলে যাচ্ছে এই মানুষটা খেয়ে না খেয়ে ঘুরেফিরে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েগিয়ে। আজ রাত ১২টার পর এই মানুষটার পৃথিবীতে আগমন। ‎শুভ জন্মদিন, দাদা! স্রষ্টা কিছু মানুষকে সত্যিই মানবসেবার জন্য পৃথিবীতে নিজ হাতে তৈরি করে পাঠিয়েছেন।

সাতচল্লিশ। শুভ জন্মদিন। অগ্রিম শুভেচ্ছা, স্যার।

May this day lead you to reach the pinnacle of success & fame.

Just I’ll sum up saying…

THE REPUTED WILL NEVER SINK INTO OBLIVION!

আটচল্লিশ। দাদা, আপনাকে মুগ্ধ করার মত ভাষা জানি না। যারা সুন্দর করে বলতে পারে না, তারাও তো ভালোবাসতে পারে, নাকি? হৃদয়ের ভালোবাসা শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করার মত যোগ্যতা হয়তো নেই, কিন্তু আপনাকে সত্যিই ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। অব্যক্ত ভালোবাসা ব্যক্ত ভালোবাসার চেয়ে বিশুদ্ধ। আপনাকে ঈশ্বর অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখুক, আপনার নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্য। শুভ জন্মদিন, দাদা।

(সেদিন দেয়া আমার নিজের একটা পোস্ট)

সময়ই সময়কে বদলে দেয়।

৬ বছর আগের দুইটা স্ক্রিনশট পেলাম ইনবক্সে। কিছুকিছু মানুষ আমার অনেক অনেক পুরনো পোস্টের কমেন্টগুলিও দেখে…এমন কেউ একজন ইনবক্সে পাঠাল এগুলি। শেয়ার করছি কারণ ভাবতেও একটু একটু ধাক্কা খাচ্ছি। সে ধাক্কায় আফসোস আছে। সে আফসোস আমার আজকের অবস্থানটাকে একটু হলেও ম্লান করে দিচ্ছে।

২০০৯ সালের ৩ নভেম্বর তারিখে ২৬ বছরের একটা ছেলে আগের দিন পর্যন্ত ৪৬৮টা বার্থডে উইশ পেয়ে খুব বিস্মিত হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিল!

আরেকটা জিনিস খেয়াল করে দেখুন। অমন একটা পোস্টে লাইকের সংখ্যা মাত্র ২৮টি!!

একটা সময়ে আমিও সব মিলিয়ে মাত্র ২৮টা লাইক পেতাম, তাও আবার ওরকম একটা পোস্টেও! আপনার আজকের দিনের লাইকের সংখ্যাকে আগামীদিনের লাইকের সংখ্যা নির্ধারণ করে দিতে দেবেন না!! হাহাহাহা…চেষ্টা করে যান, পারবেন; সত্যিই পারবেন!!

ঠিক পরদিন, মানে ৪ নভেম্বর তারিখে সে ছেলেটি কমেন্ট থ্রেডে সবার কমেন্টের উত্তর দিচ্ছিল আর ধরেধরে সবার খবরাখবর নিচ্ছিল।

সেই সময় চলে গেছে। সেই আগের মতো করে আর সবার ভালোবাসার উত্তরে স্রেফ থ্যাংকয়্যুটুকু বলার মতো সময়ও আজ আর নেই।

সেই ছোটবেলায় পড়া Ralph Hodgsonয়ের একটা কবিতার কথা মনে পড়ছে:

TIME, you old gypsy man,

Will you not stay,

Put up your caravan

Just for one day?

All things I’ll give you

Will you be my guest,

Bells for your jennet

Of silver the best,

Goldsmiths shall beat you

A great golden ring,

Peacocks shall bow to you,

Little boys sing,

Oh, and sweet girls will

Festoon you with may.

Time, you old gypsy,

Why hasten away?

Last week in Babylon,

Last night in Rome,

Morning, and in the crush

Under Paul’s dome;

Under Paul’s dial

You tighten your rein—

Only a moment,

And off once again;

Off to some city

Now blind in the womb,

Off to another

Ere that’s in the tomb.

Time, you old gypsy man,

Will you not stay,

Put up your caravan

Just for one day?

(জন্মদিনে দেয়া আমার নিজের একটা ওয়ালপোস্ট)

ভাইয়া, আপনার মোবাইলে একটা টিএন্ডটি নাম্বার থেকে বারবার ফোন আসছে। প্লিজ, অন্য একটা ফোন কেটে হলেও ওটা রিসিভ করেন! আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ ওয়েট করছে!! … ফোনে বার্থডে উইশ নেয়ার সময় এ ধরনের কিছু টেক্সট পেলাম ফেসবুক ইনবক্সে! মোবাইলটা কিছু সময়ের জন্য ফ্রি করে রাখলাম।

গতকাল রাত ১২:১৫টার দিকে রেডিও টুডে থেকে অসাধারণ কণ্ঠের অধিকারী আর জে সালমান ফোন করে জানালেন, উনাদের অনেক শ্রোতা চাইছেন, আমি আমার জন্মদিন উপলক্ষ্যে সবার উদ্দেশ্যে কিছু বলি। সত্যিই অবাক হয়ে গেছি! শুনেছি, স্টারদের জন্মদিন-টন্মদিনে নাকি এসব হয়টয়। কিন্তু, এই আমি কেন!! ওদের কাছে শাহরুখ খানের নাম্বারটা নেই বলে?? মুহূর্তের বিস্ময়ে মাথায় যা এসেছে, তা-ই বলে দিয়েছি।

ভাবছি, আহা! এত সৌভাগ্য সাথে করে দিয়ে আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে!! আমাদের কাজ শুধু বেঁচে থাকা, জীবনটাকে বুঝতে শেখা, স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা আর প্রচণ্ড পরিশ্রম করে স্বপ্ন ছোঁয়ার জন্য নিজের সাথেই প্রতি মুহূর্তেই যুদ্ধ করে যাওয়া। বিশ্বাস রাখতে হবে, সুন্দর দিন আসবেই আসবে!! এইতো জীবন!!

আর জে সালমানকে অনেক ধন্যবাদ। যারা আমার কথা শুনতে রিকোয়েস্ট করেছেন, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা। যারা ফোন করে, মোবাইল/ ফেসবুক/ হোয়াটসঅ্যাপ/ ভাইভার/ ইমোতে উইশ করেছেন, তাদের জন্য অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা রইলো।

রজনীকান্তের মতো করে ঈশ্বরের পায়ে নত হয়ে বলি:

আমি অকৃতী অধম বলেও তো কিছু

কম করে মোরে দাওনি;

যা দিয়েছ, তারি অযোগ্য ভাবিয়া

কেড়েও তা কিছু নাওনি।।

পাপ্পু, এই পোস্টটা বাবা-মাকে একটু দেখা না! ওদের জন্যই তো আজকের এই সবকিছু!!

(সেইদিনের অন্য একটি স্ট্যাটাস এবং কিছু প্রাসঙ্গিক কমেন্ট)

আমার কিছু কিছু অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি, এ কাজটা কেউ কেউ করে।

যদি সেটা জড়ো করে, মানে, কপি-পেস্ট করে আমাকে দেয়, অনেকের কাজে আসবে।

কাজটা কী? কাজটা খুব কষ্টসাধ্য, সময়সাধ্য। ভালোবাসা কিংবা ভাললাগা থেকে না করলে কাজটা করা সম্ভব নয়।

আমি যখন থেকে ফেসবুকে জয়েন করলাম, তখন থেকে এ পর্যন্ত যা যা পোস্ট করেছি, সেগুলি কমেন্টসহ একসাথে জড়ো করা। একটা সময়ে আমি সবার কমেন্টের রিপ্লাই দিতাম। অনেক কমেন্ট আসত, যেগুলি আসলেই অনেক সুন্দর! সেগুলি দিয়েও অনেক নোট হতে পারে। তবে, সেগুলিকে নোট আকারে রাখতে হলে অনেককিছুতে পরিবর্তন আনতে হবে, এডিট করতে হবে। সেটা আমি করতে পারব। উল্লেখ্য, আমার আগের পোস্ট আর কমেন্টের লেখাগুলির ৯৫%-ই ইংরেজিতে।

কাজটা বছর ধরে ধরে (যেমন, ২০০৮ সালে যা যা লিখেছি আর কমেন্ট পেয়েছি, সেগুলি একসাথে) একটু একটু করে করতে পারেন। আমার মনে হয়, পোস্টগুলি আর সেগুলিতে আমার আর আমার বন্ধুদের কমেন্ট পড়লে কারো তেমন খারাপ লাগবে না।

কেউ কেউ বলবেন, ফেসবুকের Download a copy of your Facebook data. ফিচারটা ব্যবহার করে এ কাজটা করা যায়। যায়, তবে ওতে কমেন্টগুলি আসে না। আমি কমেন্টগুলিও চাইছি। এতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর কিছু লেখা উপহার দিতে পারব।

নিজের কাজ নিজে করেন ——- জাতীয় কমেন্ট আশা করছি না। সেটা আমি জানি। আমি অপারগ বলেই সারেন্ডার করে এই সহযোগিতাটা চাইছি।

আমি জানি না, আমি ফেসবুকে কত সালে জয়েন করেছি। আমি চাইছি, জয়েন করার পর থেকে যা যা আছে, সবকিছু।

আর হ্যাঁ, কাজটা ভাগ করে নিলে সহজে হয়ে যেত।

কমেন্টগুলি:

আমি নিলাম ২০০৯, কারণ ২০০৮-এ শুধু ছবি পোস্ট করা, কোনো লেখা নাই।

দাদা, ছবির ক্যাপশন সহ লাগবে?

অ্যাক্টিভিটি লগে গিয়ে চেক করেকরে নিজেই কাজটা করতে পারেন।

আচ্ছা, আমি করে দিব।

দাদা, ট্রাই করবো আজ থেকে।

২০০৮ থেকে? আচ্ছা, আই এই সালের কাজটা নিলাম। শান্ত সাহেব, ২০০৮-এ কোনো পোস্ট নাই, খালি ছবি আছে। আমি ২০০৯ নিচ্ছি, অন্যরা বাকিগুলি নিক।

হুদাই। কাম নাই তোমার, দাদা!

…আমারে একটা কাম দে। বোন, এ ধরনের কথা বলিস না আর কখনও। তুই হয়তো সরল মনে বলে ফেলেছিস, কিন্তু অনেকে অপেক্ষা করে থাকে এমন কিছু শোনার জন্য। আমি খুবই অপছন্দ করি এরকম কিছু শোনা। খুউব!

তাইলে বিয়ে করো!

দাদা হুদা কিছু করে না, যা করেন, চিন্তা করে করেন।

আমি চেষ্টা করে দেখতে পারি…

একজনের পক্ষে পুরোটা করা শক্ত হবে; বরং ০৮-১৫ সালের মধ্যে প্রত্যেকটা সাল ভাগ করে আলাদা করে দায়িত্ব দিলে কষ্ট কম হবে; এবং তাড়াতাড়ি ফিডব্যাক পাবেন।

আচ্ছা বস, আমি ২০১২ সালের কাজটা নিলাম।

আমি ২০১০-টা করি…….

ভাইয়া, একদম শুরু থেকে, মানে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আপনার সব আপডেট আমার কাছে। ওয়ার্ড ফরম্যাটে আছে, তবে কমেন্ট ছাড়া। আমার মনে হয়, এই কাজটার অনেকখানি এগুনোই আছে, এখন দরকার শুধু উক্ত সালের কমেন্টগুলো কালেক্ট করা এবং তা কম্পাইল করা। এই বিষয়ে আমার একটা পরামর্শ আছে, আপনি ইনবক্সটা একটু দেখবেন…

নিজের কাজ নিজে করেন, এমন কথা কোনো নর্মাল মানুষ আপনাকে বলতে পারবে না, ভাই। আপনি যে আমাদের জন্য এতএত করেছেন, তার হিসেব আপনি না করলেও আমরা করি।

যাঁরা এই বিষয়ে আগ্রহী, তাঁরা কষ্ট করে আমার সাথে একটু যোগাযোগ (ইনবক্স) করবেন। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওনার সব পোস্ট আমার কাছে আছে, সুতরাং কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।

ভাইয়া, আমার timeline /personal group-এ আপনার নোটগুলি share করতে চাই। আপনার কি কোনো আপত্তি আছে?

দাদার আপত্তি না থাকলেও আমার আছে। পড়েন আর পইড়া ভাল জায়গায় গিয়া দেশের সেবা করেন।

দাদা, তোমার অমৃতবাণী শোনার জন্য আমরা সবাই প্রতীক্ষা করছি| রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তোমাকে আগাম শুভেচ্ছা।

দাদা, কাজের অভাবে দিন কাটে না। যেগুলোর দায়িত্ব এখনো কেও নেয়নি, ওগুলো থেকে আমাকে ২-৩টা সাল দেন।

দাদা, আমি ডাটাগুলো কপি করেছি ২০১২ থেকে, কিন্তু কমেন্ট তো কপি করিনি!

শুভ জন্মদিন, দাদাভাই, জানি না চোখে পড়বে কি না। তবু কাজটায় যারা উৎসাহী, তাদের কি বলবেন এই লিংকটায় গিয়ে দেখতে? হয়তো উপকারে আসতে পারে তাদের।

স্যার, আমি কিছুদিন হল আপনার ফলোয়ার হয়েছি এবং এর মধ্যে আপনি যা পোস্ট করেছেন, আমি সেভ করে রেখেছি। আমি জানি, আপনার দেয়া পোস্টগুলি ইম্পরট্যান্ট আর আমার কাজে লাগবে। আমার কাছে যা আছে, তা আপনার কাজে লাগলে আমি খুশি হবো।

আমি ২০০৯ সালের গুলো করে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। কিন্তু আমাকে কিছুদিন সময় দিতে হবে। আমিও একটু অলস টাইপের যে। উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।