ছাদবাগানের টরেনিয়া

নিগূঢ়তার যে-পথিক, তার কাঁধে 
অপ্রাপ্তবয়স্ক ভুল কিশোরীর গল্পও থাকে, আবার
ধাতস্থ মানুষের মতন সুখের উন্মাদনাও থাকে।




জীবনে বোধ হয় এমন কিছু সহাবস্থানের প্রয়োজন হয়।




এবার আমি বসতে চাই,
তোমার ছায়া ছুঁয়ে একটু বসতে চাই।
আমি এক ছায়া-ভিখিরি, বুঝলে…বড্ড বেয়াড়া!




নিরাকারে যাপিত আমাদের গল্পগুলোও লিখতে চাই,
কী নাম দেবো তার?




দুই ফর্মার মানুষ;
একটা কাশবন কিংবা খেয়ালি দুপুর,
জোড়াকতক রুপোলি চাঁদ,
কিছুই আমার নেই যে!




মাঝরাত্তিরে কী যেন মনে হলো,
ভাবলাম, যাই না একটু,
দেখি, ছাদবাগানে টরেনিয়া ফুটেছে… 
রঙে মাখামাখি দুই ঠোঁট!




এবার তবে জ্যোৎস্নার হাটে যাব,
যৌগিক মধু বেচে দুঃখগুলো কিনে নেব।




পথে নেমে কুয়াশা ভাঙি,
বৃক্ষতলে জীবিকার গান শুনি।
মনে হয়, হ্যাঁ, এই তো জীবন—
হাতের ডগায় ঝুলে থাকে...
কী বিষণ্ণ…কী বিষণ্ণ!




এত এত ব্যর্থতা, তবুও ইচ্ছে হয়,
বাদামি বিকেলগুলো মুঠোয় পুরে
নিজেকে আমি প্রেমিক বলি!




স্ববর্ণে স্বজাত প্রেম কতটা রাঙাতে পারে,
এই তত্ত্বে আমি যাব না,
ওটা বিশুদ্ধ মানুষদের জন্য—
বেভুল মানুষের বেচাল জীবন অতটা ঝক্কি পোহায় কী করে, বলো!




তুমি বলো, আমি নৈরাশ্যবাদী!
আমিও মানি।
একজনম হেঁটে এসে আমি বুঝি,
অখণ্ডতায় যে-প্রেম, 
সে আমার জন্য নয়!




হ্যাঁ, কী যেন বলছিলাম…ছাদবাগানের টরেনিয়া…
রঙে মাখামাখি দুই ঠোঁট।




মনে হলো, সেদিনই তো
তোমার গলার খাঁজে আমার মুখ,
তোমার বুকের পরে একপাত্র সুখ!