গ্রন্থিচ্ছদন খরসংঘাত

 
তোমাকে ভালো লাগে,
তোমাকে ভালোবাসতে মন চায়,
তোমার সঙ্গ পেতে ইচ্ছে করে,
তোমার সৃষ্টি আমাকে মুগ্ধ করে,
…এজন্যই তোমার কাছে আসি।


আমি কখনও কারও সাথে পথ চলিনি,
কাউকে ভালোবাসি, এটা কোনও দিন স্বীকার করিনি,
যারা আমাকে চেয়েছে, আমি খুব সবিনয়ে নিজের সীমাবদ্ধতা জানিয়েছি।


আমার কোথাও ভালোলাগা তৈরি হলে সেটাকে সংযত করেছি।
তোমাকে ভালোবাসি, এটা স্বীকার করব,
তোমার সাথে মানসিক- আর শারীরিকভাবে চলব,
এসব আসলে আমি ভাবিনি।


এখন ব্যাপারগুলো আমাকে মাঝেমধ্যে খুব ভাবায়।
আমার জানা নেই, তোমার সাথে আমার গন্তব্য কী।
এটা নিয়ে আমি কখনও ভেবে দেখিনি।


তোমার একটা আলাদা জীবন আছে,
এটা ভাবলে আমি অনেকটা সংকুচিত হয়ে যাই।
মনে হতে থাকে, কিছু একটা ভুল করছি, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে!
তখন তোমাকে হারানোর ভয় আমাকে ছেয়ে ফেলে।


তুমি কী করো, তোমার কী আছে বা কী নেই, তোমার অবস্থান কী---
এসব কখনও আমার জানার বিষয় নয়।
তুমি মানুষ হিসেবে কেমন,
আমি এটুকুই জানার চেষ্টা করি শুধু।


তোমাকে ভালোবাসা ছাড়া সত্যিই আমার কোনও চাহিদা নেই,
বেঁচে যাওয়ার জন্য, বেঁচে থাকার জন্য তেমন কোনও কিছুর প্রয়োজন আমার হয় না।
কেননা, আমি অনেক অনেক কিছুই না পেয়ে বেঁচে থাকতে শিখেছি।


বলতে কুণ্ঠা নেই, তোমার প্রতি আমার ভয় আছে। এখনও! এর কারণ আমি জানি না।


ব্যক্তিকেন্দ্রিক কোনও স্বপ্ন আমার কখনও ছিল না।
আমি দেখেছি, মানুষ স্বপ্নকে ভেঙে দিতে পছন্দ করে।
কেন করে, আমি জানি না। তবে আমি মানুষকে ওরকমই দেখেছি।
তাই, তোমাকে নিয়ে আমি কখনও কখনও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ি।


তোমারও আমাকে আরও অনেক জানা দরকার, বোঝা দরকার।
এত সহজে বিশ্বাস করে আমাকে ভালোবাসার কোনও কারণ নেই।
সময় নাও, আমি আছি।
পরে যদি তোমার কষ্ট হয় আমার কারণে, আমার নিজেকে অপরাধী মনে হবে।


আমি তোমার মন খারাপ করে দিয়েছি কি না, আমি জানি না।
শুধু জেনো, আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি,
আমি নিজের অনেক কিছুকে উপেক্ষা করলেও
তোমার কোনও কিছুকে কোনও দিনই উপেক্ষা করব না।
কিছুতেই না, কখনওই না।