ক্যারিয়ার আড্ডা @ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (২য় অংশ)

কিছু কথা…………

কোটাঃ অন্যের সুন্দরী বউ! সে যে আমার নয়………

বিসিএস : ‘দুর্নীতির খোঁয়াড়’

বিসিএস চাকর : স্বেচ্ছায় স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয়ার সম্মতি

পড়াশোনা করতে ইচ্ছে করে না, কিন্তু বিসিএস ক্যাডার হতে ইচ্ছে করে == মা ডাক শুনতে ইচ্ছে করে, কিন্তু বিয়ে করতে ইচ্ছে করে না। বৈধভাবে অসম্ভব! সরি!

‘ভাল চাকরি’……. It’s an oxymoron!! “পৃথিবীতে নেই কোনো বিশুদ্ধ চাকরি।”

একজন নোবডির গল্প

ফিরে দেখা। নোবডি হয়ে থাকার গল্প। সবচেয়ে বাজে রেজাল্ট করা ছেলেটার গল্প; যার একটা সময়ে অনার্স কমপ্লিট করারই কথা ছিলো না, যাকে নিয়ে কেউ কখনো স্বপ্ন দেখেনি। বারবার জীবনের মোড় বদলানোর গল্প। অন্য কারোর জীবনে না বাঁচা, জীবনের সাথে কম্প্রোমাইজ না করা একজন সুখী অসফল অ্যাক্সিডেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারের গল্প, একজন হতাশাগ্রস্ত উদ্যোক্তার গল্প। কষ্টে উপার্জিত পয়সা জলে গেলে কেমন লাগে!!

Identity is more important than existence! কারোর কাছ থেকে পাত্তা না পাওয়াটা ভয়াবহ কষ্টের একটা ব্যাপার।

টিউশনি ছেড়ে দেয়ার গল্প। লোকে পড়াশোনা করার পাশাপাশি টিউশনি করে। আর আমি টিউশনি করার পাশাপাশি পড়াশোনা করতাম। প্রয়োজনে নয়, নেশায়। পরে ভেবে দেখলাম, টিউশনি আসলে আমাদের কী দেয়?……..প্রায়ই পয়সা আর তাচ্ছিল্য; কখনোকখনো সম্মান। সে কাজটা করতে পারাটা সবচাইতে আনন্দের, যে কাজটা অন্যরা ভাবে, আপনি করতে পারবেন না। বাঙালি মধ্যবিত্তের জীবনে প্রাণ বড়, না চাকরি বড়, এ দ্বন্দ্ব বড় দ্বন্দ্ব!

অপমানের দিনগুলো, কান্নার রাতগুলো। “পড়ে গেছো? ঠিক আছে, আরেকবার ঘুরে দাঁড়াও!” এ কথা কেউ বলে না, সবাই শুধু কথা শোনায়! যাকে কেউই চায় না, সে বাঁচে কীভাবে? পৃথিবীতে সবচাইতে কষ্টকর দৃশ্য : মা-বাবার চোখের জল দেখা, যেটার জন্য আমি দায়ী।

বিষের পেয়ালার হার ও অতঃপর। স্রেফ বেঁচে থাকলেও অনেককিছু হয়৷ দেখিই না একটু বেঁচে থেকে! যে জীবনটা আমার মায়ের দেয়া, সেটাকে নিজের হাতে মেরে ফেলাটা যে বড় পাপ! আর ১০জন উজ্জ্বল মানুষের মতো করে না হোক, একেবারে অনুজ্জ্বল একজন মানুষ হয়ে হলেও! সাঁতারু ও জলকন্যা পড়েছেন কি?

জীবনে কিছু না পাওয়ার চাইতে কষ্ট পাওয়াও ভালো। Cry, cry, only to smile better. ‘ভালো কিছু করা’ মানে কী? যা আপনার বাবা-মা আর কাছের মানুষদের মুখে হাসি ফোটায়, তাদের মাথা উঁচু করে দেয়, সেটা করাই হলো ভালো কিছু করা।

মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে মানুষ ঘুরে দাঁড়ায়। আমার পিঠ যে দেয়ালে গেঁথে গিয়েছিল! একটু সহানুভূতিপূর্ণ কথার জন্য কী কাঙালের মতো সবার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতাম! আমিও পারব, এ কথা কেউই বলতো না।

ইফতার পার্টির গল্প। গেট টুগেদারের গল্প। প্রতিটি অপমানের সাথেই সুযোগ লুকানো থাকে।

আমি অনেক খুশি কারণ আমি যা চেয়েছি, তা পাইনি। আল্লাহ মাঝেমাঝে আমাদের প্রার্থনা কবুল করেন আমাদের প্রার্থনা কবুল না করার মাধ্যমে। আল্লাহকে ধন্যবাদ, উনি আমার প্রথম জীবনের প্রার্থনাগুলো কবুল করেননি। দেরি হয়ে যাচ্ছে, এটা বোঝার মতো সময় সবসময়ই হাতে থাকে।

সব প্রার্থনা কবুল হয় না কেন? এর পেছনের রহস্যটা আসলে কী? আমরা প্রত্যেকেই বিশাল একটা মাস্টারপ্ল্যানের অংশমাত্র!