কোনও এক বাবা দিবসে

(লেখাটি অনেক দিন আগে লেখা।)

আজ জুনের তৃতীয় রোববার। প্রতি বছরের এই দিনটা বাবাদের জন্য। গত বছরের বাবা দিবসে বাবার জন্য আমার ওয়ালে কিছু কথা লিখেছিলাম। বাবা এখনও আগের মতোই আছেন। একটুও বদলাননি। না, ভুল বললাম। বদলেছেন। আগের চাইতে শরীরটা ভেঙে গেছে, স্ট্রোক করেছেন একবার। বাবা বরাবরই শিশুর মতোই সরল, সেই সারল্য এখন আরও বেড়ে গেছে। খুব লাজুক ধরনের এই মানুষটি এখন আরও কেমন জানি লাজুক হয়ে গেছেন। সারাক্ষণ মানুষের কল্যাণকামনা করেন; আগের চাইতে বেশি। আপনারা আমার বাবার জন্য প্রার্থনা করবেন। গত বছরের কথাগুলোই আবার পোস্ট করছি।

(ওই লেখাটা এই পোস্টেরই অন্য লেখার পুনরাবৃত্তি, তাই এ অংশে আবার রাখলাম না।)

দুটো কথা।

# আজ যাঁদের বাবা নেই, তাঁদের বাবাদের জন্য এই প্রার্থনা করছি : হে ঈশ্বর! জীবনে যদি কিছুমাত্রও পুণ্য করে থাকি, সেই পুণ্যের ফল আমি আজকের দিনে তাঁদেরকে দিয়ে দিচ্ছি। তাঁদের আত্মা চিরশান্তিতে থাকুন।

# এই মুহূর্তে আপনি যেখানে যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন, আপনার বাবাকে একটা ফোন দিয়ে বাবা দিবসের উইশ করবেন, প্লিজ? উনি হয়তো ‘বাবা দিবস’ কী, সেটা বুঝবেনই না। শুধু জিজ্ঞেস করুন, উনি কেমন আছেন? ওষুধপত্র ঠিকভাবে খাচ্ছেন কিনা? সম্ভব হলে উনার প্রিয় খাবারটা উনাকে কিনে খাওয়ান কিংবা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে দিন। কিছু ফুল কিনে দেয়া যায় না? সাথে ছোট্ট একটা কেক? এতেই ঢের হবে। ঈশ্বর যে মুহূর্তে মা-বাবা সৃষ্টি করেন, ঠিক তখনই উনি তাঁদেরকে খুব অল্পে খুশি হওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতাটি দিয়ে দেন।

শেষকথা।

একটা ছোটলোকি কথা দিয়ে শেষ করছি। (কারণ, আমি এ ব্যাপারে অতিছোটলোকের পর্যায়ে পড়ি।) আমার লেখা চাইলে যে কেউই শেয়ার করতে পারেন। চাইলে আমার নাম লিখে আমাকে ট্যাগ করে কপিপেস্ট করে আপনার ওয়াল থেকে পোস্ট করতে পারেন। মানে, লেখাটা আমার, আপনার নয়, এটা যাতে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, এমন কিছু করে যা ইচ্ছে তা-ই করতে পারেন। (‘সংগৃহীত’ লিখে শেয়ার করবেন না। এতে আমি খুব বিরক্ত হই।) এর বাইরে কিছু করলে, যদি আমি কোনওভাবে জানতে পারি কিংবা আমার কোন শুভাকাঙ্ক্ষী দয়া করে ব্যাপারটা আমাকে জানান, সাথে সাথে ব্লক করে দেবো। নপুংসক থাকবে নপুংসকের মতো। এটাই নিয়ম। বুদ্ধিবৃত্তিক চোরছ্যাঁচড়দের প্রতি আমি বিন্দুমাত্রও মায়ামমতা অনুভব করি না। আপনি আপনার মতো করে আপনার বাবার প্রতি আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করুন। ব্যাপারটা বোঝার জন্য ধন্যবাদ।

(ওই সময় আমি কুম্ভিলকদের প্রতি সত্যিই অনেক খড়গহস্ত ছিলাম। এখন আর অতটা নেই। আমার লেখা যার যেমন ইচ্ছে, তেমন শেয়ার করতে পারেন। আমি এখন আর এতে কিছু মনে করি না। আমাদের পাঠকরা নিশ্চয়ই বোঝেন, আমরা কে কেমন কতটা লিখতে পারি।)