কুয়াশার খাম খুলে/ছয়

দ্য গ্রন্থিক, দ্য ডাগাস, দ্য সাগর অব জ্ঞান, দ্য নিজের-প্রেমে-পাগল আদমি, কেমন আছেন আপনি? আমাকেও জিজ্ঞাস করে ফেলেন! আমি ভাল নাই। কেন? জানি না, মানে জানি, পরে বলবনি, নাও বলতে পারি, আবার ভুলেও যেতে পারি বলতে, তবে আমি বেশি কথা বলি না তো, তাই এত বকরবকর করতে ইচ্ছা করতেসে না। আচ্ছা, আপনার সাগর ড্রাইভারটা কেমন আছে? ওর কাণ্ডকারখানা খুব মজার ছিল। ধরেন, ও যদি কখনও গাড়ি চালাতে-চালাতে হুট করে সাগরে গাড়ি নামায়ে দিয়ে আপনাকে বলে, স্যার, খুব গরম লাগতেসিল তো তাই একটু ঠাণ্ডা হতে সাগরে নামসি, তখন কি আপনি ওর চাকরিটা খেয়ে ফেলবেন? আপনি তো খারাপ লোক, খেয়ে ফেলতেও পারেন! আমি তো ঠিক করসি আপনাকে আর লিখবই না, কিন্তু আপনি যে জ্ঞানের ছমুধ্র! আপনার কাছ থেকে জ্ঞান নিতে না এসে যাব কোথায়? আমার দুনিয়ার সব প্রশ্ন নিয়ে আপনার কাছেই যেতে ইচ্ছা করে! আর কাউকেই ভাল লাগে না! (এই কথাটা কিন্তু সত্যি না, আপনাকে একটু পটানোর জন্যে বানায়েবানায়ে বলসি।)

প্রশ্ন ১। একটা ছোটগল্প আছে, বোধহয় ‘শৃঙ্খল’ নাম। বর-বউয়ের গল্প। এটা কে লিখসেন? প্রেমেন্দ্র মিত্র কি? এটা আবার পড়ার শখ জাগসে! শুনে মনে হচ্ছে না, ওরে বাবা! শানায়া বইও পড়ে! ঘোড়ার ডিম! আসলে মাঝেমাঝে আপনার মতন বুড়াদের সাথে (ওরা বয়েসে বুড়া, আপনি এমনিতেই রেডিমেড বুড়া) বুড়াদের বাসায় বেড়াতে যাই যখন, তখন বুড়ারা গল্প করে, আমার কোনও কাজ থাকে না, তখন হয়তো ওদের বইটই দেখি আরকি! তো এখানে একটা ছেলে আছে, ইবলিশেরও বড় ভাই। যা-ই হোক, বইটা পড়তে ইচ্ছা করতেসে! লেখকের নামটা মনে পড়তেসে না। প্রেমেন্দ্র মিত্র হতে পারে। কীজানিকীজানিকীজানি! (আপনি কি খেয়াল করসেন, আমি পুরাই একটা কী-জানি পাবলিক?)

প্রশ্ন ২। আমরা তো বিপদেআপদে খুব আল্লাআল্লা করি, তাই না? আপনাদের চিটাগাং-এ তো আরও বেশি করে! আর আপনি তো মাশাআল্লাহ চুটকি দাড়িওয়ালা হুজুরের চাইতেও এক ডিগ্রি উপরে! তো প্রশ্ন হচ্ছে, মনে করেন, এক মামলায় বাদি আল্লাহ্‌কে বলল, হে আল্লাহ্‌, আমাকে মামলায় জিতায়ে দাও। তো বিবাদীও সেইম প্রার্থনা করল। প্যাঁচ লাগানোর সুবিধার জন্য ধরে নিচ্ছি, দুইজনই খুব খোদাভক্ত। এখন আপনিই বলেন, কার প্রার্থনা কবুল হবে? প্রার্থনা দুইটা তো সাংঘর্ষিক। এসব ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌ কী করেন? এটা নিয়ে আসলে আমার মাথায় প্যাঁচ লাগসে, আপনি তো ডাগাস, একটু ছুটায়ে দেন! দয়া করে বইলেন না যে কানের কাছে ঘ্যানরঘ্যানর করবা না! তাহলে আমি ধরে নিব আপনার মাথায় বুদ্ধি নাই আর আপনি……আর কী ধরে নিব বুঝতেসি না, তখন ঠিক করব। আর আপনি আমাকে আপনার দাড়িরাখা ছবি শেষ পর্যন্ত আর দিলেনই না? যেটা দিতে পারবেন না, সেটা দেবার কথা দেন কেন? খারাপ মানুষ! ছিঃ! ভাল হইসে, আপনি আমার বন্ধু না। আমার এরকম ছয় নাম্বার বন্ধু দরকার নাই।

প্রশ্ন ৩। আপনার প্রিয় ফুল গোলাপ কেন? আপনি গাছ ভালোবাসেন শুনে ভাল লাগসে। এরকম আর কী কী ভালোবাসেন? আপনার প্রিয় রঙ কী? আর প্রিয় ঋতু? প্রিয় খাবার? প্রিয় পোশাক? আর প্রিয় সব কিছু একটাএকটা করে আমাকে বলেন, আমি শুনতে চাই। আর আরেকটা কথা। দিনের কোন সময়টা আপনার বেশি ভাল লাগে? কেন ভাল লাগে? ওইসময়ে আপনি কী করেন? মনে করে বলবেন, আচ্ছা?

প্রশ্ন ৪। সমাবর্তন ব্যাপারটা আসলে কী? ওই দিন সবাই এত লাফায় কেন? বাড়তি কীসের খুশিতে? এমনিই তো ওরা গ্রাজুয়েট! আর সার্টিফিকেট ছাড়াই তো সবাই দিব্যি চাকরি করতেসেই! ওইটা পেয়ে এতো লাফানোর কী আছে? ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করার জন্য? জানেন, এক বন্ধু বিদেশ থেকে আসছে শুধু এই কারণে! আজঅঅঅব্বব্বব! ছবিতোলা আর পুরান বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়া বাদে আমি তো মজার কিছুই পেলাম না ওইখানে! অ্যাত্তগুলা ছবি তুলসি আমি। আপনি খালি ছবি তুলেন কেন ঢং করে ঢং করে? ওইদিন আমিও একদিনের জন্যে গ্রন্থিক হয়ে গেসিলাম! কিন্তু কার-কার ক্যামেরায় আর কার-কার সাথে যে তুলসি কিছুই জানি না। যার ফলে ছবিগুলা একটাও আমার কালেকশনে নাই। ওইদিন কী যে হইসে! মাগোওওওমা! যে যার সাথে যেখানে পারসে ছবি তুলতে দাঁড়ায়ে গেসে! কিন্তু কেন?

প্রশ্ন ৫। আপনি অ্যাত্তোগুলা লোকের ভালোবাসা সামলান কীভাবে? আমি তো শুধু বাপ-মায়েরটাতেই হিমশিম খাই! ওরা যদি আমাকে ঘিন্যা করত তো আমার জন্যে খুব সুবিধা হত, ফ্রি হয়ে থাকতে পারতাম। আপনি কীভাবে ভালোবাসার এত লোড নিয়ে সুস্থ থাকেন? আমাকে শিখান তো! ভালোবাসা তো পায়ে শিকল পরায়ে দেয়! তারপরও আপনি এইরকম টিংটিং করে ঘুরে বেড়ান কীভাবে?

প্রশ্ন ৬। আচ্ছা, আপনি মরে গেলে তো আমি জানতে পারব, আমি মরলে আপনি জানবেন কীভাবে? তখন তো আপনাকেও একটুএকটু দুঃখ পেতে হবে! তাই না? আল্লাহ্‌র কিরা খেয়ে বলেন দেখি আমার মৃত্যুতে আপনার কিছুই হবে না! তো আসল হোক আর নকল হোক, সেই দুক্ক পাওয়া থেকে আমি আপনাকে বঞ্চিত করব কেন? কী করা যায়? বুদ্ধি দেন! বুদ্ধি দেন! আমি দেই? কিন্তু আমি যে কোনও বুদ্ধি বের করি নাই এখনও! এখন কী হবে? আচ্ছা থাকগা, ৫-১০ বছরের মধ্যে তো আর মরতেসি না, তার আগে আন্দাজে প্রশ্ন বানায় নিয়ে তো ফোন করবইনি, তখন ভেবে বলবনি। আর শোনেন, আপনি যদি কখনও বিরাট কোন ডিপ্রেশনে ভুগেন বা কারও বা কিছু লোকের দ্বারা যদি খুব কষ্ট পান তো আপনার সমস্যা না থাকলে বা আপনি ইশতিরি হয়ে যাবেন এই ভয় না থাকলে, আমাকে নিঃসংকোচে বলবেন। আমি কিন্তু বলতেসি না যে আমি সমাধান দিব। আমি শুধু বলতেসি যে আমাকে গাছ ভেবে সব বলতে পারেন। আর যদি কখনও মরে যেতে ইচ্ছা হয় তো অবশ্যই আমাকে জানাবেন, আমি আপনার কাছে যাব এবং কীভাবে মরেন দেখব, যদি পরবর্তীতে আমার কাজে আসে!

প্রশ্ন ৭। আচ্ছা, নিষ্কাম ভালোবাসা কি একেবারেই হয় না? তাহলে আমার কেন মনে হয় যে আমি এরকম করে ভালোবাসতে পারব? আমি কিন্তু ঢং করতেসি না। আমি জানতে চাচ্ছি, আমার ধারণা ঠিক, না ভুল? মানে, এরকম উদাহরণ কি আছে? এসব কথা ভাবলেই আমার ঘিনঘিন লাগে। মরে যেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আবার আমার ভালোবাসা দিতে ইচ্ছা করে—শতভাগ নিষ্কাম ভালোবাসা। কেউ এটা চায় না, তাই না? কারও অতো সময় নাই। আমার চাচা উনার বিয়ের মাস তিনেক পর একটা দুর্ঘটনায় সারাজীবনের জন্য যৌনক্ষমতা হারান। এরপর চৌত্রিশ বছর কেটে গেল। কই, আমার চাচী তো চাচাকে ছেড়ে চলে যায় নাই! বরং উনাদের মধ্যে যে গভীর টান, সেটা দেখলে আপনি মুগ্ধ আর অবাক হয়ে যাবেন! চাচী খুবই পর্দানশীন মহিলা, অন্য পুরুষের সামনে কখনওই আসেন না! কই, উনার ভালোবাসা তো এতগুলা বছর ধরে নিষ্কামই রয়ে গেসে! তবে সেটা আসল কোত্থেকে? আমার একটা চাচাত বোনও আছে। সেও তার মায়ের মতন, একেবারেই নিঃস্বার্থভাবে দুলাভাইকে ভালোবাসে। (এই বদ লোক, আবার ভাইবেন না যে দুলাভাইয়ের ‘ওই’ ক্ষমতা চলে গেসে। চাচাত বোনটা যে ওর মায়ের এই গুণটা পাইসে, এটা বুঝানোর জন্য ওর কথা বলসি, আর কিসু না। ওকে?) আচ্ছা, এটা সম্ভব কি না বলেন? নাকি এ সবই আমার নিজেকে ভুলচেনা ভুলবোঝা ভুলভাবা? এমন না যে, আমি জোর করে নিজেকে গুটাতে চাই, যা জানি, তা-ই বললাম। আপনার সাথে এদিকটায় আমার মিলে না। আপনি একদিন বলসিলেন, মানসিক বিনোদন বলে কিছু নাই, সব কিছুই শারীরিক ব্যাপারস্যাপার। মানে, শরীরের তাড়নায়ই মন আসে। ফ্রয়েডিয় চিন্তাভাবনা। তাইলে যে আপনার লেখা আমরা পড়ি, আপনি বলেন তো সেটা কী? সবসময় যে আপনার ওয়ালে আসি, সেটা কী? শরীর সুখ পায়, নাকি মন সুখ পায়? তাইলে বলেন যে আপনি ভুল! ওকে? আবার আপনি এটাও বলসিলেন, আপনি যেহেতু ছেলে, তাই নায়িকাদের ফিগার খেয়াল করেন, সত্যি বলার জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু আমি একটু কষ্ট পাইলাম। মানে এগুলা কেন জানি আমার কল্পনার ডাগাসের সাথে যায় না। কী ভ্যাকভ্যাক করতেসি আন্দাজে? ধুউউউর!

আচ্ছা, অনেক কষ্ট করলেন, আমার বকবকানি সহ্য করলেন, এখন খোদা হাপেইজ! খোদা হাপেইজ!! খোদা হাপেইজ!!! আর আসসালামুয়ালাইকুম।

চুপ! আপনি আমাকে আর বিরক্ত করবেন না। আর দয়া করে একটা দয়া করবেন যে আমাকে দয়া করবেন না আর মিথ্যা গল্প করে বেড়াবেন না যে আমি আপনার উপর ক্রাশ খাইসি। ক্রাশম্রাশ বুঝি নারে ভাই! কেন আমার এমন হল? আমি ভেবে বের করসি, একে তো আমি অস্বাভাবিক একটা রিলেশনে ছিলাম, সেখান থেকে বের হয়ে ভালই ছিলাম তারপর ছেলেদের সাথে ফ্লার্টিং যেটাকে বলে, সেটাতে আমি এমনিতেই অভ্যস্ত না (একজন বাদে, আমাদের সবার ছোটবেলার বন্ধু অনুপ দাদা, শুধু ওর সাথেই ফাজলামো করসি আমরা। সে এখন অবশ্য বিয়াটিয়া করে পর হইসে।) তারপর ধরেন যে আমার কী জানি সমস্যা আছে, আমার বন্ধু হয় না, আর আমার এমনিতেও কাউকে ভাল লাগে না। তো একটা গল্প ছিল না? একটা রাজকুমার কত বছর পর জানি ঘুম থেকে উঠে যাকে প্রথম দেখে তাকেই ভালোবেসে ফেলে, মানে চোখের শেষ সুঁচটা যে খোলে, তাকে ভালোবাসে, কিন্তু ভালোবাসার কথা থাকে অন্য মেয়েকে। এরকম কী একটা গল্প আছে না? আমার বোধহয় তাই হইসে। আরে রাজকুমারটা তো ওর দাসীকেই রাজকুমারী ভেবে ভুল করে ভালোবেসে ফেলসিল আর আমি তো প্রথমেই দেখেছি যাকে, সে একটা হাই প্রোফাইল বেয়াদব একটা বান্দা একটা ফরেস্ট গাম্প পুরাই! আমার কী দোষ, আপনিই বলেন? তারপরও চাইলেই আমি আপনাকে একটুও মিস না করে থাকতে পারতাম বা পারব কিন্তু এটা আমি ইচ্ছা করেই করি নাই। আপনার প্রেমে পড়তে আমার ভাল লাগে। একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব আর রুচির পরিচয় সে মানুষটা কার প্রেমে পড়সে, তা দেখে বোঝা যায়। (মানে, আমার ব্যক্তিত্ব আর রুচি, দুইটাই বাজে। বুইচ্চেন নাকি বদ্দা?) ভাগ্যিস আপনি হিন্দু। (মানে কিছু আগানোর সম্ভাবনা (পড়েন, আশংকা!) নাই, তাই রিস্কও নাই।) আর অনেক ভদ্র (ছিলেন আরকি, এখন আর নাই।) আর আপনি লেখক, মানে ফেসবুকে পোস্ট লেখেন আরকি আর কী-জানি কী-জানি কী-জানি একটা তো আছেই যাতে আপনাকে ভাল বলে মনে হইসে, নাইলে এসবের কিছুই আমার জানানো হত না। আমরা মজা করে অবশ্য অনেকের প্রেমেই পড়ি, ওদেরকে নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাসিঠাট্টাও করি, কিন্তু কাউকে বলি না। আমি আপনাকে বলসি, আমার কাছে আপনি অবশ্যই হাসিঠাট্টার বস্তু নন এখনও পর্যন্ত, (আমার বান্ধবীরা জানতে পারলে আমাকে চিবায়ে খেয়ে ফেলবে।) তো আমি কখনও কাউকে নিজে থেকে পছন্দ করি নাই, আবার আমার সুন্দরী বান্ধবী বা বোনদের মত আমাকেও ছেলেপেলেরা অত পছন্দ করে নাই, (দুইজন বাদে) তো আমি জানি না এসব ঘটা করে কীভাবে বলতে হয় বা কীভাবে বললে ছেলেরা খুশি হয়ে যায়। কিন্তু আপনাকে যেভাবেই বলসি আর যা-ই বলসি, আমি আনন্দ (আর একটুউউউ ভয়) নিয়েই বলসি। আমি কিন্তু আমার প্রেমেপড়া অবস্থাটা খুবই ইনজয় করসি। আপনার ভয়ের কারণ নাই, আপনার কাছে কিন্তু কিছু চাই নাই। টাটা।

ফ্রি বুদ্ধি! ফ্রি বুদ্ধি! ফ্রি ফ্রি ফ্রি!

আপনাকে যদি কোনও খেঁদি বুঁচি ঘেঁচি কুঁদি বাটটু খ্যাত আর গা দিয়ে পাঁঠার মত গন্ধ বেরহওয়া আর গ্যাদগ্যাদা সর্দিওয়ালা আর সবুজ রঙের ময়লা লেগেথাকা বড়বড় নখওয়ালা আর ঘেউঘেউ করে কথাবলা মেয়ে পছন্দ করে আর আপনার পিছে ল্যালঠাগুয়ের মত পড়ে থাকে, মনে করেন যে, আমার চেয়েও বেশি ল্যালঠা আর ধরেন যে, আপনি ওর উপর মহাবিরক্ত, কিংবা জোর করে এমন মেয়ের সাথে আপনাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তো আপনি ওকে আপনার পিছ ছাড়াতে কী করবেন? আপনি ওর কাছে ইয়া বড় অংকের টাকা ধার চাইবেন, ও দিবে না, আবার চাইবেন, আবারও চাইবেন! ব্যস্‌, হয়ে গেল! আমার কাছে চেয়ে দেখতে পারেন। কোনও লাভ হবে না! আমি লেলপিই থাকব কারণ আমি ফকির, উল্টা আপনার কাছেই চেয়ে বসতে পারি! তাইলে আমাকে নিয়ে কী করা যায়? আচ্ছা, একটু গালি দিয়ে দ্যাখেন না! প্লিইইইজ! আমি দেখতে চাই কী হয়! কোনও চেঞ্জ আসে নাকি, মানে আপনার উপর ঘিন্যাটিন্যা আসে নাকি দেখতাম। আচ্ছা বাজরাঙ্গবালি, অনেক কথাই তো বলে ফেললাম। এখন খোদা হাপেইজ করি? আসসালামুয়াআইকুম। ভাল থেকেন, হ্যাঁ? আমি আপনার জন্যে প্রার্থনা করব আর ইকটুক্টু বদ প্রার্থনা (অল্পওওওও… মানে ইইইইকটু)। কেমন? সত্যিকারের টাটা। আর আমি জীবনেও আপনার সাথে কথা বলব না। খুশি? আর সমালোচনা শুনতে হবে না! আচ্ছা, আপনার সমস্যাটা কী? এত প্রশংসার দাবি তো আমাদের বানাইসে যে, সেও করে না! আর শোনেন, কেউ হয়তো আপনাকে বলে নাই, আপনি না কোনও ম্যানারই জানেন না। একটু অভদ্র আছেন। মানে, একটু না, বেশি। আমার সাথে একটু ঝুঁকে বিনীতভাবে কথা বলসেন তো ভদ্র বাচ্চা হয়ে গেলেন, না? হুহ্‌! ঢং দেখানোর আর জায়গা পায় না। আচ্ছা, অনেক কথা বলতেসি। এখন ঘুমাতে দ্যান। আর আপনি বাকী জীবন ইচ্ছামতন ভাব নিয়ে থাকেন, ভাবের ডিম পাড়েন, ভাবে তা দেন, ভাবের বাচ্চা ফুটান। দেখবই না আর! থাকেন, ভাল থাকেন, আপনার বাচ্চাভাবদের নিয়ে অনেক ভাল থাকেন। সত্যি কথা বলে আর ব্যক্তিগত আক্রমণ করে আর কষ্ট দিব না। আজকে যদি আমার কথায় আপনার একটুও খারাপ লাগে তো সরি। অবশ্য সরি না বললেও হত, খারাপলাগা খারাপলাগায় কাটাকাটি। আপনার কারণেও তো আমার কত খারাপ লাগসে। তো? সরি উঠায় নিলাম, যান! আর মাত্র একবার আপনাকে লিখতে পারি। সেদিন শুধু সুন্দর কথা লিখব, আচ্ছা?

আপনি শচীন দেব বর্মনকে নিয়ে কখনও কিছু লেখেন নাই, কেন? এমনি বললাম, আমার কোনও লাভ নাই। কিছু ছেলেপেলে দেখি তাঁর গান গায়। ওই যে কী জানি বলে রিমেক না কী জানি বলে, সে গানগুলি গায়, কিন্তু তাঁকে চেনে না। আপনার লেখা তো অনেকে পড়ে, তাই আপনাকে লিখতে বলতে ইচ্ছা করল, তাতে হয়তো শিকড়ের কাছে ছেলেপেলেরা যাবে। অবশ্য আপনার male chauvinist চরিত্র আপনাকে লিখতে দিবে কি না…..লেখকরা কিন্তু মাঝেমাঝে পাঠকদের কথাও শোনে। আমাকে আপনার স্ট্যাটাসের একজন সাধারণ গাঁইয়া পাঠক ভাবলেই তো সহজ হয়ে যায়, তাই না? আমি একটা গাঁইয়া ভূত, কিছু চিনি না। কী কী সব চকলেটের নাম লিখেন……জিনসেং, ফিনসেং…..ওরে বাবা! ভয় পাই! জীবনেও ওসবের নাম শুনি নাই। আমি যখন আপনার ফলোয়ার ছিলাম, তখন এসব লেখা আমার কাছে আসে নাই কেন? আরেকটা প্রশ্ন ছিল, গুগ্লি করে পেলাম না। আমি সত্যি জানতে চাই মুড়ি খাওয়ার মানে কি? এই কথাটা আপনার লেখায় কয়েকবার দেখলাম।

দ্য গ্রেট গ্রন্থিক! আপনি তো জ্ঞান এবং গানের বিশাল হাতি। ‘গাইড’ সিনেমায় এস ডি বর্মনের সুরে অনেকগুলা সুন্দর গানের একটা গান আছে, তো ‘আজ ফির জিনেকি তামান্না হ্যায়’ গানটা কে লিখসে? উত্তর দেয়ার কোনও দরকার নাই। এমনি জানতে ইচ্ছা হইসে। আপনি হিন্দি গানের হাতি কি না, এটা অবশ্য জানি না। শুভ রাত্রি আর অভিনন্দন। হিংসা লাগতেসে, কারণ আপনি পাহাড়ের দেশের মানুষ! পাহাড়-সমুদ্র-জঙ্গল উররররি আল্লাহ্‌! চিন্তা করা যায়! কত্ত লাকি আপনি! পাহাড়ের দেশের মানুষরা কত্ত লাকি! আর শোনেন, আপনি মন খারাপ করতেসেন কেন? আপনার মনখারাপের পোস্ট দেখতে ভাল লাগে না। ফ্রি বুদ্ধি—আপনার পিয়নটিয়ন আর বন্ধু আর শাগরেদদেরকে আপনার সাথে নিয়ে বেড়াতে নিয়ে যান। তাহলেই তো ওদের আর আপনার মন ভাল হয়ে যাবে। আমি জানি না অবশ্য আপনি কিপ্টারও হাতি কি না। ওদেরকে ট্রেনে করে নিয়ে যান আর আসারটা যার যার তার তার। আর নিজের বাসায় যাবেন, সো, খাওয়া তো ফ্রি। তাইলে ওদের ভালোবাসাটাও এক চিমটি ফেরত দেওয়া হবে। (জ্ঞান দিয়ে ফেললাম, সরি।)

দ্য গ্রন্থিক কীভাবে কথা বলে? যেমন করে লিখে, তেমন করেই কথা বলে? আপনি চট্টগ্রামের লোক হয়ে, ওহ্ সরি, ‘ছেলে’ বলতে গিয়ে মুখ ফসকে ‘লোক’ বলে ফেললাম!……ভুল হয়ে গেসে, মাফ করে দেন, তো আপনি চট্টগ্রামের ছেলে, অ্যাত্ত সুন্দর করে বাংলা বলেন, (লেখা পড়ে ধারণা করসি) কীভাবে বলেন? আমার কাছে আপনার এলাকার আঞ্চলিক ভাষা খুব কঠিন মনে হয়। আপনি কি সাধারণ মানুষদের মত করেছে-মরেছে-খেয়েছে বলেন? নাকি আধুনিক পাংকুদের মত করসে-পরসে-খাইসে বলেন? নাকি কলকাতার বাবুদের মত করেচে-মরেচে-খেয়েচে বলেন? নাকি আরও বেশি আধুনিকদের মতন কড়েছে-মড়েছে এভাবে বলেন? খুউব জানতে ইচ্ছা করতেসে। আবার লজ্জাবতীর মতন, থুক্কু লজ্জাবানের মতন মিঁউমিঁউ করে কথা বলেন, নাকি মাচোম্যানের মত ঘড়ঘড় করে কথা বলেন, এটাও খুব জানতে ইচ্ছা করে। আপনার দিব্য বাণী একটু রেকর্ড করে আপলোড করেন না। আমি শুনব আপনার কথা। একটু শুনান না, আপ্নের পিলিজ লাগে!!

কয়েকদিন হচ্ছে, আমার মডেমে টাকা ফুরায় গেসে। মাসে একবার বরাদ্দ, তাই কয়দিন নেটে বসতে পারি নাই। ভয়ের ব্যাপার (আমার জন্যে) হচ্ছে, কী জানি মিস করতেসিলাম। ভাবতেসিলাম, গল্প লিখসেন, আমি দেখতে পারতেসি না। শেষমেশ সেল ফোন থেকেই ঢুকলাম। ওমা! কিছুই তো লিখেন নাই! তেল দেবার মুডে ছিলাম, কিন্তু আপনার ওয়ালে উর্বশী আর রম্ভাদের সাথে তোলা আপনার ছবি বাদে কিছু পাচ্ছি না। ভালই হল, মোবাইলে বাংলা লিখতে কষ্ট হচ্ছে। আমি একটু খ্যাত আছি কিংবা বলতে পারেন সেল্ফ রেসপেক্টের অভাব আছে, তাই ভ্যারভ্যার করে সব বলে ফেলি। অবশ্য একটা অজুহাত (নাকি সুবিধা?) আছে, আমি শানায়া খান! মুক্ত বনের পাখি! (নাকি বনের মুক্ত পাখি?) যা খুশি করতে পারি! যা খুশি বলতে পারি! আমার কোনও বন্ধন নাই! খুব তালবেতাল আর টালমাটাল মুডে আছি, তাই বিনা কারণে আর ফ্রি ফ্রি দ্য গ্রন্থিককে দিলাম অনেকগুলা ব্লেসিংস। দ্য গ্রেট গ্রন্থিকের এসবের দরকার হয় না, জানি, তবু দিলাম। জাজমেন্টাল হবার দরকার নাই, পটাচ্ছি না। সত্যিসত্যি খোদার কসম! ফ্রি, তাই দিলাম। (আপনার ভাষায় দিলুম হবে। আমি খ্যাত আছি, তাই খেলুম, গেলুম বা ঘুমুতে যাব এসব মুখে আসে না। কাউকে বলতে শুনলে হাসি পায় খালি!)

এই, কিছু লেখেন নাই কেন? ধ্যত্‌! শোনেন, আপনি এখন আর আপনার নাই। বুচ্ছেন? আপনি এখন অনলাইন পাঠকসমাজের হয়ে গেসেন। বুচ্ছেন? বিদেশী বোঁচাবুঁচিদের গল্প পড়ব বলে ৭৫ মেগাবাইট কিনলাম! কিছুই পেলাম না, ওয়াল তো ধ্যাড়ধ্যাড়া ছবিতে ভর্তি! ধুউর! আমার ২৮ টাকা পানিতে! কেউ কি কিছু বলসে আপনাকে? আমাকে তার নাম বলেন তো, প্যাদানি দিয়ে ঠিক করে ফেলব। নাকি. . . নাকি. . . নাকি . . . আপনি তুলায়-পড়ে-নাক-গেল-বাঁচারে টাইপ নাকি? অসুস্হ হয়ে গেসেন? মরেটরে যেয়েন না আবার! আচ্ছা, আপনি মরে গেলে কীভাবে টের পাব? কাগজে আসবে? একটা স্ট্যাটাস লিখে মরবেন কিন্তু! আচ্ছা? আমাকে তো একটু মনখারাপও করতে হবে! কত্ত ঝগড়া করলাম! সেলিব্রিটিরা জন্মায়ও নীরবে, মরেও নীরবে—পাশে কাউকেই পায় না মরার সময়।

আমি কিন্তু ফাজলামো করসি, আপনি আবার সত্যিসত্যি ভয়টয় পেয়ে বসবেন না কিন্তু! এবার আমি কিন্তু একটুএকটু ভয় পাচ্ছি! দেখা গেল, আপনি কলার খোসায় পিছলায় গিয়ে হার্ট আট্যাক করে মরে গেলেন! ওরে বাবা! তখন যদি পুলিশ এসে আমাকে ধরে নিয়ে যায়! তখন যদি বলে যে আমার চিঠিগুলার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আপনি রাগ করে মরে গেসেন! আমার কী হবে? বাসায় কোন মুখে আসবো? এবার আমার খুব বেশি ভয় করতেসে! ভয়ের চোটে হাসতেহাসতে মরে যাচ্ছি! ভয় করতেসে! ভয় করতেসে! খুব ভয় করতেসে! আল্লাহ্‌! হেদায়েত কর!

মসিঁয়ে! বাহ্‌! আসলেই তো! অবশেষে দেশে ফিরে আসলেন! মানে দেশটা কাইন্ড অব হেভেন, না? আমি যা ভাবসি, সবই মিলসে! ইয়েইয়াইয়ু! ভয় নাই, ইনশাআল্লাহ্‌ শেষটুকু মিল্বেনানি! (মেবি?) বাবা-রে-বাব্বাআআআ! আপনি যে এতো ঢং করতে জানেন! ফেসবুক নামের দেশ থেকে কয়েকদিন দূরে থেকে কী উদ্ধারটা করে ফেলসেন, শুনি?

রাতদুপুরে পাল্পিটিশন শুরু হয়ে গেল! কী করতে আসলাম? আপনি এটা কী লিখলেন? এবার সত্যিসত্যি ভয় পাচ্ছি কিন্তু! মাথা ঘুরতেসে। আপনাকে জ্বালানোর জন্য সরি। আমি আর এখানে আসব না। গালিটা যাকেই দেন না কেন, দিলেন তো! আপনি অনেক বেশি হট-টেম্পারড। আমার চাইতেও, আমার আব্বার চাইতেও, আমার চাচাদের চাইতেও, এমনকি আমার রাগী বিড়ালটার চাইতেও। এক্কেবারে আনকন্ট্রোলড রাগ! ছিঃ! কানের মধ্যে আর মনের মধ্যে কে জানি (আপনি) এসিড ঢেলে দিল! আমার কেন মনে হয় আপনি কেমিস্ট্রির স্টুডেন্ট? কবে আবার আমাকে গালি দিয়ে বসবেন! আমি ভয় পাচ্ছি! আমার কান্তে ইচ্ছা করতেসে! আপনি কেন মানুষকে গালি দেন? আমার কিন্তু এইগুলা পছন্দ না!

An imaginary message from Zuckerberg: আহহা! স্বপ্নেই নাহয় উনার মেসেজ, এটাও কি কম? Dear Users…..হুম, তার মধ্যে আমি একজন। Before wasting your limited time on rethinking & overthinking about people who attack you personally on Facebook,…..সময়ের স্বল্পতা যাদের, তারা কি ফেসবুক ব্যবহার করে? আমি ঠিক জানি না। rethinking & overthinking কেন বললা? বেশিরভাগ মানুষ, পানির মতন সোজা, এত কিছুর দরকার নাইরে ভাই, thinking-টাই যথেষ্ট। হ্যাঁ, গরম মেজাজের বড় আপিচারদের ভয় পাই। তবে, প্রস্তুতি থাকলে সব গালিতেই আমি খুউউউউল। মেয়েদেরকে দেবার বেলায় তো ঘুরেফিরে বিভিন্ন শব্দে একটাই গালি ছেলেদের—খানকি, (মানে, what do u eat? এটা কোনও গালি হল? এটা তো একটা প্রশ্ন! তাহলে কেন ছেলেরা বোকার মতন এটাকে গালি ভেবে মেয়েদের বরাবরই বলে?) কিন্তু এতে আমার সমস্যা নাই, ওদের আমি ভালোবাসি! আর, শুয়োরের বাচ্চা? Zuckerberg, তুমি চিন্তা করে বল, তোমার দেশের নাদুসনুদুস গোলাপি শুয়োরের বাবুগুলার সাথে তুলনা কি গালি না প্রশংসা? তেল মারতে গিয়ে, racist হয়ে গেলাম! তবে, কুকুরের বাচ্চার ক্ষেত্রে আমি racist না কিন্তু! সাদা, কালো, ঘিয়া, গরিব-বড়লোক সবগুলা কুত্তার বাচ্চাই সুন্দর। আচ্ছা, বর্ণবাদী ইংরেজি কী? You can kindly try two of our features created by my team only for you: Unfriend & Block. আপনার ঐতিহাসিক ঢং আরকি! খুবই ভাল ফেসবুকিয় উদ্ভাবন! কিন্তু আমার কী কাজে লাগবে ওই দুইটা? আমাকে কি কেউ জ্বালায়? বরং আমিই বেতাল ভূতের মতন একজনকে মাঝেমধ্যে……ইয়ে মানে, কিচুনাকিচুনা। Don’t wait longer to see hostile people turn friendly. আচ্ছা যুকারবার্গ ভাই, এ কথা কেন বললা? আমি কি কারও কাছে কিছু দাবি করসি? ঠিক আছে, একটা আপরিচিত ছেলেকে একটু জ্বালাইসি, মজা করসি। চেঞ্জ করতে চাইসি কি? মেসেজ লিখসি, কিন্তু সেগুলা পড়া আর না পড়া, এই দুইটার মধ্যে কোনও পার্থক্য আছে? সিরিয়াস কিছু লিখসি কক্ষনো? ফেসবুকে প্রত্যেকটা hostile মানুষ যদি friendly হয়েও যায়, তাতে আমার কি কোন লাভ আছে? জাজমেন্টাল যখন হলেই, তর্ক করতে ইচ্ছা করতেসে না, আচ্ছা যাও, করব না কিছুই। মেসেজ পাঠাব তাইলে কাকে? আর যে কেউ নাই! আনিসুল হক বা নির্মলেন্দু গুণকে? আমি যে ওদের ভালোবাসি! আর ওদেরকেই বিরক্ত? কীভাবে সম্ভব? আমি সব ভাল মানুষকে ভালোবাসি। একদিক দিয়ে আমি গডের চাইতে গ্রেট—আমি সবাইকে ভালোবাসতে পারি। প্রশংসা, পূজা, ভোগ, বিশ্বাস কিছুই লাগে না আমার, আমার বিরুদ্ধে দুর্নামও চলে—ব্যাপার নাহ্‌! কিন্তু গডের মত আমি কারও জন্য কিছু করিও না, পারিও না। মনেমনে সবার ভাল চাই, এর বাইরে কিছু না। তার উপর গড অকারণে ছেলেদেরকে একটু বেশিই ভালোবাসে! এমনকি আমার বাস্তববাদী বুদ্ধও! (বিশ্বাস না হলে রেফারেন্স দিয়ে দিব।) এসব নিয়ে একটু রাগ আছে! কিন্তু উপায় নাই, লেলঠির মতন ঘুরেফিরে তাদের কাছেই যাই, অহংকার করি না, অনেক উদার আমি, না চাইতেই ওদের মাফ করে দেই। এদিক দিয়ে সব বাপ-মা গডের চেয়ে ভাল, তারা কিন্তু ছেলেমেয়েতে কোনও পার্থক্য করে না। কোথা থেকে কোথায় গেলাম! আমি এত বাচাল হলাম কবে থেকে? কেন হলাম? হয়ে কী লাভ হইসে আমার? না হলে কী ক্ষতি হত? সরি যুকারবার্গ, অনেক বেশি সময় নিলাম। যা বলতেসিলাম, আচ্ছা যাও, যা বলসো, তা-ই হবে। (মানে, চেষ্টা করবনি, আচ্ছা?) If you really don’t need to wait….পিয়ারের যুকারবার্গ, আমি ইংরেজিতে খুব কাঁচা, তার উপর আমার বুদ্ধি খুব কম, মেয়েদের মাথা তো, গোবরে ভর্তি। আমাকে দয়া করে বলবা, এই কথায় তুমি কী বুঝাতে চাইসো? If you can’t be a Jesus Christ, be who the hell you’re. বুচ্চি! বাট Jesus Christ-কে এর মধ্যে আনলে কেন ভাই? লোকটা ভদ্র, অন্যদের চাইতে অনেক বেশি ভদ্র, সন্দেহ নাই, তবে তুমি কি সিওর যে সে একটুও ফেক না? মমমম……না মনে হয়। সে যে গ্রন্থিকের মত ছুপারুস্তম না, তুমি কি শিওর? ভুল হইসে, গ্রন্থিক তো খোলারুস্তম। ঠিক আমাদের V-র মতো। এ কারণে বোধহয় গ্রন্থিক তার ফেসবুক ইনফোতে যেকোনও ধর্ম তার দেয়া ফাঁকা জায়গায় বসাতে বলে! গ্রন্থিক জানে, যেটাই বসানো যাক, তার সমস্যা নাই, কারণ সবগুলা ধর্মই যে গ্রন্থিকরাই বানিয়েছে তাদের মতন করে আর তাদের জন্যই। আমার V এর পুরো নাম বলার সাহস নাই। আমি কাউকে বিশ্বাস করি না। কে জানে, তুমি আমার কথা ফাঁস করে যদি আমার ভবলীলা সাঙ্গ করার ব্যবস্থা কর! আপাতত ধরে নাও, V for Vendetta। (মুভিটা দেইখো, ভাল মুভি।) পরেরটুকুর জন্য বলতেসি, আচ্ছা ট্রাই করে দেখি! Just be original. সরি ভাই, এটা সম্ভব না। আমার আইডিটাই তো ভুয়া! আমি কীভাবে original হব? এসব কথা গ্রন্থিকের জন্য। ছেলেটা নাকি ভাল, কোনও কিছুই লুকায় না (?), মনের সব বলে ফেলে। কোনও অপরাধবোধ নাই। কারণ, সে ভুল কিছু করেই না যে! সে যা, তাই সে দেখায়। ওকে জিজ্ঞেস করো যে, হাগু-হিসু-গোসল-নাকঝারা এইসবও কি সে সবাইকে দেখায়ে করে? ভালভাল কাপড়চোপড় পরে ঘুরে বেড়ায় কেন? এগুলাতে কেন নিজেকে এত রাখোঢাকো? আর, গালির বেলায় নয় কেন? ওর কাছ থেকে অপ্রাসঙ্গিক দুইটা কথাও একটু জেনে দিতে পারবা? স্মাগলারদের চাইতে তার ক্ষমতা একটু বেশি বলে তাদের সবার সামনে গালি দিতে পারে। তার চেয়ে যার ক্ষমতা বেশি তাদেরকেও কি সে এভাবে গালি দিতে পারবে? নাকি সে জোর খাটায় শুধু দুর্বলদের কাছেই? সে যে কত original, এটা দেখাতে পারতাম ঠিকই, কিন্তু দুর্গাপূজার কথা বলে সে দুর্বল করে ফেলসে শানায়াকে। আবার বেচারা উগ্র হলেও অনুভূতির প্রাবল্য একটু বেশি, একটুতেই হ্যাং করে, এমনিতেই স্মাগলাররা ঘুমাতে দেয় না ওকে, তার উপর আমি কিছু বলে তার পুজোর আনন্দটা মাটি করব না। আর কীসে জ়ানি ভয় লাগসে। আসলে, কীসে, সেটা জানি, কিন্তু বলব না। অনেক কথা বলে ফেলসি। আচ্ছা, আমি কি বেশি সাহস দেখাচ্ছি? আল্লাহ্‌ ভরসা! এই যে যুকারবার্গ, আমি কিন্তু এইগুলা তোমাকে বলসি, গ্রন্থিককে কিছু বলি নাই।

ডাগাসসসস, অতো প্যাঁচমার্কা ইংরেজি কথা লিখেন ক্যান? জানেন না, আমি একটু ভ্যাবতা আছি? আপনার সব কথাই তো আমার বুঝতে ইচ্ছা করে, সেগুলা নিয়ে ভাবতে ইচ্ছা করে। আমি কী করব?

আপনার দুইটা নোট পড়লাম, পড়ে কেমন জানি হয়ে গেলাম। একটু অপরাধবোধ কাজ করতেসে। আমি যা বলি নাই, আপনাকে তারচে অনেক বেশি খারাপ ভাবসিলাম। বুঝতে পারসেন কি না জানি না, আমি কিন্তু আপনাকে তেলের সাথে অনেক খোঁচাও মারসি। সরি বলতে লজ্জা করতেসে, তবে আসলেই সরি ফিল করতেসি। আমি যদি ছেলে হতাম বা আপনি যদি আমার চেয়ে ১০-১২ বছরেরও বড় হতেন, তাহলেও হয়তো প্রাণ খুলে প্যানপ্যানানি প্রশংসা করে নাস্তানাবুদ করে ফেলতাম আপনাকে। আসলে, আপনি চ্যাংড়াটাইপ, তাই অস্বস্তি হচ্ছে। আমি কী বলি, আর আপনি কী ভেবে বসেন, এই ভয়টা আমার মধ্যে আছে। যদি প্রেম-পিরীতি কিছু ভেবে বসেন! ইল্লিইক্কক্ক!! ফাজলামো করলে আলাদা কথা, তবে সিরিয়াসলি আমি তা-ই বলি, যা ফিল করি। ইদানিং মিথ্যার ব্যবহারটা এমন হইসে যে, মিথ্যা বললে সবাই মেনে নেয়, সত্যি বললে সন্দেহ করে আর খুঁটায়েখুঁটায়ে দেখে বেশি করে। কী বিরক্তিকর! কী জঘন্য!

আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করতেসে। নিজের কথা বলতে ইচ্ছা করতেসে। দেখলাম, পোস্টে ফোন নাম্বার আর ইমেইল ঠিকানা দিসেন। ভয় নাই, এমনিতেও আমি কাউকে ফোন করি না। আমি একটু কিপ্টা আছি তো, তাই। হয়তো আরও মেইল লিখতে পারি। মেইলে কি অভ্রের বাংলা যায়? আমি জানি না। নাকি ফাইল করে দিতে হবে? কত স্প্যাম মেসেজই তো আসে, তাই না? সব পড়তে হবে, এমন কথা নাই। এখনই লিখব না। আগে মায়ের পারমিশন নিব। আপনার পরশুর কবিতাটা আরেকবার পড়ব, আরেকবার কাঁদব। আমি ঠিক করসি, সপ্তাহে একবার এসে, একটা করে নোট পড়ব। সব পড়ে ফেললে তো সব শেষ হয়ে গেল! আপনি আবার ভেবে বইসেন না যে, আমি আপনার লেখা পড়ে কাঁদসি। মন খারাপ ছিল আর অনেক কথা মনে পড়ে গেল।

আর শুনেন, আমি কিন্তু আপনাকে একেবারেই জ্বালাই নাই, জ্বালানো কাকে বলে, আপনি কিছু জানেন না। আমরা জ্বালাতাম ফোনে, এক বুড়িকে। ছোটবেলায় মামার বাসায় ফোন করতে গিয়ে রং নাম্বারে চলে গেসিল, বুড়িটা এতই খ্যাঁকখ্যাঁক করে উঠসিল যে আমরা পেয়ে বসলাম। রোজ জ্বালাতাম, বুড়ি হায়রে আভিশাপ আর গালি দিত! বড় হবার পর, ছোটবোনদেরকে এই গল্প শুনাতে গিয়ে ভাবলাম, একবার খোঁজ নেই। হইসে কী জানেন, বুড়ির স্মৃতি এতই ভাল যে সব মনে রাখসে! শয়তান বুড়ি আবার গালি দেয়! আমি ভালমনে জিজ্ঞাসা করলাম, মরিয়মের নানি, তুমি এখনও বেঁচে আছ? ওমা! হায়রে বকা দেওয়া শুরু করল! শয়তান বুড়ি! সে আসলে ভালকথার মানুষই না! আমি কিন্তু মরিয়মের নানিকে মিস করি! কিন্তু ফোন করতে পারি না, এখন সব ফোনে নাম্বার উঠে যে! একটা প্রশ্ন, আপনার এবারের ঈদের সাদা পাঞ্জাবিটা খুব্বি সুন্দর। এত্ত এমব্রয়ডারির কাজ! গা কুটকুট করে না? রাজ়শাহীতে কেউ নাই আপনার? তাকে বলেন, খদ্দরমদ্দর না কী মটকাফটকা কী জানি বলে, সেই কাপড় কিনে পাঠাবে।

আমি আপনাকে ঈদের সারারাত জেগে একটা কিছু লিখলাম, লিখতেলিখতে আবার মন ভাল হয়ে গেসে। আবার সুখী বাচ্চা শানায়া হয়ে গেসি। পাঠাব না, পাঠাব না করেও পাঠায়ে দিলাম। এত লজ্জা লাগসে! অ্যাত্ত বড় লেখা! আমার উপর কারও থিওরি খাটে না। আমি আর আমার মেইল, দুইটাই মৈনাক পর্বত। না পড়লে ভাল, যদি আপনি ভুল করে পড়েও বসেন তো পিলিজ নিজেকে ছেলে বা মেয়ে না ভেবে, মানুষ ভেবে পড়বেন। নিজেকে পু্রুষ না ভেবে শুধু মানুষ ভেবে কখনও দেখসেন কি? আমি কিন্তু আপনাকে এখন মানুষ ভাবতেই বেশি পছন্দ করি। পুরুষ লেখকেরা কি আগে মানুষ? নাকি আগে পুং? আমি জানি না।

ইস! কী ঘিনঘিনা রোমান্টিক আপনি! আমি তো আপনাকে আসল পুং ভাবসিলাম। কোন বেটির জন্যে কী কীসব লিখে বেড়াচ্ছেন? আপনার লেখা পড়ে কত্তগুলা মেয়ে আজকে ভয় পেয়ে গেসে, খেয়াল আছে? যাক বাবা! পরের স্ট্যাটাসে তবু হুঁস হইসে! ভয় পেয়ে গেসিলাম। ভাবসিলাম, আপনার সব হিউমারসেন্স বোধহয় চলেই গেল! সত্যি বলতেসি, আপনি অন্য পর্যায়ের মানুষ। আপনাকে যে ভালোবাসবে, সে চরম সাহসী অথবা চরম বোকা অথবা আপনার মতন চরম গ্রেট। আপনার জন্য আপনার মতই কিছু অপেক্ষা করার কথা। সাধারণ মেয়েরা আপনার জীবনে আসবে কেন? ওরকম কেউ আপনার জীবনে এলে সারাজীবন কেবল কষ্টই পাবে। কোনও সৃষ্টিশীল মানুষকে বিয়ে করা সুখকর কিছু নয়। সাধারণ মেয়েরা হয়তো, শুধু চুপচুপ করে বা মাঝেমধ্যে জানিয়ে দিয়ে আপনাকে দেখবে। তাদের জন্যে এটাই অনেক। ভুলে যাবে না কিন্তু, সে প্রশ্নই আসে না! কিন্তু পুং ভাই, আপনারা কীভাবে ওদের মনে রাখবেন দাবি করেন? আপনারা তো ইহজীবন+পরজীবন, দুই জীবনেই সত্তরটা করে হুর পাবেন! (ওরে বাবারে! ১৪০টাআআআ! আমি অজ্ঞান!) মানুষ অ্যাত্তজনকে মনে রাখে কীভাবে? উফফ! পুংরা আসলেই জিনিয়াস!

দ্য গ্রেট গ্রন্থিক, আমি তো আপনাদের মতন অতো ইশমাট না, আমার গানের দৌড় বা রুচি আমার ছোটফুপা আর মামা আর মা পর্যন্ত। তারা যা শুনসে, আমি তা-ই শুনি নাই সবগুলা, তাইলে তারা যা শুনে নাই, আমি তা শুনব কীভাবে? আমি না আবার চোরের মতন, আপনাকে না বলে, আপনার স্ট্যাটাস থেকে না গায়িকার নামটা আর গানটা নিয়ে না……লিরিক আর গান, দুইটাই ডাউনলোড করলাম, গানটা শুনলাম, আর কথাগুলা পড়লাম। (ধুউউর! আমার কোনও ব্যক্তিত্ব নাই, তাই না?) ইস! এটাও আমার গান! এই গানও আমি নিয়ে নিলাম! গানটা কে লিখসে? খুব জানতে ইচ্ছা করতেসে। থাকগা, বলতে হবে না, আমি এমনিও চিনতে পারব না। একটা কথা বলা হয় নাই, প্রথম যেদিন আপনার সাথে কথা বললাম না, সেদিন আমি রেগেমেগে বলসিলাম, আপনার প্রোফাইল দেখে আসি। মনে আছে? আসলে ঘোড়ার ডিম দেখসিলাম! একটু চোখ বন্ধ করে শুয়েটুয়ে থেকে, শক্তি যোগাড় করে, আন্দাজে ঢিল ছুঁড়সিলাম। সরি! আর আপনার প্রোফাইল পিকচারটা সুন্দর। আমি না জ্ঞান না দিয়ে থাকতে পারি না। ফ্রি জ্ঞান দিই একটা: আপনি যাকে আপনাকে পছন্দ করাতে চান, তাকে বলবেন, প্রোফাইল পিকটার দিকে যেন ৫ মিনিট তাকায়। দেখবেন, ব্যস্‌! চিৎপটাং!

আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, আপনি ইংরেজিতে ঝাক্কাস ঝাকানাকা একটা স্ট্যাটাস দিবেন। ও, আমি বলসি দেখে এখন আর দিবেন না, তাই না? আমি খুব জ্বালাই? আচ্ছা, সরি। সবাই ‘ভালোবাসা’ বানান ‘ভালবাসা’ লিখে, আমি ভাবতাম ইচ্ছা করে ওরম লেখে। এখন তো দেখতেসি, না, ওরা আসলে না জেনেই ভুলটা করে। ও আল্লাহ্‌! আমি সব জায়গায় ‘ভালবাসা’ লিখি! হায়রে অশিক্ষিত মূর্খ গাধা আমি! আপনি তো লেখক মানুষ, বলেন তো এখন কী কাল? শরৎ? নাকি হেমন্ত? আমার জানা নাই, তবে শরৎ-শরৎ ফিল করতেসি। আপনারা মানে লেখকেরা কী ফিল করতেসেন? নাকি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এখন গরম? কেউ এসব নিয়ে লিখতেসে না কেন?

আপনার কী হইসে? কিছু লেখেন না কেন? প্রতিদিন তো আর কেউ লেখে না। আমি জানি না, আপনি কি আগে থেকেই এরম মাঝেমাঝে অফ থাকতেন? আপনি কিছু না লিখলে মনে হয় আপনার মন খারাপ। এবং এটা সংক্রামক। আমার মতন বিন্দাস থাকতে পারেন না? আর কত তেল দিতে হবে আপনাকে? তেল শেষ হয়ে গেসে। এখন বলবেন যে তেল দিতে কে বলসে? তাইতো! কেউ বলে নাই। আমি উপযাচক হয়ে দিই। দিই, বেশ করি! আপনার একটা বেয়াদব ভক্ত, আপনার লেখা পড়তে বসে থাকে আর তাতে আপনার কিছুই এসে যায় না, না? ভাল্লাগেনা কিসু। সরি। জানি না কেন সরি। তবে সরি।

একটা সত্যি কথা এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ—আপনার চিঠির স্ট্যাটাসটা এতই ন্যাকা হইসে! উফ! কী যে হইসে! বলতে পারতেসি না। আল্লাহ্‌গো, মাফ কর! আমি যদি ছেলে হতাম, আর এরম চিঠি পেতাম তো ঘিন্যায় মরেই যেতাম। উফ! ছেলেদের রুচি! বলেন, পড়তে আসছি কেন? বলেন, বলেন! বলেন না! সরি, মুয়াফি দেন! আপনার epic first love-এর দোহাই! কিছু একটা লেখেন। আমার মতন অনেকেই অপেক্ষা করে আপনার নতুন লেখার জন্য। পিলিচ, একটা গালি হলেও লিখেন, ন্যাকা কথা হলেও লিখেন, নাহয় অন্যের কথাই লিখেন! কিছু একটা লিখেন……

আমি খুব হ্যাপ্পিইইই। আপনি এভাবেই থাকবেন, আচ্ছা? কিচ্ছু লিখবেন না, আচ্ছা? আপনার চুপ করে থাকাটা খুব এনজয় করতেসি। এতই যে ভাল লাগতেসে, কী আর বলব! আপনি অনেক ভাল আছেন। তাই না? মন বলতেসে। কেন, জানি না। আপনি ইচ্ছা করেই লিখতেসেন না এবং ভাল আছেন। আচ্ছা দু’আ পড়ে ফুঁ দিয়ে দিলাম। আরও ভাল থাকবেন। যদি বিশেষ কারণে না লিখেন আর যদি বুকের পাটা থাকে তো বলে দেন, এই-এই কারণে লেখা বন্ধ। আপনার কত্ত ফলোয়ার, ওরা মন খারাপ করতেসে না? ওদের কথা ভাবেন না? এত স্বার্থপর কেন আপনি? অসুস্থ থাকলে সেটাও তো এক লাইনে বলে দেওয়া যায়। আমার ধারণা, আপনি যে স্বার্থপর, অহংকারী, মুডি এসব অন্য কারও মুখ থেকে শুনতে খুব চান, তাই না? তাহলে একটু পুংপুং ভাব আসবে! অতি দুঃখের সাথে বলতেসি, আপনি এগুলার কোনওটাই না। আপনি খুব্বি ওই তিনটার উল্টা। আপনি অতি কোমল এবং নরম এবং মধুর এবং দয়ার সাগর। হাহ্! হাহ্!

আমি কি আপনাকে জ্বালাই? পড়লেন না মেসেজ! হয়ে গেল! ইগনোর করেন! ঝামেলা শেষ! ভাল লাগে না। নিজের উপর রাগ হচ্ছে। গেলাম। আগামী ৫ দিন আর আসতেসি না এখানে। জ্বালাতেও আসতেসি না, দেখতেও না। এর মধ্যে যা লিখার লিখেন। আমি পুরনো লেখা পড়ি না। একটা সত্যি কথা বলি? থাক। বললে আবার আপনি জাতে উঠে যাবেন এক্কেবারে সপ্তম আসমানে! অনেক কষ্টে কথাটা বলার লোভ কন্ট্রোল করলাম। ভাল থাকবেন।

দ্য গ্রন্থিক, বলেন তো কী হইসে? আপনি যে কীসের অভাববোধ করতেসেন, আমি তো সেটাই বুঝতে পারতেসি না। কীভাবে বোঝা যাবে? আপনি জ্ঞানী বোকা, না জ্ঞানী চালাক, আমি সেটাই তো বুঝি না। জ্ঞানী ঠিক আছে, বোকা অসহ্য, আর জ্ঞানী চালাক? উরররেব্বাপ! খুবই ভয়ংকর!

আপনি কি অস্বস্তিতে থাকছেন? কেউ আপনাকে পড়ার চেষ্টা করতেসে? কোনওভাবে কি আমি অপরাধী? আমি আপনাকে পড়তেসি না। বিশ্বাস করেন, আমি আপনার সমসাময়িক লেখা আর কয়েকটা নোট বাদে কিছুই পড়ি নাই। আর আমার তো কিছু মনেই থাকে না! আমি তেমন কিছুই খুঁটায়ে দেখি নাই আপনার। এমনি আন্দাজি ঢিল মারি। এমনিএমনি জ্বালাই। ভাল লাগে জ্বালাতে। এখন বলেন, শুধু আপনি কেন? তাই না? আপনি……উমমম্‌…… কারণটা আমি জানি না! হয়তো আপনার ভাগ্য খারাপ। কিংবা……কিংবা……কিংবা……আপনার পাপের ফল! আপনাকে কে বলসিল আন্দাজে ঢং করে হ্যাঁল্লোঁওঁওঁওঁওঁওঁ বলতে? হ্যাঁ? আপনার বলে টাইম কম? আমি ডাকসিলাম আপনাকে?

আমি যদি আপনাকে দেখা বন্ধ করি, তাইলে কি স্বস্তি পাবেন? সাহস করে, বোবাদের মতন আকারেইঙ্গিতে বলে ফেলেন তো দেখি! আমার উপর আস্থা রাখেন। আমি নিজেকে ভাল কন্ট্রোল করতে পারি। (দেখে মনে হয়?) আপনি যা বলবেন, আমি তা সত্যিই শুনব। ইচ্ছা করেই বিরক্ত করি। আপনি জানবেন না আর আমি চুন্নিপনা করব, তা আমি না। আমি সিরাম আর্দশবাদী লক্ষ্মী বাবু। অন্যের কাছে যা-ই হই না কেন, নিজের কাছে সৎ থাকি। চুরি করি না কিংবা করলেও জানায়ে করি বা করার পর বলে দেই (বিপদ বুঝে)। আপনার মনে কিংবা মাথাতে ইংরেজিতে কী চলতেসে আমি তার কিছুই বুঝতে পারতেসি না। সাবটাইটেল না থাকলে আমি সাহেব-হিরোদের মুখের কথাই তো বুঝি না, মুখ বন্ধ থাকলে বুঝব কীভাবে? মিসির আলি নিজেই, ক্লু না পেলে কিছু সমাধান করতে পারে না আর আমি তো মাথায় গোবর ভর্তি একটা গাধা। আমি কীভাবে বুঝব! আচ্ছা যান, ওই চিঠির স্ট্যাটাস ভাল হইসে। এইবার তো খুশি, না?

পুনশ্চ, ৫ দিন শুরু হবে আজ রাত ১২.০০টার পর থেকে। আর আমি পাঁচ দিন কমায়ে চার দিন করসি। আমার ইচ্ছা! সত্যি বলতেসি। আগামী চারদিন আপনি ফ্রি। আমার বোনের অ্যাকাউন্ট থেকেও আপনাকে দেখব না। জানেন, আমার বোন এতই গাধা যে ওর মোবাইল নাম্বার পাসওয়ার্ড হিসেবে দিয়ে রাখসে! হাহ্। আচ্ছা, আপনার বাসায় কিছু হইসে কি? মানে, বাসার সবাই ঠিক আছে? ঠিক আছে নিশ্চয়ই। নাইলে গতকাল রাতে আপনি অনলাইনে থাকতেন না।

দ্য গ্রন্থিক, সরি। আমি আপনাকে একটা ভুল তথ্য দিসি। চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহী আসতে কত সময় লাগে, আমার জানা নাই। আমাদের তো সময় লাগসিল ১৮ ঘণ্টারও বেশি । আমরা ওইবার যে টেকনাফ থেকে আসতেসিলাম, তখন! তাও আবার কক্সবাজার-টক্সবাজার ঘুরে, কয়েক জায়গায় থেমেথেমে। আপনারদের কত সময় লাগে, আমি জানি না। আপনি আমার পরের চাকরিটা পাবার আগে রাজশাহী আসবেন না। প্লিজ। আমার চাকরির আগে আসলে আমি দেখা করতে পারব না যে!

আপনার কীসের যে এত ব্যস্ততা, আমি তো সেটাই বুঝি না। লেখালেখি করবেন বলে নাকি সরকারি চাকরি করলেন, আবার কিছু লেখেনও না! করেনটা কী? নাকি এটা একটা স্টাইল? আপনার চেয়ে আমি বেশি ব্যস্ত থাকি। চা বানাতে হয়, খাবার গরম করতে হয়, টেবিল পরিষ্কার করতে হয়, আবার আপনার খোঁজও নিতে হয়! আপনাকে এগুলা করতে হয়? আপনার সাথে কথা বলে আরেক বিপদে পড়সি। আরাম করে খোঁচাও মারতে পারতেসি না। জ্বালাতেও পারতেসি না। আস্বস্তি লাগতেসে জ্বালাতে। ধুররর্‌! আচ্ছা বাই। আর একটা কথা, আপনাকে পড়া দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ কাজ। আর আপনার ভাব নেবার স্টাইলটা খুবই পুরানো। আমরা স্কুলকলেজে এসব পার করে আসছি। খোদা হাপেইজ। আর আমাকে বাজতে বললে, আমি নিজে থেকেই বাজব, আর বাজতেই থাকব, তাই আমাকে বাজানোর দরকার নাই। Be raw আর be direct আর be original. আচ্ছা? আর আমার অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাইলে, আগের মতন হয়ে যান। কী? হইসেটা কী? আর সরি আর থ্যাংক ইউ। আর আমি কিন্তু আপনার সত্যিকারের ভক্ত। একটু খারাপ আছি, তাও ভক্ত। আর এখন, মানে এই মুহূর্তে আরেকটু বেশি ভক্ত। কেন, বলা যাবে, কিন্তু বলব না। আপনি খুঁজে বের করেন তো দেখি! আপনি নিঃস্পৃহ ভাব নিয়ে থাকেন, বাট আপনি কৌতূহলী। আপনি নিশ্চয়ই ওই কারণটা জানার চেষ্টা করবেন আর ওইটা নিয়ে ভাবতে থাকবেন। এটা ভেবে শান্তি লাগতেসে আর হায়রে ভাল লাগতেসে!

দ্য গ্রেট গ্রন্থিক, আপনি তো দেখি ইশটারদের চাইতেও বেশি ব্যস্ত থাকেন! ভাল। ইশটারের সময় নিতে আমি বুই পাই! যদ্দুর জানসি, ইশটার আপনি আগে থেকেই, তো হঠাৎ আপনি গম্ভীর হয়ে লিখতেসেন কেন? আপনি বইয়ের কথা আর লিখতেসেন না, ডিউটির গল্প করতেসেন না, তাণ্ডব নাচ নাচতেসেন না, ডাবল মিনিংওয়ালা ফালতু জোক করতেসেন না, নিজের নাম্বার দিয়ে বেড়াচ্ছেন না, শতাব্দীদেরকে ভালোবাসতেসেন না, ফুচকা-চটপটি কিংবা আংটি বানিয়ে রিং চিপস খাচ্ছেন না, পুংচোখে মেয়েদের দেখতেসেন না, নিজেকে জাহির করতেসেন না, নিজেকে মহিষাসুর বানাচ্ছেন না, সেলফি দিচ্ছেন না, নিজেকে হ্যান্ডসাম আর লম্বা বলতেসেন না। (এই লাইনটা পড়ে, মানে আপনার বলার ধরনে আমি না হাসতেহাসতে অজ্ঞান হয়ে গেসিলাম!)……আমি এগুলা খুব মিস করতেসি তো! আমার খুব ভাল লাগত। আমি ফেসবুকে বসলে একবার আপনার প্রোফাইলে ঢুঁ মেরে যাই, কিছু লিখসেন কি না দেখি। ছিঃইইইই! আমি কত লেলঠি! তাই না? আসলেই! নিজের গালে নিজের হাত দিয়ে কইষ্যে আড়াইখান চড় লাগাইতে ইচ্ছা করতেসে! সেলফির কথা বলায় মাথায় আসল, সেলফি তোলার জন্য ড্রেসের কালার হিসেবে সাদা বা কালো, কোনও রং-ই আসলে ভাল না। দুইটাই খুব কমন। আপনি ছেলেমানুষ না? আর্থটোনের কাপড় পরবেন! আর্থটোন মানে ন্যাচারাল কালার। যেমন, শ্যাওলা, তারপর ধূসর, তারপর গাছের চামড়ার রঙ, তারপরে মাটি, তারপর ছাই/সিমেন্ট, তারপর এইতো, এইগুলা আরকি! ঠিক করে বলতে পারলাম না। এখন এগুলা পরাও বন্ধ হয়ে যাবে। না? শানায়া পরতে বললে তো আর পরা যাবে না। শানায়া পূর্বে যেতে বললে গ্রন্থিককে পশ্চিমে যেতেই হবে! হাহ্‌! হাহ্‌! তাইলে কী পরবেন? লাল? গোলাপি? হলুদ? ইয়াক্‌! আপনি না বলে আসল পুরুষ? আচ্ছা যান, কমন সাদাকালোই পরেনগা, যান! দুইদিন আগে, আপনার ছোটভাইয়ের বিয়ে খেলেন না? ওখানকার ছবিতে আপনাকে সুন্দর দেখাচ্ছিল। আল্লাহ্‌র কসম। বলেন যে, আমাকে তো সুন্দর দেখাবেই, আমি লম্বা আর হ্যান্ডসাম তো তাই……হাহাহা……মানুষ ক্যাম্নে যে এতো আত্মপ্রশংসা করতে পারে! আল্লাহ্‌! হেদায়েত করো!

আচ্ছা, আপনি রাজশাহীতে একটা সেমিনার করেন না কেন? আমি অবশ্য শাহরুখ খান আসলেও ধাক্কাধাক্কি করে দেখতে যাব না। তার উপরে এই বয়েসে ঠেলাঠেলি করাটাও কেমন দেখায়! আচ্ছা, বোরকা পরে যাবনি! আসার অন্তত দুই-এক মাস আগে স্ট্যাটাস দিবেন, আচ্ছা? আমার মাপের তো বোরকা পাওয়া যাবে না, টাকা জমাতে হবে, কাপড় কিনতে হবে, এরপর বানাতে হবে। এক মাস তো লাগবেই। আপনি কি ওগুলা (মানে, ওই যে বললাম, হ্যান কিনতে হবে, ত্যান কিনতে হবে, এই সেই……) চট্টগ্রামের ভাষায় বললেন? মজা পাইসি। একবার বলেন তো দেখি! ও……নাআআআ! আমার কথা শুনলে তো আপনি আবার পুংলিঙ্গ থেকে ইশতিরিলিঙ্গ হয়ে যাবেন। থাক বাবা!

আরররে বরাবর সাত হাজার ফলোয়ার্স! দেখসেন, আমি আপনার জন্যে কত্ত লাকি! আচ্ছা, দ্য গ্রেট গ্রন্থিক, একটা ব্যাপার মাথায় ঢুকতেসে না। দেখতে পাচ্ছি, ছেলেপেলেরা বলছে যে আপনাকে স্মাগলারদের পিছে সিনেমার মতন নাকি গাড়ি নিয়া ছুটতে হইসে? আমার প্রশ্ন, এয়ারপোর্ট থেকেই কেন ধরা গেল না? সে কি আপনাদের সাথে কাবাডি খেলে ফসকায়ে চলে গেল? তাইলে কী আর? আচ্ছা, নাই ফসকালো, বুঝসি, তারপর আপনি দাঁড়ায়ে থাকলেন আর ও সুন্দর করে গাড়িতে উঠে চলে গেল? তারপর আপনে পিছেপিছে গেলেন? ব্যাপারাটা কী আসলে? আমার খুব জানতে ইচ্ছা করতেসে। একটু বুঝায়ে বলেন না!

আজ সারাদিন পর রাতে এফবিতে বসে কী দেখসি, জানেন? আমি কিন্তু জানি না যে আমি ওয়ালে কিছু লিখসি, কিন্তু নোটিফিকেশন পাইসি লাইকের আর কমেন্টের। আমি গতকাল যদ্দুর মনে আছে, আমার খ্যাত্রা মোবাইলে আপনার প্রোফাইলে ঢুঁ মারতে নাম লিখে সার্চ করসিলাম। (আমার খ্যাত্রা মোবাইলে আইডি নেইম পুরাটা লিখতে হয়।) কিন্তু আমার খ্যাত্রা গাধা মোবাইল কী করসে, জানেন? আপনার নামটাকে স্ট্যাটাস হিসেবে কখন যে পোস্ট করসে আল্লাহ্‌ই জানে! ভাগ্যিস, রাতে বসছিলাম, নাইলে থেকেই যেত। আমি পেটের সব কথা ভসভস করে বলে দিলেও, আপনাকে জ্বালাই, সেটা এখনও কেউ জানে না। কিন্তু একটা দাদা কমেন্ট করসে! ঈঈঈঈঈঈ……! চোরের মন! ভয়ে আছে! ভয়ের চোটে আমি কারও কিছুতেই লাইক না মেরে পালায়ে আছি। আপনাকে তো আমার পরিচিত কারও চেনার কথা না……

দ্য গ্রেট গ্রন্থিক!! আপনি তো আচ্ছা মানুষ দেখি! ইসতিয়াক মারুফের কমেন্টে লাইক দেন নাই ক্যান? লাইক দিলেই তো আর আসতে হচ্ছে না! এমনকি, কথা দিলেও যে আসতে হবে তাও তো না! তাই না? তো? আপনার সমস্যা কোন জায়গায়? সেমিনার বানানে? এত কীসের ইয়া? আপনি না লেখক মানুষ? শুধু লেখাই লেখকদের মতন! মনটা অতি সাধারণ! বেচারা আপনাকে ফরিদপুরে আসতে ইনভাইট করসে, আর আপনি সবার কমেন্টে লাইক দিলেও ওর কমেন্টে লাইক দেন নাই। কেন? ও সেমিনার বানান পারে না, তাই? আজব পাবলিক আপনি!

কী সুন্দর ফিরে আসা! দুষ্টু রফিক আংকেল নিয়ে লেখাটা এতই সুন্দর হইসে, এতই সুন্দর হইসে যে……মানে……কিছু বলতেই লজ্জা লাগতেসে। আর শোনেন, ভয় নাই, আপনি যে সেদিন আমাকে ভুল করে সাড়া দিয়ে ফেলসিলেন, সেটা কিন্তু আমার মনেই নাই। কিচ্ছু মনে নাই। কিন্তু আপনি যে আমাকে আপনার দাড়িরাখা অবস্থায় একটা ছবি দিবেন ওয়াদা করসিলেন না? সেটা মনে আছে। একটা ওরম ছবি আপলোড করেন না! আমার দেখার শখ জাগসে! ভক্তদের সঙ্গে এত কীসের ভাবের খেলা, ছ্যাঃর? নাকি বিচ্ছিরি দেখাবে, এই ভয়ে দেন না? আপনাকে সব ছবিতে সুন্দর দেখায় নাকি? দুই-একটাতে দেখায়। আপনার কত পচা ছবি সবাই হজম করে না? আরেকটাও করবেনি! দ্য গ্রন্থিক, আরেকটা কথা শুনবেন? আপনার ভাইকে বলে আপনার ওই দুই হিজাবওয়ালির নামঠিকানা জোগাড় করে দেন না। ওদের সাথে দেখা করতে মন চায়! আমি ওদের প্রেমে পড়ে গেসি! ইলিক্ষিক্ক! ভাইরে! আমারে মানুষই মনে করেন না, না? হ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ মানে কী? এটা লিখসেন কেন? এর মানে কি ইয়েস? তাহলে একবার হ্যাঁ লিখলেই তো হত! এতবার লেখার কী মানে? আমি কি ঠোওওওসা নাকি? আচ্ছা বলসেন যখন, আমিও বলে দিই……উক্কিহ্উক্কিহ্উক্কিহ্উক্কিহ্! আপনার জন্য ট্যারাব্যারা উত্তরই ঠিকাসে!