কবিতার মতো সত্য: ১৪

২৮১. যে পাশে থেকেও নেই,
দুঃখটা বাড়ায় সে-ই!
যে পাশে না থেকেও আছে,
দুঃখটা সারায় সে-ই!




যে পাশে থেকেও নেই,
সে ভাবে, কৃতিত্বটা তার!
যে পাশে না থেকেও আছে,
সে জানে, কৃতিত্বটা তার!




কাছের ফানুস,
দূরের মানুষ!




২৮৩. নতুন একটা প্রেম,
নতুন একটা জীবন।




২৮৪. আমাদের দীর্ঘশ্বাসগুলি
শেষপর্যন্ত বাতাসই।
আমাদের অশ্রুগুলি
শেষপর্যন্ত জলই।




আমরা...
ভালোবাসা না পেলে কাঁদি,
ভালোবাসা পেলে হারিয়ে ফেলি।




আমাদের ভালোবাসাগুলি
শেষপর্যন্ত দুঃখই।




২৮৫. যদি আর কোনোদিন আমাদের দেখা না-ও হয়,
আমি তবু তোমাকে নিয়েই থাকব আমৃত্যু---
আমার ভেতরে,
আমার বাইরে।




এই আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে,
আমার প্রতিটি ভাবনায়।




তুমি ঠিক সেখানেই থাকবে,
যেখানে আমি ক্লান্ত হলে জিরোই,
যেখানে আমি ক্লান্তিশেষে ফিরি।




আমার মধ্যে---
শুরুতে যা, তা-ও তুমি;
শেষে যা, তা-ও তুমি।




২৮৬. সবাইকেই ভালোবাসাও সম্ভব,
কিন্তু ঘৃণা করা সম্ভব নয়।




২৮৭. প্রাক্তন।
এটি কোনও শব্দ নয়।
এটি পুরো একটি অধ্যায়।




২৮৮. শরীরের ক্ষুদ্র ক্ষত---
অবহেলায় সারে।
মনের অতিক্ষুদ্র ক্ষত---
যত্নেই বাড়ে।




২৮৯. যে প্রেম চায়,
তার কাছেই কিনা
আমরা ভালোবাসা চেয়ে বসি!




যে ভালোবাসা চায়,
তার কাছেই কিনা
আমরা প্রেম চেয়ে বসি!




না পাই প্রেম,
না পাই ভালোবাসা!




২৯০. আমার নতুন হেইটারদের
পুরনো শত্রুরা সব কোথায়?




২৯১. হেইটাররা প্রতিদিনই
আমাকে নিয়ে যতটা ভাবে,
ঈশ্বরকে তার অর্ধেকও ডাকলে
তিনি একদৌড়ে হাজির হয়ে যেতেন!




২৯২. যে আমায় ভালোবাসে,
এ জীবনে সবচাইতে বেশি
ঘৃণা করেছি তাকেই।




যে আমায় ঘৃণা করে,
এ জীবনে সবচাইতে বেশি
ভালোবেসেছি তাকেই।




এরই নাম বুঝি শোধবোধ!




২৯৩. অতটা বিরক্তিভরে
কথা বোলো না।




শুধু এটুক বলো,
তুমি এখন ব্যস্ত।




ওতেই হবে।
ভালোবাসি বলে
পথে বসে যাইনি।




২৯৪. আমি একবার
ভালোবেসে ফেললে
আমায় কষ্ট দেওয়া
সোজা কিন্তু!




আর যদি
ভালো না বাসি,
হাজার চেষ্টাতেও
আমায় সুখই দিতে
পারবে না,
কষ্ট তো অনেক
পরের কথা!




২৯৫. তুমি যা ছুড়ে ফেলছ,
কেউ কেউ তা
খুব করে খুঁজেও,
পাচ্ছে না!




২৯৬. যার মুখ দেখলেও
তুমি মুখ ঘুরিয়ে রাখো,
কত মানুষ
তার ছায়াটুকু দেখার জন্য
মুখিয়ে আছে!




২৯৭. কেউ একজন ভয়ে থাকে,
কখন ব্লক করে দিই!




কেউ একজন ভয়ে রাখে,
কখন ব্লক করে দেয়!




২৯৮. যে আমার একটাও মেসেজের
রিপ্লাই দেয় না,
তাকে যদি এক বার
দেখাতে পারতাম,
কত মানুষ যে আমার
রিপ্লাই পাবার অপেক্ষায় থাকে!




২৯৯. ঈশ্বরকে ডেকেও-বা কী হবে,
যদি তাঁর আসার সব রাস্তাই
বন্ধ করে রাখো?




৩০০. মনকে অত নিচে রেখে দিয়ে
মুখকে এত উপরে যে তুলছ,
সবাই কিন্তু সব বুঝেও
চুপ করে আছে!




৩০১. কষ্ট সহ্য করতে না পারলে
সাফল্য সহ্য করার সুযোগটা আসে না।




৩০২. যে সবারই প্রিয়,
তার কাছ থেকে সাবধান থেকো।




৩০৩. এই বুকে তাকিয়ে দেখো…
বলামাত্রই, গাধার বাচ্চাটা
আমার স্তনযুগলের দিকে
হাঁ করে তাকিয়ে রইল!




পরের কথাটা বলার
আর রুচিই হলো না!




৩০৪. যারা একইসঙ্গে
অকপট ও আন্তরিক,
একমাত্র তারাই বুঝতে পারে,
আন্তরিকতা আরও বাড়াতে হবে!




৩০৫. যতই লাফাবে,
ততই হারাবে।




৩০৬. যে যতটা করতে পারে,
সে তার চাইতে বেশি জানে না।




৩০৭. যে-পর্দাটা সরালে আলো ঢোকে না,
সেই পর্দা টানাই থাক!




৩০৮. আজ যা চেষ্টা করেও হলো না,
কাল তা চেষ্টা করার সময়টা বেঁচে গেল!




৩০৯. চাওয়ামাত্রই যা পাওয়া যায়,
তা আর যা-ই হোক,
রেখে দেবার মতো কিছু নয়।




৩১০. মন থাকবে শান্ত,
হৃদয় থাকবে ব্যাকুল।
এর নামই প্রার্থনা।




৩১১. যাকে স্যার ডাকা যত সোজা,
তার ঘাড়ে তত বোঝা!




৩১২. যা করতেই হবে,
তা থেকে
যতদিন পালিয়ে বেড়াবে,
ততদিন পিছিয়ে থাকবে।




৩১৩. যা পাবে বলে
তুমি কখনও ভাবোনি,
তা পেতে চাইলে
ততটাই খাটো,
যতটা খাটতে পারো বলে
তুমি কখনও ভাবোনি।




৩১৪. মনে যত ভয়,
শক্ত তত নয়।




৩১৫. খাঁচায় পুরে বাঘকে
কামড়ে দেবার ভয় দেখানোর নাম
সাহসিকতা নয়।