ঋতচেতনা

১।
একাক্ষরা মা নাম—মোর জীবন-মহামন্ত্র,
মা মন্ত্রের‌ই সুরে বাজে হৃদয়বীণার যন্ত্র।
মায়ের পানে হৃদয় খুলে,
মায়ের ধ্যানে উঠি ফুলে;
মায়ের কৃপায় ওঠে জ্বলে প্রাণে আলোর ছন্দ।
আমার ভাবনা ও কাজ—মায়ের পায়ে অঞ্জলি,
মায়ের কৃপাপরশে ওঠে ভক্তির দীপ জ্বলি।
মায়ের কোলে নিজেকে সঁপি,
শরণমন্ত্রে সদাই মা মা জপি,
জীবনে আমার আছে ছেয়ে মায়ের হাসি আর আনন্দ।




২।
আসছে ঘনায়ে বাঞ্ছিত দিন,
সত্যের‌ই জয় আনি,
হবে গো সার্থক সত্যদ্রষ্টা,
তোমার চৈতন্যের বাণী।
ফুটল বিশ্বে সত্যের জ্যোতি,
দিল মানুষেরে দুর্বার গতি;
উঠল প্রকাশি নবীন জগৎ
অমৃতের দিশা আনি।
মুছে যায় ধীরে যুগের যামিনী,
নূতন ঊষারে ডাকি,
বিধাতার জ্যোতি অবনী-ভালে
দিল জয়টিকা আঁকি।
খোলো দ্বার সবে সত্যের পানে,
হৃদয়মথিত বন্দনা-গানে;
দিতে বরাভয় উদ্যত আজি
মায়ের দখিন পাণি।




৩।
নমি সত্য-সুন্দর বিবেকপুরুষ, নমি নবযুগ-অবতার,
নমি প্রশান্ত প্রেম-প্রোজ্জ্বল সৌম্য মূর্তি করুণার।
নমি জগদ্‌গুরু আলোর দিশারী,
বিশ্ববিপদ-সঙ্কটহারী,
দিব্যজগতের পরমস্রষ্টা চিরপরিত্রাতা বসুধার।
নমি জ্যোতির্ময় স্মিত সদাশিব নররূপী নারায়ণ,
পরমপুরুষ অদিতিবল্লভ নমি সচ্চিদানন্দঘন।
এলে অবতরি নিখিল-শরণ,
দানিতে মানুষে দিব্যজীবন,
বন্দি তোমায় ওগো অনন্ত ঋতচেতনার পারাবার।