অর্ধেক মেঘের বৃষ্টি

শশী: নমস্কার। আমায় আপনার ফ্রেন্ড করবেন? আপনাকে তো রিকোয়েস্টই পাঠানো যায় না। আপনার লেখাগুলি ভাল লাগে। অবশ্য আপনার লেখা পড়তে আপনার ফ্রেন্ড হতে হয় না, কারণ লেখাগুলি তো সবার জন্যই উন্মুক্ত। তাও আপনার ফ্রেন্ড হতে ইচ্ছে করছে, হ্যাঁ, আমার ইচ্ছেয় কিছুই এসে যায় না যদি না আপনি চান। এখন আপনার ইচ্ছে। প্লিজ, আমাকে আপনার ফ্রেন্ড করে নিন।

অবশেষে কাল আপনাকে দেখতে পাবো। ভাবতে ভাল লাগছে।

আপনাকে এতটা কাছ থেকে দেখতে পাবো, ভাবিনি। ছবির থেকে আপনাকে বাস্তবেই ভাল লাগে বেশি।

আপনার সম্পর্কে জেনেছি মাত্র কিছুদিন আগে। আর আপনাকে কখনো বাস্তবে দেখতে পাবো, ভাবিইনি। সত্যি আজকে খুব ভাল লাগছে।

দাদা, আপনি এত সুন্দর করে লিখেন কীভাবে, এত কঠিনকঠিন কথা কত সহজেই বুঝিয়ে দেন! যতবার আপনার লিখা পড়ি, ততবারই আপনার লিখার প্রেমে পড়ে যাই………আপনি আমার মেসেজগুলি কখন পড়বেন, কিংবা আদৌ পড়বেন কি না জানি না……….হয়ত পড়বেন বা হয়ত পড়বেন না…….আপনার সম্পর্কে জানার ঠিক কিছু দিন পরই যে আপনাকে দেখতে পাবো, ভাবিনি……..সত্যিই আপনি সাধারণের মধ্যেও অসাধারণ……..

দীপাবলীর শুভেচ্ছা…….

কিছু ছবি দিলাম, দেখুন। স্টেজের পাশে বসেবসে ছবি তুলেছি, তাই সবকয়টা ছবিই পাশফেরানো……..সামনে থেকে ছবি তোলার কোনো সুযোগই পাইনি………

যামিনী: রিকোয়েস্ট দিলাম।

শশী: অ্যাক্সেপ্ট করলাম…..অনেক ধন্যবাদ।

ভাল লাগছে খুউব!

আপনাকে যতই দেখছি, ততই ভাল লাগছে। আর আপনার লেখার কথা তো বলে বোঝানো যাবে না। কেন জানি না, প্রথমে এতটা ভাল লাগেনি, কিন্তু দিনকে দিন ভাললাগাটা বেড়েই চলেছে। আপনাকে ধন্যবাদ আপনার আজকের অবস্থানের জন্য। তা না হলে হয়তো কখনো আপনাকে চিনতেই পারতাম না। আপনার লেখাগুলির প্রেমে পড়া হতো না আমার। আপনাকে যা-ই বলবো, তা-ই কম বলা হবে। সিলেটে আপনার সেমিনারের দিনও আপনাকে দেখতে পাবো কি না, এই অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। সবার শেষে গিয়েছিলাম, তাই দর্শক সারিতে জায়গা পাইনি। মন খারাপ করে যখন চলে যাবো ভাবছিলাম, তখনই আপনার দেখা পেলাম। বন্ধ দরজার বাইরে ফ্রেন্ডদের সাথে অপেক্ষা করছিলাম, হঠাৎ করে আপনাকে দেখে এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিলো বুঝি স্বপ্ন দেখছি! আপনি ভেতরে গেলেন, আমি তখনও বাইরে। শেষমেশ এক ভলান্টিয়ার ভাইয়া এসে আমাদের একটু জায়গা করে দিলেন। দর্শক সারিতে বসতে না পেরে ভালই হয়েছিলো, স্টেজের পাশে বসে আপনাকে অনেক কাছ থেকেই দেখতে পেরেছি। আপনাকে তো সবসময়ই সুন্দর লাগে, কিন্তু আপনি বাস্তবেই বেশি সুন্দর। অনেক ফর্সা, একটু বেশিই! হাহাহাহা………তবে জুতাজোড়া ভাল লাগেনি, কেমন জানি আপনার পায়ে মানায়নি। এই রঙের জুতো আর কখনো পরবেন না।

আপনাকে একগুচ্ছ চালতার ফুল আর একদল লাল পিঁপড়া দিলাম………

যামিনী: দেখা হলে ভাল লাগত।

শশী: আমি এঁকেছি। কেমন হয়েছে, দেখুনতো?

যামিনী: বাহ্‌! খুবই সুন্দর!

শশী: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার সাথে যদি আর কখনো দেখা হয়, তবে এই ছবিটা আমি আপনাকে দেবো। আমি কিন্তু কখনো ছবিআঁকা শিখিনি। মাঝেমধ্যে একটুআধটু আঁকার চেষ্টা করি। আপনার ছবি আঁকতে গিয়ে মায়ের বকা খেতে হয়েছে।

যামিনী: আসলেই ছবিটা অনেক সুন্দর হয়েছে।

শশী: থ্যাংকস থ্যাংকস থ্যাংকস! হেহেহেহে

আপনার পছন্দ হলে আমার আঁকা সার্থক। আপনার ছবি আঁকতে গিয়ে সব থেকে বেশি কষ্ট হয়েছে আপনার চুল আঁকতে। চুলের স্টাইল ভাল করে বুঝতে পারলাম না।

যামিনী: সুন্দর হয়েছে।

শশী: হুম! আপনি হচ্ছেন মহাব্যস্ত মানুষ। দশটা মেসেজ দিলে একটা রিপ্লাই আসে, তাও ভাল যে আসে। আমি তাতেই খুশি।

আপনার জন্য একটা জিনিস আছে, একটু পর দেবো আপনাকে।

যামিনী: আচ্ছা।

শশী: নিন। এটা আপনার জন্মদিনের গিফট। যেদিন সিলেটে এসেছিলেন, ভেবেছিলাম, আপনাকে দেবো। পরে আর দেয়ার সাহস হয়নি। তাই এখন দিলাম। হুম……এটাও কিন্তু আমার বানানো। ভাল না লাগলে বকা দিয়েন না, প্লিজ!

যামিনী: অনেক অনেক সুন্দর। সত্যি! ইসসস্‌! তখন দিলে না কেন? তোমার নামটাও খুব সুন্দর।

শশী: সাহস হয়নি দেয়ার। আমার পুরো নাম জানেন? আশালতা হেম শশী। আচ্ছা, আপনার গিফটগুলি সব একসাথে জমিয়ে রাখবো। পরের বার যখন সিলেট আসবেন, তখন দেখা হলে দেবো আপনাকে। খুশি?

ভাল কথা, আরো একটা আছে। ওয়েট। এই চিঠিটা। আমার হাতের লেখা কিন্তু ভাল না।

আচ্ছা, আপনাকে এইগুলি দিলে কি আপনি সত্যিসত্যি নেবেন?

যামিনী: দারুণ! এতকিছু কখন করেছ?

শশী: হিহিহিহি…………করেছি। পছন্দ হয়েছে তো? সত্যি করে বলবেন কিন্তু!

ও হ্যালো!

যামিনী: সত্যিসত্যি হয়েছে।

শশী: হিহিহিহি………শুভ সকাল।

হ্যালো! কেমন আছেন? আপনার সাথে কথা বলতে চাই। আপনি বলবেন আমার সাথে কথা?

আপনাকে বেশ ভাল লাগে আমার……..আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে। আপনার ফোন নাম্বারটা কি দেয়া যাবে আমাকে? অবশ্য, সেটা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছা। আচ্ছা, এক কাজ করি। আমার নাম্বারটা দিই আপনাকে। আপনি আমায় ফোন করবেন কি না জানি না, তবে আমি চাইবোই আপনি আমাকে ফোন করেন, কারণ আমার কাছে তো আপনার নাম্বার নেই। আচ্ছা, যদি আপনার ইচ্ছে হয় কিংবা আপত্তি না থাকে, তাহলে আপনার নাম্বারটা আমাকে দিয়েন বা আমাকে ফোন দিয়েন। প্লিজ! *********** এটা আমার নাম্বার।

আমার মেসেজটা কি পড়বেন আপনি? আচ্ছা, আপনার ইচ্ছা! আপনার ফোন নাম্বারটা চাইলাম, রাগ করবেন না, প্লিজ!

যামিনী: নাম্বার দিতে ইচ্ছে করছে না। কিছু মনে কোরো না। আচ্ছা, তোমার কিছু ছবি দাও আমাকে। দেখি।

শশী: ওয়েট, দিচ্ছি।………….ওরে বাবা, এত ছবি দিয়ে দিলাম আপনাকে! আচ্ছা, দেখেন।

ছবি দেখে কী হল?

ছবি দেখতে চাইলেন, দিলাম। এবার তো কিছু একটা রিপ্লাই দেন। মুখ ভেংচি কাটলাম আপনাকে।

যামিনী: কী বলবো?

শশী: কিছু না।

যামিনী: সরাসরি বলো, বুঝতে সুবিধে হবে।

শশী: কী বলবো? আমি তো বলেইছি যা বলার ছিল।

যামিনী: কী সেটা?

শশী: আপনার সাথে কথা বলতে চাই।

যামিনী: কেন চাও? কী লাভ?

শশী: এত লাভক্ষতির হিসেব করিনি।

যামিনী: হুম।

শশী: বাকিটা আপাতত থাক, পরে হয়তো বলবো।

যামিনী: বলে ফেলো।

শশী: কথা বলবেন কি না আগে সেটা বলেন।

যামিনী: আগে ওটা বলো।

শশী: যদি পারেন, তাহলে প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আমি যতগুলি টেক্সট পাঠিয়েছি, সেগুলি পড়েন। আমার মনে হয়, আপনি বুঝতে পারবেন। হিহিহিহি………

কিছু না, এমনিই বললাম। হয়েছে পড়া?

আচ্ছা, যদি আপনার ইচ্ছে হয় কথা বলতে, সেটা বলে দিন। আর যদি ইচ্ছে না হয়, তাহলে বলে দিন যে আপনি আমার সাথে কথা বলতে চান না।

এবার বলেন?

যামিনী: সন্ধ্যায় বলবো।

শশী: সন্ধ্যায় কেন? এখন নয় কেন? এখনই বলেন।

আপনাকে এতগুলি পিঁপড়া দিলাম। কামড় দিবে আপনাকে। হিহিহিহি……….

মুখ ভেংচি আপনার জন্য! যান!

যামিনী: গুড।

শশী: গুড মানে?

যামিনী: ভাল।

শশী: উফফ্‌ সেটা আমি জানি। কথা হল, আমি আপনাকে এতগুলি লাল পিঁপড়া দিয়ে কামড় খাওয়ানোর হুমকি দিলাম, আপনি ভয় পাননি এতটুকুও! এটা ঠিক না! আপনার ভয় পাওয়া উচিত ছিল।

যামিনী: ঠিক বলেছ।

শশী: তাহলে একটু ভয় পান এবার!

যামিনী: পেলাম!

শশী: আমি জানি, পাননি এখনো। যান, আগে লাল পিঁপড়া দিয়েছিলাম, এখন সাথে কালো পিঁপড়াও দিলাম। হেহে……

যামিনী: বাচ্চা!

শশী: মানে? এখনো ভয় পাননি?

ধুউর! আপনি ভয় পান না। আচ্ছা থাক, আপনাকে আর ভয় দেখাবো না।

এবার আপনাকে জোনাকি পোকা দিবো। রাতও হয়েছে।

আমি কিন্তু সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। আপনি বলেছিলেন, সন্ধ্যায় কথা বলবেন, এখন রাত হয়ে গেলো। এখন কথা বলেন, আর তা না হলে বলেন যে রাতের ঠিক কোন সময়টাতে কথা বলবেন।

কী হলো? বলবেন না কিছু?

হ্যালো হ্যালো হ্যালো হ্যালো!

আপনার কি এখনো সন্ধ্যা হয়নি?

নিজেই বললেন, সন্ধ্যায় কথা বলবেন, এদিকে মাঝরাত হতে চলল, কিছু একটা তো বলেন!

আপনাকে আবারো এত্তগুলি লাল পিঁপড়া দিয়ে কামড় খাওয়াবো।

কিছুই বলবেন না? আপনি যদি কিছুই না বলেন, তাহলে আমি কী করে বুঝবো? আচ্ছা, ঠিক আছে, ইচ্ছে হলে রিপ্লাই দিয়েন।

এত্তগুলি মুখ ভেংচি আপনার জন্য!

এটাও আমি এঁকেছি।

যামিনী: অনেক সুন্দর হয়েছে এটা।

শশী: সত্যি? আচ্ছা, থ্যাংকস!

আচ্ছা, আমি তো আপনার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আপনি তো কিছু বললেন না। আমার ছবি দেখতে চেয়েছেন, তাও দিলাম। আপনি কি ছবি দেখেই ঠিক করেন, কার সাথে আপনি কথা বলবেন, আর কার সাথে বলবেন না? এটাই যদি হয়, তবে আমার ক্ষেত্রে রেজাল্ট কী, বলবেন একটু? পরীক্ষা দিলাম, পাস করলাম কি ফেইল করলাম, এইটুকু তো জানব অন্তত!

কাল আপনি নিজেই বলেছিলেন যে সন্ধ্যায় কথা বলবেন, কিন্তু বলেননি। এটা কি ঠিক হয়েছে?

এই যে শুনছেন? কথা কি বলবেনই না আমার সাথে?

আপনি এত সুন্দর করে লিখেন কীভাবে?

আপনার সাথে কথা বলতে সত্যিই খুব ইচ্ছে করছে! প্লিজ, একটু কথা বলবেন আমার সাথে?

যামিনী: কেন?

শশী: জানি না, কেন, কিন্তু খুব ইচ্ছে করছে।

বলবেন না কথা আমার সাথে?

আপনার ফোন নাম্বারটা কি দেয়া যাবে আমাকে?

এটাই আমার শেষ টেক্সট:

আপনাকে খুব ভাল লাগে, তাই কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনার হয়তো ইচ্ছেই নেই আমার সাথে কথা বলার। হুম, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নারীর মন, স্বাভাবিক যা কিছু, তা কিছু মানতে চাইবেই বা কেন? কথা হল, আমাকে আপনি একবার তো বলতে পারতেন যে আপনি আমার সাথে কথা বলতে চান না। হুম, আপনি খুব ব্যস্ত থাকেন, তাও জানি, তবু ভেবেছিলাম, একটু সময় হয়তো দেবেন। আপনি তো কথাও বলছেন না, আবার আমাকে ‘না’ও করছেন না। সেদিন আপনি আমাকে নিজেই বললেন যে আমার সাথে কথা বলবেন কি না, সেটা সন্ধ্যায় জানাবেন। কিন্তু কিছুই জানাননি। এটা বোধহয় ঠিক হল না। যা-ই হোক, এত ঘুরিয়েপেঁচিয়ে বলার কিছু নাই। সোজা কথা, আপনাকে আমার ভাল লেগেছে। হয়তো আপনি এই মেসেজটা দেখবেন, কিংবা হয়তো দেখবেনই না। সেটা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছা। আমার যা বলার, বললাম, বাকিটা আপনার ব্যাপার। আমার এইটুকুই বলার ছিল, বলে ফেললাম। আবারো বলছি, আপনাকে আমার ভাল লাগে।

……………………………………………………………………………

হ্যালো হ্যালো হ্যালো হ্যালো হ্যালো…………….

আপনার সাথে কথা বলবো, নাম্বারটা দিন না, প্লিজ! নাহয়, আমার নাম্বার তো দিয়েছিলাম আপনাকে, একবার কল করবেন, প্লিজ?

প্লিজ প্লিজ প্লিজ!

I’m in love…..At the time of twilight, I feel you like fresh air. Sometimes, lunar eclipse falls deeply on my mind…….That time I feel alone…….my world becomes empty. When I think about you, my mind gets full of love and respect. Sometimes I feel like a mermaid and, I swim somewhere that feels like the lake of love. In my leisure I think only about you and you……In my dusk time I sing hymn for you…….Sometimes I feel, in darkness, a new sun rises only for you………and I feel you only you………I’m in love…….I’m in love……I’m in love……..

আমি লিখেছি। কমবেশি ভুল হয়েছে, জানি। আচ্ছা, ভুলসহ কেমন হয়েছে?

নাম্বার চেয়ে হয়তো আপনাকে বিব্রত করেছি। ওকে সরি। এভাবে হুটহাট করে আপনার নাম্বার চাওয়াটা আমার উচিত হয়নি। তারচে’ ফেসবুকে চ্যাটিং করার বুদ্ধিই ভাল। মাঝেমধ্যে সময়সুযোগ হলে একটু রিপ্লাই দিয়েন।

আচ্ছা, আমি যে এত কথা বলি, আপনি তো একবারও কিছু বলছেন না। হাই হ্যালো কিছু একটা তো বলেন! আচ্ছা, আপনি তো কথা বলতে পারেন, তাই না? তাহলে বলেন না কেন কোনো কথা? হ্যাঁ, আপনি তো খুবই ব্যস্ত মানুষ, কিন্তু রিপ্লাই দেয়ার মতো অবসর তো আপনার আশা করি আছে! কিছু একটা রিপ্লাই দিয়েন। আচ্ছা, নাহয় একটুআধটু বকাঝকাই করে দেন আমাকে। কিন্তু প্লিজ কিছু একটা বলেন।

আপনাকে এত্তগুলি মুখ ভেংচি!

মেসেঞ্জারে এত কল দিই, ভুলেও ধরেন না কেন? আমার সাথে কথা বললে কী হয়? একটু করে?

কী বলবো আপনাকে! আপনার ‘সাপলুডুর জীবন’ লেখাটা পড়লাম একটু আগে। এটা পড়ার পর কী বলা উচিত, বুঝতে পারছি না। নিজের একান্ত ইচ্ছাশক্তি না থাকলে হয়তো আপনি এই লেখাটা লেখার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন হতে পারতেন না। কী বলবো, বুঝতে পারছি না, কিন্তু কিছু বলতে ইচ্ছে হচ্ছে। আগে একসময় হুটহাট করে আমার মন খারাপ হয়ে যেত। যেদিন আপনাকে দেখেছিলাম, সেদিন থেকে আমার মন খারাপের পরিমাণটা কমে আসছে। আপনার লেখা পড়ার জন্য আমি আলাদা করে ফেসবুকে আসি না, কিন্তু যখনই ফেসবুকে আসি, তখনই আপনার ওয়ালে এসে ঘুরে যাই একবার।………..

কেন জানি না, আপনার প্রতি ভাললাগাটা দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে আমার। আপনাকে সরাসরি দেখার আগে স্বপ্নে দেখেছিলাম। স্বপ্নটা বলি। যেদিন আপনি সিলেটে এলেন, তার আগের রাতে স্বপ্নে দেখেছিলাম, আপনার সিলেটে আসা ক্যান্সেল হয়ে গেছে। ঘুমভাঙার পরও আমি বুঝতে পারিনি যে আমি স্বপ্ন দেখছি। দুপুরবেলা পরিষ্কার বুঝতে পারলাম যে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম আর সেটা সত্যি নয়। স্বপ্নটাই আমার কাছে বাস্তব মনে হয়েছিলো। দেরি করে যাওয়ার কারণে যখন জয়েন করতে পারলাম না সেমিনারে, তখন ভেবেছিলাম, স্বপ্নটা বুঝি সত্যিই হয় গেলো। খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ফ্রেন্ডরা সবাই চলে আসতে চেয়েছিল, ওদের এই বলে দমিয়ে রেখেছিলাম যে এসেই যখন পড়েছি, তখন আপনাকে অন্তত চোখের দেখা না দেখে যাবো না।

আপনার উপস্থিতিটা হঠাৎ করেই টের পেলাম! বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে আপনি সত্যিই চোখের সামনে! কিছু সময় অপেক্ষা করার ফলেই প্রোগ্রামটা দেখতে পারার সৌভাগ্য হয়েছিলো।…..সেদিন বাসায় এসে মাকে বলেছিলাম আপনার কথা। আপনার ছবিও দেখিয়েছিলাম। আমার কথা শুনে মা সেদিন হেসেছিল। আমি নিজেও হেসেছিলাম। আমি মাঝেমধ্যে বড্ড ছেলেমানুষি করি, তখন নিজেরও অবাক লাগে, নিজেকে পিচ্চি মনে হয়। পড়ালেখার ব্যাপারে তেমন কোনো আগ্রহ নেই বললেই চলে, অবশ্য গল্পের বই পেলে ভিন্ন কথা। আপনাকে গোপন একটা কথা বলি। সবার মতোই আমারও ইচ্ছা ভাল একটা চাকরি করা। এটা ছাড়াও আমার একটা লক্ষ্য আছে, সেটা হল সংসার করা। হাসবেন না কিন্তু! আপনার সাথে দেখা হওয়াটা যে কতোটা দরকার ছিল, সেটা আপনার সাথে দেখা না হলে বুঝতেই পারতাম না। আপনাকে অনেক অনেক থ্যাংকস। আপনি হয়তো পড়বেনই না আমার লেখা। পড়লেও হয়তো অর্থহীন মনে হতে পারে, কিংবা স্রেফ ছেলেমানুষি। কিন্তু আপনাকে বলতে ইচ্ছে হল আমার এই ছেলেমানুষি কথাগুলি, তাই বললাম। আপনি অনেক ভাল!

হ্যালো! আপনাকে মাঝেমাঝে মিস করি খুব। আপনি রিপ্লাই দেন না কেন?

আজকে ‘প্রথম আলো’তে ‘স্বপ্ন নিয়ে’ পেইজে আপনার একটা ছবি এসেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার ক্যারিয়ার আড্ডার। আমার ছবিও আছে ‘এমসি কলেজের সবুজ প্রাণ’ শিরোনামে। ভাল লাগছে এটা ভেবে যে যেখানে আপনার ছবি, সেখানে আমার ছবিও স্থান পেয়েছে।

বলবেন না কথা আমার সাথে? আচ্ছা, একটুআধটু রিপ্লাই দিলে কী হয়?

হাই! আপনি তো আমার মেসেজ দেখেন না এখন আর। আর দেখলেও তো রিপ্লাই দেন না। আপনি ইচ্ছা করেই রিপ্লাই দেন না আমাকে, তাই না?এমন করেন কেন আপনি আমার সাথে?

ফোনও করলেন না, রিসিভও করলেন না। কেন? ভুলে গেছেন? নাকি ভুলে যাওয়াটা কেবলই বাহানা কথা না বলার জন্য? কথা বললে কী হয়, শুনি একটু? আমি বাঘ না ভাল্লুক যে কথা বললে আপনাকে খেয়ে ফেলবো? আমি কিন্তু রাগ করেছি যদিও জানি আপনি আমার রাগের ধার ধারেন না।

আপনার জন্য মুখ ভেংচি এত্তগুলি!

হ্যালো! কেমন আছেন? সিলেট তো আসছেন দুদিন পরেই, আপনার জন্য যে কার্ড বানিয়ে ছিলাম আর আপনার যে ছবি এঁকেছিলাম, বলেছিলাম সেগুলি আপনাকে দেবো। আপনিও নেবেন বলেছিলেন। আমি সেগুলি আপনাকে দিতে চাই, কীভাবে দেবো? বলবেন প্লিজ! আপনাকে হয়তো বিরক্ত করছি। সরি!

কেমন আছেন? আমার আঁকা ছবিগুলি কি কার্টুনের মতো হয়েছে?

হ্যালো! শুভ নববর্ষ!

ভালমন্দ কিছুই বলতে হবে না। যেমন পেরেছি, তেমনই এঁকেছি। আঁকতে ভাল লাগে, তাই এঁকেছি।

যামিনী: ঘুরতে ভালোবাসো?

শশী: বাসলে কী? কেমন আছেন? আচ্ছা, ছবিগুলি কি দেখেছিলেন?

আপনাকে ভালোবাসি! আপত্তি?

কী হল? কিছু বললেন না যে?

আপনাকে একটা কথা বলতে চাই। আমি আপনাকে ভালোবাসি। বলতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিল, তাই বলেই দিলাম। মরে গেলে তো আর বলতে পারব না। আচ্ছা, আপনি কি জানেন আমরা যে কী পরিমাণ কথা পেটের মধ্যে জমিয়ে রেখেই টুক করে মরে যাই?

যামিনী: ভালোবাসো, এটা তো জানি!

শশী: বাহ্‌! ভাল তো! এবার আপনি আমাকে বলেন। ভালোবাসলে বলেন, ভালোবাসি। আর তা না হলে বলে দেন, ভালোবাসি না।

কী হল? বলেন!

আমি জানতে চাই!

কী হলো? কিছু বললেন না যে?

আপনি কিছু বলছেন না কেন? প্লিজ, কিছু তো একটা বলেন!

যামিনী: ভালোবাসি না।

শশী: আচ্ছা, ধন্যবাদ। কেমন আছেন? ঘুমাননি এখনো?

আপনি আবার সিলেট আসবেন কবে? আবার যখন আসবেন, তখন আমাদের বাসায় বেড়াবেন। আমি ভাল রাঁধতে জানি। আপনার নিমন্ত্রণ…….

যামিনী: নিশ্চয়ই আসবো!

শশী: নিমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ। সিলেটে কবে আসবেন?

বিশ্রী রকমভাবে আপনাকে মিস করছি। ছোট্ট একটা জীবন, একটা ভুল মানুষকে মিস করেকরেই কাটিয়ে দিচ্ছি! কোনো মানে আছে এর?

আচ্ছা, আপনি কথা বলেন না কেন আমার সাথে? ভয় পান নাকি আমাকে? আমি বাঘও না, ভাল্লুকও না। কথা বলতে এত আপত্তি কেন?

যামিনী: মিয়াঁও!

শশী: মিয়াঁও মিয়াঁও! এত কথা বললাম, তার এই রিপ্লাই! এইবার আমি শিওর, আপনি আমাকে ভয় পান! হিহিহিহি ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না, তোমায় আমি মারবো না……..তার পরের লাইনটা ভুলে গেছি। আচ্ছা, এই কবিতা কার লেখা? এটা কি কবিতা, নাকি ছড়া? কবিতা আর ছড়ার মধ্যে কী কী পার্থক্য?

বলবেন না কথা, বিলাই?

আচ্ছা, আপনি না চাইলে তো আর আমি জোর করে আপনার কাছ থেকে আপনাকে কেড়ে নিতে পারবো না। তাই না? তাহলে কথা বলতে এতো কিপ্টেমি কেন? কিপ্টুস একটা……..

আমি সুন্দরী নই বলে কি আমার কথা বলার অধিকারও নেই আপনার সাথে?

আচ্ছা………..

দুনিয়াতে কি সবকিছুই সুন্দরীদের দখলে? দুনিয়াতে সবকিছু নষ্টদের দখলে, দুনিয়াতে সবকিছু সুন্দরীদের দখলে! হায়রে!

আরে ভাই, প্রেমালাপ তো আর করতে চাইছি না, মাঝেমধ্যে একটুআধটু হাই হ্যালো করলে কী এমন ক্ষতি হয়ে যায় আপনার?

আপনি পচা খুবই! নেক্সট টাইমে আপনাকে সামনে পেলে আপনার গায়ে আমি লাল পিঁপড়া ছেড়ে দিবো।

একাএকা কি কথা বলা যায়, বলুনতো? ইইইইইকটুস করে কথা বলেন না, কিপ্টুস!

ভাল থাকবেন।

আমার সাথে কথা বলতে কি আপনার খুব বেশি খারাপ লাগে?

মাঝেমাঝে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করে আপনার সাথে। কিন্তু আপনি তো ফোন রিসিভ করবেন না, তাই কথা বলা হয় না।

হুম…..আপনি হয়তো রিপ্লাই দেবেন না আমার কোন কথারই, হয়তো পড়েও দেখবেন না, তাও একাএকা কথা বলি আমি……..এতেও একটা আনন্দ আছে। আসলে কি আমি আপনার সাথে কথা বলি, নাকি আমার নিজের মনের সাথেই কথা বলি আর বোকা মনটাকে সুখ দিই? মানুষ বড়ো অদ্ভুত, আর মেয়েমানুষ মানুষের চাইতেও অদ্ভুত!

বিরক্ত হবেন না, প্লিজ!

আপনি খুব ভাল লিখতে পারেন, বলতেও পারেন ভাল। কিন্তু এই লেখা আর বলার বাইরে আপনি সত্যিকার অর্থে কেমন, সেটা জানার অধিকার আপনি আমাকে দেননি। তাই সেটা আমি জানিও না। হয়তোবা কখনো জানতেও পারব না। তবু জানতে ইচ্ছে করে।

আমাকে রিপ্লাই দিতে হবে না। আমার লিখতে ভাল লাগছে, তাই লিখছি আপনাকে।

ইঁদুরের বাচ্চা দেখেছেন কখনো? একদম ছোট বাচ্চা…….যদি না দেখে থাকেন, তাহলে দেখে নেন। মায়া লাগে খুব। মারতে ইচ্ছে করে না।

আপনাকে এখন আমি কয়েকটা ফুল গিফট করবো। মানে, আমি শুধুই নাম বলবো। চালতার ফুল, কামরাঙা ফুল, জারুল, অপরাজিতা। এখন এই ফুলগুলি আপনি নিজেই নিজেকে এনে দিবেন আমার হয়ে।

আজ সারাটা দিন খুব কষ্ট লেগেছে আপনার কথা ভেবে। আমি আপনাকে কিছু ফুলও দিতে পারি না! কেমন অপদার্থ আমি! ফুল দিতে ইচ্ছে করল আর আমি কিনা আপনাকেই বললাম ফুল যোগাড় করে নিতে! তাই সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে কিছু ফুল কিনে এনেছি। এনে জল দিয়ে টবে রেখে দিয়েছি। এই ফুলগুলি আপনার জন্য। রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলা, চন্দ্রমল্লিকা, হলুদ গোলাপ। পছন্দ হয়েছে তো? হয়তো আপনি আমার এই উপহার কখনোই নেবেন না, তবু আপনিই নিয়েছেন ভেবে খুব আনন্দ হচ্ছে। এর চাইতে বেশি পাওয়ার অধিকারই হয়তো আমার নেই। আমি গরীব, আর গরীব তো ভেবেই খুশি! কেন এত মায়া বাড়ছে আপনার জন্য? আপনি আমার নন, কখনো হবেনও না। তাই বাড়ছে?

সকালবেলা যদি দেখেন আমার লেখাগুলি, তাহলে হয়তো খুব বিরক্ত হবেন। ভাববেন, সব অর্থহীন কথাবার্তা। আমি নিজেও সকালে উঠে যখন দেখবো, এতগুলি কথা লিখেছি, তখন নিজেই বিরক্ত হবো নিজের উপর। সকালেরটা সকালে দেখা যাবে, আপাতত তো বিরক্ত হচ্ছি না নিজের উপর, তাই লিখে ফেলছি!

কেমন আছেন আপনি? আপনার বাবা-মা’কে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আপনার মাকে বেশি পছন্দ হয়েছে। কেন পছন্দ হয়েছে, সেটা জানি না।

একটা ব্যাপার বেশ ভালই হল, এখন আপনি অনলাইনে নাই। তাই আমি নির্ভয়ে লিখতে পারছি। অবশ্য যদিও আপনি আমাকে কখনোই বকা দেননি, আমি কিন্তু বকা খেতে খুব পছন্দ করি। তবে হ্যাঁ, আমাকে বকা দেয়ার অধিকার কিন্তু সবার নাই। আপনি ইচ্ছে হলে আমাকে বকা দিতে পারেন, আমাকে বকা দেয়ার অধিকার দিলাম আপনাকে। আপনি বলেই হয়তো বকাঝকা করেননি। অন্য কেউ হলে………তবে এতগুলি মেসেজ দেখার পর মনেমনে হলেও আপনি আমাকে একটা বকা দিবেন, আমি শিওর! আমি চাইও আপনি আমাকে বকা দেন!

ওহ্‌ আচ্ছা, পেয়ারার ফুল আর কাঞ্চন ফুলও দিলাম আপনাকে। (সত্যিই ফুল দুটো তুলে এনে আমার পড়ার টেবিলে রেখেছি।) আমার তো সাহস কম না। এত প্যানপ্যান করছি। আপনার সাথে আমার অনেক আগে দেখা হওয়া উচিত ছিলো আর নয়তো আরো অনেক পরে। এখন দেখা হওয়াটা একদমই ঠিক হয়নি। ভুল মানুষের সাথে ভুল সময়েই দেখা হয়। কী আর করা যাবে? আচ্ছা, আমার কথাগুলি আপনার কোনোভাবে আবার ন্যাকামি মনে হচ্ছে নাতো? হলে হোক।

আপনার গান তো শুনেছি, কিন্তু আবৃত্তি তো শুনিনি। আপনার আবৃত্তি শোনাবেন আমাকে? আমার খুব ইচ্ছে শোনার। আমি আপনাকে গান, আবৃত্তি দুটোই শোনাবো যদি কখনো সুযোগ পাই।

সকালবেলা একটা বকা দিয়ে দিয়েন আমাকে, তাহলে আর লিখবো না আপনাকে, আর বকা না দিলে কিন্তু এভাবে লিখতেই থাকবো………হিহিহিহিহি……..এত্তগুলি মুখ ভেংচি আপনাকে…….

বিয়ে সংক্রান্ত যে পোস্টটা দিয়েছেন, এই দুইদিনে আমি মনে হয় আর কোনো পোস্ট এতবার পড়িনি, এই পোস্টটা যতবার পড়েছি। যতবারই পড়েছি, মনে হয়েছে যেন আমিই লিখেছি কথাগুলি। একেবারেই আমার মনের কথাগুলি লিখেছেন সব। বৌ হলে তো এরকমই হওয়া উচিত। এই লেখাটা পড়ে সত্যিই খুব অবাক হয়েছি। আমার চিন্তাভাবনার সাথে আপনার কথাগুলি হুবহু মিলে গেলো কীভাবে, বুঝতে পারছি না। আমার কথা আপনি বিশ্বাস করছেন কি না জানি না, কিন্তু ভগবান জানেন, আমার মনের কথার সাথে আপনার কথাগুলি মিলে গেছে সবই! ভেবে অবাক লাগছে, ভালও লাগছে খুব। ভাল কেন লাগছে, জানি না।

আপনি তো একাই থাকেন, একাএকা বাসায় থাকা ঠিক না। সাথে কাউকে না কাউকে রাখার চেষ্টা করবেন। মানুষের বিপদআপদের কথা তো আর বলা যায় না। সাবধানে আর সুস্থ শরীরে থাকার চেষ্টা করবেন।

এখন কেমন আছেন?

কেন জানি মনে হচ্ছে আপনার দিনগুলি এখন কোনো না কোনো কারণে খুব খারাপ যাচ্ছে। মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে বোধহয় হুটহাট। যা কিছু চাইছেন না, হোক, তা-ই হয়তো হচ্ছে। এরপরের দিনগুলি আপনার খুব ভাল যাবে, দেখবেন! আমি শুধু আমার যা মনে হল, তা-ই বললাম। আমার মনে হওয়াটা ভুলও হতে পারে। ভুল হলেই ভাল। আপনার স্ট্যাটাসের কমেন্টগুলো পড়তে বেশ ভালই লাগে কিন্তু কেউ যখন মজা করার লিমিটটা ক্রস করে যায়, তখন সত্যিই খুব খারাপ লাগে।

আচ্ছা, আপনি কি প্রায় সময়ই এমন অসুস্থ থাকেন? আপনি কিন্তু আপনার একটা স্ট্যাটাসে বলেছিলেন যে আপনি নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হবেন, ছোটোখাটো ব্যাপারগুলিকেও অবহেলা করবেন না। কিন্তু আপনি অবহেলা করছেন হয়তো! নিজের প্রতি আরো একটু সচেতন হওয়ার চেষ্টা করেন।

শুভ সকাল! হ্যালো! কেমন আছেন?

বাক্সবন্দি নাগরদোলা থেকে খোলা নাগর দোলায় উঠতে মজা লাগে বেশি। জীবন—যার বাক্সবন্দি নাগরদোলায় চড়ার শখ, তাকে ওঠায় খোলা নাগরদোলায়; যার খোলা নাগরদোলায় চড়ার শখ, তাকে ওঠায় বাক্সবন্দি নাগরদোলায়!…….আপনার সাথে ঘুরাঘুরি করা উচিত………তাইলে অন্তত নাগরদোলায় উঠতে পারবো……..

আপনাকে বিরক্ত করতে ইচ্ছে করছে খুব! কীভাবে বিরক্ত করা যায় বলুনতো?

এই এই এই এই এই এই এই এই এই এই এই এই……….কথা বলেন না কেন? সত্যি বলছি, আমি বাঘ কিংবা ভাল্লুক, কিছুই নই। আমাকে ভয় পেতে হবে নাতো!

যামিনী: কী করছ?

শশী: এখন?

যামিনী: হুঁ।

শশী: সূর্যডোবা দেখছি। আচ্ছা, আপনার সূর্যডোবা দেখতে কেমন লাগে?

যামিনী: তোমার একটা সেলফি দাও।

শশী: দিলাম। এইবার আপনিও একটা দেন, তাহলে সমান সমান হবে।

অনেক ধন্যবাদ। এইবার বিশ্বাস হয়েছে তো আমি বাঘ না, ভাল্লুক না, মানুষ! হাহাহাহাহা……….

দুনিয়ার সব থেকে বিরক্তকর কাজ হচ্ছে মশারি টাঙানো। আমি ভাবছি, আমি সেই ছেলেকেই বিয়ে করবো যে ছেলে মশারি টাঙাতে জানে। এই ছেলে, আপনি কি মশারি টাঙাতে জানেন? উফফফ্‌!

এই দুটো কালকের সেলফি। আপনার জন্য তুলেছিলাম। তখন দিইনি। এখন দিলাম। মুখ ভেংচি!

বলবেন না কথা?

কাল রাতে আপনাকে ফোন করেছিলাম, যদিও জানতাম, আপনি রিসিভ করবেন না, তাও আরকি! হ্যাঁ, ভুল করেছি। তো কী হয়েছে? এই জাতীয় ভুলগুলো মানুষ সবসময়ই জেনেবুঝেই করে, তার উপর আমি মেয়ে!

এই এই এই এই এই এই এই এই ছেলে! এত সুন্দরী সুন্দরী করেন কেন সারাক্ষণ? একটা প্রবাদ আছে সুন্দরীদের সম্পর্কে। ওটা হল…….থাক, না বলি। আপনাকে একটা কথা বলি। এখন থেকে সুন্দরী না খুঁজে সুন্দর মনের কাউকে খুঁজেন, ভাল হবে তাহলে।

আর হুম, আপনি কিন্তু সুন্দরের এক ধাপ নিচে আছেন। নিজেকে কী মনে করেন, হুঁ?

পচা ছেলে, শুধু সুন্দরী খুঁজেন! অ-সুন্দরীদের মনে কষ্ট দেন। ঠিক না কিন্তু এটা! পচা ছেলে একটা!

একটা ব্যাপার বেশ ভাল। আপনাকে যা খুশি বলা যায়, ভয় লাগে না, কারণ আপনি আমার কলেজের স্যার না যে একজামে মার্কস কমিয়ে দেবেন কিংবা আমার বাবা-মায়ের কাছে আমার নামে বিচার দেবেন। হেহেহেহেহে

এই ছেলেটা, ফেলফেলেটা! কথা বলেন না কেন?

আচ্ছা, আমাকে প্রতিদিন আপনার একটা করে সেলফি দেবেন?

এই এই এই এই এই এই এই এই!!!

সেলফি কই? দেন!

কী হলো? দেবেন না ছবি?

এই ছেলেটা! কই আপনি? আমি আপনাকে মিস করছি খুব বাজেভাবে!

আপনার আমাকে সেলফি দেয়ার কথা ছিল তো! দিলেন না কেন?

আচ্ছা, আপনি আমার সেলফি কেন চেয়েছিলেন সেদিন? আমি তো আপনাকে অনেক পছন্দ করি, তাই আপনারটা চেয়েছি, কিন্তু আপনি কেন চাইলেন?

আপনি নিজেকে অবহেলা করেন কেন মাঝেমাঝে? অবহেলা না করলে অবশ্যই আপনার অসুস্থ থাকার কথা না। এটা ঠিক না। মাসিমা, মেসো, উনারা তো অসুস্থ, অন্তত উনাদের জন্য হলেও আপনার নিজেকে সুস্থ রাখাটা বোধহয় দরকার। নিজেকে একটু বিশ্রাম দেন এখন। অনেক তো ঘোরাঘুরি করলেন, আড্ডা দিলেন, এইবার একটু স্থির হন। আপনি অবশ্যই নিজেকে নিয়ে আর আপনার পরিবার নিয়ে ভাববেন। আপনি অসুস্থ হয়ে গেলে পরিবারের বাইরে আপনি যাদের জন্য ভাবছেন, ওদের কেউই আর আপনার জন্য ভাববে না। আমার মনে হল, তাই বললাম। আমার কথা যদি আপনার কাছে উপদেশ মনে হয়, তবে আমার কথা তা-ই।

খারাপ লাগছিলো, তাই ফোন করেছিলাম আপনাকে। ওই তুচ্ছতাচ্ছিল্য আর উপেক্ষাটুকু আমাকে না করলেও পারতেন আপনি। আপনার মতো উপহাস সহ্য করার ক্ষমতা আমার নাই, তাই বললাম। আমাকে আপনার ভাল না-ই লাগতে পারে, আমি হয়তো আপনার নখের যোগ্যও না, কিন্তু আমাকে এভাবে না বললেও পারতেন। খুব ভাল লাগে খারাপ ব্যবহার করতে? খারাপ ব্যবহার করার লোভটা সামলে দেখেছেন কখনো, কেমন লাগে? দারুণ লাগে, সত্যি! ইউ ক্যান ট্রাই ইট!

কী অবস্থা আপনার?

এই ছেলেটা! কী করছেন?

আপনি হাতে ভাজা মুড়ি খান, না মেশিনে ভাজা মুড়ি? হাতে ভাজাটা খেলে আর স্প্রাইট লাগবে না সাথে।

আপনি কখনো সর্ষে ফুলের বড়া খেয়েছেন? খেয়ে দেখবেন, ভাল লাগবে। দুধ-চায়ের সাথে চানাচুর মিশিয়ে খাবেন। ওটাও বেশ উপাদেয় খাদ্য।

এই এই এই এই এই!! ফেসবুকে এত সময় না দিয়ে নিজেকে একটু সময় দিন না রে বাবা! নিজের ভাল তো পাগলেও বুঝে! আপনি বুঝেন বলে তো মনে হয় না! আপনি বুঝেন না কেন? এ পাগল কেমন পাগল!

নিজের দিকে ভাল করে তাকিয়ে দেখুন একটু!

সরস্বতী পূজার অঞ্জলি দিয়েছেন? আজকে তো কাঁচা হলুদ মেখে স্নান করতে হয়। করেছিলেন তো?

ভুলে গেছেন আমাকে? ফোন করেছিলাম সকালে আপনাকে।

মা পিঠা বানিয়েছে, পায়েস রান্না করেছে। আপনার নিমন্ত্রণ। আমিও একটা আইটেম রান্না করেছি। বলবো না, ওটা কী। সারপ্রাইজ!

এই ছেলেটা……..হুম, যামিনী বাবু,

আপনাকেই বলছি, এতো ভাব কেনো আপনার? বস্তাপচা ভাব সব! কী বিচ্ছিরি গন্ধ! দেখলেও গা জ্বলে যায়! ইসস্‌ কত্ত ঢং। পুরুষমানুষ হয়ে এতো ঢং কোথায় শিখলেন! আপনাকে একদম মানায় না এতে। সব ঢং বাদ দেন সময় থাকতেথাকতে! সব ব্যাপারেই আপনার বড্ড বাড়াবাড়ি। ফোন করলে ফোন কেটে দেন কেন? আরে বাবারে, আপনি ব্যস্ত, সেটা তো শুধু আমি না, দুনিয়াশুদ্ধ সবাই জানে। ফোন করলেই ভাবটা বেড়ে এভারেস্টের চূড়ার সমান উঁচু হয়ে যায়, তাই না? ভাবগুলো সব ল্যাপটপের ব্যাগে ভরে ওয়ারড্রবে রেখে দেন। আমার কী ধারণা জানেন, আমার ধারণা, ফেসবুকে নিজেকে নিয়ে যা কিছু লিখেন, তার ষোল আনার চৌদ্দ আনাই ভুয়া কথা। তা না হলে এতো দিনে আপনার সাথে আমার সাতবার বিয়ে হয়ে দাদু ঠাকুরমাও হয়ে যেতাম। সব শুধু লাইক পাওয়ার ধান্ধা। এতো লাইক দিয়ে কী করবেন, একটু বলেনতো, শুনে কান সার্থক করি আমি।

ফেসবুকে এতো কী, শুনি! সারাদিন শুধু ফেসবুক আর ফেসবুক। আমি আপনার বৌ হলে আপনার ফোনটা আছাড় মেরে ভাঙতাম বিয়ের দিনেই। অবশ্য ফোনটা আপনার শখের হলে ভাঙবো না। এ তো সতীনের থেকে কম না! ফালতু জিনিস একটা। ভাবছেন, কোথাকার কোন মেয়ে, রূপগুণের কোনো বালাই নেই, তার আবার আমার বৌ হওয়ার শখ! ইসস্‌! কী আমার রূপবান, গুণবান পুরুষ এলেন রে! আপনি এতোটুকুনও রূপবান না। ফর্সা তালগাছ একটা! আপনার থেকে তো আমি হাজার গুণ বেশি সুন্দর। আর গুণ তো কিছুই নাই আপনার। চাকরি করাটা অবশ্যই কোনো গুণের মধ্যে পড়ে না। গান তো ওই একটাই জানেন বোধহয়, তাও সুর লাগে না মাঝেমাঝে। নেংটি ইঁদুর একটা। নেংটি ইঁদুর চেনেন আশা করি। আপনার বড়বড় দুইটা কান, মস্ত একটা নাক, দেখলেই ইচ্ছে করে নাকে একটা কামড় বসিয়ে দেই। এভাবে মেয়েদের মতো করে ছবি উঠান কেন? বাজে সব স্টাইল! ধুতি পরলে কেমন লাগবে আপনাকে, চিন্তা করেই হাসি পাচ্ছে। দেখতে কাকতাড়ুয়া লাগবে। ধুতিপরা কাকতাড়ুয়া। হিহিহি ধানখেতে আপনাকে দাঁড় করিয়ে রাখলে, আমি শিওর, একটা পশু পক্ষীও কাছে আসার সাহস পাবে না। বান্দর একটা! ওহ্, কী গুণ আছে শুনি একটু……..রান্না করতে পারেন? পারলেও আমার থেকে ভাল পারবেন না। কবিতা নাকি আবৃত্তি করতে পারেন? তো হয়ে যাক একটা প্রতিযোগিতা আমার আর আপনার মধ্যে! আমি কিন্তু ভুলেও কখনো শিখিনি। কারোটা শুনেও না। নিজেনিজেই পারি। কবিতা বুঝি, হৃদয়ে নিই, এরপর বলি।

আপনাকে নিয়ে এতো কেন ভাবছি, বলেনতো! ধুউর! রূপ, গুণ-হীন মানুষ একটা, তাও যে কেন ভালোবাসি, বুঝি না নিজেই! মা বলে, আমার পছন্দ নাকি খুব বাজে, আপনাকে ভালোবাসার পর বুঝলাম, মা সত্যি বলে। বিয়েটা কবে করবেন, শুনি একটু! বয়েস তো আর কম হলো না! আপনাকে বিয়ে করলে লোকে বলবে, একটা বুড়ো বিয়ে করেছি। ব্যাপার না! বলবো, বিয়ে তো ভাগ্যের ব্যাপার, ওতে তো কারো হাত নেই, কিন্তু বুড়োটা আমায় ভালোবাসে খুব! শুনে সবাই হিংসে করবে আমায়। হাসি পাচ্ছে খুব, তাই না! ভাবছেন, পাগল নাকি! অমন শাঁকচুন্নি মার্কা মেয়েকে আমি ভালোবেসে বিয়ে করতে যাবো কোন দুঃখে!? আমি একবার বললেই তো সুন্দরীদের লাইন পড়ে যাবে। ইসস্‌! সুন্দরীদের তো আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই আপনার মতো একটা বুড়ো বাঁদরকে বিয়ে করবে! এই যে স্যার, কতকিছুই তো জানেন, তা ভালোবাসতে জানেন তো?

আমি বলেই রাজি হচ্ছি। হুহ্‌! ঢং দেখে আর বাঁচি না! সুন্দরী লম্বা মেয়ে খুঁজে আবার। কেন, শুনি! বাড়িতে কি সুপারি, নারকেল গাছ আছে নাকি যে লম্বা বউকে দিয়ে নারকেল, সুপারি পাড়বেন গাছ থেকে!? আদিখ্যেতা সব! আপনাকে সামনে পেলে নাকে কামড় বসাতাম একটা! ইন্দুর, বিলাই, বান্দর একটা! আবার ভেবে বসবেন না যেন আমি অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলি! শুদ্ধ ভাষায় বকা দিলে ওটা আর বকা থাকে না। আপনি হচ্ছেন স্বার্থপর একটা মানুষ। শুধু নিজেরটা বুঝেন, আর কারোটা না। বিয়ের পর আপনার এই স্বার্থপর ভাব আমি ছাড়াবো। আপনি হচ্ছেন মহাপণ্ডিত ভাবসম্পন্ন একটা মানুষ। আপনার ধারণা, আপনি সব জানেন, সবার থেকে বেশি জানেন………..সেটা সম্পূর্ণ ভুল, মশাই! আপনি আসলে কিচ্ছু জানেন না। শুধু জানিজানি ভান করেন। আমি কিন্তু কিছুই জানি না। জানতে চাইও না। তবে এটা জানি, আপনি কিচ্ছু জানেন না। আপনি একলা একটা মানুষ, বিয়ের পর আর আপনাকে একা থাকতে দেবো না। আপনি চাইলেও না। ভাবছেন, যে মেয়েকে বলেই দিয়েছি ভালোবাসি না, তাকে আবার বিয়ে! আরে, একটু ভালোবেসেই দেখুন না! আমি ছাড়া আর কাউকেই চোখে দেখবেন না তখন! যদি বয়সের হিসেব করে বলেন, ধুউর পিচ্চি মেয়ে, ওকে কী ভালোবাসবো! তবে বলবো, আপনার তো ভালোবাসার কোনো অধিকারই নেই! ভালোবাসায় অতো মাপামাপি হয় না, জনাব! আমি কিন্তু প্রচণ্ড ভালোবাসতে পারি। অতোটা কল্পনা করার ক্ষমতাও আপনার নেই। একটু ভালোবাসলে কী হয়, শুনি! আচ্ছা আপনি পারেন তো ভালোবাসতে, নাকি ভেতরটা একদম ফাঁকা!

আমি আপনাকে জ্বালাই, তাই না? জ্বালাবো না তো কি আদর করবো নাকি! বাঁদর একটা! আরো বেশি করে জ্বালাবো! আচ্ছা, আদর করে দিলাম……..আদর আদর! কাল থেকে আমাকে ফোন করবেন, আর আমি যখন ফোন করবো রিসিভ করে আদুরে গলায় কথা বলবেন আমার সাথে; বকা দেয়া তো দূরে থাক, ফোন কাটলেই নাকে কামড় দিবো আপনার। আপনার গায়ে পিঁপড়াসহ পিঁপড়ার বাসা ছেড়ে দেবো। মনে থাকে যেনো! কাকতাড়ুয়া একটা…….এত্তগুলা মুখ ভেংচি!

যা ইচ্ছা করেন। কিন্তু আমি সত্যিসত্যি বলছি, আপনি কাকতাড়ুয়া, নেংটি ইঁদুর, বান্দর, ভাল্লুক, উল্লুক, ইবলিশ, শয়তান! তবু আমি আপনাকেই বিয়ে করবো। বুঝা গেলো?

এই ছেলে! খবর্দার! আমার নাম কোনোভাবেই কোথাও লিখবেন না! আপনার সাথে কথা হয়, এটা মানুষজন জানলেও তো আমারে সেলিব্রিটি বানায়ে দিবে! আমি তা চাই না। নোট লেখা ছাড়া আর কী পারেন, শুনি? আমাকে একটু ভালোবাসতেও তো পারেন না। এখন থেকে আপনি আমাকে, শুধুমাত্র আমাকেই ভালোবাসবেন, তা না হলে নাকে কামড় বসাব আপনার। তালগাছ একটা। মা মাঝেমাঝে বাসার ছাদে সবজি চাষ করে, বিয়ের পর মাঝেমাঝে আপনারে ধুতি পরাইয়া কাকতাড়ুয়া বানাইয়া ছাদে রোদের মধ্যে দাঁড় করাইয়া রাখবো। হাসার জন্য আপনাকে কথাগুলা বলি নাই। আপনি যা, আমি আপনাকে শুধু তাই বলেছি। এখন ঝটপট আমাকে বলে ফেলেন তো, মেয়ে তোমাকে ভালোবাসি! নাইলে কিন্তু কামড় দিবো! চুল ছিঁড়ে ফেলবো, ঘুষি মেরে ভুঁড়ি ফাটাবো!

রাতে ফোন দিবো। ফোন কেটে দিলে কিংবা রিসিভ না করলে কিন্তু খবর আছে আপনার। আমি কিন্তু রাগী খুব………

বিয়েটা করেন একবার আমাকে, তারপর দেখবেন ভুলেও আর ফেসবুকের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবেন না। বসেবসে শুধু আমাকে দেখবেন।……….এই ছেলে! ভালোবাসি তো আপনাকে, সত্যি বলছি! আমাকে একটুখানি ভালোবাসলে কী এমন ক্ষতি হয়ে যায় আপনার! একটুও কি ভালোবাসা যায় না!

কাল রাতেও আপনাকে স্বপ্নে দেখেছি। কী দেখেছি, সেটা বিয়ের আগে বলা যাবে না। বিয়ের পরে বলবো। কেন বলা যাবে না, তাও বলা যাবে না, সেটাও বিয়ের পরেই বলবো। আপনি মশাই খুব খারাপ। আমার অনুভূতিগুলোকে নোট বানানোর ষড়যন্ত্র করছেন। ষড়যন্ত্রকারী বাজে লোক একটা!

এই ছেলে! আবার ফোন কেটে দিলেন! আপনার তো সাহস কম না! সত্যিসত্যি কামড়ে দেবো আপনাকে! তখন বুঝবেন মজা! নাকের মায়া বেশি, নাকি কথাবলার কষ্ট বেশি? কী হয় একটু কথা বললে!

এই এই এই এই এই এই এই এইইইইইইইইই………………..

আপনি খুব খারাপ। খুউব! আপনি তো নিজেকেই ভালোবাসতে পারেন না ঠিকমতো, আমাকে ভালোবাসবেন কীভাবে? আপনার শুধুই বাইরের মানুষটাতে সবই-আছে ব্যাপার, ভেতরের মানুষটাতে সবই-ফাঁকা! আফসোস!

আমার ফোন কেটে দিতে যেনো সুবিধা হয়, সে জন্য সেদিন বলেছিলেন যে আমার নাম্বারটা সেইভ করে রাখবেন, তাই না? হায়! কী চালাক!

আপনি সত্যিই খুব বাজে! খুব খারাপ লোক একটা! ফোন রিসিভ করেন না, করলেও রিসিভ করে কথা বলেন না! রিসিভ করে ফোনটা ফেলে রাখার মানে কী? ভেবেছেন, আমি লজ্জায় আর ফোন করবো না? আরে ব্রাদার, লজ্জাশরমের মাথা খাইবো বলিয়াই তো আপনাকে ভালোবাসিয়াছি! বুঝ নাই, ভ্রাতা?

মুখে কিছু বলার মতো সাহস নাই, ছেলে? আমি তো সব বলে দিই! আমি চাইই আপনাকে জ্বালাতে!

আরো জ্বালাবো………….

পচা ছেলে!

কাকতাড়ুয়া, তালগাছ, নেংটি ইঁদুর, বান্দর, বিলাই, উল্লুক, ভাল্লুক!

এখন থেকে আরো বেশি জ্বালাবো আপনাকে……..অনেক বেশি!

এখন থেকে প্রতিদিন ফোন করবো আপনাকে……..দেখি, আপনি আমাকে কত এড়িয়ে চলতে পারেন!

হুম! চেহারা ভাল না আমার, আমি ছোট থেকেই জানি সেটা। আপনার এভাবে না বললেও হতো। অবশ্য, বলে ভালই করেছেন। ধন্যবাদ, ছেলে! আপনি সত্যিই অনেক ভাল! আপনার দুর্ব্যবহারে আমি কাঁদতেকাঁদতে মরে যাবো, তবু আপনাকেই ভালোবাসবো!

যেহেতু আমি শাঁকচুন্নি মার্কা চেহারার অধিকারিণী, সেহেতু শাঁকচুন্নি হিসেবে আমার দায়িত্ব আপনাকে জ্বালানো। আমি তো আপনাকে জ্বালানো বন্ধ করবো না, করবোই না! মুয়াহাহাহাহা………

হ্যালো! কেমন আছেন? আপনার কি ধারণা আমি ভুলে গেছি আপনাকে? আপাতত একটু কম জ্বালাচ্ছি আপনাকে, এর মানে এ না যে আমি আপনাকে আর জ্বালাবো না। হিহিহিহি…….কাকতাড়ুয়া একটা!

এলিয়েনের মতো লাগছে আপনাকে নতুন ছবিগুলিতে। হিহিহিহিহি…….

কেমন আছেন আপনি? সুস্থ তো? আপনাকে মাঝেমাঝেই খুব মিস করি। মন খারাপ হয়ে যায় কখনোসখনো হয়তো, তাই হয়তো মিস করি।

এই ছেলেটা………কেমন আছেন আপনি?