আজ নাহয় আমি পাখি হই। আমার ডানায় ভর করুক জীবনের সমস্ত অভিমান কিংবা আর্তনাদ।
আজ বরং গান হই, ভেসে ভেসে বেড়াই সুরের সাগরে, সেই সাগর থেকে বাড়ি ফেরার কোনও রাস্তা না থাকুক।
আজ একটুকরো মেঘ হয়েই দেখি না, আমাকে দেখার সুখে ছটফট করুক কবি কিংবা চাষী। বৃষ্টি হয়ে ঝরব, সেই প্রতীক্ষায় চায়ের কাপে আসর জমুক পুরোনো কোনও গল্পে।
আজ আমি প্রেম হই, কেমন? বুকে টিপটিপ করুক, ফোনে প্রথম হ্যালোটা বলতে গলা কাঁপুক, গলার স্বর ধীর হতে থাকুক উত্তেজনায়।
আমি আজ তেরো পৃষ্ঠার এক চিঠি হতে চাই। বইয়ের ভাঁজে ভাঁজে লুকোনো বকুল ফুলগুলো সযত্নে ছড়িয়ে দেবো চিঠির পাতায় পাতায়। প্রেমের নিদারুণ শব্দে বধির হোক চিঠির অক্ষরগুলো, লেপটে থাকুক শুধু অভিমান।
আজ বরং এক কাপ কড়া লিকারের রং চা হই। চায়ের রংটা ধরা দিক আমার মনের রং হয়ে। আজ আমার চোখাচোখি হোক মনের সঙ্গে।
আমি আজ মায়া হব দু-চোখের। অশ্রুর নাম করে চোখ বেয়ে ঝরে পড়ে বুক হালকা করে দেবে সেই মায়া। আমায় বেঁধে ফেলবে, আমার বর্তমানকে বেঁধে ফেলবে মায়ার সমস্ত শক্তি দিয়ে।
আজ আমি বরং রক্ত হই। পরিচিত হই কৃষকের কিংবা শ্রমিকের নামে।
আজ নাহয় সমরেশের দীপাবলি হই, শক্ত মেরুদণ্ডের মতনই শক্ত করি নিয়মগুলোকে। সত্যকে সত্য বলার সাহস করি, মিথ্যেকে দিই গুঁড়িয়ে মিথ্যে বলেই।
কিংবা মনে মনে হয়তো হতে চাইছি জয়িতা। পুরুষবেশের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে ফেললেও নারীর হোক সেই মাতৃত্বই পরিণতি।