অন্ধের দেশে আয়না-ফেরি

 
ধরুন, আপনি দিনের পর দিন বিনা স্বার্থে, বিনা অর্থে, বিনা শর্তে শুধু মনের তাগিদে মানুষের উপকার করে যাচ্ছেন। আপনার এই কাজটির পেছনে কণামাত্রও আর্থিক উদ্দেশ্য নেই। এক মনের আনন্দলাভ বাদে আর একটিও কারণে আপনি মানুষের উপকারটা করছেন না।


সবাই আপনাকে ধন্য ধন্য করছে, আপনিও নিজেকে মনে মনে ধন্য ধন্য করছেন, ফেসবুকে বড়ো বড়ো স্ট্যাটাস ছুড়ে দিচ্ছেন, সেখানে কত লাইক কত কমেন্ট কত শেয়ার! তুসি গ্রেট হো! আহা আহা! পৃথিবী হয় সুন্দর। দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ বিউটিফুল। আপনার প্রায়ই মনে হচ্ছে, হায় ঈশ্বর! আমি এত্ত ভালো কেন! দুনিয়া উদ্ধার করে ফেলতে এত্ত মজা কেন?


ওদিকে কিছু লোক আপনাকে ঘৃণা করছে, করেই যাচ্ছে। কেন? এর এমন একটাও কারণ নাই, যেটা বোঝাটা আপনার স্বল্পঘিলুতে কুলাবে। মনে রাখবেন, উপকারীর প্রতি মানুষের সকারণ ভালোবাসা ও অকারণ ঘৃণা---দুটোই সমানুপাতিক হারে বাড়ে। বরং নীরব ভালোবাসার চাইতে সরব ঘৃণার তীব্রতা অনেক অনেক অনেক বেশি ও কার্যকরী। বিশ্বাস হয় না? ওয়েট, পিকচার আভি বাকি হ্যায়, মেরে দোস্ত!


এরপর একদিন আপনি বিপদে পড়লেন। রীতিমতো ঘোর বিপদ যাকে বলে। বিপদে কেন পড়বেন? এই দুর্ভাগা দেশে বিপদে না-পড়ে কেউ লোকের উপকার করতে পেরেছে, এরকম একটা উদাহরণ আমাকে পারলে দেখান। শুধু একটা দেখান দেখি! জি হ্যাঁ, অন্যের উপকার করবার শাস্তিস্বরূপ বিপদে আপনি পড়বেনই! তখন কী হবে, জানেন? আপনার পাশে দাঁড়ানোর মতো তেমন কাউকে পাবেন না, যিনি পাশে দাঁড়ালে আপনি বিপদ থেকে মুক্ত হতে পারেন।


কেন পাবেন না? মানুষ কি সব অমানুষ হয়ে যাচ্ছে?


না না, তা নয়। আচ্ছা, কেন পাবেন, একটু ভেবে দেখুন তো!


যাদের উপকার করে গেছেন দিনের পর দিন, ওরা তো সবাই অসহায় মানুষ। ওরা নিজেদের পাশেই দাঁড়াতে পারে না, আপনার পাশে দাঁড়াবে কী করে? আর মনে রাখবেন, অসহায় মানুষ সাধারণত অকৃতজ্ঞ হয়, কখনও কখনও কৃতঘ্নও হয়। এই দুইটার কোনওটা না হলেও বিস্মৃতিপরায়ণ, সংশয়ী ও উদাসীন হয়। ওরা আসে উপকারলাভের ধান্দায়, এরপর...কাজ শেষ, খোদা হাফেজ! আর-একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আছে ওদের মধ্যে। ওদের নির্দিষ্ট কোনও কালার বা স্ট্যান্ড (অর্থাৎ চরিত্র) নেই। ওরা আপনারও নয়, আমারও নয়, ওরা তাদের সবারই---যাদের কাছে গেলে ঘি খাওয়া যায়। এমনকি, যে আপনাকে বিপদে ফেলছে, আপনি ওদের তার পাশেও দেখতে পাবেন! হ্যাঁ, পাবেনই পাবেন! ব্যাপারটা সত্যিই ছো ছুইট! বাই দ্য ওয়ে, টেনশন নিয়েন না! আপনি বিপদ থেকে মুক্ত হয়ে যাবার পর আবারও ওদের 'পাশে' পাবেন। রীতিমতো বান্দা হাজির! এদ্দিন পর কেন হাজির? হে হে...বুঝেন নাই ব্যাপারটা? আপনি দুধেল গাই, ওরা দুধের কারাবারি। এখনও বুঝেন নাই? আপনি আসলেই অনেক সুইট একটা গাই, কিউট একটা বলদ!


যারা আপনার পাশে দাঁড়ালে এই বিপদে কিছুটা হলেও আপনার শঙ্কালাঘব হতো, (মানে একটু হলেও স্বস্তি পেতেন আরকি!) ওরা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। কিংবা ওদের গায়ে এত তেল নাই যে আপনি বিপদে পড়েছেন বলে আপনার জন্য দৌড়াতে যাবে। কেন যাবে? এতে ওদের কী লাভ (পড়ুন, ধান্দা)?...মনুষ্যত্ব? মানবিকতা? মূল্যবোধ? এই শব্দগুলি ভালো শব্দ, অত্যন্ত সুইট ও কিউট শব্দ, শুনলেই আদর আদর লাগে, এইগুলি ব্যবহার করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে অনেক লাইক পাওয়া যায় (যে লাইকগুলি ধুয়ে পানি খেতে খেতে একসময় আপনি স্বর্গের টিকিট হাতে পেয়ে যাবেন), শব্দগুলি অভিধানেও আছে। মনুষ্যত্ব, মানবিকতা আর মূল্যবোধের খোঁজে অভিধানের কাছে যান, মানুষের কাছে নয়। স্বাভাবিক! যা অভিধান ওলটালেই সহজলভ্য, তার জন্য কাউকে পেইন দেওয়ার কী মানে, ভাই? মানুষের আর কাজ নাই খেয়ে-দেয়ে?


আপনি তো জানেনই, কিছু মানুষ আপনাকে সহ্য করতে পারে না,---আপনি খারাপ লোক, সেজন্য নয়; আপনি ওদের ক্ষতি করেছেন, সেজন্যও নয়। বস্তুত কারও পেছনে লাগার রুচি বা সময়ই আপনার নেই। এখন কথা হলো, সময় রুচি আপনার নেই মানে যে কারওই নেই, তা কিন্তু না, বরং বেশিই আছে! বিলিভ ইট অর নট, বেশিরভাগ লোকই আজাইরা ও ফালতু টাইপের, অন্যের পেছনে লেগে থাকার সময় ও ইচ্ছা ওদের অফুরন্ত অফুরন্ত অফুরন্ত। ওদের মধ্যে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত, ব্যস্ত, বেকার, সৃষ্টিশীল, অসৃষ্টিশীল সব ক্যাটাগরির ব্যক্তিই আছে। আপনি উপরে উঠছেন, কিছু মানুষের হাততালি পাচ্ছেন, আপনাকে অনেকে ভালো বলছে, এই সমস্ত অমার্জনীয় অপরাধে আপনি অনেক লোকের ঘৃণার পাত্র হয়ে যাবেন আপনাআপনিই। আপনি আপনার বোধকে যে-পথে হেঁটে কাজে লাগাতে পেরেছেন, হয়তো ওরাও সে-পথে হাঁটতে চেয়েছে, কিন্তু পারেনি। নির্বোধের অক্ষমতা সব সময়ই, নির্বোধকে উলটো আরও আত্মবিশ্বাসী ও বেপরোয়া করে তোলে। হ্যাঁ, ওরা আপনাকে মনে মনে ঘৃণা করে। এটা আপনি সুসময়ে অতটা বুঝতে পারবেন না, দুঃসময় এলে ঠিকই হাড়ে হাড়ে শিরায় শিরায় টের পাবেন। তখন দেখবেন, আপনার মেরুদণ্ডটিকে চিরতরে ভেঙে দেবার জন্য যা যা করা লাগে, তার সবই ওরা করবে। নিজেদের সাধ্যের পুরোটুকু কাজে লাগিয়ে হলেও আপনাকে শেষ করে দেবার জন্য চেষ্টা করে যাবে। এই কাজে ওদের স্বার্থ কী? ওদের চোখে, আপনি ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছেন,---এই দৃশ্যটি পৃথিবীর সুন্দরতম দৃশ্যগুলির একটি। মনের ঈর্ষাপ্রসূত আনন্দের দাম লাখ টাকা! আপনি যে এই গোটা পৃথিবীর একমাত্র চোর, আর সাধুরা তো চাইবেই, ওদের চোখের সামনে আপনার মতন একটা ঘৃণ্য চোর জ্যান্ত পুড়ে মারা যাক! আর ভালো কথা, এদের অনেককেই কিন্তু আপনি আপনার পরম শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই চেনেন। দুষ্ট প্রকৃতির লোকমাত্রই সুন্দর চলন ও বলনের অধিকারী।


আপনার পাশে এখন লক্ষ লক্ষ মানুষকে দেখছেন তো? বিশ্বাস করুন, বাকবাকুম করে করে এত উদ্‌বেলিত হবার কিছু নেই। ওরা আছে আপনার কাছ থেকে উপকার পাবার আশায়, কিংবা 'অমুক ভাই এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার পাশে' চিল্লায়ে চিল্লায়ে আপনার কান ঝালাপালা করে দেবার জন্য, কিংবা চেতনার ও আদর্শের নানান মুখস্থ বুলি প্রসব করে সেগুলির ঝান্ডা আপনার চোখের সামনে লটকে দিয়ে আপনাকে উসকে দেবার জন্য। বিপদে পড়ে দেখুন না কী হয়! এদের মধ্য থেকে হাতেগোনা পাঁচজনকেও পাশে পেলে ধরে নেবেন, আপনার মানবজন্ম সার্থক! তখন দেখবেন, যে দুই-একজনকে পাশে পাচ্ছেন, ওদের আপনি, বন্ধু হিসেবে দূরে থাক, শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেও জীবনে কখনও গণ্য করেননি। ওরা হাওয়া থেকে আসবে আপনার পাশে দাঁড়াতে, আপনার বিপদ কেটে যাওয়ামাত্রই ওরা আবার হাওয়ায়ই মিলিয়ে যাবে---ওদের আপনি ন্যূনতম একটা থ্যাংকস দেবার সুযোগটুকু পর্যন্ত পাবেন না। ওরা দেবদূত, ওদের ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না। ওদের অনুভব করতে হয়, ওদের কথা ভেবে ভেবে কৃতজ্ঞতায়, ভালোবাসায় চোখ থেকে দুফোঁটা অশ্রু ঝরে যায় প্রায়ই, তবু এই উপকারের বিনিময়ে ওদের সামান্য খড়কুটোও দেবার সুযোগ পাওয়া যায় না কখনও।


ধুউর, এইসব কথা সারা দিন বললেও শেষ হবার নয়। অল্পকথায় বলি।


এদেশে, মানুষের উপকার করবার পাপের ফল, মানুষের ক্ষতি করবার পুণ্যের ফল---দুই-ই নগদ। আমার অতিপ্রিয় একটা কথা শেয়ার করি, শেকসপিয়ারের। 'Some rise by sin, and some by virtue fall:' এইখানে 'some' মানে কিন্তু আমরা। কথাটার বাংলা করে দিই: 'কারও হয় পাপে উত্থান, কারওবা হয় পুণ্যে পতন।' উনি 'মেজার ফর মেজার' লিখেছিলেন ১৬০৩ কি ১৬০৪ খ্রিষ্টাব্দে। আর বাংলাদেশের জন্ম হয় ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে। ক্যাম্নে কী! এত ক্যাম্নে মিলে যায়!


মনে রাখবেন, আপনার দুজন শত্রুর সক্রিয়তা আপনার দুলক্ষ বন্ধুর নিস্ক্রিয়তার চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী। ভালো মানুষ ধ্বংস হয়ে যায় খারাপ লোকের মার খেয়ে খেয়ে নয়, ভালো লোকের চুপথাকা দেখে দেখে।


অবশ্য, ভালো লোকজন চুপ থাকবে না তো কী করবে? চুপ না থাকলে ওদের পরের টার্গেটটি তো ওই ভালো লোকটিই। তখন তার পাশে দাঁড়াবে কে? কিছু ঘোড়ার ডিমমার্কা ফেসবুক স্ট্যাটাস? আমাদের মনে রাখতে হয়, আমাদের উসকে দেবার মানুষ অনেক আছে, পাশে দাঁড়াবার মানুষ কেউ নেই। (পাশে দাঁড়াবার মানে ফেসবুকে দুলাইন লেখা নয়!) আপনি মৃত্যুকে ভয় পান না? বাহ্‌ বেশ ভালো, দারুণ, শুনে ভালো লাগল, ভায়া! মার খাওয়াকে তো ভয় পান, তাই না? না কি তা-ও পান না? একমিনিট! আর ইউ শিওর? ইউ বেটার থিংক অ্যাগেইন! মার খেয়ে দেখেছেন কখনও যে মার খেতে কেমনটা লাগে? আমি আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় যা ভাবি,---অমর হওয়ার চাইতে জ্যান্ত থাকাটা অনেক বেশি জরুরি। 'অমরত্বের প্রত্যাশা নেই, নেই কোনও দাবিদাওয়া'...সুমনের 'জাতিস্মর' গানের এই লাইনটা আমার বড়ো প্রিয়! এই দেশে কেউই মরার আগে অমর হয়নি, আমরা হতে দিইনি।


ফেসবুকে যারা বড়ো বড়ো কথা বলে, বিশ্বাস করুন, ওদের শতকরা ৯৯ ভাগ লোকই ভণ্ড কিংবা আজাইরা ভাব-নেওয়া পাবলিক কিংবা চরম লেভেলের ধান্দাবাজ ও প্রতারক, কেউ কেউ পেইড কনটেন্ট-ক্রিয়েটর---অর্থ- বা সুবিধাপুষ্ট, কোনও-না-কোনও উপায়ে। ওদের মুখ্য উদ্দেশ্য কিছু লাইক, কমেন্ট, শেয়ার পাওয়া, ফলোয়ার বাড়ানো। আর কিছুই নয় কিছুই নয় কিছুই নয়! ওইসব গালভরা বুলিতে সাজানো পোস্টের বাইরে ওদের মধ্যে কোনও চেতনা-ফেতনা নাই, মন চাইলে খোঁজ নিয়ে দেখুন, ওদের সাথে মিশে দেখুন। ওদের মুখের কথা ও মনের কথার মাঝে দূরত্ব কয়েক আলোকবর্ষের সমান।


এই যে এত কিছু বললাম, এইসব কথার বিরোধিতা করে আপনাকে অনেকে অনেক কিছুই বলবেন। শুনলে মনে হবে, তাই তো! আমার তো আকাশে বাতাসে খালি বন্ধু আর বন্ধু! ভাইরে, অভিজ্ঞতা থেকে বলি, এই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের মিছিলের দৌড় ফেসবুক পর্যন্তই! কুত্তা দেখসেন না, ভাই? নিজের এলাকায় চিল্লায়ে চিল্লায়ে পুরা এলাকা মাথায় তুলে ফেলে! এলাকার বাইরে গেলে সে বিলাইয়ের মিউ ডাকটাও দিতে পারে না। আমরা সম্মানিত ফেসবুকবাসীরাও সেইম জিনিস। নিজের ফেসবুক-ওয়ালে পুরা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড উদ্ধার করে বসে থাকি, ফেসবুকের বাইরে আমাদের রাস্তার কুত্তাটাও পুছে না!


আমাদের সম্পদ, বরেণ্য বাঙালি ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌র একটা চমৎকার উক্তি মাঝেমধ্যে চোখের সামনে ভাসে: ‘আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি। এটি কোনেও আদর্শের কথা নয়; এটি একটি বাস্তব কথা। মা প্রকৃতি নিজের হাতে আমাদের চেহারায় ও ভাষায় বাঙালিত্বের এমন ছাপ মেরে দিয়েছেন যে তা মালা-তিলক-টিকি-তে কিংবা টুপি-লুঙ্গি-দাড়িতে ঢাকবার জো-টি নেই।’


শুনতে খুব ভাল্লাগসে না, ভাই? হ্যাঁ, আমাদের বড়ো পরিচয় আমরা বাঙালি। আর বাঙালিরা কেমন, সেটা আমাদের প্রাণের নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর চাইতে সুন্দর করে আর কে কবে বুঝেছিলেন? তাঁর পর্যবেক্ষণের কাছে আমাদের বার বার ফিরতেই হয়: 'আমাদের বাঙালিদের মধ্যে দুইটা দিক আছে। একটা হলো 'আমরা মুসলমান, আর-একটা হলো আমরা বাঙালি।' পরশ্রীকাতরতা আর বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে। বোধহয় দুনিয়ার কোনও ভাষায়ই এই কথাটা পাওয়া যাবে না, 'পরশ্রীকাতরতা'। পরের শ্রী দেখে যে কাতর হয় তাকে 'পরশ্রীকাতর' বলে। ঈর্ষা, দ্বেষ সকল ভাষায়ই পাবেন,সকল জাতির মধ্যেই কিছু কিছু আছে, কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা। ভাই, ভাইয়ের উন্নতি দেখলে খুশি হয়না। এই জন্যই বাঙালি জাতির সকল রকম গুণ থাকা সত্ত্বেও জীবনভর অন্যের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।'


শেষ কথা: অন্ধের দেশে আয়না ফেরি করবার শাস্তি নগদে না পেয়ে আপনি কিছুতেই এক পিসও আয়না ফেরি করতে পারবেন না পারবেন না পারবেন না! কেননা সবকিছুর পরও, আমাদের একটাই কথা---আমনে আমাত্তে বেশি বুজেন?


দুঃখিত, কথা অতি অধিক হইল।