১. খুব কথা-বলা মানুষটি যদি হঠাৎ করেই চুপ হয়ে যায়, তবে ওকে কিছু জিজ্ঞেস কোরো না; সময় গভীর ক্ষতও ঠিক সারিয়ে দেয়! ২. সে বলল, তুমি অনেক বদলে গেছ! আমি বললাম, বদলাতেই তো বলেছিলে, এখন তবে অভিমান কীসের? ৩. কারও দুঃখের সময় হেসো না। একদিন দুঃখ কেটে গেলেও তোমার প্রতি তার ঘৃণাটা ঠিকই থেকে যাবে! ৪. স্বর্গে যেয়ো না, ওখানে তোমায় কে দেখে রাখবে? তারচে’ বরং আমায় ছুঁয়ে দাও; এ শরীরে যে অনেক পাপ! ৫. আমার চোখের দিকে তাকিয়ে অমন করে কী দেখছ? বৃষ্টির পর আকাশ দেখতে ভালোই লাগে! ৬. ওসব বাড়তি প্রত্যাশা জন্মানোর আগ পর্যন্ত আমরা দু-জন তো সুখেই ছিলাম! ৭. তোমার ওই ঠোঁটদুটো লুকিয়ে রাখো! মানুষ বড়ো নির্দয়, চোখ দিয়ে চুমু খেতেই থাকে রক্ত ঝরার আগ অবধি! ৮. তার কাঁপা-কাঁপা ঠোঁট দেখেই আমি প্রথম নীরব থাকতে শিখেছি…! ৯. কাছে আসতে ভয় যদি পাও, এ চোখে চোখ রেখো না। রাখো যদি, মৃত্যু অবধারিত! ১০. আজ সব স্বপ্নই মিথ্যে হয়ে গেছে, সমস্ত কামনাই অপূর্ণ থেকে গেছে। বেঁচে থাকতে চাইলে আজ শুধুই কিছু ভুল বোঝাবুঝির প্রয়োজন! ১১. জীবনের শেষ পৃষ্ঠাগুলির অপেক্ষায় আছি… ওরা বলে, শেষটা নাকি ভালোই হয়! ১২. আমি এত কষ্ট পাচ্ছি কার জন্য? তারই জন্য, আজ যে আমার স্বপ্নগুলিকে অন্য একজনের সত্যে পরিণত করেছে? ১৩. গতরাতের চাঁদটা ঠিক তোমার মতন ছিল! একই হাসি, একই রূপ, এমনকী একই অভ্যাস! তাই খুব চেষ্টাও করেও ওকে ছুঁতে পারলাম না! ১৪. কী করে বাঁচতে হয়, কী করে জীবন সাজাতে হয়, ওসব আমরাও জানি। কিছু স্বপ্নছোঁয়া আজও বাকি, নইলে বাঁচার কাজটা খুব খারাপ বুঝি না! ১৫. আজ আমার অশ্রুরা সবাই মিলে আমায় জিজ্ঞেস করল, কী ব্যাপার, বলো তো? প্রতিদিনই আমাদের ডাকো কেন? উত্তরে বললাম, ডাকলেই আসো কেন? আসো বলেই তো ডাকি! ১৬. যে সময়টা আমার দিকে তাকিয়ে উপহাস করেছিল, আমি তার শাস্তি চাই। আমার সুখে-থাকা নিয়ে সব মিথ্যের অবসান হোক! ১৭. পুরো দুনিয়া পকেটে পুরেও কী লাভ হবে, যদি মনটাকে কুয়োয় ভরে রাখো? সব দৌলতের মালিক হলেও-বা কী এসে যায়, যদি আত্মাই অমন গরিব থাকে? ১৮. আমি তোমার আসা-যাওয়ার পায়ের শব্দ চিনি। যখন চলে যাবার শব্দই পায়ে, তখন থেকে যাবার মিথ্যে বোলো না! ১৯. যখন বন্ধুর মুখে থ্যাংকস-সরি’র খই ফোটে, তখন ঠিকই বুঝি, বন্ধুর মন অন্য দিকে! ২০. আমার পায়ে রক্ত দেখেছ, শেকল দেখোনি! তোমার পায়ে শেকল দেখেছি, রক্ত দেখিনি! যে শেকলে রক্ত ঝরে না, সে কি সত্যিই বাঁধে? যে রক্তে শেকল লাগে না, সে কি কোথাও বাধে?