ভাবনার বনসাই: বাইশ

(বৃষ্টি নিয়ে)


১. তুমি বুঝিয়ে দিলে,
আকাশের প্রতিদ্বন্দ্বী
কেবলই চোখ!


২. অপেক্ষা করতে করতে
মেঘের শরীর এসে দু-চোখ ছুঁল,
তবু তুমি এলে না!


৩. বৃষ্টি অপেক্ষায় আছে।
তবু ভিজবে না!?
আমি অপেক্ষায় আছি,
তবু ভেজাবে না!?


৪. বৃষ্টি নামে,
স্মৃতিরা আসে,
বয়স কমে।


৫. বৃষ্টি ঝরুক,
ঝরতে দাও!
যেদিন থাকব না,
সেদিনও ঠিকই থাকব!


৬. তোমার আমার
প্রতিটি সেতুই
বৃষ্টিতে ভেজা।


৭. হৃদয়ে আগুন,
দু-চোখে বর্ষা!
আগুন নেভাবে?
না কি আগুন ছড়াব?


৮. ছাতাটা এবার মেলো,
বৃষ্টি তো শেষ!


৯. প্রতিটি বৃষ্টিই
প্রথম বৃষ্টি।
প্রতিটি স্পর্শই
প্রথম স্পর্শ।


১০. বাইরে বৃষ্টি,
ভেতরেও বৃষ্টি।
আর দেরি কোরো না,
নইলে আগুন লেগে যাবে!


১১. বৃষ্টি নামাতে পারলে,
আর ভিজতে পারবে না!
সাহসের এই হাল তবে!


১২. নিজেও কাঁদো,
আমাকেও কাঁদাও!
সব প্রেমিকের জন্ম কি তবে শ্রাবণমাসেই!?


১৩. বছরে মাত্র দু-দিন ভিজি।
যেদিন বৃষ্টি হয়,
আর যেদিন বৃষ্টি হয় না।


১৪. বৃষ্টির একেকটা ফোঁটা,
কান্নার একেকটা স্মৃতি।
সব ফোঁটা মিললেই…বন্যা!
সব স্মৃতি মিললেই…তুমি!


১৫. তুমি ঠিকই করেছ
আমায় টিস্যুর মতো ছুড়ে ফেলে!
পুরো বৃষ্টিই…আজও কেমন শুষে ফেলি!


১৬. একটু অপেক্ষা করো,
বৃষ্টিটা অনুভব করতে দাও…
বৃষ্টিশেষেই নাহয় তোমার কবিতা শুনব!


১৭. জানালার ঠিক পাশেই
তোমার ছবিটা রেখেছি।
বৃষ্টি যখন নামে, আমার বালিশটা
তখন একলা কেন ভিজবে?


১৮. বৃষ্টির এ কী জাদু!
সারাশরীর ভিজে যাচ্ছে…
সারাশরীর পুড়ে যাচ্ছে…
পুড়তে পুড়তে ভিজে যাচ্ছে!


১৯. বৃষ্টি নামলে মাথার উপর
ছাতাটা ধরো কী করতে?
এই বুকের মধ্যে তো
তোমাকে ইচ্ছেমতো ভেজাই!


২০. বৃষ্টি নামলেই
এ বুকে মরুভূমি টের পাই!
বালির নিচে নদী,
সেই নদীর নিচে সমুদ্র!