আমি চাই, আর কোনও দিনই অন্য কোন রূপেও,
কোনও ভালোবাসা আমার কাছে না আসুক।
তোমায় ভালোবাসা শেষ হওয়ার আগে,
আমার মৃত্যুক্ষণটি না আসুক।
আমি এক অদ্ভুত মুগ্ধতা নিয়ে,
তোমায় ভালোবাসতে বাসতে...তোমার কাছেই রয়ে যেতে চাই।
জানো, আগে আমি সারাক্ষণই আমার কাজ নিয়ে ভাবতাম,
আর এখন, আমার ভাবনার পুরো সময়টা জুড়েই তুমি থেকে যাও।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, দুইহাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে,
জোরে চিৎকার করি---আমার পৃথিবীটা তুমিময় হয়ে যাচ্ছে কেন?
আমার যত ইচ্ছে, তার সবকটাই তোমার দিকে ছুটছে…
পরক্ষণেই, কী এক অপূর্ণতা থেকে ফিরে আসছে আমার দিকে!
আমার ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছে, তুমি কাছে এসে এই কপালে চুমু দাও,
আর আমার সমস্ত ক্লান্তি মুছে যাক!
এই যে তুমি কবিতা লিখো, এত আবেগ ঢেলে লিখো কেন?
এতটা আবেগ তোমার মধ্যে আছে বলে তো মনে হয় না!
তুমি এত প্রেম করার সময় পাও কীভাবে?
মানুষের ভালোবাসার প্রতি এত উপেক্ষা...কেন দেখাও তোমার লেখায়?
আমার যে এত ধৈর্য আছে,
এটা তোমার লেখা পড়ে শেষ করার পর ভালো করে বুঝতে পারি!
তুমি কেমন করে জানি ভীষণ মায়া মেখে লিখতে পারো!
তোমার লেখায় অদ্ভুত এক টান আছে!
পড়া শেষ করে আমি ঘোরের মধ্যে থাকি...অনেকক্ষণ!
দিনশেষে, তোমার লেখাকে যতটা পছন্দ করি,
তোমাকে অতটা করি না, কারণ তুমি একটা ইডিয়েট…
তোমাকে অনুভব করা হয় প্রায়ই, কিন্তু জানান দেওয়া হয় না।
তোমার লেখা পড়ে পড়ে দিন দিন কেমন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছি!
তুমি এত কঠিনভাবে ভালোবাসাকে উপেক্ষার কথা লিখো,
আমি মাঝে মাঝে ভয় পেয়ে যাই!
আচ্ছা, আমি কখনও,
তোমাকে ভালো রেখেছি কিংবা খারাপ রেখেছি,
এমন কিছু হয়েছে তোমার সাথে?
না যদি হয়, আমার মধ্যে এমন কেন হয় তবে?
কেন আমার ভালো থাকা না থাকা…
তুমিকেন্দ্রিক, তোমার লেখাকেন্দ্রিক হয়ে গেল এই এতটাই?