এক। এ জীবনে আমায় কেউ কখনও ফুল দেয়নি। তুমিই দিয়েছিলে। এ জীবনে আমি কারও কবরে কখনও ফুল দিইনি। তোমার কবরেই দিয়েছিলাম। আমাদের দু-জনের মধ্যে কত মিল, তাই না? দুই। : তুমি আমাকে ভয় পাও কেন? : কারণ তুমি আমাকে ভালোবাসো। : তুমি আমাকে ভালোবাসো না কেন? : কারণ আমি তোমাকে ভয় পাই। তিন। তবে কি বেকারত্বই প্রেমের সূতিকাগার? চার। পাশে কেউ না থাকাটা একাকিত্ব নয়। মনের জমানো কথা কাউকে বলতে না পারাটাই একাকিত্ব। পাশের মানুষ আর মনের মানুষ এক নয়। পাঁচ। লুকিয়ে থাকো, চুটিয়ে বাঁচো! ছয়। : আপনি সত্যিই টিভি দেখেন না? : না, দেখি না। : এটা একটা ভালো দিক। : এটা ভালো বা খারাপ দিক নয়, এটা জাস্ট একটা ব্যক্তিগত দিক। এটা ভালো দিক হলে কোনও কারণ ছাড়াই কিছু মানুষের অক্ষতিকর পছন্দকে খারাপ বলতে হয়। এর তো কোনও মানে নেই। সাত। তার সঙ্গে যুদ্ধ করতেই মজা, যে একা যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। আট। যাকে যা বলার দরকার নেই, তাকেও তা বললে যার কাছ থেকে দুঃখ পাবার কথা নয়, তার কাছ থেকেও দুঃখ পেতে হয়। নয়। কেউ ভালোবাসাপ্রিয়, কেউবা শান্তিপ্রিয়। দশ। অর্থ ধৈর্য কমায়। এগারো। আমার সারা আকাশ ছেয়ে আছে... কিছু ভুল বোঝাবুঝিতে। বারো। একদিন যে গোলাপ দিত সেধে, আজ তার কাঁটাও পাই না কেঁদে! তেরো। যার এখনও ভাঙেনি হৃদয়, সে এখনও চেনেনি পৃথিবী। চৌদ্দ। সব কিছুই সহজে বলে দেওয়া যায়... জরুরি কথাগুলি বাদে। পনেরো। : আমি সবসময়ই তোমাকে মিস করি। : কীরকম? : ব্যাপারটা মিষ্টি হাওয়ার মতন। অনুভব করা যায়, কিন্তু ঠিক বুঝিয়ে বলা যায় না। ষোলো। ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট পাওয়া ভালো। এতে নিজের ভালোবাসার সতীত্ব বজায় থাকে। সতেরো। শত্রুরা সবাই প্রাক্তন হয়ে গেছে। প্রেমিকারা সবাই প্রাক্তন হয়ে গেছে। এর চেয়েও বড়ো শূন্যতা হয়? আজ আমি কী নিয়ে বাঁচব? আঠারো। যা কাজে লাগে না, তা ফেলে দাও। যা কাজে লাগে না, তা-ও আঁকড়ে ধরে রাখে যারা, তারাই দুঃখ পায়। উনিশ। দীর্ঘমেয়াদি মানসিক শান্তি পাবার প্রথম ধাপ: আবেগ ও ভালোবাসা কমিয়ে ফেলতে হবে। বিশ। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই কবিকে কবি বলার সাহস হয় না; আমরা তো কবিকে কাপুরুষ আর কাপুরুষকে কবি মনে করি!