একটু জোরেশোরে ফুঁউউউউউউ দিয়ে দাও তো! চুলগুলো শুকোক। ভেজাচুলে ক্লাসে যাব কেমন করে?
তুমি কি জানো তোমাকে ছাড়া কতটা কষ্টে আছি আমি? জানো না। আর জানলেই বা তোমার কী! কিচ্ছু না! আমার আবেগ শুধুই আমার, আমার কষ্ট শুধুই আমার, আমার মনটা………তাও শুধুই আমার। নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছে। ঠিক রাগও না, অন্য কিছু একটা হচ্ছে, সেটা যে কী, বুঝতে পারছি না। আমি জানতাম, তুমি আমার না, কখনো ছিলে না, আর হবেও না। সাথে এটাও জানতাম, আমার প্রতি তোমার কোনও ফিলিংস নেই। যা ছিল, তা নিছকই শারীরিক আকর্ষণ। তবুও একটা অদ্ভুত সুখ ছিল। জানি না সেটা কী! ভয়েই কখনও জানার চেষ্টা করিনি। ভয়টা কাকে? নিজেকেই! আমি নিজে না চাইলে আমাকে নিয়ে নেবে, এরপর আবার ফিরিয়ে দেবে বা ছুঁড়ে ফেলে দেবে, এমন সাধ্য কারুরই নেই। আর একবার চেয়ে ফেললে, সেখান থেকে নিজেকে আর ফেরাতে পারি না বলেই যত ভয়! আমি নিজেকে ছাড়া আর কাউকেই ভয় করি না। আমার বন্ধু আর শত্রু, দুইই আমি নিজে। বরাবরের মতই আজও তুমি আমার না। কিন্তু, তোমার এই দূরে চলে যাওয়াটাকে আমি মেনে নিতে পারছি না। কেন পারছি না, বলতে পারো? আচ্ছা, আমি কি তোমাকে সত্যিসত্যি ভালোবাসতাম? কী জানি! নয়ত এতটা কষ্ট হওয়াটা উচিত ছিল না। ঠিক কতটা কষ্ট, বুঝাতে পারব না। মনে হচ্ছে, কেউ একজন আমার হৃদপিণ্ডটাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আয়েশি ঢঙে কুচিকুচি করে কাটছে। ভাল হত যদি কাঁদতে পারতাম। কষ্টগুলো কমে যেত, কিন্তু সেটাও আর পারছি কই? এসব কেন মনে হচ্ছে আমার? তোমার স্পর্শটা আমার জন্য ছিল স্বর্গসুখ। এই লাইন পড়ে এইমাত্র যা বুঝলে, সে বোঝায় একটু কারেকশন করি, কেমন? স্বর্গসুখ বলতে আমি শারীরিক আকর্ষণটাকে বুঝাইনি। আমার কাছে এটা ছিল অন্য কিছু। সেটা মুখে বলে কীভাবে বুঝাব, সেটাই বুঝতে পারছি না। তোমার স্পর্শ পেলে আমার সব কষ্ট এক নিমেষেই দূর হয়ে যেত। এক মুহূর্তের জন্য তোমাকে জড়িয়ে ধরে রাখলে মনে হত, এই মুহূর্তটা যদি আর কখনো শেষ না হত! এভাবেই যদি জনমজনম থাকতে পারতাম তোমার মধ্যে! আমি মাঝেমাঝে কী ভাবতাম, জানো? ভাবতাম, তোমাকে নিয়ে বেয়ার গ্রিলসের মত কোনও একটা জঙ্গলে চলে যাই। সেখানে তোমার এই কবিতাচুড়োয় ওঠার বিড়ম্বনাটা থাকবে না, এতএত ফ্যান থাকবে না। আমি একাই তোমার ফ্যান হব। কেউ থাকবে না আর, কেউই না। স্বার্থপরের মত শুনাচ্ছে? ভালোবেসে কে কবে কোথায় স্বার্থপর হয়ে যায়নি, বলো! আচ্ছা, স্বপ্নদেখার তো কোনও সীমাবদ্ধতা নেই, তাই না? যা খুশি দেখতেই পারি। বাস্তবে তো আর ওসব কিছু হচ্ছে না!
১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুমানোর আগে তোমাকে কী মেসেজ দিয়েছিলাম, মনে আছে? ‘যা করছি, ঠিক হচ্ছে না।’ সেদিন ঘুমানোর আগে থেকেই এটাই প্রার্থনা করতেকরতে ঘুমিয়েছি: “হে সৃষ্টিকর্তা, আমি সত্যিই ভালমন্দ কিছু বুঝতে পারছি না। তুমি তা-ই করো, যেটা মঙ্গলজনক, যেটা হওয়া উচিত। সব কিছু তোমার হাতে ছেড়ে দিলাম।” জানি, এটা নিজের ইচ্ছেকে বৈধতা দেয়ার একটা প্রচলিত বুদ্ধিমাত্র। একটা খুন করার আগে যদি কেউ সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে তাঁর হাতেই খুনের সকল দায়ভার সমর্পণ করে দেয়, তবে সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই হেসে ফেলে বলবেন: ও আচ্ছা, এইজন্যই তুই আস্তিক!…….বুঝি সবই! কিন্তু, কী করব বলুন, আমি তো ইচ্ছে করলেই সব ছেড়েছুঁড়ে আসতে পারছিলাম না! এখন মনে হচ্ছে, যা হয়েছে, ভাল হয়েছে, খুব ভাল হয়েছে। কেন? আমি মুখে যা-ই বলি, নিজেকে যতই কন্ট্রোল করি, আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। প্রেমেপড়া না, ভালোবাসা। দুইটা কিন্তু ভিন্ন! লোকে পরের প্রেমে পড়লে আগের প্রেমকে ভুলে থাকতে পারে সহজেই, কিন্তু কাউকে একবার ভালোবেসে ফেললে তাকে আর কখনও ভোলা যায় না। আর কী, জানো, ওটা দিনদিন বাড়ছিল। আমি ভেবেছিলাম, নিজের উপরে আমার কন্ট্রোল আছে। কিন্তু না, নেই। নিজেকে যতই বলি, কন্ট্রোল ইউরসেল্ফ, মন ততই একধাপ সামনে পা বাড়ায়। আই ক্যান কন্ট্রোল মাইসেলফ, হোয়াটএভার হ্যাপেনস—এই ধারণা ভাঙতে জীবনে একটা ভালোবাসার ঝড়ই যথেষ্ট! আজ মনে হচ্ছে, যা হয়েছে, সেটা আজ না হয়ে আরও পরে হলে হয়তোবা মনটা তখন পুরোপুরিই আমার হাতের নাগালের বাইরে চলে যেত। নিজেকে কীকরে সামলাতাম তখন? তোমার কি মনে হচ্ছে আমি টুপটাপ প্রেমে পড়ি? নাহ্! আমি শুধু তোমার প্রেমেই পড়ি, আর পড়তেই থাকি। আমি কীভাবে জানি প্রতিটি মুহূর্তেই তোমার প্রেমে পড়তে শিখে গেছি! বিশ্বাস করো, যদি ভার্সিটিতে এমন কোনও কোর্স থাকত, যেখানে সবচাইতে বেশি কতবার তোমার প্রেমে পড়লাম, তার উপর মার্কিং করা হবে, তবে আমি সে কোর্সে ফোর আউট অব ফোর পেতাম!
তোমার সাথে খুব কথা বলতে ইচ্ছা করছে, কিন্তু বলব না। না-ই বা থাক তুমি সশরীরে, তুমি আছো এই হৃদয়ে, ঠিক আগের মতই। না, না, আগের মত না, আগে ছিলে হৃদয়ের একটা অংশে, এখন থেকে পুরোটা জুড়ে। ভালোবাসি খুউব!
তুমি এতকিছু বোঝ, কিন্তু মনটা বোঝ না কেন? আমি একটা বাজে ধরনের জেদি মেয়ে, জানি। কিন্তু খুব বাজে ধরনের মানুষরাও যে ভালোবাসতে পারে, সেকথা তুমি বোঝ না কেন? দেখো, কত্ত ভাল হয়েছে! তোমাকে ইচ্ছেমত ভালোবাসতে পারি, কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। সীমাটা দেখিয়ে দেয়ার জন্য যে তুমিই নেই। আমাকে কখনওই আটকাতে পারো না তুমি, ইচ্ছেমতই বলতে পারি, ভালোবাসি, ভালোবাসি আর ভালোবাসি। বলতেবলতে গলা ফাটিয়ে ফেললেও এ বলা শেষ হবে না কক্ষনো!
একটা জিনিস খুব খারাপ লাগে। কোনটা জানো? ধরো, তুমি জানো, কেউ তোমার উপর ভীষণ রেগে আছে, কিন্তু সেটা মুখে বলছে না। তুমি আমার উপর রেগে যদি আমাকে বকা দিতে, তাও কত ভাল ছিল। কিন্তু তোমার নীরবতাটা খুব অসহ্য লাগছে। আমি না তোমাকে খুব মিস করছি! তুমি আছো, তবু নেই—এটা আরও বেশি কষ্টের! তোমার এই থেকেও না থাকাটা আরও বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে। আগেই কত ভাল ছিল, তুমি ছিলে শুধু কল্পনায়। এখন যে তোমাকে বাস্তবতা আর কল্পনার মাঝে গুলিয়ে ফেলছি প্রতি মুহূর্তেই। না আছো শুধু বাস্তবে, না আছো শুধু কল্পনায়। তোমার আমার মাঝে কতকত বাধা! একটা দুইটা না, অনেকঅনেক। আমাদের মাঝখানে এমন সব দেয়াল উঠে দাঁড়িয়ে আছে, যেগুলো ভেদ করা সম্ভব না। আচ্ছা, আমি কি পাগলের মত বকবক করছি? সমস্যা নেই। তোমার জন্য হলামইবা পাগল! তাতে কী-ই বা এমন এসে যাবে?
আচ্ছা, তুমি গিটার বাজাতে পারো? না পারলে শিখে নাও। যদিও আমার ধারণা, তুমি দুনিয়ার সব কিছু পারো! একটা সুপারম্যান তুমি! তোমার গিটারের সুর শুনতে ইচ্ছে করছে। হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া। কেয়ারলেস হুইস্পার। কান্ট্রি রোডস। তুমি বাজাবে, আমি তোমার পেছনে দাঁড়িয়ে তোমার গলা জড়িয়ে ধরে শুনব। কী সব অদ্ভুতঅদ্ভুত চিন্তা, তাই না! কী করব বলো, পাগলের চিন্তাভাবনাগুলো অদ্ভুতই হয়, সুস্থ ভালভাল মানুষের সাথে মিলে না।
একটা কথা বলো তো! তুমি ঠিক কতদিন আমার সাথে রাগ করে থাকবে? ১ মাস, ৬ মাস, ১ বছর, ১০ বছর, ৩০ বছর, না সারাজীবনই? আচ্ছা, ধরলাম, সারাজীবন। কিন্তু তার পরের জীবনে? আমার হিসেবে পরকাল, তোমার হিসেবে পরজন্ম, তখনো কি রাগ থাকবে আমার উপর? কী ভাবছ? তখন আমাকে চিনবেই না? নো টেনশন। চিনবে, চিনবে। যেভাবেই হোক, দেখা তো হবেই! তখনো কি ঘৃণা করবে আমাকে? যদি হঠাৎ জড়িয়ে ধরে বলে ফেলি, এই! কী করছ?………তবুও?
আমি অত জটিলতা বুঝি না, সম্পর্কের মাঝে প্যাঁচগুলো ঠিক বুঝতে পারি না। তবে এটা বুঝি, তোমাকে ভালোবাসা আমার ঠিক না, অন্যায়। তবুও জেনেশুনে প্রতিদিন এই অন্যায়টা করে যাচ্ছি। এতে কি আমার খুব পাপ হবে? তাহলে এটা বলো, পাপের সংজ্ঞা কী? মানুষ চুরি করে নিজ ইচ্ছায়, খুন করে নিজ ইচ্ছায়, তাই এগুলো পাপ। কিন্তু, মানুষ কি নিজ ইচ্ছায় ভালোবাসে? আমার মা বলতেন, পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত আমরা যা-ই ভুল করি না কেন, সৃষ্টিকর্তা সব ক্ষমা করে দেন, কেননা সে সময় আমার বোঝার ক্ষমতা হয় না, তাই না বুঝে করা ভুল তিনি আমলে নেন না। এখন তুমি বলো, ভালোবাসাটা কি ইচ্ছে করে হয়? জাস্ট হয়ে যায়। সেখানে আমার হাত কোথায়? তাহলে এটা আমার পাপ হবে কেন? আমি তোমাকে ভালোবাসি, সেটা কি আগে ঠিক করে নিয়েছি যে, “মৈথিলী, তুই নির্ঝরকে ভালোবাসবি।” তারপর ভালোবেসেছি! অত প্ল্যান করে জীবন চলে না, জনাব! জীবনে কত কিছুই তো ঘটে! তার সব কিছু কি আমরা আগেই বুঝতে পারি?
আমি জানি, তোমার কাছে আমার এই অনুভূতির কোনও মূল্য নেই। তবে, সেটা আশাও করি না। আমার ভালোবাসা একান্তই আমার অনুভূতি। সেখানে তোমার জন্যও ‘নো এন্ট্রি’! আমার কাছেই যত্নে থাকুক আমার অবুঝ অন্যায় অনৈতিক ভালোবাসা।
বাবু, তুমি কি আমাকে খুবই অপছন্দ কর? ঘৃণা কর? আমি মানুষটা খুব খারাপ, তাই না? তোমার প্রচণ্ড বিরক্তি আমার উপর। আচ্ছা, মানুষের হ্যালুসিনেশন হয় কীভাবে, জানো? আমার হয় না কেন? তাহলে তো সারাক্ষণই তোমাকে চোখের সামনে দেখতে পেতাম। সারাক্ষণই তোমার সাথে কথা বলতাম। কত ভাল হত! মিস ইউ, বাবু। অনেক মিস করি তোমাকে। একটু পরপর মেসেঞ্জারে ঢুকে দেখি, তুমি অনলাইনে আছো কি না, কতক্ষণ আগে অ্যাকটিভ ছিলে। রাতে কখন ঘুমাও, সকালে কখন ওঠো, সব। দেখেই যাই, মেসেজ দেয়ার সাহস হয় না। শুধু ওই সবুজ বিন্দুটা দেখে অনুমান করার চেষ্টা করি, কী করছ তুমি, কোথায় আছো, কেমন আছো। এটাই অনেক আমার কাছে! ভাগ্যিস, আমায় ব্লক করে দাওনি! তাহলে এইটাও মিস করতাম! থ্যাংক ইউ।
আচ্ছা, তুমি যদি আমার বর হতে, তাহলে কী হত? আমি কিন্তু আলাদা থাকতাম না, তোমার সাথেই থাকতাম। প্রতিদিন সকালে কপালে চুমু খেয়ে ঘুম ভাঙাতাম। তুমি ঘুম থেকে উঠে অফিস যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো শুরু করতে, আর তখন আমি নিজ হাতে তোমাকে খাইয়ে দিতাম। জানো, আমি না রান্নাতে অতটা অভ্যস্ত নই! তবে তোমার জন্য সব কিছু শিখে নিতাম। আমার এক আপু আছে, বিয়ের আগে কোনোদিনই এক গ্লাস পানিও নিজহাতে ঢেলে খায়নি, ভাত রান্না করা তো দূরের কথা; অথচ দেখো, বিয়ের পর এখন ঠিকই পাক্কা রাঁধুনি। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে মেয়েরা ম্যাজিক করে সব কিছু শিখে নিতে পারে! আমিও ইউটিউব দেখেদেখে, পেপার আর রান্নার বই থেকে রান্নাটান্না শিখে তোমার পছন্দের সব রান্নাবান্না করে তোমার জন্য বসে থাকতাম। তুমি আসলে তোমাকে খাইয়ে ওই প্লেটেই খেতাম। আবার রাতে তোমাকে আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দিতাম। তবে একটা কথা। আমি কিন্তু তোমাকে খুব জ্বালাতাম। কেমন? ধরো, কোনও জরুরি কাজ করছ, আমি তখন তোমাকে জোর করে টেনে নিয়ে ছাদে চলে যেতাম, মাঝরাতে গভীর ঘুম থেকে ডেকে তুলে গান শুনতে চাইতাম, ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসছে তোমার, ঘুমাতে না দিয়ে তোমার কাঁধে মাথা রেখে চাঁদ দেখতাম আর জোছনায় ভিজতাম, অথবা লিখছ, আর আমি তোমার গলা জড়িয়ে ধরে বসে থাকতাম। জানি, এসবই পাগলামি। কী করব, আমি তো পাগলই। আর সবই তো কল্পনা। বাস্তবে তো আর কিচ্ছু হবে না! পাগলের যা সুখ, সবই তো মনেমনে!
তোমাকে একটা গোপন কথা বলি, রাগ করবে না, হ্যাঁ? এটা নিয়ে আমাকে লজ্জাও দেবে না, কেমন? আমি না তোমার নামে সিঁদুর কিনে এনেছিলাম, চুপচুপ করে পরতাম। লাল শাড়ি পরে, হাতভর্তি চুড়ি পরে, মাথায় সিঁদুর দিয়ে আয়নার সামনে বসে থাকতাম, আর নিজেকে দেখতাম। পরে অবশ্য বাদ দিয়ে দিয়েছি। কারন বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছিল। তোমার প্রতি অ্যাডিকটেট হয়ে পড়ছিলাম। নিজেকে কন্ট্রোল করা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম তোমার প্রতি আমার দুর্বলতাটা। তাই একটা দূরত্ব বজায় রাখতে চেয়েছি। অবশ্য, দূরত্ব আর কোথায়, বলো! তুমি যে আমার মনের মধ্যেই বসে আছো! আমি কি আর আমার মনের কাছ থেকেই বিদায় নিতে পারি! আমার তো সারাদিনই ইচ্ছে করে তোমার সাথে কথা বলি, কিন্তু তোমাকে নক করি না, বিরক্ত হবে বলে। তাহলে কী করি, তোমার ছবি দেখি, আর লিখা পড়ি। তখন আরও বেশি করে মিস করি। আমি হয়ত তোমার কাছে কিছুই না, কিন্তু তুমি আমার কাছে অনেক কিছু। যতই ভাবি, আর ভালোবাসব না, ততই আরও বেশি করে ভালোবেসে ফেলি। জানি, তোমাকে ভালোবাসাটা আমার জন্য অনধিকার চর্চা, অনেকটা অন্যায়ও বটে। কিন্তু কী করব, ভালোবাসি যে! ভালোবাসা তো কোনও অধিকার, অনধিকার, অন্যায়, ঠিক, ভুল মেনে হয় না। আমি তোমাকে ভালোবেসে যাবো, দূর থেকেই। কখনো কাছে আসার চেষ্টা করব না, প্রমিজ।
ওই মুহূর্তগুলো তোমার কাছে যতটা না কামনার, আমার কাছে ততটাই ভালোবাসার। কামনা আর ভালোবাসার মধ্যকার দূরত্বটাই দুইজন মানুষের ভাবনার মধ্যে কয়েক আলোকবর্ষের দূরত্ব তৈরি করে দেয়। তোমার প্রশান্তি আসে শারীরিক, আমার আসে মানসিক। নিজের ভালোবাসাকে কাছে পাওয়ার শান্তি, এর চেয়ে বেশি আর কী-ই বা আছে! কখনো তো কখনও ভাবিনি, তোমাকে এতটা কাছে পাব। কিন্তু সবচে’ কষ্টের কী, জানো? কাছে এসে আবার দূরে চলে যাওয়া। পার্থক্য শুধু এই, আগে তুমি আমাকে অপছন্দ করতে না, এখন কর!
হয়ত প্রতিটি মানুষের জীবনেই এমন একজন থাকে, যাকে ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, কাছে পাওয়া যায় না, যে কখনও নিজের হয় না, তবুও ভাল লাগে। ভাল লাগে তার প্রতিটি কথা, চালচলন। সে মানুষটি নিজের না জেনেও তাকে নিজের করে ভাবতে ইচ্ছে করে। হাতের কাছেই তার বসবাস, তবু সে অনেক দূরের কেউ। সে আমার কেউ না, কিন্তু তার অনুপস্থিতি হৃদয়ে অনেক বড় শূন্যতার সৃষ্টি করে। সে কখনো কাছের মানুষ হয় না, কিন্তু তার বিরহ অসহ্য লাগে। তাকে পাওয়াও যায় না, আবার হারিয়ে ফেলাও যায় না। কী অস্বস্তিকর, বলোতো! আমার জীবনের এমন একজনটা কি তুমি?
কারো সাথে আমি কথা বলতে চাই। সে আছে আমার হাতের নাগালেই, ইচ্ছে করলেই ফোন দিতে পারি, মেসেজও দিতে পারি। তবুও পারছি না। বারবার ফোনটা হাতে নিয়ে আবার রেখে দিচ্ছি। ফোনবুকে ফোননাম্বারটা বের করে আবার ব্যাক করি। মেসেঞ্জারে ঢুকে শুধু দেখি, কখন তার নামের পাশে সবুজ বাতিটা জ্বলে উঠছে, অ্যাকটিভ লিস্টে নাম দেখা যাচ্ছে, কিন্তু সবুজ বাতিটা জ্বললেই তার সাথে মনের লাল বাতিটাও কেন যেন জ্বলে ওঠে, আর পারি না কোনও মেসেজ দিতে! ইচ্ছে করলেই তার কণ্ঠটা শুনতে পারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিন্তু সেটা শুনতেও বুক কাঁপে! ল্যাপটপে তার কয়েকশ ছবি, ইচ্ছে করলেই মনভরে দেখতে পারি, কিন্তু তবুও তার ছবির দিকেও তাকাতে পারি না। তার চোখের দিকে তাকানোর সাহস হয় না, ছবিগুলো এতই জীবন্ত যেন সত্যিই আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। পারি না আমি, কিচ্ছু পারি না। পারি না তাকে বলতে তাকে কতটা ভালোবাসি, পারি না বলতে তাকে ছাড়া থাকতে পারি না, পারি না বলতে তার নীরবতা সহ্য করতে পারি না। হয়ত কখনওই বলা হবে না তাকে এইসব। সে হয়ত কখনওই বুঝতে পারবে না আমাকে। হয়ত তার সাথে আর কখনওই কথা হবে না। তবু সে ভাল থাকুক। চাই না আর তার বিরক্তির কারণ হতে।
আমার না তোমার সাথে খুব কথা বলতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না, তাই একটা ভাল উপায় বের করেছি তোমার সাথে কথা বলার। তা হল, লেখা! ইচ্ছা মত বকবক করি এই লেখাতে, তুমি আমাকে চুপ করাতে পারো না। মজা না? আসলেই মজার! (ব্যাপারটা হচ্ছে, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। তবু মেটে তো!) আচ্ছা, কী করছ তুমি? লিখছ? নাকি মুভি দেখছ? আমি ঠিক করেছিলাম, তোমাকে আর ফলো করব না। কিন্তু সেটা ভাবার পর আরও বেশি করে ফলো করা শুরু করেছি। কী ভয়াবহ বিপদ, বলোতো! তোমার লিখার প্রতিটি অক্ষর, শব্দ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি, কেমন আছো তুমি, কী করছ, মন ভাল তো! আমি তো তোমার কাছে আকাশের তারার মত, তাই না? একবার হারিয়ে গেলেই শেষ। হাজারহাজার তারার মাঝে আমার অস্তিত্ব থাকাটা জরুরি না। কিন্তু, তুমি তো আমার আকাশের চাঁদ, হাজার তারা থাকলেও চাঁদ ছাড়া আমার আকাশ শূন্য। এইরে! কেমন যেন ট্র্যাডিশনাল বাংলা সিনেমার মত কথাবার্তা হয়ে যাচ্ছে, তাই না? আমারও তা-ই মনে হচ্ছে! আচ্ছা যাও, চাঁদতারা এসব বাদ। তুমি লবণ, আমি চিনি। এবার চলবে তো? তরকারিতে লবণ আবশ্যক, চিনি না। ধুউর, এইটাও হলো না, কেমন যেন কার্টুনটাইপ লাগছে! আচ্ছা, এইসবই বাদ। আমার না খুব ইচ্ছা ছিল তোমাকে লিখতে দেখতে। তুমি লিখবে, আমি পাশে বসেবসে দেখব। কোনও বিরক্ত করব না, একটি কথাও বলব না। শুধুই চেয়ে থাকব তোমার দিকে একদৃষ্টিতে………তুমি কীভাবে লিখ, লেখার সময় তোমাকে দেখতে কেমন লাগে, লেখার সময় তোমার কিছু খেতে ইচ্ছে করে কি না, তুমি কি কিছুক্ষণ লেখালেখি করে একটু হেঁটে এসে আবার লিখতে বস, নাকি একটানা লিখে যাও, এরকম আরও অনেক কিছু। তোমাকে বোধহয় একবার বলেছিলামও। তুমি বলেছিলে, ঠিক আছে, একদিন সময় করে এসো। কিন্তু সেটা কি আর হবে? আচ্ছা, তোমার সাথে আমার আর কখনো দেখা হবে না, তাই না? তোমাকে আর কখনো জড়িয়ে ধরতে পারব না! কখনো আর কাছে পাব না! এসব কিছু ভাবতে পারছি না। আমি কি তোমার জন্য একটু বেশিই ডিপ্রেসড হয়ে পড়ছি? পড়লে পড়ছি! তুমি জানো, ইদানিং আমার কোনও কিছু ভাল লাগে না! পড়তে ভাল লাগে না, খেতে ভাল লাগে না, ঘুমাতে ভাল লাগে না। মনে হয়, আমি বেঁচেই নেই, আমার শরীরটা শুধু ঘোরাফেরা করে একটা চাবিদেয়া পুতুলের মত। আত্মাটা মরে গেছে সেই কবেই।
আমার কল্পনার রাজ্যে শুধু তোমারই বসবাস। দূরে চলে গেছো, ভাল, কিন্তু আমার কল্পনার রাজ্য থেকে পালাবে কেমন করে? ওই রাজ্যে যে আর কেউ নেই, শুধু তুমি আর আমি, আমি আর তুমি। মেজাজ খারাপ হচ্ছে, না? হোক একটু! বের হয়ে যাও দেখি আমার মন থেকে, কত বড় ক্ষমতা তোমার! ভালোবাসি, ভালোবাসি, এবং…………ভালোবাসি!
তুমি আমার আকাশ হবে? পাখি হয়ে তোমার বুকে ডানা মেলে উড়ব! অথবা, তুমি সাগর হবে? নদী হয়ে তোমার সাথে এক হব! যাও না হয়ে!
এসব কী! ইমোশন! এটা একটা খুব খারাপ জিনিস। আসলে ভালোবাসার সাথে ইমোশনের কোনও সম্পর্ক নেই। ইমোশনটা আসে প্রেমেপড়া থেকে, হঠাৎ ঘটেযাওয়া কোনও ঘটনা থেকে, অথবা কোনও নির্দিষ্ট সময়ে। খুবই অস্থায়ী একটা বস্তু এই ইমোশন। আপনি প্রতিদিন নতুননতুন প্রেমে পড়তে পারেন, আর আপনার ইমোশন প্রতিদিন বদলাবে! কোনও একটা অপ্রিয় ঘটনা ঘটল, সেক্ষেত্রে ঘটনা অনুযায়ী ইমোশন থাকবে ৭ দিন থেকে ১ মাস! বড়জোর ১ বছর। এর বেশি কখনওই না। তাকে ছাড়া আমি বাঁচব না, এটা ইমোশন; কিন্তু তাকে না দেখলে আমার অস্থির লাগে, এটা ভালোবাসা। এই দুইয়ের মধ্যকার পার্থক্যটা খুবই সূক্ষ্ম। কেউ বুঝতে পারে, কেউ পারে না। হয়ত ব্যাপারটা আমি যেভাবে বুঝেছি, অন্য কেউ সেভাবে বুঝতে পারবে না। সে বুঝবে অন্য ভাবে। হতেই পারে! কিছুকিছু মানুষ আছে, যারা সব কিছুকেই ইমোশন ভাবে, আবার কিছু মানুষ সব কিছুকেই ভালোবাসা ভাবে। আর কিছু আছে, যে ভাবে, দুনিয়ায় ইমোশনও নেই, ভালোবাসাও নেই, দিনশেষে সবই শুভঙ্করের ফাঁকি, মিডিয়ার সৃষ্টি—ঠিক আপনার মত! হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, আমি আপনাকেই বলছি! আপনার মত ‘একলা চল রে’ নীতিতে কয়জন চলতে পারে, বলতে পারেন? অবশ্য আপনি কীকরে বুঝবেন! আপনি একা মানুষ, ইচ্ছে করলেই দো’কা হতে পারেন, ইচ্ছে করলেই তে’কা হতে পারেন! কোনও প্রবলেম নেই! না?
রেগে যাচ্ছেন কেন? আচ্ছা, সরি! তবে আমি অত ইম্পরট্যান্ট কেউও নই যে আমার কথায় রেগে যেতে হবে। আপনি রেগে গেলে আমি ভয় পেয়ে যাই ভীষণভাবে। এটা বোধহয় আপনি জানেন না। আর নিশ্চুপ রাগ তো আরও ভয়ংকর!
আচ্ছা, আমি এসব কী লিখি!? কেন লিখি!? কোনও মাথামুণ্ডু নেই! বিশ্রী! অখাদ্য! আমি এবং আমার লেখা, দুইই চরম অখাদ্য!
ভাগ্যিস, কেউ এসব লেখা পড়বে না। পড়লে ঠিকই আমার মুণ্ডুপাত করত। তাই না, বলেন?
ওক্কে, বাদ, বাদ, সবই বাদ! আজাইরা বকবক করব না আর। একটা সিরিয়াস কথা বলি! আপনি কি ফুচকা পছন্দ করেন? ঝালঝাল ফুচকা? চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, পড়েই যাচ্ছে, আর এদিকে সমানে চলছে ফুচকা খাওয়া! আহা, কী মজা! খেয়েছেন কখনও এমন স্টাইলে? মনে হয় না! সারাক্ষণই তো বই আর লেখা নিয়েই পড়ে থাকেন। এসব করবেন কখন? আচ্ছা বলেন তো মশাই, জীবনটা আর কতদিনের? এই কয়েকটা মাত্র দিনে কতকিছুই না করার আছে! আপনার সাথে কোনও দিন বাইরে দেখা হলে এই ঝাল ফুচকাটা খাওয়াব। বেরোবি’র বিখ্যাত নান্নু মামার ফুচকা! যদিও সেই সম্ভাবনা মাইনাস ১০০%! আপনি কি এখনো এটা পড়ছেন? কী আশ্চর্য! আপনার এত বাখওয়াজ সময় কই থেকে আসে! উল্টাপাল্টা প্রলাপ শুনছেন!
এই যে মিস্টার, কেমন আছেন? নিশ্চয়ই খুব ভাল? আপনি কেমন আছেন, আপনার ফেসবুকের লেখা থেকে বুঝার চেষ্টা করি, জানি না কতটা পারি। না পারলেও সমস্যা নাই, এখনো শিখছি তো! কেমন কাটল আপনার পহেলা বৈশাখ? আপনি আমাকে আজ দুইবার ‘শুভ নববর্ষ’ মেসেজ দিয়েছেন? ইচ্ছে করে, নাকি পরের বার দেয়ার সময় ভুলেই গিয়েছিলেন যে এর আগেও একবার মেসেজ দিয়েছিলেন? জানতে ইচ্ছে করছিল! কিছুক্ষণ চিন্তাভাবনা করে রহস্য উদঘাটন করতে না পেরে হাল ছেড়ে দিয়েছি! যা হওয়ার হবে! আসলে হয়ত আপনি ভুলেই দুইবার একই টেক্সট দিয়েছেন, কিন্তু আমি যে আপনার সব কাজের কারণ বের করার চেষ্টা করি, সেটাই সমস্যা! হয়ত কখনও ভুলে একটা ডট পাঠিয়ে দেবেন, আর আমি গাধী কিনা সেই ডটের মাহাত্ম্য বের করতে লেগে যাবো। তাও কিছু সময়ের জন্য না, সেটা নিয়েই ভাবতে থাকব ঘণ্টার পর ঘণ্টা! বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি আমাকে ভুলেটুলে গেছেন? ভুলে গিয়ে থাকলে মনে করিয়ে দিচ্ছি। শুনুন, আমি সেই বোকাসোকা সোজাসরল আর জেদিটাইপ মেয়েটা, যার উপর আপনি প্রচণ্ড রেগে গিয়ে বিশাল বড় একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, (First deserve that ‘এক্সট্রা-খাতির’, then expect it. ডট ডট ডট) তারপর ভুলে গেছেন। মানুষকে ভুলে যাওয়া কতই সহজ, তাই না? আচ্ছা, আপনি আমাকে ব্লক করে দেননি কেন? আপনার জায়গায় আমি হলে ব্লকই করে দিতাম। অবশ্য আপনি তো ব্রিলিয়ান্ট মানুষ, আপনার সবাইকে মনে থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে আমি গড়পড়তা সবার মাঝেই পড়ি! অবশ্য সেটা হলেও কোনও সমস্যা নেই।
আচ্ছা, আপনি কি জানেন, প্রতিটা মানুষের একটা আলাদা গন্ধ আছে? যেমন প্রতিটা ভিন্ন জাতের ফুলের আলাদাআলাদা গন্ধ, অনেকটা তেমনই। আপনি কি এমনটা পেয়েছেন কখনো? আমি পাই। আমার কাছে আপনার গন্ধটা অনেক পরিচিত। অনেক! আমাকে যদি কোনও অন্ধকার ঘরে চোখ বেঁধে রাখা হয়, আর আপনি যদি ওই রুমে থাকেন, আমি চোখ বন্ধ অবস্থায়ই বলে দিতে পারব। সত্যিই পারব। কাছের মানুষের গন্ধটা আমাদের মস্তিষ্ক মনে রাখে। আর আমার মস্তিষ্কটা কী ভেবে যেন আপনাকে কাছের মানুষ ধরে নিয়েছে! হাহাহাহা………
সেদিন আপনার ওখান থেকে চলে আসার পর এমনিই অনেক ডিস্টার্বড ছিলাম। একটা মানুষের বেশি ইমোশন থাকলে যা হয় আরকি! কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে, আমি আমার শরীরেই সেই গন্ধটা পাচ্ছিলাম। অনেকক্ষণ শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থেকেও সেটা যায়নি। এটা আমার হ্যালুসিনেশন কি না বুঝতে পারছিলাম না। গায়ে এক্সট্রা করে বডিস্প্রে মেখেছি! কিন্তু না! কোনও কিছুতেই কোনও কাজ হচ্ছিল না। আপনি কি জানেন, এই জিনিসটা ক্রমেই আমাকে মেন্টালি সিক করে ফেলছিল! যা-ই হোক, এখন সেই প্রবলেম কিছুটা কমলেও পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। হঠাৎই যেন কোথা থেকে ভেসে আসে এই গন্ধটা! উৎস খুঁজে পাই না। ঘুমের মধ্যেও গন্ধটা পাই। এত পরিচিত, এত কাছের! আপনি কি আমাকে এর একটা সমাধান দিতে পারেন? আমি একটা ভুল ঘ্রাণের পেছনে পাগলের মত ছুটছি! ঘ্রাণের খোঁজে ছোটা মানুষগুলি খুব বেপরোয়া হয়ে ওঠে! ‘পারফিউম’ মুভিটা দেখেছেন না? না দেখলে দেখে নেবেন, আমার অবস্থাটা অনুমান করতে পারবেন। আমি জানি, এটা আমার মনের ভুল। তবে, কারো প্রতি এতটাও আকৃষ্ট হওয়া কিছুতেই ঠিক না যে এই ধরনের মনের ভুল হতে পারে! জানেন, এই দুনিয়ায় রোবট হওয়া সবচেয়ে সুখের। কোনও ইমোশন নেই, পেইন নেই, কষ্টফষ্ট কিচ্ছু নেই! অবশ্য তেমন হলে, আমি রোবট না হয়ে টেডি বিয়ার হতে চাইতাম। গুলুমুলু টাইপ। আমার টেডি বিয়ার খুব ভাল লাগে। আমাকে একটা টেডি বিয়ার কিনে দেবেন? যান, লাগবে না! কিপ্টুস একটা!
আচ্ছা, আমি যা লিখি, তার কোনও মাথামুণ্ডু নেই, তাই না? আমি কিন্তু কোনও মাথামুণ্ডু বোঝাতে লিখিও না। আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করলে লিখি। আর সেটা অন্য কেউ পড়ার জন্যও না যে গুছিয়ে লিখতে হবে। সবসময় সবকিছু সাজানো গুছানো অর্থপূর্ণ হবে, এমনটা তো নাও হতে পারে! কী দরকার! আমার গোপন আইডিতে ‘অনলি মি’ দিয়ে থাক না কিছু উল্টাপাল্টা কথা! ক্ষতি কী!
আপনার লেখাগুলো পড়লে না ইদানিং মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। শুধু মেজাজ খারাপই হয় না, আমি খুব জেলাস ফিল করি। হ্যাঁ, হিংসা লাগে আমার। আচ্ছা, আপনি আপনার ইনবক্সটা এত ফ্রি করে রেখেছেন কেন? এত মেয়ে কেন আপনাকে মেসেজ দেয়? এত্ত কীসের ন্যাকামি ওদের? ওসব পড়লেই রাগে পিত্তি জ্বলে যায়। আহা, ঢং কত! অসহ্য! খুব মজা লাগে না, ওসব পড়তে? ইস্রে! মজা তো লাগবেই! লাগতেই হবে! বুঝি তো!
আমি কিন্তু রেগে আছি! খুব করে রেগে আছি। আপনি কোনও কিছু পোস্ট করলে না পড়েও পারি না, পড়লে রেগেও যাই। এ কেমন বিচার! শুনুন মশাই, আমি শুধু একাই আপনাকে ভালোবাসব, আর কেউ আপনাকে ভালোবাসতে পারবে না! উমম্…….না, ভালোবাসতে পারবে, কিন্তু এত ন্যাকামি করতে পারবে না! আপনার পাশে অন্য কাউকে দেখতে আমার ভাল লাগে না, কষ্ট লাগে। কাবাব মে হাড্ডি হতে আমার ভাল লাগে না। তাই তো আপনার কাছ থেকে সরে এসেছি, আর আস্তেআস্তে আরও সরে যাব! কী দরকার! ধুউর, কী যে ভাবি! আমি ওই হাড্ডিটাই বা কখন ছিলাম! তাহলে কী ছিলাম? নাথিং! আপনার জীবনে যেমনি আমি ইম্পরট্যান্ট না, তেমনি আর আমার জীবনেও আপনি ইম্পরট্যান্ট না। আসলে কেউ কারো জন্য ইম্পরট্যান্ট না। সো, এত্ত ভাব নেয়ার কিচ্ছু হয় নাই। বুঝা গেছে? তবুও কী যেন একটা কথা থেকে যায়, ধরতে পারি না। আচ্ছা, আপনার কি উল্টো আমার উপরই মেজাজ খারাপ হচ্ছে? হলে হোক! কিচ্ছু করার নেই। আপনাকে আমি মাথার দিব্বি দিইনি এসব উল্টাপাল্টা প্রলাপ শোনার। ওক্কে? আপনার কি আমাকে খুব ছোটলোক মনে হচ্ছে? মনে হচ্ছে, ছিঃ! এত ছোটমনের মানুষ! আরও কি মনে হচ্ছে হ্যাংলা, ফালতু, বিরক্তিকর? আর কিছু মিস হয়ে গেল কি? যদি মিস হয়ে থাকে, তবে ধরিয়ে দিয়েন। আর, আরও বেশি কিছু মনে হলেও কোনও সমস্যা নেই। আমাকে গরু, গাধা, ঘোড়া, হাতি, বানর, কুকুর যা-ই মনে করুন, নো প্রবলেম! জবাবে শুধুই দাঁত ক্যালাবো। দাঁত ক্যালানো কী, জানেন? ক্লোজ-আপ এর অ্যাডগুলো দেখবেন, বুঝতে পারবেন।
আপনি একদিন আমাকে বলেছিলেন, আপনার নাকি মেয়েদেরকে ভাল লাগে! আচ্ছা, আপনার সব মেয়েকেই ভাল লাগে? সত্যি? কেমনে সম্ভব? আপনার আজকের লেখাটার মাঝে আপনি একটু ঘুরিয়ে বলেছেন, আমি নাকি আপনার সাথে প্রেম করি! কী নির্লজ্জ এই মেয়ে! একজন প্রায়-বিবাহিত মানুষের সাথে প্রেম! একটুও লজ্জাশরমের বালাই নেই। সত্যি বলতে, আপনার লেখাটা পড়তেপড়তে মেজাজ খারাপ হচ্ছিল। তবে ওই ওইখানে এসে ফিক্ করে হেসে ফেলেছি! কী প্রেম! আহা! জনম-জন্মান্তরের! আপনিও কি হাসলেন এটা শুনে? না হাসলে না হাসার কারণটা কী?
আপনি খুব বিচিত্র ধরনের একটা মানুষ, জানেন? আপনার উপর খুব সহজেই রাগ লাগে, আবার মনখারাপ করেও থাকা যায় না। অন্যের কী হয়, জানি না! কিন্তু আমার হয় এমন। আপনি আমাকে দু-একবার মেসেজ দিয়েছিলেন ‘Miss you terribly’। সত্যি? যদিও একটা বর্ণও বিশ্বাস হয়নি, তবুও খুব ভাল লেগেছিল। কেন ভাল লাগবে না, বলেন, মানুষ তো স্বাভাবিকভাবে ভুল আর মিথ্যাকেই বিশ্বাস করতে, আঁকড়ে ধরতে ভালোবাসে। আমি তো তার ব্যতিক্রম কিছু না। তবে সত্যিসত্যিই যদি কোনওদিন আমাকে আপনি এমন করে মিস করতেন, কত ভাল হত, ঠিক না? কথা দিচ্ছি, যদি কোনওদিন আমাকে এমনি করে মিস করেন, আপনাকে আমার ফেভারিট চকলেটটা খাওয়াব। আপনি চকলেট পছন্দ করেন, কিন্তু আপনার ফেভারিট কোনটা, সেটা তো জানি না, তাই। তবে, কিটক্যাট হতে পারে! কারন, সেদিন তো আপনি আমাকে কিটক্যাটই দিয়েছিলেন।
আচ্ছা, আপনি কিচ্ছু পারেন না কেন? মানে রান্নার আরকি! এককাপ চা-ই তো চেয়েছিলাম। তাও বানাতে পারলেন না। এটা তো সবচে’ সোজা একটা কাজ। জাস্ট পানিটা গরম করে একটু চিনি আর একটা টি-ব্যাগ। আপনার কিচেনে চিনি, টি-ব্যাগ, কাপ সবই সাজানো ছিল। প্রবলেম হচ্ছে, আপনি পানিটাই গরম করতে জানেন না! এটা কিছু হলো! আমি কিন্তু কোনও একদিন আবার আপনার ওখানে হামলা চালাব। সে আপনি দেশের যেখানেই থাকুন না কেন! তবে সেটা কতদিন বা কতবছর পর, জানি না। সেদিন আর আপনার বানানো চা না খেয়ে উঠব না। মনে থাকে যেন! একটু শিখুন না পানিটা গরম করা! একটা দিনেরই তো ব্যাপার। আর দুই কাপ চা! আরেকটা কাপ আপনার জন্য।
মানুষের মন বড়ই অদ্ভুত! ভাবে এক, করে আরেক। ভেবেছিলাম, আপনার সব কিছু ভুলে যাব। অথচ, বসেবসে ঠিকই কথা বলছি, মানে লিখছি! না-ই বা পড়েন, তবে আপনাকে উদ্দেশ্য করেই তো বলা। এমন করলে আপনাকে ভুলব কীকরে, বলুনতো! আমি না একদমই একটা যা তা! আমি এমন কেন? ধুউর!
দেখলেন, আপনাকে আবার আমি ‘আপনি’ করে বলা শুরু করেছি? কয়েকদিন তো অতি আবেগে তুমি করে বলা শুরু করেছিলাম। এখন আর বলছি না। দেখলেন তো? একেই বলে সেল্ফ-কন্ট্রোল! তার মানে, আমি আর বাচ্চা নেই, বড় হয়ে গেছি। হি হি। ভাল না? যাক, আস্তেআস্তে নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ বাড়ছে। খুবই ভাল লক্ষণ! মৈথিলী ইজ অ্যা গুড গার্ল! আজ আপনি সারাদিনে কোনও লেখা পোস্ট করেননি। কেন?
আচ্ছা থাক! আমার লেখায় আমি তোমাকে ‘তুমি’ করেই বলি! কেউ তো আর দেখছে না! আসলে তোমাকে ‘তুমি’ করে বলতে খুব লজ্জা লাগে। কেন লজ্জা লাগে, সেটাই জানি না। তাই গোপনে ‘তুমি’ করে বলি, প্রকাশ্যে না। আচ্ছা, তুমি কোথায় আছো? নওগাঁ, না সিলেট? এই ব্যাপারটা এবার কেন জানি বুঝতে পারছি না। অথচ আগে তোমার সাথে কোনও যোগাযোগ না থাকলেও আমি ঠিক বুঝতে পারতাম, তুমি কোথায় আছো! এখন কেন পারছি না! বলো তো? হয়ত আমি নিজেই আর চাইছি না বুঝতে। নিজেকে প্রতিনিয়ত ‘আমি ওকে বুঝতে চাই না’ এই অটোসাজেশন দিচ্ছি যে, তাই!
তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে ভুলে গিয়েছিলাম। কয়েকবার ভেবেছি করব, কিন্তু পরে ভুলে গেছি। এখন তো আর তোমার সাথে আমার কথাই হয় না, তাই আর জানতেও পারব না। আচ্ছা, তুমি কি মেডিটেশন কর? আমার কেন যেন মনে হয়, পৃথিবীর সব জ্ঞানী মানুষই মেডিটেশন করেন। তুমিও হয়ত কর। আর না করে থাকলে শিখে নাও। তারপর আমাকে শিখিয়ে দিয়ো, কেমন?
আচ্ছা, এই যে তুমি একাএকা থাক, তোমার খারাপ লাগে না? কখনো মনে হয় না, ঘুমানোর সময় কেউ তোমার বুকে মাথা রাখুক! তার গরম নিঃশ্বাস তোমার বুকে কাঁপুনি তুলুক? শত বছরের পুরনো ঝড়টা আবার উঠুক! অথবা, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার মত করে তোমাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করুক, ‘ভালোবাসো?’
ধরো, এক রুমে তোমার বুকে মাথা রেখে আমি শুয়ে আছি, হঠাৎ তোমার বউ দরজায় নক করছে, এমন সময়ে আমি যদি তোমার ভুঁড়িতে ঘুষি দিয়ে, তোমার চুল টেনে ধরে জিজ্ঞেস করলাম, ‘ভালোবাসো?’ তুমি কি রেগে যাবে? নাকি আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলবে ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি!’
হাসি পেল, না? হাসার জন্যই তো বললাম। হাসো! বুদ্ধু একটা! তোমার ওই হাসিটা যে কী কিউট, বলে বোঝাতে পারব না। এত কিউট করে কেউ হাসে? তুমি কেন হাসো এমন করে? এটা অন্যায়। সত্যিসত্যি মহাঅন্যায়। ওই হাসি দেখে আমার হার্টের সমস্যা হলে তখন তার চিকিৎসা কে করবে? তুমি? পারো তুমি কিছু? তুমি শুধু রোগ ধরাতে পারো, সারাতে তো পারো না। এই যে আমার রোগটা ধরিয়ে দিয়ে ফুউরররুৎ হয়ে গেছো, এখন আমি ডাক্তার কোথায় পাই? এই চিকিৎসা তো আর যে সে ডাক্তার করতে পারবে না। আমার এই অসুখটা সারানোর জন্য হলেও একটু ডাক্তারি শিখো না, বাবু!
এই শোনো না, আমার না টেডি বিয়ার খুব ভালো লাগে। অনেকগুলো টেডি আছে আমার। এ কথা মোটামুটি সবাই জানে। তাই যতটা না টেডি কিনেছি, তার চেয়ে বেশি গিফট পেয়েছি। আমার মামা একবার আমার চেয়েও বড় একটা টেডি নিয়ে এসেছিল। ওটা আমার বয়ফ্রেন্ড। হিহিহি! তোমাকে এতটাই ভাল লাগে যে তোমাকেই টেডি ভাবতে শুরু করছি। তুমি আমার গুলুমুলু টেডিটা। তুমি অনেক গুলুমুলু টাইপ, জানো? গুলুমুলু মানে গোলআলু না, গুলুমুলু হলো টেডি বিয়ার টাইপ। তবে আজ থেকে তুমি আর আমার টেডি বিয়ার না। কেন না, সেটা কখনো বলব না। তবে, না। আজ থেকে তুমি আমার খরগোশ। এই নামটা কিউট না হলেও প্রাণীটা অন্নেক কিউট কিন্তু! আমার দুইটা খরগোশও ছিল। তুমি আমার ওই খরগোশ, ঠিকাছে? জানি, নাম পছন্দ হয় নি, তবুও এটাই ঠিক। ওলে আমাল গুলুমুলু খরগোশ সোনাটা! আসলেই তো! খরগোশও একটা গুলুমুলু। আচ্ছা, তোমার বাসার ওই বেড়ালটা কি এখনো আসে রান্নাঘরের গ্রিল টপকে? তুমি ওকে খেতে দাও তো ঠিকমত? নাকি ওর কথা ভুলে বসে আছো! তুমি তো ওকে আমার বন্ধু বানিয়ে দিয়েছিলে, মনে আছে? আমার বন্ধুর যত্ন নিয়ো কিন্তু! ইস্, আমি যদি থাকতাম, ওর যত্নটা আমিই নিতাম, সাথে আমার গুলুমুলু খরগোশটারও। আমি যদি তোমার বউ হতাম, তাহলে সপ্তাহের সাত দিনের চব্বিশ ঘণ্টাই তোমাকে কাছছাড়া করতাম না। তোমার এতো চাকরি করতে হবে না, আমরা কম খেয়ে বাঁচতে পারব। ওতে বরং ভুঁড়ি কমবে! ভাল না, বলো? বড় বাঁচা বেঁচে গেছো, সোনামণি! এই, তুমি বিয়ে করেছ কেন, হুঁ? ভাল্লাগে না কিছু! তুমি বিয়ে না করলে আমি তোমাকে বিয়ে করতাম। কীভাবে, জানো? তোমাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করে ফেলতাম। কী মজার ব্যাপার, না? কিন্তু আমার সব আশায় জল ঢেলে দিয়ে উনি সুন্দর করে বিয়ে করে নিয়েছেন! ঠিক হয়নি, একদমই ঠিক হয়নি। আমার কিন্তু সত্যিসত্যিই তোমার বউ হওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল, এখনো আছে। চলো, আমরা পালিয়ে বিয়ে করে ফেলি। করবে আমাকে বিয়ে? বিয়ে করবি কি না, বল! মুহাহাহাহাআআআ! ভয় পেয়ো না, আর কিডন্যাপ করব না। আমি তো ইদানিং একদম লক্ষ্মীবাচ্চা হয়ে যাচ্ছি! ম্যাওঁ!
তুমি বিশ্বাস কর না, আমি তোমাকে ভালোবাসি, তাই না? হয়তবা বিশ্বাস কর আর দশটা ফলোয়ারের মতই তোমাকে ভালোবাসি! আচ্ছা থাক, তোমার জানতে হবে না, আমি তোমাকে কেমন করে কতটা ভালোবাসি! সব কিছু জানতেই হবে কেন! কিছু কথা অজানাই থাক না! তুমি আমাকে কয়েক লক্ষ ফ্যানের মাঝে একজন ভেবো, তাতেই চলবে। তোমার কাছের মানুষ হওয়ার চেয়ে দূরের ফ্যান হয়ে থাকা ভাল। কেন, জানো? তুমি মন বোঝো না, বোঝো অন্য কিছু, সেটা আমার ভাল লাগে না। তোমার প্রেম ভালোবাসাহীন প্রেম! প্রেমহীন ভালোবাসা তবুও মানা যায়, ভালোবাসাহীন প্রেম মানা যায় না। তোমার প্রেম না হলেও চলবে আমার, কিন্তু আমার কাছে থাকতে হলে ভালোবাসাটা যে চাইই চাই! সেটা কখনো বুঝলে না। না বুঝলে আর বোঝার দরকার নেই। আমি বোকাসোকা একটা মেয়ে, কী সব উল্টাপাল্টা বলি! দেখা যায়, আগে কী বলেছি, কেন বলেছি, পরে তা নিজেই বুঝতে পারি না! আর সেখানেই আমি তোমার বোঝা! অবশ্য, বোঝা হওয়ারই কথা! ভালোবাসো না যে, তাই! কাউকে ভালোবাসলে যত কিছুই হোক না কেন, সে কক্ষনো বোঝা হয়ে যায় না!
শোনো, তোমার নামের পাশে এখনো সবুজ বাতি জ্বলছে, তার মানে, জেগে আছো। রাত কয়টা বাজে, সে খেয়াল আছে? এভাবে রাত জাগলে পরে শরীর খারাপ করবে না? তখন কে দেখবে তোমাকে? একাএকা থাক, নিজের খেয়ালটা তো একটু হলেও রাখতে হবে, তাই নাতো কী? লক্ষীটি, ঘুমিয়ে পড়ো এখন। যা কাজ করার সকালে কোরো, কেমন? সকাল হলে কি তোমার বিরক্তিকর বান্ধবীরা সবাই পালিয়ে যাবে? গেলে যাক না! আমি আছি তো!
আমি তো ভেবেছিলাম, তুমি আমাকে একেবারেই ভুলে গেছো! আমি একাএকাই তোমার সাথে কথা বলি। কিন্তু আজ সকালে তুমি আমাকে একটা গানের ভিডিও পাঠিয়েছিলে। মনটা অনেক ভাল হয়ে গেল। যাক, তাহলে এখনো ভুলে যাওনি আমাকে। তোমার পছন্দ এত্ত ভাল কেন? এত্ত সুন্দরসুন্দর গান কোথায় পাও তুমি? প্রতিটাই অসম্ভব সুন্দর, মন ভাল করে দেয়ার মতো। আমি আগে গান শুনতাম না, তুমি সে অভ্যাস ধরিয়ে দিয়েছো। তোমার কয়েকটা দিনের স্পর্শ আমাকে আমুল পাল্টে দিয়েছে, জানো? এখন আমি আগের চাইতে অনেক বেশি পরিশীলিত—চলনে, বলনে, মননে। তুমি আসলে মানুষ না, দেবতুল্য! তোমার এমন সব ক্ষমতা আছে, যা অন্য কেউ শত জনমেও অর্জন করতে পারবে না। তোমার সবকিছুই ভাল লাগে আমার। তোমার হাসি, রাগ, দুষ্টুমি, সব। শুধু একটা জিনিস বাদে। কোনটা জানো? আমি বলব না। নিজেই বুঝে নাও। এভাবে কতদিন মনে থাকবে তোমার আমাকে? হয়ত একদিন ঠিকই ভুলে যাবে। আমি রিপ্লাই করি না বলে তুমি কি মনে কর আমি বিরক্ত হই তোমার মেসেজ পড়ে? তা-ই মনে হয়? তুমি কি জানো, আমি দিনে কত কতবার যে মেসেঞ্জারে ঢুকি শুধু তোমাকে ফলো করতে, অনলাইনে আছো নাকি দেখতে! হঠাৎ-হঠাৎ তোমার দুএকটা মেসেজ যে মনে কী পরিমাণ প্রশান্তি দেয়, তুমি তা বুঝতে পারবে না কখনো। সারাক্ষণই আশায় থাকি যদি একটা মেসেজ দাও, অথবা একটা ফোন। তোমার ফোন নাম্বারগুলো আমি ডিলিট করে দিয়েছি, জানো? কেন? যাতে ইচ্ছে হলেই ফোন দিতে না পারি। জানি, তুমি বিরক্ত হবে আমার ফোন পেলে। আমি কীকরে তোমাকে বিরক্ত করতে পারি, বলো? কোন অধিকারে? আমি চাই না তুমি মিথ্যামিথ্যা আমাকে ভালোবাসো, তারচে’ বরং চাই সত্যিসত্যি বকা দাও! মিথ্যা ভালোবাসাটা না দেখিয়ে সত্যি রাগটাই দেখাও! ভালোবাসা তো অনেককেই দেয়া যায়, বকা কয়জনকে দেয়া যায়, বলো! ক্ষণিকের ইচ্ছেতেও কাউকে ভালোবেসে ফেলা যায়, কিন্তু কাউকে বকা দিতে তার উপর অধিকার থাকা লাগে! দাও না একটু বকা!
আচ্ছা, আমি কেন তোমাকে ভালোবাসলাম, বলোতো! এটা তো হওয়ার কথা ছিল না! ভেবেছি, তোমার সাথে সম্পর্কে আমার কোনও চাওয়া বা পিছুটান থাকবে না। কিন্তু কী করবো, বলো, মানুষ চায় এক, হয় আরেক। যেখানে চেয়েছিলাম কোনও পিছুটান থাকবে না, সেখানে তোমাকে ছাড়া কিচ্ছু ভাবতে পারি না। কেন এমন হলো? আমি জানি, এসব তোমাকে বললে তুমি খুব বিরক্ত হবে। বলবে, “এতকিছু আশা কর কেন? তুমি কি সেটা ডিজার্ভ কর?” তাই তোমায় কিছু বলি না, কিছু জানতে দিই না। আমার ভালোবাসাটা আমার কাছেই যত্নে থাকুক না! তুমি না-ই বা জানলে! তবে কথা দিতে পারি, কখনো কোনওদিন একবিন্দুও অযত্ন পাবে না সে। ভালোবাসি তোমায়, ভালোবাসি আমার ভালোবাসাটাকেও!
বাবু, খুব ভালোবাসি তোমায়। যতটা ভালোবাসলে অনুভূতিগুলো ছোঁয়া যায়, ততটাই! আমি আছি শুধুমাত্র তোমাতে ঘিরে, নইলে কবেই মরে যেতাম! তোমার লেখাগুলোই তো আমায় বাঁচিয়ে রেখেছে! আর এখন তো তুমিই সব! সব ঠিক হয়ে যাবে, দেখো! ভালোবাসি খুব, হাতটা কখনোই ছেড়ো না আমার! জানো, আমার ভীষণ খারাপ লাগছে ক’দিন থেকেই। জ্বর গায়ে। আজকে সন্ধ্যায় হঠাৎ করে প্রচণ্ড খারাপ লাগে, মাথার মধ্যে তখন ঐ কথাটা ঘুরপাক খায়, তাই পোস্ট দিই। মনেমনে বলছিলাম, তুমি বোধহয় একটা কমেন্ট করবে।
অদ্ভুত!
তুমি সত্যিসত্যি করলে!
তুমি আমাকে এতো অবাক করছো! আমি কিন্তু এতো ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা রাখিই না। আমার মন কেমনকেমন করছে…….তুমি সুস্থ মনে থেকো। জানো, তোমার নামটা যখন স্ক্রিনে দেখি, এই প্রথম দিনের অনুভূতির মতো লাগে। কী রকম, বলি!
আল্লাহ্! উনি…….উনি মেসেজ পাঠিয়েছেন! কী ভাগ্য! কী ভাগ্য!
সত্যিই আমার গায়ে অনেক জ্বর। তাই এতক্ষণ প্রলাপ বকছি। কিছু মনে কোরো না, কেমন? তোমাকে ছাড়া আমি একটা মুহূর্তও থাকতে পারি না, জানো? এখন আর কাঁদি না বলে হয়ত ধরেই নিয়েছ যে তোমাকে না পাওয়ার যন্ত্রণা আমায় আর পোড়ায় না! তুমি বলেছিলে, তোমার সামনে কাঁদলে তোমারও ভেতরটা পোড়ে। তুমি তো এমনিও ভাল নেই, তাই আর তোমাকে বুঝতে দিই না তোমাকে ছাড়া আমার কতটা নিঃসঙ্গ লাগে! তোমাকে ছাড়া অন্য সবাইকেই আমার ছাগলছাগল লাগে। আর কাউকে না আমি কোনওদিন পাত্তা দিয়েছি, না কখনো অন্য কাউকে ভালোবাসার কোনও প্রসঙ্গ মনে এসেছে। আমি কারও সঙ্গেই কথা বলি না, তবে আমি ফানুসকে অনেক ভালোবাসতাম। তুমি আমার জীবনে আসার পর আর কারও প্রতি আমার কিচ্ছু আসে না কেন? ভালোবাসি খুব। ভুল বুঝো না কখনো। ভালোবাসি বলেই তোমার বুকে গুটিসুটি মেরে ঢুকে থাকতে ইচ্ছে করে। আমি জানি কী তোমায় তৃপ্ত করে। তোমার ইচ্ছে পূরণ করতে আমি সব করতে পারি। হয়ত প্রায়ই আমি তোমার ইচ্ছে পূরণে ব্যর্থ হই, তবু চেষ্টা করি, মন থেকেই চেষ্টা করি। তোমার ভাললাগাতেই তো আমার সুখ। আরেকটা কথা। আমি না চাইতেই তোমার কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়ে যাই। প্রিয় মানুষের কাছ থেকে কিন্তু চেয়ে নিতেই ভাল লাগে, এটা তুমি জানো? আমাকে তোমার কাছ থেকে চাওয়ার সুযোগটুকু দিয়ো, প্লিজ। আমার যখন যা লাগবে, আমি চেয়ে নেবো। তখন দিয়ো। ওটা আমাকে অনেক আনন্দ দেবে! প্রিয়, বড্ড ভালোবাসি আপনাকে। মিয়াঁও!
শোনো না, তুমি আমার উপর রেগে আছো, এটা ভাবতেভাবতে আমি অসুস্থ হয়ে গেছি। একটা অসুস্থ মানুষের উপর তো রাগ করে থাকতে নেই, তাই না? রেগে থাকলে অনেকগুলা বকা দিয়ে দাও, তবু এমন চুপ করে থেকো না। যদি ভাবো, আমি তোমাকে তেল মারছি, তবে তা-ই! তুমি আমার তেল গায়ে মাখছ না কেন, হুঁ? আমি কী করেছি? কী করলে তোমার রাগ কমবে? কানে ধরে টেবিলের উপর একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকি? আমি তোমার সাথে কথা বলব তো! তুমি একটা তুমি, তুমি একটা আপনি, তুমি একটা তুই! আমি তো একটা পাগলি, পাগলির সাথে কেউ এমন রাগ করে? আমার খুব কষ্ট হচ্ছে! নিঃশ্বাস নিতে পারছি না! অ্যাই, শুন না! শুনছ?
তুমি কি হবে আমার টুনটুন-করা ডোরবেল? তুমি মানুষটা অনেক ভাল, তাই তোমার মিউজিকের পছন্দগুলোও অনেক ভাল হয়। তোমার সবই ভাল, ২-১টা বাদ দিয়ে। কী কী? সেটা বলা যাবে না। আচ্ছা, একটা বলি। আমাকে যে সত্যিসত্যি ভালোবাসো না, সেইটা খারাপ। কখনও মনে হয়, তুমি হয়ত আমার ভালোবাসো! পরক্ষণেই মনে হয়, ইস্ কী কপাল আমার! তিনি আমাকে ভালোবাসেন!
তোমাকে আমি একটা ফেসবুক আইডির ফোননাম্বার আর পাসওয়ার্ড দেব। তুমি কিন্তু ওই আইডিতে এখন ঢুকবে না। ধরো, কোনও একদিন যদি আমি হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাই, মানে মরেটরে যাই আরকি, তখন যদি কখনো আমাকে মনে পড়ে, তখন ঢুকবে। এখন না কিন্তু! ঠিক আছে? যদিও আমি উধাও হলে তোমার আমাকে মনে পড়ার সম্ভাবনাটা অনেক অনেক এবং অনেক কম, তবুও! আমি পাগলটাইপ মানুষ তো! দিতে ইচ্ছে হল, তাই। আমার কোনও কথায় দয়া করে কিছু মনে কোরো না। কোনও বিশেষ কারন নেই। এমনিই! এখন কিন্তু এই আইডিতে ট্রাই করবে না।
আজকে আর দিতে ইচ্ছে করছে না। আমি এখন জানালার ধারে বসে আছি। কিছুক্ষণ কাঁদবো! শহুরে জীবনে জানালাই তো শেষ ভরসা!