: কেন ধোঁয়াশায় রেখেছ আমায়, তিথি?
: আত্মার ব্যাপ্তি ঘটাতে।
: তুমি কাছে না এলেও পারতে... এভাবে অচেনা ভাবমূর্তির আচ্ছাদনে নিজেকে রাখার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
: আমি কোনো আচ্ছাদনে নেই...আমি ঠিক এই মুহূর্তে তোমার আত্মার ভেতরটাই দেখছি।
: কী বলছ? তোমার বিশ্রাম প্রয়োজন।
: নাহ্... যদি বলি, আমার তোমাকে প্রয়োজন— 'শুধুই তোমাকে'— তবে কি তুমি ফিরিয়ে দেবে?
: ফিরিয়ে দিতে তো কাছে ডাকিনি তোমায়।
: যা চাইছি, তাই-বা দিতে পারছি কই? এর থেকে ভালো, তোমার পায়ের তলায় মাড়িয়ে চলে যাও... তুমি আমায় ফিরিয়ে না দিলেও আমি চলে যাব।
: ভালোবাসার মানুষকে আলাদা করে ধরে রাখার প্রয়োজন মনে করি না।
: বলছ, চলে যেতে?
: তোমাকে আগেও বলেছি, আমি স্পষ্টবাদী। কোনো ছলে তোমায় আটকে রাখতে চাইব—এমন মানুষ আমি নই।
: জানি... শুনেছি, বাস্তববাদী মানুষেরা আবেগে বসবাস করে না। তবে আমি তোমার সাথে বেমানান... একরাশ আবেগ জন্মেছে কেবলই তোমার জন্য, তা এড়িয়ে যাবার সাহস আমার নেই। আমি নির্লিপ্ত পথিক হয়ে তোমার দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকব রোজ।
: কে বলেছে, আবেগের বসবাস নেই? যার 'তুমি আছ', তার অন্তরে বাড়তি করে আবেগের চাষ নিষ্প্রয়োজন। তুমি নিজেই তো আমার কাছে আবেগে-ঘেরা এক মায়াবী অনুভূতি, যাতে আটকে গিয়েছে আমার শরীর, মন... আমার হৃদয়ের ক্লান্তি।
: কেন চাইছ আমাকে এভাবে ধরে রাখতে, নীড়?
: যদি বলি, তোমার নিঃশ্বাসের গভীরতায় অভ্যস্ত আমার এ বুকের পাঁজর... তোমার আলিঙ্গনের উষ্ণতায় ছোটাছুটি করে আমার হৃদস্পন্দন— তবে কি তুমি আরও তছনছ করে দেবে আমাকে?
: তোমার অবহেলা ভয়ংকর রকমের বেশি ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছে আমায়... তুমি কি তা বুঝতে পারছ, নীড়?
: কাউকে ভুল বোঝার থেকে ভালো 'তাকে বোঝার চেষ্টাই না করা'।
: কী বলতে চাইছ? অবহেলায় রাখোনি আমায়?
: নাহ্... অনুরাগে রেখেছি।
: নীড়, কী করে আমার উপস্থিতি বুঝে যাও তুমি?
: তুমি যে আমার হৃদয়ে বাস করো, বুঝব না কেন?
: তুমি কি জানো, এই মুহূর্তে আমার আত্মায় তোমার অস্তিত্ব কতটা প্রখর?
: নিশ্চয়ই জানি... এভাবে দেখছ কেন?
: আমি তোমার দৃষ্টি পড়তে পারি।
: এতটা গভীরভাবে জড়িয়ে রাখতে চাইছ কেন, তিথি? আমি থমকে গেছি।
: আহ্ নীড়... তোমার নিঃশ্বাসের ব্যাকুলতা আমায় বাঁচিয়ে রেখেছে!