: এখানে কী করছ?
: ভেবেছিলাম, তোমাকে একবার দেখে চলে যাব; কিন্তু এখন আর পারছি না। আচ্ছা, আমি কি তোমায় খুব বিরক্ত করি?"
: বিরক্তি? (হেসে) তুমি কি বিরক্তি নিয়ে কথা বলছ? এটাকে কি প্রহসন ধরে নেব?
: আমাকে যে আর কোনো অনুভূতিই স্পর্শ করে না; কেন বুঝতে চাও না তুমি?
: আমাদের শেষ দেখা কবে হয়েছিল, মনে নেই। তুমি এ পথ চিনলে কী করে? আর আমি এখানে আছি—সেই খবর বা ঠিকানা তোমার জানা হলো কী করে?
: সব অনুভূতির ঊর্ধ্বে আমার এই অবস্থান—তাকে খুঁজে পাবার সাধ্য তোমার হলো কী করে?"
: চলে যাও। এখানে তুমি থাকতে পারবে না। খুব কষ্ট হবে তোমার।
: তোমাকে কষ্ট পেতে দেখতে ইচ্ছে করে না।
: সত্যি বলছ? এখনও আমায় নিয়ে ভাবো তুমি?
: চাই না কোনো অনুভূতির দাবি; জানি, তুমি পারবে না ভালোবাসতে, কষ্ট দিতে, ঘৃণা করতে, অভিমান বা অভিযোগে বাঁধতে।
; তবু চলবে—তোমাকে শুধু দু-চোখ ভরে দেখতে এসেছি কিছুক্ষণ। না বোলো না।
: তোমার ঠিকানা আমি খুঁজে পাবো না কেন? ওটা তো কেবল আমারই জানার কথা ছিল।
: তোমার প্রণয়ের সেই তীব্রতা, যা আমায় শুধু অনুশোচনায় ডুবিয়েছিল—তার ব্যাখ্যা দিতে পারো?
: আমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় বুঝি তোমারও ছিল?
: না... প্রতিমুহূর্তে তোমাকে নিজের চেয়েও একটু বেশি ভালোবেসে ফেলার ভয় ছিল।
: তুমি ভীষণ অন্যরকম।
; আর তুমি... আমার চেয়েও অনেক বেশি অদ্ভুত।
: খুব বেশি কিছু কি চেয়েছিলাম তোমার থেকে?
: আমার কাছে সব কিছু অজানা রেখে, সব এলোমেলো করে দিয়ে, নিজেকে প্রত্যাশা থেকে মুক্ত করেছিলে কেন?
: তোমাকেই তো ভীষণ আপন মনে হয়েছিল। তারপরই নিজের ভেঙে যাবার এক সংকীর্ণ অনুভব।
: নিজের থেকেও বেশি চিনেছিলাম তোমায়। কারণ, তুমি যে আমায় ভালোবাসো!
: সেই যে হারিয়ে গিয়ে, কী বেদনায় সময়টাকে ঘিরে রেখেছ—তবে কেন তোমার সব পথের ঠিকানা দিয়ে দিলে আমায়?
: বলো, কোন প্রিয় নামে ডাকি তোমায়?
: তবে কি থেকে যাবে তুমি?
: ছেড়েই তো যাইনি কখনও।