সে ঘুরেফিরে চলেই আসে।
হয়তো চোখের পাতার মতো টুপ করে, সন্ধের কোলে শিশিরের শব্দ হয়ে, হৃদয়ের অন্ধকার গহ্বরে সরু একফালি চাঁদ হয়ে, শাঁই শাঁই বাতাসে রজনীগন্ধার ঘ্রাণ নিয়ে, ফুসফুসের ভেতরে বাইরে...সে ফিরে আসে। সমস্ত জীর্ণতাকে ছাড়িয়ে নতুন কুঁড়ির ম-ম গন্ধে, সে ফিরে ফিরে আসে।
সৈকতের বুকে আছড়ে-পড়া ঢেউয়ের মতো, বাতাসে উড়তে-থাকা কিশোরীর অবাধ্য দিঘল চুলের মতো, সদ্যবিবাহিতা বধূর স্বামী ঘরে ফেরার প্রতীক্ষার মতো, সে ফিরে আসে।
সে ফিরে আসে, মহাকাশের নির্জনতায় ঘেরা একাকিত্ব নিয়ে, হারিয়ে-ফেলা প্রথম ভালোবাসা ফিরে পাবার আশার মতো, পেয়ে হারানোর যাতনার মতো।
সহস্র বছর আগে মরে-যাওয়া স্বপ্নের মতো চিনচিনে ব্যথা নিয়ে, থেকে থেকে সে বার বার ফিরে আসেই!
আমি যতটা ফেরাই তাকে, সে-ও কি তত ফেরায় আমাকে?