এক। যা বলার, একেবারে সরাসরি বলুন। আমি সরাসরি কথা শুনতে এবং বলতে অভ্যস্ত।
দুই। ভণিতা করবেন না। আমি ওটা বুঝি না, আর ওটা বোঝার সময়ও নেই।
তিন। এমনভাবে কথা বলবেন না, যেটা বুঝতে ব্রেইন খরচ করতে হয়; ওটা এমনিতেই আমার কম আছে। আমি কিংবা আপনি এমন কোনও মহামূল্যবান বাণী প্রসব করছি না, যেটার জন্য ব্রেইন খরচ করতেই হবে। যার সাথে গল্প করার সময় ঘোরানোপ্যাঁচানোভাবে চিন্তা করতে হয়, তার সাথে কথা বলার সময় কোথায়?
চার। হুদাই মিথ্যা বলবেন না। ব্যাপারটা খুবই বিরক্তিকর!
পাঁচ। মেসেজ সিন হওয়ার পরও রিপ্লাই না পেলে ধরে নেবেন, রিপ্লাই দিতে চাচ্ছি না। ননস্টপ টেক্সট পাঠিয়ে যাবেন না।
ছয়। গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ পাঠিয়েছেন, কিন্তু রিপ্লাই পাচ্ছেন না? একটা হাই পাঠিয়ে ওটাকে আবারও ‘জীবিত’ করুন। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, যা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে। কেউ কারওর মেসেজ রিপ্লাই করতে বাধ্য নয়।
সাত। জল পড়ে, পাতা নড়ে, তোমার কথা মনে পড়ে ………. তুমি আর আমি, বাকি সব হারামি …….. টাইপের মেসেজ দেখতে ভালো লাগে না। আমার চ্যাটিং করার সময় নেই, কিংবা সবার জন্যে সময় দিতে ইচ্ছে করে না।
আট। একেবারে তিল পরিমাণও হিপোক্রিসি করার ইচ্ছে থাকলে আমার কাছ থেকে দয়া করে কয়েক কোটি হাত দূরে থাকুন। আমি খুব ঠাণ্ডা মাথায় আজীবন এই ব্যাপারটাকে সবচাইতে বেশি ঘৃণা করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নয়। ধর্ম, রাজনীতি, সরকারি ব্যাপারস্যাপার নিয়ে ত্যানা প্যাঁচাবেন না। আমি এসব বুঝি না, বুঝতে চাইও না। যেকোনও আড্ডায় ওসব ব্যাপার নিয়ে কথা হলেও আমি চুপ করে থাকি। ওসব নিয়ে আমার কোনও আগ্রহ নেই।
দশ। আমার চাকরি আমাকে আমার মতো করতে দিন। আপনি নাক গলাতে এলে ব্যাপারটা আমার নিশ্চিতভাবেই পছন্দ হবে না।
এগার। নিজের সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে ইচ্ছে না করলে ভুল তথ্য দেবেন না, বরং চেপে যাবেন, আমি বুঝে নেবো।
বার। যাঁদের বয়ফ্রেন্ড কিংবা হাজব্যান্ড আছে, তাঁরা আমার ইনবক্সে আসবেন শুধুই নিতান্ত জরুরি প্রয়োজনে। অন্যথায় খুবই হতাশ হবেন। আপনার উনাকে সময় দিন, নতুবা উনিও অন্যকারওর অন্যকাউকে সময় দেবেন। এটাই স্বাভাবিক।
তের। কোনরকমের পণ্ডিতি করতে আসবেন না। আমি (শেয়াল)পণ্ডিতদের ভয় পাই। আমি দেশ উদ্ধার করতে ফেসবুকে আসি না।
চৌদ্দ। আমার প্রোফাইলটা অনলাইন শিক্ষাদান কেন্দ্র না। আপনি যেমন ফেসবুকে আসেন বিনোদনের জন্য, আমিও ঠিক একই কারণেই আসি।
পনের। কোনও ফেইক কিছু দিয়ে কিংবা বলে চ্যাটিং করছেন, এটা একবার বুঝতে পারলে আর কখনওই আনব্লক করবো না, এটা মাথায় রেখে একেবারে সাথেসাথেই ব্লক করে দেবো।
ষোল। ইনবক্সে আমাকে ‘স্যার’ ডাকবেন না, নাম ধরে কিংবা ভাইয়া / দাদা ডাকবেন। যে সম্মানের যোগ্য আমি নই, কেউ সে সম্মানটা দেখালে নিজের প্রতি সম্মানবোধ কমে যায়।
সতের। যে জিনিস আমি নোটে লিখেছি, সে জিনিস আমাকে আবার ইনবক্সে জিজ্ঞেস করার তো কোনওই মানে নেই! এটা নিশ্চিত, উত্তর দেবো না। অনুগ্রহ করে নোটের লিংক চাইবেন না। কষ্ট করে নিজে খুঁজে নিন।
আঠার। কাউকে ভুলবশত ব্লক করে দিয়ে থাকলে আপনার অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে কিংবা আপনার কোনও ফ্রেন্ডকে দিয়ে ব্যাপারটা আমাকে জানান। আমি অনেক ভুল করি, নিজগুণে একটু ক্ষমাটমা করে দেবেন।
উনিশ। নিজের কথা নিজেই বলুন, অন্যকাউকে দিয়ে বলাবেন না। আমি সাহসী মানুষ পছন্দ করি।
বিশ। আমাকে আপনার বন্ধু বানান প্লিজ, জাতীয় অনুরোধ করবেন না। ফেসবুকে আমার ফ্রেন্ড হতেই হবে কেন? আমার প্রোফাইলটা তো পাবলিক প্রোফাইল। আমার বন্ধু আমি করবো, যাকে অখুশি তাকে করবো না।
একুশ। কারওর ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে আমার যেমন আগ্রহ নেই, তেমনি আমি চাই, আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে কারওর কোন আগ্রহ না থাকুক। কতটুকু জিজ্ঞেস করা যাবে না, এটা বুঝতে পারাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাত্রাজ্ঞানহীন মানুষ অতি বিরক্তিকর।
বাইশ। আমি কোন পুতুল কিংবা নরমুণ্ডের বন্ধু হতে চাই না। নিজের সঠিক নামপরিচয় আর ছবি দেখানোর ইচ্ছে কিংবা সাহস না থাকলে আমার বন্ধু হওয়ার কিংবা আমার সাথে চ্যাটিং করার ইচ্ছেটাকে গুডবাই বলে দিন।
তেইশ। বিসিএস-এর জন্য কী কী বই পড়ব, কত ঘণ্টা পড়ব, কোন রুটিনে পড়ব, কীভাবে ফার্স্ট হব, ঘুম কীভাবে তাড়াব, পড়তে ইচ্ছা না করলে কী করব, কোন কোচিংয়ে ভর্তি হব, জাতীয় খুবই বিরক্তিকর প্রশ্ন করার জন্য আমার ইনবক্স না। বিসিএস-এ প্রথম হওয়াটা আমার অপরাধ নয় নিশ্চয়। আমার যা লেখার, আমি তা ওয়ালেই শেয়ার করে দিই। সত্যি বলছি, এর বাইরে আমার একেবারে কিছুই বলার নেই।
চব্বিশ। আমার সম্পর্কে বাজে কথা বলে কিংবা ক্ষতিকর, প্রমাণসহ এমন লোকের খোঁজ দিতে পারলে কৃতজ্ঞ থাকব। দয়া করে আমাকে ঘাসে লুকানো সাপ খুঁজতে সাহায্য করুন। মাই এনিমিজ এনিমি ইজ মাই ফ্রেন্ড।
পঁচিশ। ওপরের কথাগুলির মাধ্যমে আমি যা ভাবি, তা-ই অকপটভাবে বলে দিয়েছি। কোনও কথায় কেউ বিন্দুমাত্রও কষ্ট পেয়ে থাকলে, আমি কোনওরকমের তর্কে না গিয়েই ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
মাই ওয়াল, মাই রুলস্! হ্যাপি ফেসবুকিং!!