আমার চোখ, আমার সর্বভেদী দৃষ্টি, তীক্ষ্ণ
কর্নিকা সব দেখে নেয় একলহমায়! দেখে নেয়
সব স্পর্শ থেকে স্পর্শান্তরে কী আছে,
দেয়াল থেকে দেয়ালান্তরে কী রয়েছে গোপন।
সে সব দেখে নেয়, দেখে নেয় প্রতারকের হাসির ভেতর
কীরকম বিষ আছে; বন্যা দুর্ভিক্ষ মাড়ি মড়ক, রাস্তায়
স্তূপীকৃত পড়ে-থাকা লাশের ভেতর কীরকম এক
প্রতিক্রিয়া আছে, সব দেখে নেয়। প্রধানমন্ত্রীর
বক্তৃতায় কতটুকু সত্য আছে, দেখে নেয় মুখাবয়ব
জরিপ করে, দেয়ালে দেয়ালে নিষিদ্ধ পোস্টারে
কতটুকু জনগণের কথা আছে, আছে কীরকম
বলিষ্ঠ কর্মী, কীরকম এক্সপ্লোসিভ জমা
আছে গোপন আড্ডায়, সেসব দেখে নেয় আমার
এ দু-চোখ, আমার কর্নিকা, আমার সর্বভেদী দৃষ্টি।
দেখে নেয় নদী ও নারীর মধ্যে কতটুকু ফারাক বা
কতটুকু মিল। মধ্যরাতে রতিবতী কামরাঙা নারী
কোন প্রক্রিয়ায় করবে ভ্রূণহত্যা, এসব চোখের একপলকে
দেখে নেয়, খুঁজে পায় রহস্য। আকাশে কখন
কোন অচেনা নক্ষত্রের পতন হবে, আকাশে দু-চোখ রেখে রেখে
নক্ষত্রের গতিবিধি দেখে দেখে বলে দিতে পারে।
আমার চোখ, তীক্ষ্ণ কর্নিকা, সর্বভেদী দৃষ্টি
বলে দিতে পারে, মানুষের ভেতর কীরকম মানুষ
আছে, কবিতার ভেতর কবিতা, গানের ভেতর কতটুকু
গান, চোখের জলের ভেতর কতটুকু জল, দুঃখপ্রকাশের ভেতর
কতটুকু দুঃখ, আমার সর্বভেদী দৃষ্টি
বলে দিতে পারে দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তর।