- এটা আমার অস্তিত্বকে জানান দেওয়া--আপনার কাছে। প্লিজ! আমাকে আমার অস্তিত্বটুকু টিকিয়ে রাখার একটা সুযোগ দিন! এভাবে অবমূল্যায়ন করবেন না!
- এটা কী আসলে? বলুন।
- আমি কি আপনাকে কিছু দেবার অধিকার রাখি না? আমাকে কি কোনও ব্যাপারেই বিশ্বাস করতে পারেন না আপনি? না কি আমাকে আপনি একটা উপহার দেবারও অযোগ্য ভাবেন? আর যদি সেটাই হয়, তা হলে আমাদের মধ্যকার সমস্ত আত্মার সম্পর্কের এখানেই ইতি টানা উচিত।
- আমি জানতে চাইছি। বলুন।
- আমি সারপ্রাইজ দিতে চাই। বলব না। প্লিজ!
- আমি শুনতে চাই। বললে ঠিকানা দেবো। প্রমিজ!
- তা হলে, সারপ্রাইজটা আর সারপ্রাইজ থাকবে না।
- সমস্যা নেই, আপনি বলুন।
- আমি চাই, আপনি র্যাপিং খুলে নিজের চোখে সেটা দেখে একটু অবাক হবেন। আমি আপনাকে অবাক করে দিতে চাই। আপনার দুচোখের বিস্ময়ে আমার উপহারটা অনেকক্ষণ ধরে আটকে থাকুক, এটাই আমি চাই।
- আমি ইদানীং খুব একটা চমকে যাই না। ছোট কি বড় সব ঘটনাকেই সহজভাবে নিই। অবাক হওয়াও ছেড়ে দিয়েছি বহু দিন হলো। আপনি নির্দ্বিধায় বলতে পারেন।
- আপনি এই জিনিসটির ব্যাপারে ‘নির্দ্বিধায়’ কথাটি না বললেও পারতেন। আমার মধ্যে কোনও দ্বিধা নেই! আমি জানি, আমি কী করছি, কেন করছি। আমি আমার নিজের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার। এখানে দ্বিধার কোনও জায়গা নেই। অনেক কষ্ট করে খুঁজে খুঁজে এটা আমি আপনাকে দিতে চাই। এটা এমন কিছু, যা হয়তো কেউ কখনও আপনাকে দেওয়ার কথা ভাববে না, তবে এটা পেলে আপনি খুব খুশি হয়ে উঠবেন। আমার শ্রম ও ভালোবাসা জড়িয়ে আছে এর সাথে।
- বলুন ওটা কী।
- আর আমাকে অনেক মানুষ আর্থিক সাহায্য করতে আসেন, আমি নিই না। অথচ আপনি বলায় আমি কিন্তু আপনাকে আমার পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ দিয়েছি। এখন আপনি আমার কথাটা রাখুন! এইটুকু যৌক্তিক আচরণ তো আমি আপনার কাছ থেকে আশা করতে পারি।
- এটা অন্য ব্যাপার।
- আমি জানি, আপনি এই উপহারের সবচেয়ে সঠিক সম্মানটা দিতে পারবেন। যাকে যে জায়গায় মানায়, তাকে আমি সেখানে পাঠাতে চাই! আমার সামর্থ্য অল্প। আমি আমার সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু কাজে লাগিয়ে আপনার জন্য উপহারটা তৈরি করছি। সামর্থ্য মানে কিন্তু আর্থিক সামর্থ্যই নয় শুধু! আর কত ভেঙে বলা যায়! অনেক কিছুই তো বলে দিলাম! এইটুকুও বলার কথা ছিল না!
- বলুন না ওটা কী!
- বলব না বলেছি তো!
- হ্যাঁ, আপনি বলবেন।
- আর আমার যদি জিনিসটির নাম বলতে হয়, তা হলে আমি বুঝব, এত দিন আমাদের সব কথাবার্তা কেবল ফেসবুকনির্ভর কিছু অনুভূতিজাতই (আদৌ কি ‘অনুভূতিজাত’, না কি ‘অনুভূতিশূন্য’?) ছিল! আমি আপনার ব্যাপারে যতটা শ্রদ্ধাশীল, আপনি আমার পছন্দের ব্যাপারে ততটা মোটেও না। আমি কি সারপ্রাইজ দিতে পারি না আপনাকে? এখনও আপনি যদি বলেন, ‘না’…তা হলে আজ থেকে, এখন থেকেই আমাদের এই ভার্চুয়াল করভারসেশনের ইতি টানা উচিত!
- নাম বলুন ওটার। আপনি এমনিতেই অনেক ভুলভাল বোঝেন। আগেও বুঝেছেন। এটা আপনার স্বভাব। আমি এখন আর কিছু মনে করি না আপনার ভুলভাল বোঝায়।
- আপনি আমার মতো একজনকে চিনলেন না, এজন্য আপনার জন্য আফসোস রইল। আপনি নেবেন না, এই তো? আচ্ছা, দরকার নেই। আপনার টাকাগুলো ফেরত দেবো, বিকাশ নম্বরটা দিন।
- ফেরত দিতে পারেন, আপনার ইচ্ছে। আপনি উপহারটা সম্পর্কে বললে আমি খুশি হতাম। আমি সত্যিই এখন খুব একটা সারপ্রাইজড হই না, একসময় হতাম।
- আপনার বিকাশ নম্বরটা দিন! টাকাটা আমি ফেরত পাঠিয়ে দেবো। তবে টাকাটা ফেরত দেবার সাথে সাথে আমি ভুলে যাব ‘আপনি’ বলে কাউকে আমি চিনতাম। ‘আপনি’ বলে কারও জন্য কোনও দিন আমার একফোঁটা হলেও চোখের জল ঝরেছিল! সব ভুলে যাব। আমি জাস্ট ভুলেই যাব আপনার নামটাও! আর আমি খুব সহজেই আপনার নামটা ভুলতে পারব। কারণ আমার তো চাকরির টিপসের দরকার ছিল না কোনও দিনই! অন্য দশটা মানুষের মতো আমি কোনও স্বার্থ নিয়ে আপনার কাছে আসিনি। সবাই তো আপনার কাছে আসে তার নিজের স্বার্থ নিয়ে। আপনাকে নয়, আপনার অর্জনকে মাথায় রেখেই আপনাকে নক দেয় সবাই। শুধুই আপনার জন্য আপনার কাছে আসে কে, বলুন? আপনার থাকায় না থাকায় ওদের কারও কিচ্ছু এসে যায় না। আপনার লেখা আর কথাগুলো থাকলেই এনাফ! যা-ই হোক, বিকাশ নম্বরটা দিন!
- বাহ্!
- আপনি নম্বরটা বলুন।
- **** এটা।
- এটাই বিকাশ নম্বর তো?
- আপনি টাকাকে সম্পর্কের চাইতে বড় করে দেখেন।
- আপনার মুখে আজ আর এই কথাটা মানায় না। আচ্ছা, আমি ৩-৪ তারিখ পাঠিয়ে দেবো। You are left forever!
- Your life, your choice. (You told me once…Don’t leave me…now you’re leaving!)
- আপনি বাধ্য করেছেন। ৩-৪ তারিখের পর থেকে আপনি আমাকে আর ভার্চুয়াল জগতের কোথাও দেখবেন না।
- আপনার ব্যাপার।…মিথ্যেবাদী! ডোন্ট লিভ মি…তা-ই, না? অহংকারী, গোঁয়ার!
- অহংকারী, গোঁয়ার? ভালো! এমন প্রতিদান আমাকে এখন আর কষ্ট দেয় না।
- যার সাথে আলাপ করছেন, আপনি কখনও তার অবস্থান বুঝতে চান না। এটা আজকে বুঝলাম। সহজ করে বলি, শুনুন। ন্যূনতম অর্থের সংশ্লেষ আছে, এমন কোনও কিছুই আমি আপনার কাছ থেকে এখন নেব না। আপনি যখন আপনার স্বপ্নটাকে পূরণ করতে পারবেন, তখন নেব, চেয়েই নেব। এর আগে কিছুতেই নয়। আর আপনাকে টাকা পাঠিয়েছি, কারণ টাকাটা আমার কাছে উদ্বৃত্ত আছে। মনের দাবিটা পূরণ করতে গিয়ে আমার দরকারি একটা পয়সায়ও আমাকে হাত দিতে হয়নি। আবার ব্যাপারটা এমনও নয় যে এই প্রথমবারের মতো আমি আমার মনের দাবিটুক পূরণ করেছি!
- মনের দাবি আপনার একারই আছে বুঝি? আমার নেই? আমার অধিকার নেই তা পূরণ করার? আমাকে মানুষ মনে হয় না আপনার?
- আপনি সব দাবিই মেটাবেন…তবে নিজের উপর চাপ দিয়ে নয়। আপনার বর্তমান অবস্থান কোনও ধরনের বাড়তি খরচের অনুকূলে নয়। যখন এমন একটা সময় আসবে যে আপনি অনায়াসেই আপনার উদ্বৃত্ত অর্থ খরচ করে আমার ব্যাপারে আপনার মনের দাবিটুকু মেটাতে পারছেন, তখন আমি আপনাকে আর বাধা দেবো না, উল্টো চেয়েই নেব নাহয়! তবে আপাতত আমি আপনাকে তা করতে দেবো না। আমি তো বলেইছি, আমার উদ্বৃত্ত না থাকলে আমি আপনাকে দিতাম না হয়তো।
- বাদ দিন! সব কথা এখানেই শেষ হোক। আমার অবস্থানটা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
- ভুল বুঝছেন। আমার মেয়ের নামে শপথ করে বলছি, আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন।
- ভুল এতদিন বুঝেছিলাম। আজকে ঠিক বুঝেছি। আমার শরীরটাও তত ভালো নেই, তাই এত তর্কবিতর্ক আমারও ভালো লাগছে না। আমার সব খারাপ। সব! আমি অহংকারী, ভুলভালও বলি। তবে কী জানেন, আমার এত খারাপের মধ্যে আপনার প্রতি আবেগটা নিখাদ, নিষ্পাপ ছিল! যে লেখক আমাকেই ভুল বিশেষণে বিশেষায়িত করতে পারে, তার লেখা আজ থেকে একজন পাঠক না-ইবা পড়ল, তাতে তার খুব একটা ক্ষতি হবে না। আমার টপটপ করে চোখের জল ঝরে-যাওয়াটার মধ্যে সত্যিই যদি অন্তত কিছু আবেগও মিশে থাকে আর যদি ন্যাচারাল জাস্টিস বলে যদি কিছু থাকে, তবে এই অহংকারীকে একদিন হলেও আপনার মনে পড়বে, খুব বেশিই পড়বে। সেদিন আমি আর থাকব না, খুব করে ডাকলেও আর আসব না। মানুষ এভাবেই মানুষ হারায়!
আমি ভুল মানুষের কাছে (আবারও) আমার সবচেয়ে পছন্দের উপহারটা তুলে দিতে চেয়েছিলাম! কী বোকা আমি! আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন! এমন কিছু আর কখনওই আমি আমার প্রাণ থাকতে কাউকে দিতে যাব না।
আপনার এসব আক্রমণাত্মক রিপ্লাই আমার ভালো লাগে না। তার চেয়ে বরং একটা স্ট্যাটাস দিন এটা নিয়ে, আমাকে ধুয়ে ফেলুন সেখানে, অনেক হা হা, হো হো, হি হি পাওয়া যাবে।…আপনি এই কয়েক দিনে আমার ‘অভ্যস্ততা’ হয়ে গেছেন। একদিনও কথা না বললে নিজেকে ক্ষমা করতে পারতাম না। আপনি মেসেজ করলে আমি প্রাণখুলে হাসতাম। মেসেজ সিন না করলে বারবার ফোন চেক করতাম। আপনি আমার মেসেজ সিন করেছেন, মাত্র এইটুকুও আমার সুখের একটা উপলক্ষ্য ছিল! আপনি বুঝবেন না এই অস্থির হয়ে থাকার মানে যে কী! আপনার কারণেই একটা মানুষ হাসে, কাঁদে…এই অনুভূতির মূল্য আপনার কাছে সত্যিই কি নেই? মানুষ চিনতে আমার এতটাই ভুল হয়ে গেল!
আমি আপনাকে হারাইনি, বরং আপনিই আমাকে হারালেন। এমন একজনকে হারালেন, যে কিনা আপনার জন্য কেঁদেছিল। মানুষ কখন কারও জন্য কান্না করে, জানেন সেটা? আমি জানি, আমার মতন আর একজন কখনওই আপনার জীবনে দ্বিতীয়বার আসবে না। আমার কথাটা মাথায় রাখুন, পরে মিলিয়ে নেবেন।
আর আমি যত তাড়াতাড়ি পারি, টাকাটা পাঠিয়ে দেবো। কিছু সম্পর্কে কোনও বিষয়েই একটুও দায় থাকে না, আমাদের সম্পর্কটা ওরকম কিছু নয়। এই বোকা মেয়েটিকে তা বুঝিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
- এত কিছু শুনিয়ে দিলেন! ঠিক আছে, ঠিকানাটা রাখুন!
…আপনার পোস্ট দেখলাম। কী হয়েছে আপনার?
- তেমন কিছু না। শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছি ২৬ বছর বয়সে! ঠিকানা: অ্যাপোলো হসপিটালস, ঢাকা।
- কী হয়েছে, বললেন না?
- অসুস্থ।
- কী হয়েছে? কী অসুখ?
- ব্যক্তিগত!
- বলুন।
- বাইরের মানুষের সাথে শেয়ার করব না! ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
- ওকে। ভালো থাকুন আপনিও।
…শুভ জন্মদিন! অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
- এই মেসেজটার অপেক্ষায় ছিলাম।
- সেই সকালেই তো দিয়েছি। এত দেরিতে চোখে পড়ল! কেমন আছেন এখন?
- আজ যে মানুষটির জন্মদিন ছিল, তার জন্মই আজন্ম পাপ! এমন একটা মানুষের কোনও জন্মদিনই শুভ কিছু নয়! যার বেঁচে থাকতেই কষ্ট হচ্ছে, তার জীবনে আরও একটা বছর বেশি এল কি এল না, তাতে কী এসে যায়? লোকে কেন যে 'শুভ' শব্দটা জুড়ে দেয়ই সব কিছুর সাথে, বুঝি না। যার সাথে ওটা যায় না, শব্দটা তার কানে ঠাট্টার মতোই শোনায়। তার চেয়ে 'জন্মদিন'...শুধু এইটুকুই ভালো, স্বস্তিকর। আজকে একটি সুন্দর সত্য বলি, কেমন? আপনি ‘শুভ সকাল’ না বললে আমার সকালটা শুভ হয় না! আমি মেসেজের রিপ্লাই না দিয়ে শুধু মেসেজটির দিকে তাকিয়ে থাকলেও ভালো থাকতাম! ছোট্ট দুটো কথা, তাও আমায় এমন বিভোর করে রাখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা! কথার শক্তি নির্ভর করে কথাটা কার কাছ থেকে আসছে, তার উপর। যে কথা নিয়ে ভাববারই কিছু নেই, সে কথাটি বিশেষ কারও ঠোঁট বা আঙুল থেকে বেরোলে তা নিয়ে আমরা ভাবতে বসে যাই! বুঝলেন, লেখক?
পৃথিবীতে সব কিছু বাইরে থেকে বোঝা যায় কি? পৃথিবীর সব কিছু হিসেব করে হয় কি? কিছু মুখ দূর থেকে দেখতেই ভালো লাগে! কিছু মানুষকে দূর থেকে অনুভব করতেই ভালো লাগে। অনেক যত্ন করে আমার পছন্দের একটি জিনিস আমার প্রিয় লেখকের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলাম। হলো না! আচ্ছা, পরের বছর যদি এই ফোনটা আমার জন্মদিনটা না মনে করিয়ে দেয়, সেদিন কি মনে থাকবে? হয়তো না! ‘হয়তো’ শব্দটা ব্যবহার করলাম কেন? কিছুতেই মনে থাকবে না! এবং এটাই স্বাভাবিক! আমি কিন্তু পুরনো মেসেজ সেদিন বের করে দেখব! আবারও দেখব! মনে হবে, এই তো আমি আপনার শুভকামনায় আছি আজও! তখন খুব সুন্দর হয়ে উঠবে সেই মুহূর্তটি! মনের মতো করে ভাবতে পারার আনন্দ অনেক! শুভ রাত্রি!
আপনি আমাকে ভুলে গেছেন। মেনে নিন এটা! ব্যাপার না! এটা আমার কাছে এখন স্বাভাবিক ব্যাপার। শুভকামনা রইল।
- শুভ সকাল! মনে রেখেছি। শুধু নক করি না। তোমার গালাগালি খেতে আর ভুল বোঝাবুঝি হজম করতে ভালো লাগে না। কারণ, অনর্থক ওসব হজম করার কোনও মানে নেই। অত ধৈর্য আর মানসিক শক্তিও আমার নেই। আমার কাছে স্বস্তিতে বাঁচাই শেষকথা। আমার কাছে একপৃথিবী ভালোবাসার চেয়েও একমুঠো শান্তি বেশি দামি। ভালোবাসা নয়, শান্তিই আমাকে বাঁচতে সাহায্য করে। যে অসীম ভালোবাসা অসীম অশান্তি সহ্য করে পেতে হয়, তেমন ভালোবাসা আমার দরকার নেই। মনে অশান্তি পুষে রেখে ভালোবাসার আবাদ হয় না। অত চাপ মাথায় নিয়ে বাঁচা যায় না, অন্তত আমি পারি না। যে আমায় ভালোবাসে এবং সেই ভালোবাসার দাবিতে আমাকে অশান্তি বা অস্বস্তিতে রাখে, তার প্রতি আমার সত্যিই কোনও ভালোবাসা দূরে থাক, টানই কাজ করে না। আমি এমন কোনও একনিষ্ঠ প্রেমিকা চাই না যে ইল-টেম্পারড বা শর্ট-টেম্পারড, তা সে আমায় যতই ভালোবাসুক না কেন! কাউকে অহেতুক দুর্ব্যবহার করতে দেখলে আমার মাথায় খুন চেপে যায়! আমি এরকমই।
যে ভালোবাসা তোমাকে ভালোবাসার মানুষটির সাথে দুর্ব্যবহার করার সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়, সেটি আসলে ভালোবাসা নয়, একজন সাইকোপ্যাথের পাসপোর্ট। আর একজন সাইকোপ্যাথের সাথে অসীম ভালোবাসায় ডুবে জীবন কাটানোর চাইতে মরে যাওয়া অনেক অনেক বেশি স্বস্তির! আবারও বলছি, এই পৃথিবীতে ভালোবাসা শেষকথা নয়, শান্তি ও শুধু শান্তিই শেষকথা। তাই সেই মানুষটি অনেক দুঃখী, যাকে এমন কেউ ভালোবাসে, যে তাকে তার মতো থাকতে দেয় না। কারও ভালোবাসার দাবিতে অশান্তিতে বাঁচার চাইতে বরং তার উদাসীনতায়ও স্বস্তিতে বাঁচা অনেক ভালো।
- আমি আপনাকে ‘শব্দ’ মুভির ‘তারক’ হিসেবে দেখতে চেয়েছিলাম। সবাই ভুল করতে পারে, আপনি না। হ্যাঁ, আপনি ভুল করতে পারেন না! আপনার যখন আমার সম্পর্কে চিন্তার জায়গাটা এতই সীমিত, তখন আমার আর কিছু বলার নেই। সবার মতোই আপনিও যখন একইভাবে আমাকে ব্যাখ্যা করেছেন, তখন আমার কিছুই বলার নেই! আপনি আমার কথার শরীরটাই শুধু দেখলেন, তার মনটা আর দেখলেন না! ভালো থাকুন।
- Don’t judge me. No matter, whoever I’m, I feel really exhausted to tolerate all the misunderstanding and extremely rude behaviour from your part. I’m sorry.
Remember, if there comes a day when you’ll be left only with a few well-wishers, I’ll be one of them. It’s my promise!
Be polite. I know you’ve some bad experiences. But you can’t blame the whole world for it. You’ve no idea about what others are going through. Maybe yours is nothing compared to theirs.
You hurt me much without any reason. Your grief must not be an excuse for your sadistic behaviour. Believe me, I don’t care about love. I just care about peace, peace and only peace. If you don’t let me live in peace, your love means nothing to me. Rather, I start developing a sense of hatred towards you. To live, peace comes first, then comes love. Love means a live-and-let-live state. What kind of love is it that does not teach you to make the person you love happy?
- স্যার, নমস্কার! আপনি যখন এই লেখাটি পড়বেন, তখন আমি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অনেক দূরে!
আপনার সাথে বলা আমার প্রতিটি টেক্সট আমি কয়েকবার রিভিউ করেছি। কোনও জায়গায় মনে হয়নি, আমার ব্যবহারটা স্যাডিস্টিক ছিল। বরং যতবার সেগুলো পড়েছি, আমি কেমন যেন অভিমান অভিমান গন্ধ পেয়েছি। তবে আমার নাকে সমস্যা আছে কি না কে জানে! আচ্ছা, নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন তো, মাত্র কয়েক দিনের পরিচয়ে কি এগুলো সত্যিই করা যায় কারও প্রতি? অত সোজা কারও প্রতি স্যাডিস্ট বা সাইকোপ্যাথ হয়ে যাওয়া, তাও মাত্র এই কয় দিনেই? আমি বিশ্বাস করি, আপনার অনুমতি বা প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় ব্যতীত কেউই আপনাকে মানসিকভাবে বিস্রস্ত করে রাখতে পারে না। নিজেকে একবার প্রশ্ন করে দেখবেন?
আপনি বারবার জানতে চেয়েছিলেন, আমি কী গিফট করতে চাইছি! আমি বলিনি। আপনাকে একটি নিখুঁত উপহার দেবো বলে শীতের রাতে কারও বাসায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। শীতে আমার কষ্ট হয়নি ওই দিন, কিন্তু আমার ছাত্রের কষ্ট হয়েছিল, কারণ সে সোয়েটার-পরা ছিল না। রাত হয়ে যাওয়ায় সে আমার সাথে গিয়েছিল। আমি ওকে বলছিলাম, বাবা, আমার জন্য তোমার আজ এত কষ্ট হলো, তাই না? ও হাসিমুখে বলেছিল, না, ম্যাডাম। ওর কেন কষ্ট হচ্ছিল না, তা আপনি বুঝবেন না। ওটা বুঝতে গেলে ভালোবাসা গ্রহণ করতে জানতে হয়। কাউকে ভালোবাসলে তার জন্য আগুনের উপর দিয়েও হাসিমুখে হেঁটে যাওয়া যায়, একটুও ব্যথা লাগে না কোথাও!
নিখুঁত উপহারটি তৈরি হয়নি বিধায় সেই লোকের সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, আমাকে তিনি যাচ্ছেতাই বলেছেন! আমি চুপচাপ শুনেছি, কিছুই বলিনি। টপটপ চোখের জল ঝরেছে, মুখ থেকে একটাও শব্দ বের হয়নি। সত্যি বলছি, ওরকম একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েও কিন্তু আমি ওই দিন একটুও কষ্ট পাইনি।…নিখুঁত উপহারটি আপনার কাছে পৌঁছে দেবার জন্য আমি আবার নতুনভাবে চিন্তা করেছি! কেন, বোঝেন? বোঝার চেষ্টা করবেন না অনুগ্রহ করে, কেননা আপনি তা বুঝবেনই না।
জানেন তো, আমি ম্যাথস খুব ভয় পাই! সবাই বলে, আমি ম্যাথসে ভালো হলে অনেক দূর যেতে পারতাম। আজ আমি সারাদিন চোখে জল নিয়ে সব ম্যাথস করেছি। ওই জলের ফোঁটাতে আমার খাতা-বই ভিজে যাচ্ছিল বারবার! কেন কাঁদলাম এত? কার জন্য? কাকে ভেবে? যে মানুষটার কাছে আমার অস্তিত্বই একটা পীড়াদায়ক ব্যাপার, তাকে? আমি বেঁচে আছি, এটা ভাবতেও আপনার বিরক্ত লাগে, না? এতটাই বাজে চোখে দেখেন আমাকে!
আপনার লেখাগুলো আমি ছুঁয়ে দেখতাম আপনার সাথে পরিচয়ের আগে। লেখা কীভাবে ছুঁয়ে অনুভব করা যায়, তা প্রথম আপনার লেখা পড়েই জেনেছিলাম। সত্যিই ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে আপনার কিছু লেখা! এখন বুঝতে পারি, অতটা অনুভূতি নিয়ে যে লিখে ফেলতে পারে, তার মধ্যে সত্যি সত্যিই ততটা অনুভূতি কাজ নাও করতে পারে। লিখতে চাইলে অনুভব করার ক্ষমতার চাইতে অনেক বেশি লাগে লেখনির ধার আর একটার পর আর একটা বাক্য সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারার ক্ষমতা। হায়, যারা ভালো লিখতে পারে, তারা ভালো অনুভব করতে পারে না। যারা ভালো অনুভব করতে পারে, তারা ভালো লিখতে পারে না! লেখকরা যতটা অনুভব করাতে পারেন, ততটা অনুভব করতে পারেন না। তাই লেখকের লেখার নায়িকা অনেক বেশি ভাগ্যবান তাঁর প্রেমিকার চাইতে। আপনার শব্দের নিপুণ শোভাযাত্রা আপনার মনের অনুগামী নয়।
এ জীবনে আপনিই প্রথম আমাকে ‘শুভ সকাল’ বলা শিখিয়েছিলেন। আমাকে কেউ কখনও এমন করে বলেইনি! কারও কাছ থেকে সকাল সকাল ওরকম কিছু পেতে যে এত ভালো লাগে, তা কখনও বুঝিইনি আগে! আপনার কাছ থেকে আমিও ওরকম ‘শুভ সকাল’ লিখতে শিখেছি। লিখতে কী যে ভালো লাগে! আমি সত্যিই এসব পোশাকি আদবকেতা কখনও শিখিনি। আমায় ফেসবুকে সবাই লিখত--gd mrning, আমিও তা-ই লিখে পাঠিয়েছি সব সময়ই। এর বাইরেও যে কিছু লেখা যায়, এটা আগে কখনও মাথায় আসেনি। মাত্র দুটো শব্দ ‘শুভ সকাল’ এত সুন্দরভাবে অনুভূতি ব্যক্ত করতে পারে, আনন্দ দিতে পারে, আপনার সাথে এই ক্ষণিকের দেখা না হলে জানতামই না। আপনার ওই ছোট একটি বার্তা দেখেও আমি সারাদিন খুশি মনে থাকতে পারতাম। মনে হতো, এটা আমার মানসিক শক্তি!
জানি না, আমার চোখের জল কেন এত মূল্যহীন! যাকেই অন্তরের অন্তস্তল থেকে নিখাদ ভালোবাসা দিতে যাই, সে-ই কেমন যেন ভুল বুঝে চলে যায়! এটাই হয়ে এসেছে আমার সাথে। বরাবরই!...আপনার প্রতি আমার নিখাদ মায়াটা ছিল, সেটা আমি আপনাকে বোঝাতে পারলাম না, এটা আমার এক করুণ ব্যর্থতা হয়ে থাকবে আজীবন! হয়তো আমি আমার অধিকারের জায়গাটা অতিক্রম করে ফেলেছিলাম। আজকের মেসেজটা আমার জীবন পথের পাথেয় হয়ে থাকবে আমৃত্যু।
আপনি আর কখনওই ওই ২ লাখ ফলোয়ারের মাঝে আমাকে দেখবেন না। কথা দিলাম।
আপনার লেখা একটা লাইন আমার বড্ড প্রিয় ছিল--নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকে দূরে ঠেলে দেবার মত মানসিক শক্তি আমার নেই!
…কেন লিখেছিলেন কথাটা? এমনি এমনিই? একটুও কি অনুভব করতে ইচ্ছে হয় না--যা লিখে ফেলেন? আচ্ছা, Do not leave me! কথাটি কি শুধু স্বার্থপরতা বোঝায়? কিংবা আদৌ স্বার্থপরতা বোঝায়? এই কথার মধ্যে কি কোনও করুণ আর্তি নেই? কোনও অধিকার বা দাবির ঘ্রাণ পান না এর মধ্যে? এটা কি তবে বলার জন্যই বলেছি, আদতে এর কোনও দামই নেই?
হয়তো নেই! আমি আপনার ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে চলে যাবার পরও আজ সারাদিন যতবার মেসেঞ্জারে আপনাকে অ্যাকটিভ দেখেছি, ততবারই কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠেছে বুকের ভেতরটা! এক-দেড়মাস পর হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে! সত্যিই যাবে কি?
আমার স্যাডিস্টিক ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইছি। প্লিজ, ক্ষমা করে দেবেন! এরকমভাবে আমি আর কখনও কাউকে বলব না। আমার বুঝতে শুধুই ভুল হয়ে যায়। Sorry for everything!
আপনার ঠিকানাটা রেখে দিলাম। হুমায়ুন ফরিদী জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটির যে চায়ের দোকানে চা খেতেন, সেখানে তিনি ইচ্ছে করেই ঋণ রাখতেন। কারণ তিনি কিছু জায়গায় ঋণী হয়ে থাকতে চাইতেন স্বেচ্ছায়। আমিও আপনার কাছে ঋণী থাকতে চাই! আমি আপনাকে টাকাটা আর ফেরত দেবো না। ভালোবাসার মানুষের কাছে ঋণী হয়ে থাকতে অনেক শান্তি লাগে। এটা বুঝতে হলে কাউকে সত্যি সত্যি ভালোবাসতে হয়। ভালোবাসা কিছু ঋণের দাবি রাখে।
আমি আর কখনও কাউকে বলব না…Don’t leave me. এমন কথার ভার সবাই নিতে পারে না। আপনাকে আমি সেসব অক্ষম মানুষের দলে দেখতে চাইনি। অথচ…
নিরন্তর শুভকামনা রইল!
- তোমাকে বাধা দেবো না। তোমার জীবন, তোমার নিয়ম। আবারও মনে করিয়ে দিই--অভিমান করেই যে কথাগুলি লিখে পাঠিয়েছ দিনের পর দিন, সেগুলিতে আক্রমণ ছিল, আঘাত ছিল, ভুল বোঝাবুঝি ও দোষচাপানো ছিল।
আমি ভয়াবহ রকমের সংবেদনশীল মানুষ, আমাকে খুব তুচ্ছ বিষয়গুলিও কষ্ট দেয়। মানুষের খুব ছোটখাট দুর্ব্যবহারও আমাকে যন্ত্রণায় ফেলে রাখে দীর্ঘসময় ধরে। অহেতুক অশান্তিই আমি নিতে পারি না, আর সেখানে তোমার খুদেবার্তাগুলি ছিল অব্যর্থ ছুরির মতন। আবারও মনে করিয়ে দিই, তোমার জীবনের দুঃখের জন্য পৃথিবীর সবাইকে দায়ী করে ফেলো না। একটু বোধসম্পন্ন ও মানবিক হওয়ার চেষ্টা করো, নিজেও ভালো থাকতে পারবে, অন্যকেও ভালো রাখতে পারবে। কাউকে ভালো রাখতে পারার মধ্যে অনির্বচনীয় ভালোলাগা লুকিয়ে আছে। মানুষের সবচাইতে বড় গুণ হলো অন্যের দুঃখ বোঝার ক্ষমতা। যারা অন্যকে তার জায়গায় দাঁড়িয়ে বুঝতে পারে না, তাদের এ ক্ষমতাটা থাকে না। একে empathy বলে। কারও জীবনে টুক করে ঢুকে পড়ে তার জায়গায় বসে তার অনুভূতিগুলো বোঝা। এমন বোঝাই সত্যিকারের বোঝা। কারও অভিজ্ঞতা বুঝতে হয় নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে নয়, তার অভিজ্ঞতা দিয়ে। নিজের সমস্ত ইগো আর অভিমান ঝেড়ে ফেলে মানুষের কাছে আসতে হয়। তা হলেই মানুষটাকে তার মতো করে বোঝা যায়।
আর ফেসবুক খুবই ভঙ্গুর ও মেকি এক জায়গা, এখানে কারও ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা না থাকা খুবই মামুলি একটা ব্যাপার। একটা একটা ওয়েবসাইট মাত্র, অনুভূতির ম্যাপ নয়।…তোমাকে আমি ভয় পাই, তুমি ভয়ংকরভাবে কষ্ট দিয়ে কথা বলতে পার। এটা হয়তো তোমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কারণে হয়েছে। কিন্তু আমি কি আসলেই ওটা ডিজার্ভ করি? নৈর্ব্যক্তিক জায়গায় থেকে ভাবো, উত্তর পেয়ে যাবে। কেউ তোমাকে কষ্ট দিল, তার মানে এ নয় যে তুমি পুরো পৃথিবীকে কষ্ট দেওয়ার ছাড়পত্র হাতে পেয়ে গেলে!
- আপনার প্রতি এই কয়েক দিনে জন্ম-নেওয়া মায়াটা আমি আপনাকে ঠিক বোঝাতে পারলাম না। এটা আমার করুণ ব্যর্থতা হয়ে থাকবে। জীবন অনেক কিছু দিয়ে দেখে, আমরা সময়মতো নিতে জানি না বলেই সারাজীবন কাঁদতে হয়। আমার এই কথাটি মাথায় রেখে দিন, একদিন মনে পড়বে। আমার ভালোবাসা যদি সত্য হয়, মনে আপনার পড়বেই!
আপনি সব সময় বলেন, Don’t judge me. আমি সত্যিই কখনও কাউকে জাজ করি না। আর যে মানুষটা আমাকে না চিনেই মুহূর্তেই আমার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাকে ভুলভাল জাজ করার মতো অতটা বোধহীন আমি নই। হয়তো আমার একপেক্টেশন বেশি ছিল আপনার কাছে, তাই মাঝেমধ্যে আমার কথাগুলো আমার অবচেতনেই আপনাকে কষ্ট দিয়েছে। আমি কিছুতেই প্রত্যাশার ভারে ভারাক্রান্ত মানুষ নই। এতটা অবহেলা, অবিচার, নিষ্ঠুরতা ও নির্যাতন সহ্য করে বড় হয়েছে যে মেয়েটি, তার মধ্যে আবার প্রত্যাশা কীসের? অথচ আপনার প্রতি এমন এক্সপেকটেশন তৈরি হয়েছিল কেন, আমি জানি না। আমার নিজের কাছেই এর কোনও ব্যাখ্যা নেই। আপনি প্রত্যাশার ভার নিতে পারেন না। ভালো কথা! সাথে এও মাথায় রাখবেন, মানুষ কিন্তু সবার কাছে প্রত্যাশা করেও না।
এই জগৎসংসারের কেউ আমাকে বুঝল না। আপনি তো মাত্র কয়েক দিনের। তাই এটাই স্বাভাবিক! আমি মেনে নিচ্ছি। পরশু সারারাত আমি ঘুমাইনি। আমি যে কতটা সেনসিটিভ, তা আমাকে যারা খু্ব কাছ থেকে দেখেছে, তারা জানে! সেনসিটিভ বলেই একটা মামুলি ফেসবুকের জন্য আমার জীবনের এত ক্ষতি হলো! যেটা আপনার কাছে কিছুই না, অন্য দশটা সাধারণ ঘটনার মতোই একটা ঘটনা মাত্র, আমার কাছে সেটাই গোটা জীবনটা! এই জীবনে এত বোকা আর একটা মেয়ে পাবেন কখনও?
কাল সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ছিলাম সার্টিফিকেট-তোলার কাজে। পরশু থেকে আজ পর্যন্ত আমার খুউব খুউব কষ্ট হচ্ছে আপনার জন্য। শুধু মনে হচ্ছে, কে যেন নেই! বুকের ভেতরে ভেতরে কেমন জানি কান্না পাচ্ছে। সে কান্নাটা বের হওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না, বারবারই গলা পর্যন্ত এসে দলা পাকিয়ে আটকে যাচ্ছে। কান্না বের করে দিতে না পারলে কী যে কষ্ট কী যে কষ্ট হয়, লিখে বোঝাতে পারব না! দম আটকে আসে, চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসতে চায়, নিজেকে এ পৃথিবীর সবচাইতে দুঃখী ও অসহায় প্রাণী মনে হয়। যে কান্না কাউকে দেখানো যায় না, সে কান্না মানুষকে একেবারে শেষ করে দেয়!
Everyone judges me superficially. আমি ভেবেছিলাম, অন্তত আপনি এই কঠিন মানুষটির ভেতরে যে এক অকৃত্রিম কোমল সত্তা আছে, সেটা বুঝতে পারবেন। আমার ঈশ্বর জানেন আমি ঠিক কতটা আহত হয়েছি! আমার মনে হচ্ছে, কে যেন আমাকে ছেড়েছুড়ে চলে গেছে! কী যেন নেই কী যেন নেই... এমন এক অনুভূতি আমাকে অবশ অচেতন অসাড় করে দিচ্ছে প্রতি মুহূর্তেই!
আমি প্রতিদিন সকালবেলায় টেক্সট সার্চ করি…কোনও শুভসকাল-বলা মেসেজ এসেছে কি না! আসে না। কিছুই আসে না আর!
আমি কখনওই আপনার মতো করে আপনাকে বলব না…মানবিক হও! কারণ এই কয়েক দিনে আমি আপনাকে একটু হলেও বুঝেছি। একজন মানুষ ঠিক কতটা মানবিক হলে অন্যের জন্য স্টেজে দাঁড়িয়ে কোনও পারিশ্রমিক ছাড়া শুধু মনের দাবিকে পূরণ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনর্গল কথা বলে যেতে পারে, সেটা আমি বুঝতে পারি। কোনও স্বার্থ বা প্রাপ্তিযোগ ছাড়াই এত মানুষকে শ্রম ও সময় দিয়ে আত্মহত্যার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে চাইলে কতটা মানবিক হতে হয়, আমি বুঝতে পারি।
কোনও একদিন হাতে সময় হলে আমার এই একমাসে দেওয়া বার্তাগুলো আর একবার পড়বেন! একটু দেখবেন তো কোথাও কিছু ভুল হচ্ছে কি না! আপনি আমায় ভুল বুঝছেন, এটা আমি সহ্য করতে পারছি না। আর হ্যাঁ, আপনি কি আজ একবারও আমাকে মনে করেছেন? হা হা!
আপনি আমাকে ভয় করেন, আর আমি আপনাকে…
শুভ সকাল! শুভ দুপুর! শুভ রাত্রি!...হারিয়ে গেল!
- I really never judge anyone. Please please please stop imposing your thoughts on people. Either understand me or just leave me ununderstood. But DON’T misunderstand me. It creates huge pressure and makes me die inside. I’d rather be left ununderstood than be little understood or misunderstood. It creates pain, trust me.
Your arrogance, your attack, your audacity, your inhumanity...I don’t know if it’s good or bad, I don’t know if you deserve to act in this way or not, I don’t know if it’s right or wrong...But I definitely know that the conscience I bear inside myself doesn’t deserve such an attitude.
Be a human first. Everything else will follow. Your hostile and cruel attitude towards me makes me react inside with utter resentment.
- Best reward ever! কেউ কখনও কারও জন্য চোখের জল ফেলে এ ধরনের সুন্দর সুন্দর বিশেষণে বিশেষায়িত হয়নি। নীরজারা এভাবেই মূল্যায়িত হয়। জীবন নীরজাদের জন্য এর চাইতে ভালো কিছু রাখেনি!
- I’m sorry for your teardrops. All your teardrops you gather are sent to me in the forms of poisonous arrows…Always! Days after days I’d to tolerate it. Can you please tell me...WHY? What did I do to receive your wraths?
- আপনার মতন অতটা ফোর্সফুল বাক্য ব্যবহার না করে বলি, Listen, you have lost an eternal love. You don’t know what you have lost...But only your Almighty knows it! Teardrops = poisonous arrows! What an oxymoron! I am not a pseudo-human being...rather I am a human being with a soft heart.
ভালোই হলো…আজকের পর থেকে যতবার আপনার নামটা মনে পড়বে, ততবারই এই মেসেজগুলো মনে করব! Your sentences make me feel how much manageable I am! দুটো ভালো কথা কেউ দুইদিন বললেই তার জন্য কষ্ট পেতে হবে? কেন? সে কি আমার জন্য পাচ্ছে এমন কষ্ট? আসলে কী জানেন, কষ্ট ব্যাপারটা কখনও টু-ওয়ে ট্রাফিক নয়। একজন কষ্ট পাচ্ছে বলেই আর একজনকে কষ্ট পেতেই হবে, এমন কোনও কথা নেই। বেশিরভাগ সময়ই যেকোনও একজনই কষ্ট পেয়ে যায়, কাঁদতে থাকে, আর একজন হয়তো ওই সময়ে বসে বসে পিৎজা খায় আর 'টম অ্যান্ড জেরি' কার্টুন দেখে। একজন কাঁদে, আর একজন ভাবে, ওর বোধহয় চোখের অসুখ, যে অসুখে চোখ থেকে অবিরত জল ঝরে! The world is full of artificiality...there is no value of emotional bonding. ধন্যবাদ…সব কিছুর জন্য!
- স্টপ ইট! তোমার কি এভাবেই কষ্ট দিয়ে কথাবলার অভ্যাস?
- You have lost an eternal love! Ask for forgiveness from your Almighty if you are courageous enough. You have lost someone who can destroy her happiness for your happiness. If anyone gets tired of you, let them go away. You have walked away leaving my heart aflame. You have no insight to see through it.
Water, water everywhere, / Nor any drop to drink. এই লাইনগুলো সেই সব মানুষের জীবনের নেমে আসুক, যারা নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকে দূরে ঠেলে দেবার মতো অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছে! ভালো কথা, লাইনটি কিন্তু আপনার জন্য না। (আপনি আবার রিঅ্যাক্ট করবেন না যেন!)
You have never noticed what I feel inside! I prefer eternal love to advertisement. You have made me realize how much important advertisement is to prove your love for someone!
Teardrops=Poisonous Arrows! These two words will be ever reminded when I'm going to make the same mistake again.
Stay mentally strong (as you are) and blessed wherever you are! I beg pardon for my sadistic behaviours! And for showing excessive love (accompanied by ‘poisonous arrows’)! What a way of showing love, dear, making the loved one feel down! বাহ্ বাহ্!! Let your Almighty answer everything for you! Take care of yourself. Bye…forever!
King Lear asked his third daughter how much she loved him. What she said made the king unhappy. When love is measured in terms of advertisement, superficial greetings, then it is better to leave the place silently than to yearn for being with the loved one.
আর কোনও ঝগড়া ভালো লাগছে না। I will never disturb you again. I feel your absence so terribly…do you feel my absence? The answer is…No.
A basic difference between you and me…আমি ভাত খেতে বসলে আপনার কথা মনে পড়ত বলে জিজ্ঞেস করতাম, খেয়েছেন? আজকেও ওই কথাটি দিয়েই শেষ করলাম…খেয়েছেন? না খেলে আমার সাথে ঝগড়া থামিয়ে কিছু খেয়ে নিন। আমার কাছে আপনার ভালোথাকা আমাদের এই তর্কে জেতার চেয়ে বড় কিছু। আমি আর কখনওই আপনাকে নক করব না। সস্তা ইমোশনগুলো অনেক মেসেজের চাপে পড়ে একদিন অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে থাকবে আপনার ইনবক্সে! আর আমি বহু দিন পরও এই মেসেজগুলো বের করে করে দেখব, হাসব! সবাই ফেসবুক হয় না! কেউ কেউ বুকের মধ্যে কিছু ফেসকে আজীবন রেখে দেয় খুব যত্নে! আপনার মুখটা তেমনি করেই থাকবে!
আমারও কষ্ট হয়! আমাকেও দুটো ভালো কথা বলা যেত! বললেন না তো...! নিরন্তর শুভকামনা রইল।
- Again, she is on strike! ভালো!!
- আপনাকে আমি রিকোয়েস্ট পাঠাতে চাইছি! কিন্তু যাচ্ছে না কেন! Don’t leave me!
- খুবই ভালো হয়েছে! না আসুক রিকোয়েস্ট!
- প্লিজ!
- Why? For making me feel low again?
- Your absence hurts me. Believe it or not!
- Do you love me?
- Some questions remain beautiful unanswered. I can assure you; your absence hurts me much.
- I got my answer.
- Don’t leave me!
- I didn’t.
- If you leave me, I will be collapsed!...আর একদিন সকালে আমাকে ‘শুভ সকাল’ বলবেন? I will be waiting for it.
- বলব।
- একটা কবিতা শুনবেন? পাঠাব?
- হুঁ।
- আমরাও…এই জন্মের দূরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেবো!...দেবোই দেবো!
- অসংখ্যবার শুনেছি। খুব প্রিয়!
- আজকে আর একবার শুনুন নতুন করে আমার জন্য।
- আচ্ছা!
- আর একটা গান পাঠাব?
- পাঠাও।
- যদি মন কাঁদে, তুমি চলে এসো।…মন থেকেই বলছি, যদি কখনও মনে হয়, এ পৃথিবীতে কোথাও গিয়ে কোনও শান্তি পাচ্ছেন না, কোথাও একটু আশ্রয় নেই আপনার জন্য, দ্বিতীয়বার চিন্তা না করেই আমার কাছে চলে আসবেন। আমি আপনাকে গ্রহণ করব। সেদিন থেকে আপনার সমস্ত দায়িত্ব আমার। আপনি শুধু বসে বসে লিখবেন। বাকি সব কাজ আমার। আমি আপনার দিকে মুগ্ধচোখে তাকিয়ে থাকব আর ভাবব, আহা, কত সৌভাগ্য নিয়ে নীরজারা জন্মায় এ পৃথিবীতে! তার জন্য যদি আমাকে পুরো পৃথিবীর সাথেও সম্পর্ক ছিন্ন করতে হয়, তা-ই করতে প্রস্তুত আমি!