আমাকে তোমার কিছু বিষাদ ছুঁতে দিয়ো নাহয়, তাহলেই এ হাতে জ্বলে উঠবে দু-একটা জ্যান্ত কবিতা!
আমাকে আরও একবার রক্তে রক্তে রক্তাক্ত করে দিয়ো, তাহলেই হয়ে যাবে লেখা নতুন কিছু প্রেমের সাতকাহন।
যে হৃদয় দগদগে ক্ষত নিয়ে ঘুমোতে যায় রোজ রোজই, তার ক্ষতে ঢেলে দিয়ো নাহয় আরও একটু যন্ত্রণা। দাঁতে দাঁত চেপে...যন্ত্রণা, সে তো সহ্য করাই যায়, শুধু যায় না সওয়া তোমার ওই ঝলমলে রংধনুটার কোনও একটা রং হয়ে উঠতে না-পারার ব্যর্থতাটুকু।
একটা কথা বলি, শোনো। যে মানুষটাকে ভুল বুঝে যাও প্রতিনিয়তই, তাকে তুমি হয়তো বুঝতেই পারোনি আজও! তার হাজারটা ব্যর্থ মুখশ্রীতে তুমি তাকে পারোনি চিনতে।
হয়তো সে বেঁচেই নেই, মরে গেছে কষ্ট পেয়ে পেয়ে, টের পায়নি কেউই। বোঝোনি তুমিও, তোমার অভাবে সে একটু একটু করে মরে গেছে কবেই!
একটা মরা, পচা, গলা মানুষ কতটুকুই-বা পারে দিতে! ...কতটুকুই-বা পারে নিতে! না, সে পারে না কিছুই।
বিশুদ্ধ প্রেমের অনুভূতি দিয়ে আর যা-ই হোক, জীবন তো চলে না! তবে কেন এই তুষের আগুনের মতো ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাওয়া! ক্ষমা করো, হে ভালোবাসা!