শুনেছি, আঘাতে মানুষের কান্না পায়; কিন্তু আমার যে শুধুই তোকে পায়?
আচ্ছা, বল তো! যারা জানে না, তারা কেন সহজেই বলে দেয়…ওসব ভালোবাসা-ফাসা বলে কিচ্ছু নেই!
তুই-ই বল, ভালোবাসার চেয়ে পবিত্র অনুভূতি আর কী হতে পারে!
অনুভূতির পবিত্রতা রক্ষার্থেই বুঝি ভালোবাসায় যৌনতা আনতে নেই? কে বলেছে তা রক্ষা করতে?
জানিস, আজকাল না আমি তোর ভালোবাসায় যৌনতা খুঁজে পাই রে!
তুই আমাকে নিয়ে যাস এক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে, কিন্তু আমি তো শুধুই শান্তি চাই!
তুই একটু বোঝার চেষ্টা কর…আমার রিকোয়েস্ট!
শান্তি দিয়ে কি আর ভালোবাসা হয়? ভালোবাসা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়…তোর ছোঁয়ায়... সবসময়ই!
যেন এক প্রকাণ্ড কম্পন শরীর ও মনকে ঘিরে ধরে, প্রগাঢ় এক অনুভূতি নেমে আসে শরীরে…
আমি ভুলে যাই অতীত-ভবিষ্যৎ।
স্বর্গে থাকতে কে না চায়, বল!
তোকে জড়িয়ে ধরার পর যে স্বর্গীয় অনুভূতি, তা আমাকে ভুলিয়ে দেয় পৃথিবীর সমস্ত সুখ, বেদনা।
কেমন যেন ঘোর ঘোর লাগছে রে!
আমাকে চোখটা খুলতে দিবি, প্লিজ!
চোখ খুলতেই প্রশ্নবিদ্ধ হয় আমার মন, ক্রমেই আমি সরে আসি…তোর কাছ থেকে।
মনের ভেতর থেকে ফিসফিসিয়ে কে যেন বলে…পালিয়ে যেতে হবে!
কিন্তু আমার শক্তিই নেই পালানোর।
তোর আলিঙ্গন এতটাই শক্ত বলয়ের মতো জড়িয়ে রেখেছে আমাকে…
আমি যেতে পারছি না কোথাও;
যেতে হয়তো আর পারবও না।
অবশেষে আমি ফিরে এলাম অন্ধকার এই ঘরে, দুঃখ সয়ে, প্রলয় ছুঁয়ে…তোকে ছুঁয়ে।
অতঃপর ক্রমেই তুই আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছিস…
আমার দ্বিধা তোকে শেষ করে দিচ্ছে,
তুই চলে যেতে চাইছিস, যেতে যেতে আমাকে অনেক কথা শুনিয়ে গেলি তুই;
আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি, মনে হচ্ছে, বিক্ষিপ্ত এক ঝড়ো হাওয়া আমার শরীর স্পর্শ করে যাচ্ছে, তবুও আমি আমার শেষ শক্তিটুকু দিয়ে তোর প্রত্যাখ্যান মেনে নিচ্ছি।
তবুও আমার এই বিষাদগ্রস্ত মনের শহর বার বার তোকে ফিরে পেতে চাইছে…
এমন তো হবার কথা ছিল না রে!
যোগাযোগহীনতা নাকি দূরত্ব বাড়ায়, তাই আমিও সেই চেষ্টাই করেছিলাম!
আজ বহুদিন পর আবার তোর সাথে দেখা, তোর খুব অভিমান…না, না, রাগ করে থাকার কথা ছিল।
কিন্তু তুই তো বরাবরই আনপ্রেডিক্টিবল!
আমাকে অবাক করে দিয়ে তুই চুপচাপ এসে আমাকে বুকের মধ্যে টেনে নিলি,
আমি তোর এতটাই কাছে…তোর হার্টবিট শুনতে পাচ্ছি;
ভাবছি, পৃথিবীর সমস্ত সুখ ছেড়ে কেন বিষাদ মেনে নিলি তুই!
মনে হলো, তোর আত্মাকে ছুঁয়ে গেলাম…
আরও এক বার, শত-কোটি বার!
এই! শোন না…ভালোবাসি!