কেমন আছ?
(আজও তুমি আগের মতোই থেকে গেলে, ভীষণ উদাসীন। সময় বদলালেও তোমার চোখের গভীরতা আজও সেই একরকম—অবহেলায় মোড়া, নির্লিপ্ততায় ঢাকা।)
জানা নেই।
(তোমাকে কত খুঁজেছি, কত বার ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছি আমাদের স্মৃতির জ্বলে-পুড়ে-যাওয়া অসমাপ্ত গল্পগুলোকে! কিন্তু তুমি কি জানো, তারা আজও পুড়ে শেষ হয়নি, সেই দগদগে ক্ষত এখনও দগ্ধ করছে হৃদয়ের প্রতিটি কোণ!)
কথা বাড়াতে চাও না বুঝি আর?
(অবশ্য, প্রয়োজন ছিল না তার কখনোই। তুমি যে কখনও প্রয়োজনের বাইরে কিছুই হতে দাওনি আমাদের মধ্যে!)
..............................
(তবুও, এই তোমাকেই, একমাত্র তোমাকেই আমার কত কথা বলার ছিল! একমাত্র তুমিই তো আমার ভেতরের সবটুকু অনুভূতি বুঝতে পারতে। তবুও কেন এ বিচ্ছেদের পথে হাঁটলে? কোথায় ছিল আমার ভুল? না কি সবটাই কেবল আমার ভুল ছিল?)
কী হলো, কথা বলছ না যে?
(তোমার নীরবতা আমার বুকের গভীর শূন্যতায় যেন আরও একটুখানি অন্ধকার ঢেলে দেয়।)
..............................
(তোমার চোখ-দুটো ভীষণ সুন্দর, জানো? আজও সেই চোখের মায়া থেকে কোথাও পালাতে পারিনি। তুমি কি কখনো জানতে চেয়েছ, আমি আজও কেন তোমার চোখের ভাষা বুঝতে চাই? তুমিই-বা কীভাবে এতটা নিষ্ঠুর হলে যে, তোমার চোখ কখনও বলে না—“তুমি আমায় ভালো না বেসে থাকতে পারো!”)
ভেবেছিলাম, তোমার সামনে নিজেকে আর কখনও আনব না; তবুও আজ তোমার সামনে এভাবে আসতে হবে, এমনটা ভাবিনি। আজ এভাবে চুপ করে না থাকলেই পারতে।
(তুমি চুপ করে থাকলেও আমি তোমার হৃদয়ের কথা বুঝতে পারি, এতদিন পরও বুঝলে না তুমি? বোকা ছেলে! আজও নীরবতা দিয়ে আমার থেকে অনুভূতি আড়াল করতে পারলে না!)
আমি আছি একরকম। তোমার কী হয়েছে? দেখতে খুব ক্লান্ত লাগছে, তোমার তো ভীষণ ভালো থাকার কথা।
(তোমার ক্লান্ত শরীর ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে। বলো তো, সে অধিকার কি আজ আমার নেই? না কি আছে? বলো না...)
হুম, ভালো আছি আমি।
(তোমাকে ছেড়ে কেউ কি ভালো থাকতে পারে? তুমিই-বা কেন ভাবলে যে আমি সত্যি ভালো আছি! শুধু বেঁচে থাকলেই কি ভালো থাকা যায়?)
তুমি দেখছি, আগের মতোই শান্ত স্বভাবেরই আছ এখনও।
(তোমার এই নির্ভার শান্ত চেহারায় আমিই ছিলাম একদিন। আজ তোমাকে জড়িয়ে ধরে সেই শান্তির স্পর্শ ফিরে পেতে ইচ্ছে করছে।)
তুমি আমাকে এতটা চিনেছ বলেই কি আমাদের মাঝে আজ এত দূরত্ব?
(তোমার চোখের দিকে তাকাতে পারছি না, জানো? তোমার অভিমানভরা নিদ্রাহীন চোখ আমায় নিঃশেষ করে দেয়।)
থাক না ওসব কথা।
(তুমি যেয়ো না... কেন যেন মনে হচ্ছে, তুমি আবারও নীরব কোলাহল পেরিয়ে চলে যেতে চাইছ; কিন্তু না, এবার আর তোমাকে পালাতে দেবো না!)
যেতে হবে।
(তোমার ভেতরের অস্থিরতা আমার বুকের ভেতরটা যেন ছিঁড়ে চুরমার করে দিচ্ছে। যেতে দাও আমায়, বা নাহয়... একটা বার শক্ত করে জড়িয়ে ধরো!)