কাদেরকে যে আমরা কমনসেন্স শেখাই! ভুল শোধরাবার আগে আমাকে স্বীকার তো করতে হবে যে, কাজটা ভুল, তাই না? আমরা তো ভুল স্বীকারই করি না। আর বিয়ের কথা! অ্যারেঞ্জড ম্যারেজে একটা মেয়ের যা যা বৈশিষ্ট্য ‘প্লাস পয়েন্ট’ হিসেবে ধরা হয়, ওগুলোর হিসেবে যে-মেয়েটা পছন্দের শুরুর দিকেই থাকবে, তার পরেও যে যে উপায়ে তাকে বিব্রত এমনকি নির্যাতিত করা হয়, ভাইরে ভাই, আর যারা হিসেবে একটু পিছিয়ে, তাদের যে কী অবস্থা হয়, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়! নেহায়েতই যারা ডোন্ট-কেয়ার টাইপের মানুষ আর অনেক শক্ত ধাঁচের, তাদের ওপরে তেমন প্রভাব পড়ে না, কিন্তু যাদের ওপর প্রভাব পড়ে, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। অবস্থা আরও খারাপ, যাঁরা বাচ্চা নিচ্ছেন না বা যাঁদের বাচ্চা হচ্ছে না, তাঁদের। এঁদেরকে মানুষ কতভাবে যে কষ্ট দেয়, তার হিসেবই নেই আসলে। এঁদের সাথে কথা বললে বুঝবেন, লোকে কেন বাংলাদেশিদের মনমানসিকতা নিয়ে বিরক্ত! অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের সিস্টেম নিয়ে ভাবতে বসলে আপনি রীতিমতো কোমায় চলে যাবেন। শুধু মেয়েদেরকেই না, ছেলেদেরকেও অনেক হেনস্তা করা হয়। ইদানীং তো শুরু হয়েছে সরকারি চাকরির প্রতি মেয়েদের অভিভাবকদের অসীম প্রেম (আদতে মাতলামি); দেখলে মনে হয়, সরকারি চাকুরের সাথে বিয়ে দিতে না পারা আর মেয়েকে আগুনে ছুড়ে মারা, একই কথা! এসব দেখলে মনে হয়, হাতে ৪-৫’টা অপশন একসাথে রাখা উচিত, মানে একাধিক প্রেম একসাথে করা উচিত। এটা হয়তো অনেকেই মানতে চাইবেন না, কিন্তু প্রেম, যুদ্ধ আর বিয়েতে আনফেয়ার বলে কিছু নেই। কিছু মানুষের কাজই অন্যকে বিরক্ত ও বিব্রত করা। ওদের দেখলে বড্ড করুণা হয়… আহা, কী আজাইরা একটা জীবন নিয়েও ওরা সবকটা দাঁত বের করে বাঁচে! নিজে জ্বলে, কিন্তু অন্যকে জ্বালায় না কে? হাইড্রোজেন। নিজে জ্বলে না, কিন্তু অন্যকে জ্বালায় কে? অক্সিজেন। নিজেও জ্বলে না এবং অন্যকেও জ্বালায় না কে? কার্বন ডাই-অক্সাইড। নিজেও জ্বলে এবং অন্যকেও জ্বালায় কে? বাঙালি।