১. তুমি সাথে থাকলেও যদি নরক নরক লাগে, তবে তোমার অনুপস্থিতিকেই আমি স্বর্গ বলি।
২. তোমার কাছে গিয়ে দেখেছি, তুমি খুব বেশিই সাধারণ। এখন বুঝতে পারলাম, দূর থেকেই মানুষকে অসাধারণ লাগে।
৩. যে-বুকে দুঃখ চাষ করেছি বছরের পর বছর, সে বুকে কি আর গোলাপ ফোটে!
৪. তোমার প্রেমিকার চুল নিশ্চয়ই আমার চুলের চেয়েও বেশি সুন্দর ছিল, নয়তো আমার চুলে হাত বোলাতে বোলাতে তুমি আনমনে কাকে ভাবো?
৫.
: আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। সব কিছুতেই আক্রান্ত হচ্ছি।
: যে আক্রান্ত হতে জানে না, সে মানুষ নয়।
৬.
: লিখতে শুরু করলে কি আমারও ব্যথা কমবে?
: হা হা . . . কমাতে লেখে নাকি কেউ? বাড়াতেই লেখে!
৭.
: তাকে দেখার অনেক তৃষ্ণা, খুব মন কাঁদে। কী করি এখন?
: তাকে কিছুই জানতে দিয়ো না।
৮.
: ভালোবাসা আর যুদ্ধ কি একই?
: যুদ্ধে জেতা যায়, ভালোবাসায় হারা যায়।
৯.
: আমার তাকে হারানোর খুব ভয় হয়।
: হারিয়েই দেখো। এত শক্তিশালী হয়ে উঠবে যে, ভয়ও তোমাকে ভয় পাবে।
১০.
: আপনি এত সহজ করে কথা বলেন কী করে?
: যার জীবন জটিল, তাকে সহজ করেই কথা বলতে হয়।
১১. তোমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। এখন কেবল এ-ই দেখতে চোখ মেলে আছি—এবার তুমি আগে আসবে, না কি জানাজা।
১২. আমাকে দাম দেবার মতন দামি করে নিজেকে তৈরি করো। দামদর করতে জানলেই তো আর আমাকে পাওয়া যাবে না!
১৩. আমি তোমাকে ভালোবেসেও দেখেছি, মায়া করেও দেখেছি—আরাম শুধুই দূরত্বে।
১৪. আমি তোমাকে ঘৃণা করলেও আমার শরীর কিন্তু তোমায় ভালোবাসে!
১৫. আমার চোখের দিকে তাকালেই তুমি তোমার শত শত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে। তাই আমি ঠিক করেছি, মৃত্যুপরবর্তী চক্ষুদান করে যাব। তোমাকে উত্তর খুঁজে পেতে আমি কিছুতেই দেবো না।
১৬.
: কবি, আপনি কবে শান্ত হবেন, বলুন তো?
: যেদিন পাঠক আমাকে ভুলে গিয়ে আমার লেখাকে জড়িয়ে ধরবে, ঠিক সেদিন।
১৭.
: শুধু চোখ নিয়েই এত উপমা দেওয়া যায়!
: চোখের ভেতরেই তো গোটা পৃথিবী!
১৮.
: ‘যাই’ না বলে ‘আসি’ বলব?
: ‘আসি’ বলতে পারো, কিন্তু আমার কাছে আর এসো না।
১৯.
: আপনার মতন লিখতে চাইলে কী করতে হবে?
: সে তো জানি না, কিন্তু আমি বহু মৃত্যু চেখে দেখেছি, তাই হয়তো আমার হাত দিয়ে কেউ-না-কেউ লিখিয়ে নেয়। তবে এটাকে লেখক হওয়া বলে কি না, সেটা পরের জন্মে জানতে পারব।
২০.
: ভালোবাসার শাস্তি কী?
: ভালোবাসা নিজেই একটা শাস্তি।
২১. হে ঈশ্বর, যে-চোখে স্বপ্ন দিয়েছ, সে চোখে অশ্রু দিয়ো না।
২২. আমার মৃত্যুর জন্য নয়, তুমি আমার বেঁচে থাকার জন্য দায়ী।
২৩. অশ্রু-শুকিয়ে-যাওয়া মানুষকে ভয় পেতে হয়, জেনো।
২৪. প্রতিদিন ছটফট করতে করতে সকালে ঘুম ভাঙা আর বুকে ধড়ফড়ানি নিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়া নিয়ে আমি ক্লান্ত। এবার নিজেকে মুক্ত করার পালা।
২৫. এই অসময়ের বৃষ্টি সব ধুয়ে নিয়ে যাক—শুধুই মোমবাতিতে, সিঁদুরকৌটোয়, চায়ের কাপে, মসলার জারে, স্নানের মগে আর আমার শরীরে তোমার গন্ধ রেখে যাক।
তাহলে আর বৃষ্টিকে আসতে আমি বারণ করব না। তবে শর্ত মেনে নামা চাই, নইলে নামতে হবে না। বৃষ্টির চেয়ে তোমার গন্ধ, তোমার স্মৃতি আমায় বেশি শীতল রাখে।
২৬. তোমাকে জিতিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমি ঘুমোব না, শপথ করে বলছি।
২৭. আমার গালে-পড়া টোল আর তুমি তো একই—দুটোই আমার অলংকার।
২৮. তুমি আমার লেখাগুলো ছুঁয়ে যদি আমার কান্নার শব্দ শুনতে পাও, তাহলে বুঝে নিয়ো, তুমিও ভালোবাসতে শিখে গেছ।
২৯. তোমাকে ভালোবাসার চেয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়া সহজ। নাও, আমি আমাকে শেষ করে দিলাম।
৩০. বিদায় বলব না, শুধু বলি, আমার জন্য মন খারাপ কোরো না। তুমি মন খারাপ করলে আমি মন ভালো করে রাখার ভানটা চালিয়ে নিতে পারি না।