তুমিও, যে-কোনো একটা দিন না-ও ফিরতে পারো...আমার অনুভূতির ঘরে, এই সহজ ব্যাপারটা কখনোই আমার মাথায় আসেনি কেন আগে?
হতবিহ্বল দুর্বল চিত্তে তোমার স্মৃতি হাতড়ে বেড়াচ্ছি। হঠাৎই এমন ভাবনায় আমার শরীরটা অবশ হয়ে এল! আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই, প্রত্যাশা নেই...মানছি—আমাদের শুধু যোগাযোগটাই রয়ে গেছে, এমন যোগাযোগ বহাল রাখবার সুস্পষ্ট কোনো কারণও নেই—জবাবদিহিতা নেই, অপেক্ষা নেই, স্পর্শ নেই, আক্ষেপ নেই—যেন শুধুই নীরবতা।
নীরব থাকতে থাকতে মানুষ হাঁপিয়ে ওঠে না, বলছ?
আমার তো মনে হয়...আমরা বোবা, তাই এতটা নীরব আছি। আবার এমনও হতে পারে—কথা বলার শক্তিই আমাদের নেই, কিংবা কথার প্যাঁচে অনুভূতির মৃত্যু আমরা বুঝিনি।
শেষ বলে কিছু নেই—শেষ দেখা, শেষ কথা, শেষ কবিতা, শেষ চিঠি, শেষ বিদায়ের হাসি...সবটাই সাময়িকের জন্য, নাহয় অনন্তকালের জন্য থেমে থাকে কেবলই। থেমে গেল অথবা থামিয়ে দিলাম— ইচ্ছেতে বা অনিচ্ছের বশে। তুমি কোনটা চাও?
আমি একবার চেয়েছিলাম শেষবারের মতন তোমাকে ছোঁব—তবে, আমি চাইনি সব কিছু এভাবে থেমে যাক, সেই থমকেই গেল সবটা একনিমিষেই; ঝিম মেরে পড়ে থাকতে থাকতে আমার স্মৃতির এককোনায় চাপাব্যথাটা ক্রমশই বাড়ল।
তোমার থেকে যাবার কী আছে? থেকে যায় জড়বস্তু। তোমার তো জীবন আছে, তুমি বরং চলে যাও।
আচ্ছা, তুমি কখনও আমার শরীরটা ঠিকমতো ছুঁয়ে দেখো না কেন? তুমি আমার চোখে তাকিয়ে কবিতা খুঁজবে বলেছিলে, পেয়েছ? অশ্রুই পেলে বুঝি শুধু?
আমিও কবিতা লিখতে চেষ্টা করেছিলাম; কী পেলাম, জানো? আমার ধারণা, তুমি আমার সবগুলো লেখাই পড়ো—তুমি না জানলে...আমাকে এই পৃথিবীর আর কারও পক্ষেই জানা সম্ভব নয়।
আমি আর লিখব না ভেবে, তুমি আবার মনটা খারাপ করে থেকো না—আমি থেমে যেতে চাইনি, ক্ষয়ে গেছি।