স্ট্যাটাস মেরে জোর করে ভালোবাসা আদায় করা যায় নারে পাগলি, ওতে বড়জোর কিছু লাইক আর কান্নার রিঅ্যাক্ট পাবি! (কপালে থাকলে কিছু হাহা রিঅ্যাক্টও জুটতে পারে!) সময় থাকতে মানেমানে সটকে পড়্!
দেখে তোর কান্না, করে সে রান্না।
নাই ঘুম—ফইন্নি…..খায় ধুম—বিরানি।
অনাহারে প্রেম নয়, দেহটাই স্লিম হয়।
কইন্যা তুই কান্দিস ক্যান?
ছ্যাঁকা খাইসস? খা চিকেন!
তোর ঘরে দ্য এন্ড, ওর ঘরে গার্লফ্রেন্ড।
হাই প্রেম! হায় প্রেম!
ব্রেকাপ হল আর…….জানু থেকে জানোয়ার!
এক ঘরে শত বাসা, এরই নাম ভালোবাসা!
লাভ ইউ। লেট্স স্লিপ!
হুয়ার ইউ? লেমি স্লিপ!
এই কথাগুলা কি আমাকে শুনানোর জন্য লিখসেন? আমাকে কথা শুনাইতে হবে নারে ভাই! আমি বুঝি সবই! আমি বুঝেও অবুঝ। মনে মানে না টাইপ ব্যাপারস্যাপার। বুঝেন নাই? আমার খালি এক দফা, এক দাবি—প্রেম দে, নয় থাপ্পড় খাবি! (আই মিন, খাবেন!) কিন্তু, আমি তো ফেসবুকে কখনওই কিছুই পোস্ট করি না, তাহলে ‘স্ট্যাটাস মেরে’ কথাটা লিখসেন কেন?
আচ্ছা, আপনার প্রতি আমার ফিলিংসটা একদম ছোট্ট করে বলে ফেলি, কেমন? আমি আপনাকে সবসময় মিস করি। আপনার সব কিছুই আমার ভাল লাগে, মাঝেমাঝে যে আমার কিছু শয়তানি কথা আপনি এড়িয়ে যান, সেটাও আমি এনজয় করি। আপনি হাল্কার উপর ঝাপসা চালাকও আছেন! আপনার খারাপ আমি চাই না, সেটা অবশ্য কারওই চাই না। আপনার এক লেখা বারবার পড়তেও ভাল লাগে, তাই বলে, সবগুলা না, আর ওই যে একটা গল্প আছে না, স্যার, আমাকে কার্টুন ডাকবেন না, এই টাইপের, ওটা পড়ে আমি আপনার উপর খুব বিরক্ত হইসিলাম। ক্যান ভাই? সে আপনার অধীন বলেই নিজের ইচ্ছামতন নাম রাখার রাইট পেয়ে গেসেন? আচ্ছা, আপনাকে যদি আপনার স্যার, স্যাগি (একটা কার্টুনচরিত্র) বা উড়াল (একটা মাছ) বলে ডাকে, তখন আপনার কেমন লাগবে? হুঁ? একটু ভেবে দেখবেন। খারাপ লাগলে ওর কাছে সরি বলবেন আর ঠিক লাগলে তো দুনিয়ার সবই ঠিক। যে ভুল কাজ করে, তার মধ্যে ওইটা নিয়ে কোনও বিকার হয় না, কারণ তার কাছে ওই কাজটাই ঠিক। আচ্ছা, আবার প্যাঁকপ্যাঁক শুরু করলাম! তো যেটা বলতেসিলাম, আমি আপনাকে ‘ভক্তি’ অর্থে ‘ভালোবাসি’ বলতে পারেন, কিন্তু তার সাথেসাথে ওই অর্থে, মানে ওই অর্থেও (‘ওই’ মানে কী, সেটা আপনি ভাল করেই বুঝেন। না বুঝার ভান করে লাভ নাই। ইয়ে মানে, আমার একটু শরমটরমও আছে কিন্তু!) কি ভালোবেসে ফেলেছি? ভয় পাবেন না! ভয় পাবেন না! আগে পুরোটা পড়বেন! আমাকে আগে শেষ করতে দেন, ভুস্ করে এখনি সিদ্ধান্ত নিবেন না। আপনার ধৈর্য কম, এটা আমার মনে হইসে।
আমি কিছুসময়ের জন্যে ধরে নিলাম, আমার উপরের প্রশ্নের উত্তর পজিটিভ এবং এটাও ধরে নিলাম যে আপনিও একই ধরনের কিছু একটা ফিল করেন। (আগেই রাগবেন না, আমি শুধু এবং শুধুই ধরে নিচ্ছি। এর বাইরে আর কিসু না।) তো, কী হবে আমাদের? কীভাবে হবে? আমি মন থেকে হিন্দু আর মুসলমান এক ভাবলেও সামাজিকভাবে, আচ্ছা সমাজ বাদ, পারিবারিকভাবে তো মুসলিম। তবে আপনি চাইলে আমাকে যেকোনও ধর্মে কনভার্টেড হবার কোনও প্রার্থনা থাকলে সেগুলা বলতে বলেন, আমি হাসতে-হাসতে বলতে পারব। ধর্ম অনেক গভীরের জিনিসরে ভাই। খালি কোনও কিছু মুখে বললেই সেটা অর্জন বা বর্জন হয়ে যায় না। হতে পারে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সব আমার কাছে এক, আসলে এক না, নিষ্ঠুর আর বেয়াদব টাইপের ছেলেদের আমি তিন নম্বরে রাখি, সে যে ধর্মেরই হোক না কেন, দুই নাম্বারে রাখি সব ধর্মের ছেলেদের, আর এক নাম্বারে রাখি আমার মত করে যারা ভাবে, মানে যাদের প্রথম বা প্রধান পরিচয়—মানুষ। ধর্ম দিয়ে মানুষ যাচাই করা আমার ধাতে নাই। এই যে, কত্ত সুন্দর কত্ত উদার কথা বললাম, কিন্তু এগুলা তো শুধু আপনাকেই বলতে পারলাম, অন্য কারও সামনে যে বলার সাহস নাই! মানুষ বড় বেশি অধৈর্য, অসহিষ্ণু হয়ে গেসে। ধর্মকে লোকে ভালোবাসে, কারণ ধর্ম নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করে ওরা সুখ পায় আর ভাবে, স্বর্গ বুঝি এতে কনফার্ম হয়ে যাচ্ছে। ভাবখানা এমন, যেন ধর্ম নিয়ে বেশি চিল্লাচিল্লি করা মানেই ধর্মটা বেশি পালন করা! যত্তসব উল্লুকবেল্লিক গাধার দল! আমার কথা সহজভাবে নেবে, এমন মানুষ কই? যাকগা! শালারা মারামারি করে মরুকগা! যে কাহিনিতে ছিলাম। যদি দুই ধর্মের লোক পরস্পরের প্রেমে হাবুডুবু খায়, একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচতেই না পারে, গভীর ভালোবাসায় ডুবে থাকে দিনরাত, তাইলে? তখন ওই দুজনের কী হবে? ঘোড়ার ডিম হবে! একটু ঢং হবে, নাটক হবে, কান্নাকাটি হবে, হৃদয়ে……কী জানি বলে……ও আচ্ছা, উথালপাতাল ঢেউটেউ উঠবে……তারপর যার যার রাস্তায় যে যে। এটাই বাস্তবতা। কারও জন্য কারও জীবন শেষ হয়ে যায় না। জীবন সিনেমা না, জীবন বাস্তবতার চাইতেও নির্মম নির্দয় নিদারুণ।
এখন, আমি ধরে নিলাম যে উপরের প্রশ্নটার উত্তর হবে যে, হ্যাঁ, তুমি গ্রন্থিককে বিন্যা কারণে চরররম বালোবাইস্যে ফেলিস্যাও, কিন্তু গ্রন্থিক ছাওয়ালডা তুমাকে তার একডা ভইকতের বাইরে কিসসু ভ্যাববারই পারে না (হ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাপ্পিইইইইই? লও চান্দুনি, এইবার মুড়ি চাবাও!), তখন কী হবে? তো……দিকা যাচ্চে য্যা…..তখনও তুরঙ্গের আণ্ডাই হবেরে ভাউ। তবে ডিমডা পচা হইবে….. আম্মুউউউউউ……. মানে…….আমার খারাপ লাগবে, কষ্ট হবে। (আর আপ্নের হবে ঘোড়ার আণ্ডা।) এমনকি, কান্তেটান্তেও পারি। তাইলে কি ভাবতেসেন যে, আমি আপনাকে চাচ্ছি? না, ঠিক তাও না, ব্যাপারটা আসলেই খুব জটিলযযয…….আমি স্বাধীন থাকতে চাই, কোনও ঝামেলায় পড়তে চাই না। কিন্তু আবার কী জানি একটা চাই, আমি নিজেই সেটা বুঝতেসি না। আপনি এইসব বুঝবেন? নাকি ভাববেন, ঢং করতেসি? আমি আসলে অতটা পিনপিনা মিনমিনা রোমান্টিক না। আমি একটু খাইসটা আছি। প্রেমের কথার চাইতে হাসির কথা আমার বেশি ভাল লাগে। তারপরও কোথায় জানি একটা কিন্তু আছে! ওই ‘কিন্তু’ মেয়েমানুষের কিন্তু, আপনি বুঝবেন না। আমি জানি না কোথায় সেটা। মেয়ে হওয়ার মেইন জ্বালাটা কী, জানেন? মুখে যা-ই বলি না কেন, শেষ পর্যন্ত কোনও এক ছেলেকেই ভাল লাগে। ছেলেরা ভাল জিনিস নারে ভাই, ওদের ভাল লাগলে তো বিপদ, এক্কেবারে মহাবিপদ! একটা সত্যি কথা বলি? আমি আমার এখনকার অবস্থাটাকে খুব এনজয় করতেসি। এই যে, মনেমনে একজনকে নিয়ে থাকা, এর মধ্যে কিন্তু এটা একটা দারুণ মজা আছে। আপনি সেটা বুঝবেন না। বস্তুবাদীরা এই অনুভূতি বুঝবে না। আপনি পাশের বাড়ির ছেলে হলে যতই যা হইতেন না কেন, বোধহয় এতটা যন্ত্রণা হত না। আপনি এত দূরে থাকেন…..দূরত্ব মানুষকে বড় অস্থির অধীর চঞ্চল করে দেয়। সাথে কাজ করে এক ধরনের ভয়—হারিয়ে ফেলার ভয়! ফেসবুকে আমি আপনাকে দেখতেসি অথচ আপনি বুঝতে পারতেসেন না, এই ব্যাপারটাও খুব কেমন জানি লাগে। কিন্তু খারাপ লাগে তখনই, যখন মনে হয়, এটা আর থাকবে না, বা আপনি একসময় অন্য কারও হবেন, বা আমাকে আর আপনার মনে থাকবে না, বা হয়তোবা আপনাকে আর আমি মিস করব না, বা…..এইতো! এইসব আরকি!….. তো এইগুলান ভাবলে আমার অনেক খারাপ লাগে। অনেক অনেক অনেকবেশিই খারাপ। আপনি বুঝবেন না।
একটা ব্যাপার খেয়াল করসেন? আমাদের দেশের মেয়েরা কত আগায়ে গেসে? আগে এই ভয়টা ছেলেরা পেত আর মেয়েরা ভয়টাকে ঘটাতো, আর এখন মেয়েরাই নাকি ভয় পাচ্ছে! হাহ্ হাহ্ হাহ্! আর দুষ্টু ছেলেরা ভয় দিচ্ছে! তোহ্, কী আর করার আছে, জনাব! আমি আপনাকে আটকাতে চাই না; যদি পারতামও, তাও না, আমি জীবনে কোনওদিন কাউকেই কারও নিজের লাইফের ব্যাপারে কিছু করতে নিষেধ করি নাই আর করবও না, আমি একটু আত্মকেন্দ্রিক আছিরে ভাই! তবে মানুষকে ফ্রি-ফ্রি বুদ্ধি দিতে অবশ্য আমি সেই লেভেলের এক্সপার্ট! আবার আপনার কাছে প্রেম ভালোবাসাও ভিক্ষা চাইব না, এমন ভাবটাব আনতে হয়তো বিরহের কত ক্লাস-ক্লাস গানের কথাগুলা গরগর করে বলে ফেলা যায়, আমি সেগুলা জানিও, তাই বলে সত্যিই আমি আপনাকে ওইরকম কিছু বলব না! আমি কতটা স্ট্রং, সে সম্পর্কে আপনার কোনও ধারণা নাই। আমাকে দয়া দেখিয়ে কিছু দেবার চাইতে বরং ঘাড় ধাক্কা দিয়ে লাত্থি মেরেও যদি বের করে দেন, তাতেই আমি খুশি হব, কিন্তু দয়া না। জাস্ট নেভার! স্রষ্টার কসম করে বলতেসি! তবে আমি যেহেতু আপনার সত্যিকারের ভক্ত, তোওওওওও…..আপনি ভক্তের খুশির জন্য দুই-একটা কথাটথা বলতে পারেনননন। মানে, আপনি যদি একটু বলতেন যে…..অ্যাই শানায়া বাবুউউউউ…..অ্যাই সোনাবাবুউউউ…..তুমি ভয় পেয়ো না, আমি তোমাকে কখনওই ভুলে যাব না। তুমি নিশ্চিন্তে থাকো, তোমাকে আমার সারা জীবওওওওন মনে থাকবেই থাকবে! (আপনি এমন করে বললে কিন্তু আমি সত্যিসত্যি পটেমটে ছারখার হয়ে যেতাম!) এইটুকুও বলতে পারবেন না, না? ক্যান? কী হবে বললে? আমি কি সত্যিসত্যি বলতে বলসি নাকি? মিথ্যা করে বলতে বলসি! (বোঝেই না কিচ্ছু! হুহ্!) এর বেশি যা খুশি বলতে পারেন, তবে এর চেয়ে কম না। আর এটা এমন কী অতি-রোমান্টিক অশ্লীল পর্যায়ের কথা, যা বলা যায়ই না? এটা একটা সাধারণ কথা, আর এটা সবাইকেই বলা যায়। আর এমন তো না যে আপনি মিথ্যা-মিথ্যা কথা দিতে পারেন না। এই ব্যাপারে তো আপনি ওস্তাদরে, মুনাফিক ভাউউউউ! আমি তো সেটা জানি! আর আমি কি কাউকে বলতে যাব নাকি? তো? কী হইসে বললে? জলদি করে মিথ্যাটা বলে ফ্যালান! শুনতে ইচ্ছা করতেসে! বলবেন কিন্তু! প্লিইইইইইহজ!! আমি সত্যিই আপনাকে আর বিরক্ত করব না, আর সময় নষ্ট করাবো না। সত্যি বলতেসি। এখন বলেন। বলেন না! মনেমনে না! মুখে! একদম শব্দ করে! বিশ্বাস করেন, আমার দুই-একটা ছোটখাট কথা শুনলে আপনি পুরুষই থাকবেন, ইশতিরি হয়ে যাবেন না। ট্রাই করে দ্যাখেনই না! আপনার পৌরুষ আর পুরুষত্ব, দুইই অটুট থাকবে। আমি তো জানিরে বাবা কথাগুলা মিথ্যা! এত ভয় পান ক্যান? আমি কি আপনাকে পেয়ে বসব? যদি পেয়ে বসিও, আমি মেসেজ বা মেইল করে জ্বালানোর বাইরে আপনার কি একফোঁটাও ক্ষতি করতে পারব? কী-ই বা এমন কথা শুনতে চাই আমি? আপনিই ভেবে বলেন না! এর চেয়ে কত রোমান্টিক কথা তো মানুষ এমনিএমনিই বলে। আমি শুধু শুনতে চাই যে আপনি স্পেসিফিকভাবে আমাকে বলবেন যে, আমাকে আপনি ভুলবেন না। ব্যস্! হয়ে গেল! আর আমি তো তা ঘটাতেও চাই নারে বাপ, খালি কান দিয়ে ঢুকিয়ে মাথায় জমিয়ে রাখতে চাই আর ওই বস্তু নিয়ে প্রতি মুহূর্তেই মহানন্দে জ্বলেপুড়ে একখান কয়লাজীবন কাটাতে চাই। এই সামান্য চাওয়াটুকু পূরণ করতেও আপনার ইগোতে লাগছে! জানি, আপনি আমাকে ভালোবাসেন না, তাই আমার সাথে আপনি ইগো দেখাবেনই। ঠিকাসেরে ভাই। বুচ্চি! তাই বলে এতো?!
এখন যদি এমন হয় যে, ওই প্রশ্নটার উত্তর, শানায়া যা ফিল করতেসে, সেটা শুধুই একটা সময়ের ব্যাপার। দুইদিন পর এমনিই কেটে যাবে, তাইলে আর কী! ওইরকম কিসু হইলে আপনিও বাঁচলেন আমিও বাঁচলাম। আর তখন আপনার বিহ্যাতে দাওয়াত দিয়েন, আমার অন্যের বাসায় খেতে ভাল লাগে! তার বিনিময়ে আমারটাতেও দিবনি, যান! তবে, আমি যে একা থাকব, একা থাকব বলে মুখে ফেনা তুলি না, তার মানে কিন্তু এই না যে, আমি ছেলেবিদ্বেষী! আসলে আমি ফ্রি থাকতে চাই। পায়ে শেকল পরে হাঁটা যায়, বলেন? তবুও দুই-তিন বছর পর যদি আপনাদের দেখাদেখি আমারও, ইয়ে মানে শিকল পরতেটরতে ইচ্ছা হয় তো আমার জন্যও একটা ছেলে দেখবেন। হ্যাঁ? আমার লাগবে লম্বা আর খুব হাসাতে পারে আর খুব হাসতেও পারে, এমন ছেলে। গায়ের রঙ নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নাই, তবে ডাইরেক্ট আফ্রিকা থেকে আমদানিকৃত না হইলে কিছু টেকনিকাল সুবিধা পাব। বুঝেনই তো! চোখ, কান, নাক, চুল সব কিছু স্বাভাবিক হলেই হবে তবে শুধু চোখটা যেন কুতকুতা না হয় আর কথা সুন্দর করে বলে আর ধর্মটর্ম নিয়ে আমি কিছু বললে যার কিছু যায় আসবে না, উল্টা আমার সাথে পার্টিসিপেট করবে আর টাকার লোভ নাই, কিন্তু আবার ফকিরও না আর চরম সাহসী আর সৎ আর অনেক খইচ্চ্যা, মানে টাকা-পয়সা খরচের ব্যাপারে দিলদরিয়া আর মেয়েদেরকে অপমান-করা কৌতুকে হাসবে না, করবেও না আর কোনও কিছুতেই খুঁতখুঁতানি স্বভাব নাই, মানে সব কিছুকে সহজভাবে নেবার ক্ষমতা থাকবে আর আমার সম্পর্কে সব কিছু জানা থাকবে যেগুলা আপনি কিছুই জানেন না আর সেগুলা নিয়ে ঘাঁটবে না, আমিও ওর কোনও পাস্ট নিয়ে ঘাঁটব না (ছেলেরা মেয়েদের পাস্ট নিয়ে ঘাঁটতে কী যে পছন্দ করে, দেখসি! যেন নিজেদের সবকিছুই কেবল প্রেজেন্ট আর মেয়েদের সবকিছুই কেবল পাস্ট। যতসব ভণ্ডের দল!) আর বুদ্ধি থাকতে হবে আর আমাকে অনেক ভালোবাসতে পারবে, এমন হতে হবে আর আমাকে আদর করে ভাত মেখে খাওয়ায়ে দিতে হবে আর অনেক আহ্লাদ করে আমার সাথে কথা বলতে হবে আর আমাকে জীবনেও বকবে না আমি যতই ক্ষতি করে ফেলি আর টাকা জমানোর টেন্ডেন্সি থাকবে না আর বেড়ানো-পাগল হতে হবে আর কোন কিছু না পাওয়া নিয়ে ওর মধ্যে কোনও ঘ্যানরঘ্যানর টাইপের দুখখো থাকবে না আর…..আর…..আর…..আমাকে চেঞ্জ করার প্রতি কোনও আগ্রহ থাকবে না, আমাকে আমার মতই থাকতে দিবে আর খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারস্যাপারগুলা গুরুত্বের লিস্টে সবচেয়ে শেষে রাখবে আর ফুটানি থাকবে না আর ন্যাকামো থাকবে না আর সরাসরি কথা শোনার আর বলার অভ্যাস থাকবে আর বৈষয়িক চিন্তা থাকবে না আর আমার বাপ-মাকে ভালোবাসবে আর বুদ্ধিমান হবে আর…..আর…..এ-ই তো……ব্যস্! এইটুকু লাগবেই! আমি মেয়েমানুষ তো! চাহিদা একটু বেশি! অন্য মেয়েদের চাহিদা আরও বেশি থাকে, হুহ্, আমারগুলা কমই আছে! ও আচ্ছা, ভাল কথা! আবার ভুলে যাব বলতে। ওই যা যা বলসি, ওইগুলার সাথে আরও দু-একটা ছোটখাট জিনিস অ্যাড হতে পারে, এখন মনে পড়তেসে না! আপাতত মাত্র ওই কয়েকটা হলেই এনাফ!
হাহাহাহাহাহাহা…… এরকম ছেলে জীবনে পাওয়াও যাবে না, রেডিমেড তো নাইই, অর্ডার দিয়ে বানাতে হবে, যেটা অসম্ভব!….. তাই কাউকে খুঁজতেও হবে না। তাই আমি একা থাকতে চাই। কিলিয়াররর?
ওহহো! একটা আসল কথা তো বলতে ভুলেই গেসি! অবশ্যই অবশ্যই এবং অতি অবশ্যই ফিজিক্যাল ডিজায়ার নাই এমন, কিন্তু রোমান্টিক ছেলে হতে হবে! আর থাকলেও সেটা আমার প্রতি না। অন্য মেয়ের প্রতি ফিজিক্যাল ডিজায়ার থাকলে থাকুকগা, কিন্তু ভালোবাসাটা শুধুই আমার প্রতি। অ্যাঁ! এইটা আমি কী বললাম! আমি জানি না আমি আসলে কী বলতেসি! বাদ দেন, আমার মাথা নষ্ট। আগে অর্ধেক নষ্ট ছিল, আপনার সাথে পরিচয়ের পর বাকি অর্ধেকও গেসে। তবে, এরকম ছেলে পেতাম তো খুশি হতাম যে হত ফিজিক্যালি নপুংসক, মানে ইম্পট্যান্ট কিন্তু মেন্টালি এক্কেরে আসল পুরুষ!! হাহাহা…… আচ্ছা সরি। আসলে সেক্স নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা খুবই নিষ্ঠুর আর ভয়াবহ!
আমি আসলে ব্যপারটা বোঝাতে পারলাম না। মানে……মানে……মানে……আচ্ছা থাকগা, অত বুঝতে হবে না। আচ্ছা, আপনি কি ভাবতেসেন আমি লুইজ্জা পাই, তাই এসব বলতেসি? হাহ্! আমি, মানে আমরা, মানে বোনেরা বা বান্ধবীরা যখন একসাথে হই, তখন যে আমরা কী কী সব বলি আপনাকে যদি সেখানে ইনভিজিবল করে প্রেজেন্ট রাখা যেত বা কোনও মেয়েলি আড্ডা রেকর্ড করে শোনানো যেত……তো আপনি ঠাস করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতেন, খোদার কসম! মেয়েদের সম্পর্কে বেশিরভাগ ছেলের ধারণাই নাই! ওরা ভাবে, মেয়েরা একসাথে হলে পুতুলবিয়ে, রান্নাবাটি, শাড়িগহনা এইসব নিয়ে প্যাঁচাল পাড়ে, কিন্তু আসল ঘটনা পুরাই ভিন্ন! তাও তো এখন ভদ্র হইসি, স্কুলে থাকতে আমরা প্রত্যেকে একেকটা খচ্চর ছিলাম। অতি অতি অতি জঘন্য লেভেলের অশ্লীল কথাবার্তা ননস্টপ বলতে পারতাম আমরা! আমি আমাদের ব্যাচটার নাম দিসিলাম ‘আইয়্যামে জাহিলিয়াত’।
ও মোর খোদা! কত্ত পেইজ লিখে ফেলসি! খাইসে আমারে! আচ্ছা, আপনি পড়েন নাই? নাকি পড়সেন? আমি ভাবলাম যে কম কথা লিখব না, তো এ আমি কী করলাম? পুরাই একখান প্যানপ্যানানি কাব্য প্রসব করে ফেলসি! এখনও তো একটা জরুরি কথা বাকি আছে! আমি আসলে একটা ছ্যাঁচড়া বাচ্চা! আমাকে বিশ্বাস করবেন না। আমি যতই বলি কথা কম বলব….. আসলে কুত্তার ল্যাজ তো সোজা হয় না, তাই আমার কথাও কম হবে না। আমার নিজের মুখে লাঠি দিয়ে একটা বাড়ি দিতে ইচ্ছা করতেসে! এত বড় লেখা আরেকবার দেখে ঠিক করতে গিয়েই তো আমার জান বের হয়ে যাবেগা!
আচ্ছা, চট করে জরুরি কথাটা বলে ফেলি। ঠিক আছে?
আমি কিন্তু মিথ্যা কথা বলব না, এই নিয়্ত করেই লিখতে বসছি! আমি আপনার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না, কারণ আমি ফেসবুক ইউজ করতাম না। কিন্তু আপনার নামটা জানতাম আর আপনার নুরানি চেহারার গাব্দাগাব্দা টাইপ একখান ছবি দেখসিলাম ক্ল্যাসিকের প্রস্পেক্টাসে। আমার ধারণা ছিল, আপনি বুড়াটুড়া কেউ হবেন। একটা পুলিশ ভাই আছে না? আপনার বন্ধু? প্রথমে উনার ফলোয়ার ছিলাম। উনার একটা লেখা পড়েও খুব খারাপ, মানে ভাল লাগসিল। (ওই লেখা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেসে, মানে লেখাটা ভাল লেখা, এইটা বুঝাইসি।) ওই একটাই অবশ্য। ৩৩ ভাইবা অথবা ৩৪ লিখিত গ্রুপে লেখাটা আসছিল। মনে নাই কোথায় পড়সি। আপনাদের সবার মধ্যে দেখি একটা অহংকার-অহংকার ভাব আছে। এটা শুধু আমি দেখতে পাইসি বোধহয়, কারণ সবাই তো খালি আপনাদের পাম মারায় ব্যস্ত; অবশ্য সেটা ভুলও হতে পারে। আসলে আমার একটা প্রবলেম আছে, অন্যকে নিয়ে কেউ হাসাহাসি করলে সেটা যদি সত্যিই হাসিরও হয়, তাও আমার মেজাজ খারাপ হয়। ওই পুলিশ ভাইকে দেখতাম, অন্যের অপারগতা নিয়ে হাসতে এবং হাসাতে ভালোবাসে। আবার ঢং করে বইয়ের ছবি দেয় আর গল্প শোনায় রামায়ণ নাকি ছোটবেলায় পড়া শেষ! কিন্তু আবার যোগীন্দ্রনাথ সরকারের বইয়ের নাম ‘ছোটদের রামায়ণ’ না লিখে লিখসে যে ‘ছেলেদের রামায়ণ’ যেটা কিনা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর! আমি কারেকশান করে দিয়ে ভয়ের চোটে আনফলো করে পালায়ে চলে এসেছি! উনাকে সবাই ভয় পায়, উনি সবাইকে হুদাই ভয় দেখায়, তো আমিও পেতাম। এসব অনেক আগের কথা আর আপনার ফলোয়ার হইসি অনেক দেরিতে, ৩৪ লিখিতের সময় হতে পারে কিংবা এর কিছু আগে; অতো মনে নাই, তবে বেশি আগে না, কারণ আমি আপনার লেখা আগে কেন পাই নাই তাহলে? আর অ্যাডমিনের জহির ভাইয়ের ফলোয়ার ছিলাম কি না মনে নাই, তবে ওই ভাইয়ের একটা লিখা পড়সিলাম কীভাবে বানায়েবানায়ে লিখতে হয়, সেটা মনে আছে। ভাল কথা, বানায়ে লিখাতে আমি কিন্তু এমনিতেই মহাওস্তাদ। আমি ভুল করে প্রিলিমিনারিতে আর লিখিততে টিকার পরই আসলে আমার বিসিএস-এর প্রতি একটা ভালোবাসা জন্মাইসে আর আপনাদের মত মহারথীদের প্রতি অগাধ সম্মান। আমি আপনাদেরকে অন্য একটা চোখে দেখতাম। আপনাদেরকে ওই সময় কেন জানি অন্য কিছু একটা লাগত আর তার সাথেসাথে একটু রাগও লাগত, কেন আপনারা সব পারেন? কেন আমি কিছুই পারি না? এই কথাটা কাউকে বলবেন না প্লিজ, সবাই হাসবে।
আচ্ছা, বিসিএস সেলিব্রেটিদের প্রব্লেমটা কী? অজ্ঞদেরকে নিয়ে হাসতে এরা এত ভালোবাসে ক্যান? যা-ই হোক, আমার ওদের গল্পগুলা, মানে লেখাগুলা মনে ছিল, কিন্তু ওদের নামটাম কিছু মনে ছিল না, তাই পরে আর খুঁজে পাই নাই কাউকেই। সার্চ যে করব, সে উপায়ও নাই, কারও নামই মনে থাকত না তো! আর আরও পরে আপনার সাথে ঝগড়া করে, আপনার পেইজে নিয়মিত হবার পর দেখি এরা সবাই আপনার বন্ধু! আচ্ছা, রেজভী হাসানরা যে আপনাদের চাইতে একটু হলেও জনপ্রিয় এটা তো মানেন? ওদের পেইজে যেয়ে দ্যাখেন তো! না ওরা অন্যের ভুল ধরে বেড়ায়, না কাউকে কমেন্টে আঘাত করে। ওদের তো কাউকে ট্রল করার সময়ই নাই। আর আপনারা? দুনিয়ার অসুস্থ বেকার পরশ্রীকাতর বিকৃতরুচির ফালতু পাবলিকগুলা হইলেন আপনারা! ট্রলিং খুবই বাজে একটা কালচার। একটা রাস্তার পোলাও ডোনাল্ড ট্র্যাম্পকে ট্রল করে মহাসুখে থাকতে পারে, নিজেকে সেয়ানা ভাবতে পারে, কিন্তু দিনের শেষে ডোনাল্ড ট্র্যাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আর ওই শালা স্রেফ একটা রাস্তার পোলা। এটাই বাস্তবতারে ভাই! আমি আসলে কার-কার ফলোয়ার যে ছিলাম আমি নিজেই জানি না। তাই পরে আনফলো করতেও ভুলে গেসি। বাজে লোককে ফলো করার কিসু নাই, হোক সে মহাসফল কিংবা কোনও মহারথী টাইপ কিসু! এ তো গেল অন্যদের কথা, এখন আপনার কথা বলি, আমি একসময় আপনার একটা লেখা পড়ে মুগ্ধ হইসিলাম আর সাথে একটু অবাকও যে আপনি আমার মত করে ভাবেন, কিন্তু আবার প্রেমেট্রেমে পড়ি নাই সেসময়। আর, সরি যে, আমি জানতাম না আপনি এত পুচকি একটা ছেলে। তারপর আরেকটা পড়ে মনে হইসে, আরে আপনি এত্ত ভাল ক্যান! ভক্তি চলে আসল! (হুদাই!) মনে হল, বিসিএস সেলিব্রেটি আবার ভাল মানুষ? কীভাবে সম্ভব? সেলিব্রিটি মানেই তো ছয় নাম্বার পাবলিক। ওই শালাদের মুখে এক, অন্তরে আরেক। চরম ধান্দাবাজ হওয়া ছাড়া সেলিব্রিটি হওয়া সম্ভব? একেবারেই হাল্কা বিষয়গুলারেও বিতং কইরা বইলা নিজের মার্কেটিং করে আর ভাব চোদায়। আর পাবলিকগুলাও জানি কেমন! সুন্দর করে সাজিয়ে ট্রেতে পরিবেশন করলে গুও হাসিমুখে খায়া ফালায়। আমার আবার প্রেম, ভক্তি, ঘিন্যা যা-ই বলেন, সব বুমবুম করে চলেও আসে, আবার বুমবুম করে চলেও যায়! আমি ফেসবুকে অন্যদের অত চিনিতাম না বা এখনও যে খুব চিনি তাও না, তবে এদের মধ্যে লেখালেখি করে, এমন শুধু আপনাকেই পেলাম। আর খুব ভাল লাগসিল আপনার লেখা। তারপর আরেকটা লেখা পড়ে মনে হইসে, আররে! কী আশ্চর্য! ফাশটো বয় পড়ুয়া, বোরিং, আঁতেলমার্কা খ্যাত হবে, আর এই ব্যাটা দেখি মজাও করতে পারে! লেখাতে অহংকার খুঁজে পাই নাই। হয়তো আছেওবা। লুকায়ে রাখেন কিংবা রাখেন না কিংবা আপনার প্রতি পক্ষপাতিত্বের কারণে আমিই খুঁজে পাই নাই। কিন্তু এখন আর ওইটা দেখায়েও লাভ নাই। যা হবার হয়ে গেসে! আমি মনে হয় আর রাগ করতে পারব না আপনার উপর।
আমি যখন একটুএকটু করে ফেসবুক ব্যবহার করা শুরু করসি, চাকরি পাইসি, ফেসবুকে আমার পরিচয় দেওয়া শুরু করসি, কিন্তু ব্যবহারটাও ঠিক মত করতে পারি না, তখন দ্য গ্রেট গ্রন্থিক আমাকে নক করল! ওয়াও! কীভাবে সম্ভব? হ্যাঁ, একবার অনেক আগে একটা মেসেজ দিসিলাম অবশ্য। কিন্তু সেটাতো কোনও আমন্ত্রণ ছিল না। আমি ভাই আপনাদের সেলিব্রেটিই মানতাম, অতটা আশা করি নাই। যা-ই হোক, আমি তো খুশির চোটে নাচতে লাগলাম! বড়মামা আর আমার বেস্ট ফ্রেন্ড নিশা বাদে আমাকে তখন কেউ নকফক করে না। আমার ফ্রেন্ড ছিলই গুনেগুনে কয়েকটা! আমি তো আপনার মেসেজ দেখে অবাক হয়ে গেসিলাম। আমাকে? ক্যামনে কী? যার নাম কিনা শানায়া খান, সে নক পাইসে, তাও আবার গ্রন্থিকের কাছ থেকে! আমার নাম দেখেই তো কারও কথা বলার রুচি হবে না! যা-ই হোক, দেখলাম যে, বাস্তবের আর কল্পনার দুই মানুষ এক না! আর আমি কী যে ভাবসিলাম! মেজাজ খারাপ হয়েটয়ে একাকার অবস্থা…..আমি রেগেমেগে আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করলাম আর দেখলাম যে আপনার মন খারাপ হয়ে গেসে আর তখন নিজের উপর রাগ লাগল আর আপনার উপর রাগায়া (রাগ+মায়া)। আচ্ছা এত আবেগপ্রবণ মানুষ এত শয়তানি কীভাবে করতে পারে? এটা একটা আশ্চর্য ব্যাপার। আপনার দোষ ছিল না, লাই আমি দিসিলাম। তার উপর কী হল, একটা খেলাতে আমার সাথে শুধুই আপনার ছবি দেখায়! কীভাবে সম্ভব? আর আপনার ওই ছবিটা খুব সুন্দর ছিল। তারপর কী জানি হয়ে গেল! আপনার পেইজে যাওয়াটা একটা নেশা হয়ে গেল, অথচ তখনও আমি জানি আপনি আবেগপ্রবণ কিন্তু খারাপ মানুষ, আপনাকে সবাই ভাল বলসে দেখে হাসি আসত আর ভাবতাম এরা কেউ জানে না ব্যাটা কত বজ্জাত! আর আপনার ওয়ালে দুয়েকটা নেগেটিভ কমেন্ট দেখলে খুশিখুশি লাগত। তারপর আরও কী জানি হয়ে গেল! ফেসবুক মানেই আপনাকে দেখা শুরু হল। আর অবাক করা বিষয়, আমি আপনাকে এত খোঁচাতাম কিন্তু আপনি এতই ভদ্র যে আমি এখন ভাবলেও অবাক হই। আপনি কীভাবে সেগুলা সহ্য করতেন? উফফফ! মা-রে-ম্মা! আপনি যে এতই ভদ্র একটা বাচ্চা! আমি হলে খোদার কসম ঝগড়া শুরু করে দিতাম নয়তো হায়রে কী যে গালি দিতাম আর অতো কিছু না হলেও ব্লক তো করতামই! আপনি কিছুই করতেন না। ক্যান?? আমি বুঝি না। আপনাকে জ্বালাতে আমার খুব ভাল লাগত। আপনি যদি আপনার কোনও স্ট্যাটাসে আমাকে পচাতেন, আমার কিছুই করার থাকত না, আপনার ফ্যানরা তো অবশ্যই আমাকে এক্কেবারে ধুইয়ে নামায়ে দিত! আপনি খুব ভালরে ভাই! সত্যি!
সবগুলার কথা জানি না, তবে আমার একআধটা মেসেজ যে পড়সিলেন, তা বোঝা যেত। অবশ্য আমি খুব খারাপ কথাও কখনও লিখি নাই। আমার কেন জানি মনে হত, আমি আপনাকে বুঝতে পারতেসি। কোনও মেয়ে যখনই মনে করে, সে কোনও একটা ছেলেকে বুঝতে পারতসে, তখন সে ওই ছেলেকে আরও বেশি করে বুঝার চেষ্টা করে, একসময় ওই ছেলেকে নিয়ে রীতিমত গবেষণা শুরু করে দেয়, এরকম করতে-করতে একসময় টুক্ করে ওই ছেলের প্রেমে পড়ে যায়। সে প্রেম বড় ভাঙচুর কিসিমের প্রেম! আর আমারই বা কী দোষ, কীভাবে-কীভাবে অনেক লেখা ধক্ধক্ করে আমার ভাবনার সাথে মিলেও যেত। আমি চমকে উঠতাম! তারপর আরও কী জানি হল! বাসায় লোক আসলে বা কাজ করতে হলে বিরক্ত লাগে যে কখন কম্পিউটারের কাছে যাব! মানে, ওই যন্ত্র যেন টানে আমাকে সবসময়। আপনি যেদিন লেখা দেন না, সেদিন মনে হত কী একটা মিসিং! আপনাকে খারাপ মানুষ তো মনে হতই না, আপনার সম্পর্কে ভাল কিছুই মনে হত, যদিও আপনি আসলে অতো ভালমানুষ না। কখন যে আপনি আমার চোখে খারাপ থেকে ভাল হয়ে গেলেন, জানি না। একদিন আপনি স্মাগলারদেরকে গালি দিসিলেন, মনে আছে? আমার হায়রে মন খারাপ হইসিল আর হায়রে কী যে ভয় পাইসিলাম! আমি কারও সম্পর্কে এরকম করে ভাবতে পারি না। গালি শুনলে ক্যান জানি বুকের মধ্যে ছ্যাৎ করে উঠে! তাই বলে ভাইবেন না যে আমি খুব ভাল মেয়ে, আমি আপনার চেয়ে অনেক বেশি গালি জানি, তবে সেটা শুধুই ফ্রেন্ডদের জন্য। আমি দুর্বল না ভীতুও না, কিন্তু আমার কী জানি একটা সমস্যা আছে। বকা খাওয়া আর গালি খাওয়া আর ঝগড়া শুনলে বা দেখলেই খুব ভয় লাগে। কেমন জানি লাগে! হার্টবিট খুব বেড়ে যায়, অসহায় লাগে! কেউ চিল্লালেই আমার ভয় লাগে আর সব শক্তি নাই হয়ে যায়! আর আব্বা-আম্মা ঝগড়া করলে তো আমার মরে যেতে ইচ্ছা করে! মনে হয়, আত্মহত্যা করি! কিন্তু আবার আমি নিজেও প্রচুর চিল্লাতে পারি! তখন কিন্তু আবার ভয় লাগে না! তার মানে, আমার নিজের চিল্লানি কি আলাদা কোনও কিছু? বুঝি নাতো! আচ্ছা, আমি এমন কেন? আপনি কি জানেন আমি কেন এমন?
আচ্ছা, তারপর কী হল? দিন যায়। ‘কী জানি’ হওয়াটা কিন্তু থেমে নাই! আরও ‘কী জানি’ হচ্ছে, আপনাকে কেন জানি না, অতিরিক্ত বোকা আর সেন্টিমেন্টাল কিছু মনে হত, হচ্ছে! হয়তো আপনি বোকা না, আমার বোঝার ভুল। মানুষ সবকিছুকে নিজের মত করে ভেবে নিতে ভালোবাসে। আর আমি তো ভেবে নেওয়ার বস। আচ্ছা, আপনি একটুতেই এত প্রভাবিত হন ক্যান বলেন তো? মায়া বাড়তে লাগল! হুদাই! তারপর আরও ‘কী জানি’……আরও ‘কী জানি’…..আররররও স্ট্যাটাস…..আরও দুষ্টুমি…..আরও ছবি…..আরও নোট…..আরও জানা…..আরও চেনা…..আরও অপরাধবোধ……আরও ‘কী জানি’….. আরও, আরও ‘কী জানি’…..আরও…..আরও…..আরও……আরও……আমার প্রিয় কাজ—সারাক্ষণই আপনার কথা ভাবা! যান, কিছুই লুকালাম না। ভ্যারভ্যার করে সবই বলে দিলাম! এখন কী হবে? আমার কেন জানি মনে হয়, এইসব আপনি জানেন আর আমার কথাগুলা পড়েপড়ে হাসেন। এই যে আমি লিখতেসি, আমার হার্টবিট হায়রে বেড়ে গেসে! এসব ঢঙের কোনও মানে হয়? আচ্ছা, এখন যদি আমার হার্ট অ্যাট্যাক হয়, তার জন্যে কে দায়ি থাকবে?
জানেন, আমার একটা নতুন পাতানো ভাই হইসে। ও আমার ১০ বছরের ছোটবোনের বন্ধু। আমার আবার ওসব ভাইটাই পাতাতে খুব বিচ্ছিরি লাগে। এই দিয়ে দুইজনকে ভাই পাতালাম। ছোটবেলায় বড়ভাই আর বড়বেলায় ছোটভাই! কিন্তু উদ্দেশ্য আছে। এই ছেলেটার কথাগুলা কেমনকেমন! তাই আগেই ভাই পাতিয়ে মুখ বন্ধ করে দিলাম। আমার ভাই একটাই। ০২/১১/১৯৮৩ সালে যে দুনিয়াতে আসছে আর সেদিনই চলে গেসে। ছিঃইইইহ…..আর কোনও ছেলের যোগ্যতা নাই আমার ভাইয়ের জায়গা নেবার। জ্বি ভাই, আমার মন অনেক ছোট। মিথ্যা বলে ভাল সাজতে পারব না। তো, ওই পিচ্চি পাতানো ভাইকে আমি বলসি যে, আমি এক ছেলেকে ভালোবাসি। হিন্দু। ছেলেটা পাত্তা দেয় না, কত দুক্কু আমার….. ব্লা ব্লা ব্লা! আর কিছু গল্প বানায়ে-বানায়ে বলসি…..ওই যে বললাম, আপনাকে নিয়ে কথা বলতে ভাল লাগে। তো ছেলেটার মাথা খারাপ করে দিসি! আপনাকে যেন ভালোবাসার কথা বলি, আমি কাপুরুষ ক্যান, সত্যি ভালোবাসলে নাকি আমি ভয় পেতাম না, ভালোবাসায় ফিডব্যাক জরুরি না, আরও কী কী সব কমন কথাবার্তা। আরে ব্যাটা, কী বলব? কীভাবে বলব? কী বলতে কী বলব, শেষে স্বাভাবিক ব্যাপারটাকে নষ্ট করে ফেলব! আর সবচেয়ে বড় কথা, আমি তো নিজেই কনফিউজড!! কিন্তু এই কথাগুলা পুচ্চি ছেলেটাকে বলা যাবে না! ও আবার খুশি হয়ে যাবে! (আজকালকার পুচকি পোলাগুলা কিন্তু বদমায়েশ আছে! ওদের দেখে মনে হবে, কিছুই বোঝে না, অথচ ভিতরেভিতরে হাড়ে বদমাশ!) যা-ই হোক, যা যা ছিল মনে, সবই তো বলে ফেললাম! কিছুই বাকি রাখি নাই! ব্যাখ্যা করে সবই তো বললাম, এখন এসবের মানে কী দাঁড়ায়, তা বুঝে নেওয়া বা না বুঝে নেওয়া আপনার দায়িত্ব। সত্যি যদি বলি, তাহলে বলতে হয়, আমি নিজেই বুঝলাম না আসলে আমি কী বলতে চেয়েছি! (আপনি কি খেয়াল করসেন, আপনি আমার সেই জানের ভাইটির চেয়ে ঠিক এক বছরের ছোট?)
একটা কথা রাখবেন? যা যা বলসি, এসব নিয়ে আমাকে সরাসরি কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। আমি খুব অস্বস্তিতে পড়ে যাব! লজ্জা লাগবে! অবশ্য আপনি ভদ্র বাচ্চা, এমনিও কিছু বলেন না। শুধু মজা নেন! আচ্ছা, এসব কথা শুনে আপনি কি ভয় পেয়ে আবার আমাকে এড়ায়ে যাবেন? কিন্তু বিশ্বাস করেন, এই জিনিসটা নিয়ে আমি নিজেই পালায়ে-পালায়ে থাকব, তো আপনাকে জ্বালাব কীভাবে? এটা আমার জন্য অনেক বেশিই সেন্সিটিভ। তারপরও আপনার ইচ্ছা! আপনি যা খুশি করতেই পারেন।
আরেকটা কথা, আপনি কিন্তু ভাই অনেক ভাব নিসেন, আবার নেনও নাই। আপনার সাথে কথা বলে, ঘুরে, বা ফেসবুক থেকে জেনে যেটুকুই জানসি, তাতে আমি আপনাকে বিনা কারণে বা কোনও অলৌকিকভাবে, মানে, কেন জানি না, বিশ্বাস করি। কারণ আমি আপনাকে নিজের মত কিছু মনে করি। আর আমি নিজেকে, ইয়ে মানে, একটু ভালমানুষ ভাবি আরকি। সেক্ষেত্রে আপনিও…..বুঝেনই তো! আপনি যখন বলেন, আপনি একটু পরে ফোন করবেন, আমি এখন আর বিশ্বাস করি না। কিন্তু বিশ্বাস করি যে আপনি সত্যি ভুলে যাবেন, বিশ্বাস করি যে আপনি অনেক ব্যস্ত থাকেন, বিশ্বাস করি যে আপনার সময় কম আর এটাও বিশ্বাস করি যে আপনি আমার সাথে ইনটেনশনালি ভাব নিচ্ছেন না। খোদার কসম, এগুলা বিশ্বাস করি। আমি বেকার, কোনও কাজই নাই, তাতেই যদি আমার সময়ের এত অভাব হয় আর আমি যদি এত ভুলোমনের হই, তো আপনার কী অবস্থা হবে, বুঝি তো! আমার যে কিছুই মনে থাকে না, এটা কেউ বিশ্বাস করে না। তাই বুঝি আপনারটাও ওরকম, মানে আপনারটাও কেউ বিশ্বাস করে না! তারপরও আপনার উপর রাগ হয় মাঝেমাঝে কিন্তু বিশ্বাস করি যে আপনি সত্যি ব্যস্ত মানুষ। কিন্তু আমার একটা বান্ধবী আছে, যাকে আপনার নাম বলসি, সে এইটা বিশ্বাস করে না। সে একটা কথা বলসে। সে বলসে যে আপনি নাকি আমার সাথে মাইন্ডগেম খেলতেসেন আর সে এটা শিওর। আচ্ছা, এটা কি সত্যি? মিথ্যা হলে, সরি। সত্যিই সরি। এখানেই থেমে যান। আর পড়ার দরকার নাই। আর যদি সত্যি হয় তো আমি জানতে চাই কার সাথে খেলতেসেন? আমার সাথে? কীভাবে? আমি তো ময়দানে নাই! আগেই তো হার মেনে বসে আছিরে ভাই! আপনি বুঝেন নাই? তাহলে কি আপনি একাএকাই খেলতেসেন? আর কেনই বা খেলতেসেন? আমি এসব সহ্য করতে পারি না। আমি তো কিছু করি নাই! সেই কবে একটু খারাপ কথা বলসিলাম তো কী হইসে? সে কাজ তো আপনিও করসিলেন। তাহলে এই খেলাটা কেন? সরাসরি কিছু বললে আমি থাকব না, তাই আটকে রাখা? আর মজা নেয়া? মিথ্যা ওয়েটিংলিস্টে মেয়েদের সংখ্যা বাড়ানো? আমাকে কি সরাসরি বলে দেওয়া যায় না, মেয়ে, তুমি যে পথে আগাচ্ছ, সেখানে আসলে কিছুই নাই! আমি আগালাম না! ব্যস্! আমি ওই রাস্তার ওয়েটিংলাইনে না দাঁড়ালে আপনার কি খুবই ক্ষতি হবে? আর সবার মত আমিও লাইনটাতে থাকলে আপনি খুশি হন? আমাকে জেনেশুনে থাকতে হবে ওইখানে, এইটা বলতেসেন? আমি কি আপনার কোনও ক্ষতি করসি? করি নাই তো! তাইলে ভাই, সরাসরি বলেন যে, শানায়া, আমাকে নিয়ে তুমি অলীক চিন্তা করা বন্ধ কর। যা কিছু যেরকম আছে থাক, তুমি তোমার পথে আগাও আর আমি আমার পথে, ভক্ত পর্যন্ত ঠিক আছে, এর বেশি কিছু ভেবো না, কষ্ট পাবা। এই কথাটা বলতে পারবেন না? আগের যে মিথ্যা কথাগুলা, যেগুলা শুনতে চাইসি, সেগুলা কিন্তু বলতে ভুলবেন না আর পরের এই সত্যি কথাগুলাও বলে ফেলবেন। আচ্ছা?
আমার সম্পর্কে আপনার কোনও ধারণা নাই। আমার সব কিছু আমার কন্ট্রোলে। আমি অনেক কিছুই করতে পারি যা আমার জায়গায় অনেকেই করতে পারে না। ধরেন, কোনও মেয়ে আমাকে নিয়ে খুব খারাপ সত্য বা মিথ্যা বা আধসত্য কিছু ইচ্ছা করে বলে বেড়ায় শুধুমাত্র আমাকে ছোট করার জন্য বা হিংসা করে, আর আমি সব জেনেও বা বুঝেও এমন ভাব করি যে আমি কিছুই জানি না, ওর সাথে সুন্দর করে শুধু কথাই যে বলি তা না, সে আমার কাছে কোনও সাহায্য চাইলে আর আমার তা করার ক্ষমতা থাকলে, আমার তাতে কোনও ক্ষতি না হলে আমি তাকে ফিরাই না। আমি সবাইকেই এক নজরে দেখতে পারি। আমার ব্যক্তিগত বিরক্তি আমি কখনই কোনও কিছুতে আনি না। সৎ থাকি অন্যের প্রতি আমার আচরণে, মানে, মনেমনে যা-ই থাক, ভাল কি-বা মন্দ, সেটা সরিয়ে রেখে নিউট্রালভাবে সব কিছু দেখতে পারি। পাবলিকের ভাল কথার পিছের খারাপ কথা জেনেও আমি তাদের সাথে স্বাভাবিক থাকতে পারি, কেউ আমার ভাল চায় না, তা জেনেও ওর প্রতি কোনও খারাপ কিছু দেখাই না, মানে আচরণে বা কথায় কোনও পরিবর্তন আসে না ওর সাথে কথা বলার সময়ে, আর সেখানে আপনি তো আমার কোনও ক্ষতি করেন নাই, ভাই! আর করবেনও না। আমার সাথে কত সুন্দর করে কথা বলসেন, মজা করসেন, প্রশংসা করসেন, বিরক্তি দেখান নাই, আমাকে সহ্য করসেন, আমাকে নিয়ে বেড়াইসেন, তো আপনার প্রতি আমার কোনও ভাল আচরণ কীভাবে চেঞ্জ হবে? যা আছেন তা-ই থাকবেন, না হবে রাগ, না হবে অভিমান, না হবে অভিযোগ। তো প্লিজ, সত্যি কথাগুলা বলে ফেলেন না ভাই! আমার কিছু হবে না। কিন্তু দয়া করে মিচকা শয়তানি করবেন না। আপনি যদি সত্যি মাইন্ডগেম খেলেন তো সেটাতেও আপনার দোষ পাচ্ছি না। কারণ এই যে, মেয়ে হয়েও ল্যালঠামো করেকরে আমাকে নিয়ে খেলার সুযোগ তো আপনাকে আমিই করে দিসি, তাই না? তবুও, অতিরিক্তভাবেই অনুরোধ করতেসি, সব খেলা বন্ধ করেন! অন্তত আমাকে নিয়ে।
হ্যাঁ, আমি আপনাকে ভালোবাসি। (উরররি খোদাআআআ! অ্যাটাক, অ্যাটাক……হার্ট অ্যাট্যাক!!) কিন্তু ভালোবাসা কি চাচ্ছি? আমি ফকির না, আমি দাতা। তবে চোর কিসিমের দাতা। নিলে নিবেন, না নিলে চুপ থাকবেন। আর, দেওয়াদেওয়ি আপনার ব্যাপার। আমি অন্যের ব্যাপারে কথা বলব না। তবে, ভক্ত হিসেবে ছোটখাট দাবি আমার থাকতেই পারে, সেটার সাথে ভালোবাসাবাসি মিলাতে আসবেন না। আপনি ভাল হলেও ভালোবাসি আর খারাপ হলেও…..উইয়াআআআ…..আমি জানি না! এটা ঠিক, আমি আপনাকে আমার সব সত্যি কথা বলি নাই। বলতে কেন হবে? আমার কাউকে পছন্দ হতেই পারে, পছন্দ করে আমি ধরাও খাইতেই পারি, সেটা আমার ব্যাপার! আর কারও কথা ভেবে আমার সময় যদি ভাল কাটে, তার জন্যে কেউ কি কিছু বলতে পারবে? ভালোবেসে ফেলসি বলে আমাকে কেউ কিনে নিসে নাকি? আপনি আমার কেউ হন না, তো আমি আমাকে নিয়ে কাকে কী বলব আর কী বলব না, সেটা পুরাই আমার ব্যাপার। আপনি জানতে চাইতে পারেন না। কিন্তু আপনাকে নিয়ে কী ভাবি, না ভাবি, সেটা আপনি ইচ্ছা হলে জানতে চাইতেই পারেন। আপনি রিলেটেড ব্যাপারস্যাপার যেহেতু! তো আমি তো কিছুই লুকালাম না! যা যা হইসে, যখন যা ভাবসি, সব কিছুই তো বললাম। বাদ হয়তো অনেক কিছুই গেসে, সবকিছু তো আর মনে থাকে নারে ভাই! (তাতেই অ্যাত্ত!) আমি আবার বলা শুরু করলে থামতে পারি না। মানুষ বুড়া হলে নাকি বেশি বকে! আর আমি এখনি যা শুরু করসি, তাতে আমি তো আমার ভবিষ্যৎ দেখে নিজেই ভয় পাচ্ছি। আর আমি যদি বুঝি যে আপনি আমাকে নিয়ে সত্যিই মাইন্ডগেম খেলতেসেন তো আমি খুবই কষ্ট পাব। খুউউউব। আর কিছু না। তবে অভিশাপ দিব না, এই জিনিস আমি যাদেরকে ঘিন্যা করি তাদেরকেই দেই না, আর আপনাকে তো আমি…..আমি নিজেকে নিয়েই ভাল সময় কাটাতে পারি। একটা অনুরোধ করব, আপনার প্রিয় মানুষকে আমার লেখা পড়াবেন না। প্লিইইইজজজ…..
এখন আমি বোনের বাসায় আছি। আমার মন এমনিতেই অনেক খারাপ। আমাকে যতই আরামে রাখা হোক, প্রিয় খাবার খেতে দেওয়া হোক, নিয়ে বেড়ানো হোক, আমার কেন জানি নিজের জঙ্গলমার্কা ঘর, হোক না তা আগোছালো, ভাঙাচোরা আর নোংরা, ছাড়া কিছু ভাল লাগে না! এটা ছোট থেকেই হয়ে আসছে। আমি সারাদিন আড্ডা দিব, ফুর্তি করব, খেলব, কিন্তু রাতের বেলা নিজের ঘরে আমার থাকা চাইই চাই! আমি একদিনও যদি বোনদের অনুরোধে তাদের সাথে থাকি তো আমার হায়রে মন খারাপ হয়! মন বসাতে পারি না আড্ডায়! আর রাতের বেলা না ঘুমিয়ে কাটাতে হয়! আমি জানি এখন আপনি টাংকিবাজি করে বেড়াচ্ছেন আপনাকে সুরসুরি দেওয়া ঢংপত্রওয়ালিদের সাথে। একে তো আমাকে এসব ভাবতে হয়, তার উপর আমি নিজের প্রিয় ঘরটা কতদিন দেখি নাই! বোঝেন অবস্থা! নিজের জংলাঘরে থাকতে না পারার দুঃখে রাতে আমি এ কয়দিন ঘুমাতেই পারি নাই! আমার খালি কান্তে ইচ্ছা করে! আচ্ছা, আমার জন্য একটু প্রার্থনা করবেন। পুণ্যে পাপ কাটে। আপনার পুণ্য তো আর কম না, সে তুলনায় পাপ নগণ্যই। অতএব, আপনি পাপী হলেও সৃষ্টিকর্তা আপনার প্রার্থনা শুনবেন। খুব ভয়ে আছি, কেন জানি মনে হচ্ছে, এই চাকরিটা থেকে শেষমেশ আমি বাতিল হয়ে যাব, হয় নিয়োগটা বাতিল হবে, নয়তো একটা খারাপ কিছু তো হবেই! আমি চাকরি করব, স্বাধীন থাকব, কোনও দুঃখ থাকবে না আমার, এত সুখ কি স্রষ্টা আমাকে দিবে? স্রষ্টা কি আমাকে এতই ভালোবাসে? নাকি সেও আমাকে নিয়ে খেলতেসে আপনার মতন? জানি না, আমার কিছুই ভাল লাগতেসে না। গলাছেড়ে কান্তে ইচ্ছা করতেসে! আমার জন্য প্রার্থনা করবেন। খোদা হাফেজ! একটা কথা আবার মনে করায়ে দিই, ওই যে সান্ত্বনার মিথ্যা কথাগুলা শুনায়ে দেন না তাড়াতাড়ি, আর আমি বিদায় হই!
আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আর এখন থেকে আমি আবার হয়ে গেলাম আপনার আর দশজনের মত সাধারণ ভক্তপাঠক। আচ্ছা? তবে মনে রাইখেন অন্ধ ভক্ত না কিন্তু! আবার খোদা হাফেজ। চলো, একবার ফিরসে আজনাবি বাঞ্জায়ে হাম দোনো…..আশ্চর্য সুন্দর একটা গান, মাহেন্দ্র কাপুরের। শুনে দেইখেন, আমাদের ব্যাপারটার সাথে মিল আছে।
ওরররে ডাগাস! আসসালামুয়ালাইকুম। হায়রে সুন্দর লিখসেন! ইইইইই…..
আপনার লেখা পড়ে আমার মনটাই ভাল হয়ে গেল! কিন্তু আপনি অন্যের কথা নিজের লেখায় ঢুকান ক্যান? ওগুলা তো সবাই এমনিতেই জানে। আমার প্রব নাই কিন্তু দুএকজন বলে দেখি আপনি নিজের ঢোল পেটান, তাই বললাম। কিন্তু লেখাটা খুব সুন্দর হইসে। আমার হায়রে লোভ আর হিংসা লাগতেসে! ওয়েট করি, চাকরি পেলে আমিও ইনশাল্লাহ ওরকম করেই থাকব। বছরে একবার না, অনেকবার।
আচ্ছা শোনেন, আমার খুব সিলি একটা ইচ্ছা আছে, ছোট থেকেই, সেটা হচ্ছে যে, আমি সিনেমা বানাব। কিন্তু আমি আপনার মতন অত মুভি-অ্যাডিক্টেড না। আমি আসলে কিছুই অ্যাডিক্টেড না। মানে আমার জন্য সব, কিন্তু কিছুর জন্যই আমি না। ছোটবেলাতে যখন চাচি দুএকটা ছোট গল্প পড়ে শোনাত, তখন কল্পনায় দেখতাম সিনগুলা। আরেকটু বড় হয়েই মনে হত, আমি যেভাবে ভাবসি, সেভাবে অন্যরাও দেখুক। এইটুকুই পুঁজি। বইটই পড়ি না। স্কুল-কলেজে থাকতে যে দুএকটা উপন্যাস পড়সিলাম, তা-ই। আর কবিতাও সেই ছোট্টবেলায় যা পড়সিলাম, তা-ই। মুভিটুভি অত দেখি না, কিন্তু বাসায়, মানে কম্পিউটারে সিনেমা থাকে। ফুপুটুপু বা ইচমার্ট বন্ধুর কাছ থেকে ওইগুলা আনা হইসে, কিন্তু দেখার সময় পাই না। বাসায় আব্বার ফালতু কাজের হেল্পিংহ্যান্ড হয়ে থাকতে-থাকতেই সময় চলে যায়। তাইলে কি আমি পারব না? আমি মূর্খ। অসুবিধা নাই, নাহয় মূর্খের মতই কিছু একটা বানালাম! আগে একটা বানাই না, পরে আস্তেআস্তে হবে! আর আমার সিনেমা আমার জন্যই, পাবলিক না দেখলেও কোনও অসুবিধা নাই। আমি সিনেমা বানায়ে নিজে খুশি হলেই আমি খুশি। কী? পারব না? আমি জানি, আপনি হাসবেন আমার ধৃষ্টতায়। আমার কেন মনে হইসে, আমি পারব? মনে হইলেও ক্যান বললাম? আমার মধ্যে কিছু একটা ম্যাজিক আছে—ভাল কিছু করতে হয়তো পারি না, কিন্তু যা পারি, একবারেই পারি। কোনও কাজই আমাকে বারবার করতে হয় না। বলি, গাছ সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নাই, কিন্তু আমি যদি মরা ডালও পুঁতে দেই, তাও কিছু একটা হয়। আবার এতই ফুল ধরে যে গাছ বাঁকা হয়ে যায়! এটা কিন্তু সত্যি কথা। কিন্তু আমার কোনও শখই বেশিদিন টেকে না। পানিটানিই দেই না, আর সার সম্পর্কে কিছুই জানি না। ওদিকে আব্বা সার-মার দিয়ে আর কত যত্ন করে কত্ত গাছ লাগায়, হায়, একটাও হয় না! আমার কয়েকটা গাছ এখনও আছে। একটা চেরিফুলের গাছ এতই বড় হইসিল আর পাতাপুতি পড়ে জঙ্গল হয়ে যায়, পরিষ্কার করি না, তাই রাগ করে আব্বা কেটে দিসে! কিন্তু আমার ছ্যাঁচড়া গাছটা না আবার হইসে! আবার সে ময়লা করে! আব্বা আবার গোড়া থেকে কেটে দিসে কিন্তু সে এমন ছ্যাঁচোড় যে দেখি আবার ছোট্ট একটু চিকনা ডাল বের হইসে আর তা থেকে আবার পাতাটাতা গজাচ্ছে! মজার না? হাহাহা…..কিন্তু হাসনাহেনা গাছটাকে হারামজাদা শুয়োর কোরবানির গরুটা খেয়ে ফেলসে! ওইটা আর হয় নাই! আমার উপর আগে থেকেই রেগে ছিল তো, তাই! রাগসিল কেন, জানেন? আমি এতই মূর্খ, পাতার চেহারা পছন্দ হইসিল না বলে বাসার পিছনে যেখানে কেউ দেখতে পাবে না আর যায় না, এমন এক জায়গায় গাছটা লাগাইসিলাম। কিন্তু হায়রে সুন্দর গন্ধ! আমাকে অপমান করসিল গাছটা। যা-ই হোক, এরকম আরও কিছু আছে। দুনিয়ায় অনেক কিছুই হয়ে যায় না জেনেই। অতো জানাজানির কী আছে? কাজ হইলেই তো হইল! আমার ঢোল পেটানোর তো কেউ নাই, তাই আমাকেই পিটাতে হচ্ছে! হাহাহা……কীসের সাথে কী! সিনেমা বানানোর সাথে গাছ লাগানো! হাহাহা…..