আলোর আশায়

শুনেছি, মানুষের কাছে গেলে আলো পাওয়া যায়।
আমার যে একগেলাস আলো চাই, আলো!
গেলাসভর্তি আলো আমি একচুমুকেই ঢকঢক করে চালান করে দেবো অন্তর্দেশে।
গলা থেকে বুক, বুক থেকে ধমনী, তারপর শিরায় শিরায়!
টগবগ করে সে আলো ফুটবে আমার রক্তে রক্তে।

আমার রক্তে যে কীট জমেছে, তার একটা বিহিত চাই; জমে-থাকা রক্তকে তরল করতে চাই, হিম-হওয়া রক্তকে গরম করতে চাই।
তারপর আমিও আলোর হিড়িক জমাব, আমিও আলো বিকোব!
তখন কি আমি আর মানুষ থাকব?

আমি এই আলোর আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে যাই।
ওই তো দেখা যায়, উঠোনে আলো বিকোচ্ছে কত-শত আলোর বাহক। রোদ পোহাচ্ছে নাকি? আলো টনটনে হলেই বুঝি আবার ধারণ করবে! আমারও তো আলো চাই, কেবল একগেলাস আলো! কিন্তু সামনে এলেই কেন অমন…অমন মাছির ভোঁ আর বিদঘুটে বোটকা গন্ধ?

আলোয়ানে-জড়ানো কলমের নিবের মতো ওটা কী? অমন ধোঁয়া যে কেবল বন্দুকের নলেই দেখা যায়! মাত্রই নল ফুঁড়ে কিছু বেরোল বোধ হয়!
যা আলো ভাবলাম, তা কি তবে মরীচিকা, ভ্রম? আমার তো কেবল আলো চাই। টগবগিয়ে ফুটে-ওঠা আলো, রক্তজবা কিংবা শিতিকণ্ঠ-রঙা আলো, অনুরক্তি-ঘেরা আলো, আকাঙ্ক্ষার আলো!

আমার কেবল একগেলাস আলো চাই কিংবা একউদর আলো!
ওই ওইদিকে বোধ হয়…
Content Protection by DMCA.com