- কে গো তুমি? অভিমানিনী? না কি নন্দিনী? কে তুমি? - তুমিই বলো না...আমি কে! - আমি বলব? ঠিক আছে, তবে…বলছি আমিই! অভিমানিনী? না না, সে নও তো তুমি! যদি হতে অমন, তবে কিছুতেই তুমি পেতে না আমায়! অভিমানে সেই কবেই কোথায় হারিয়ে যেতে! যাও তো নি! তবে কি তুমি নন্দিনী, যে কিনা গড়ে তুলেছে এই নতুন আমি? কই, নয় যে তা-ও! হইনি তো আমি একটুও নতুন! আমি সেই পুরনোই আছি! চাপা কষ্ট আর মাপা উচ্ছ্বাসে সেই চেনা আমি! তবে কে তুমি? আমার সুরসুন্দরী নাকি? না কি আমার হৃত বিগত সম্পূর্ণা তুমি? কে তুমি, বলো তো সত্যি করে? - আহা, তুমিই বলো না! - আমি বলব? আচ্ছা, তবে... তুমি কি সেই সুরসুন্দরী, যে আমায় মুগ্ধ করেছে তার নিখুঁত চোখে? কই, না তো! আমি তো এখন অবধি অমন চাহনিই পাইনি খুঁজে! তবে কি তুমি সম্পূর্ণা এক, যে করেছে আমায় পূর্ণতায় ঋদ্ধ? কই, না তো! আমি যে এখনও পূর্ণই নই! সবটাই তো আমার অপূর্ণ আজও! তবে কে? কে তুমি? কে গো? বলো না, কে তুমি! - আমিই তোমার সেই অভিমানিনী, যার সকল প্রাপ্তিই হলে তুমি! আমিই তোমার সেই নন্দিনী, যার নতুন আবিষ্কারই হলে তুমি! আমিই তোমার সেই সুরসুন্দরী, যার পুরো সৌন্দর্যই হলে তুমি! আমিই তোমার সেই সম্পূর্ণা, যার সমস্ত পূর্ণতাই হলে তুমি! খুঁজে দেখো তোমার নিভৃত অন্তরালে… সেখানে শুধু আমাকেই পাবে, প্রিয়! আমিই তোমার অন্তস্তলে!...বাহ্যিকতায়…কখনওই নই! আমিই সে, যে এক তুমি বাদে আর কিছুই নয়! আমি তোমারই আয়নাছবি!