“আত্মনা আভাসত্”। এর অর্থ—“আত্মার দ্বারা প্রকাশিত হয়” বা “আত্মার আলোতেই প্রকাশিত হয়”। এটি অদ্বৈত বেদান্তের সেই সিদ্ধান্তকে প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয় যে, ব্রহ্মই সমস্ত কিছুর প্রকাশক বা আলোকদানকারী। এই সূত্রটি আত্মা (ব্রহ্ম)-র সঙ্গে জগৎ বা প্রকাশিত বস্তুর সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে।
এখানে আত্মা (Ātmanā) হলো সেই বিশুদ্ধ চৈতন্য, যিনি একমাত্র নিত্য সত্য। আভাসত্ (Ābhāsat)-এর অর্থ হলো প্রকাশিত হয় বা আলোকিত হয়। জগৎ বা আমাদের অভিজ্ঞতায় আসা কোনো বস্তুই স্বয়ং-প্রকাশিত নয়। আমাদের মন, বুদ্ধি, ইন্দ্রিয় এবং বাহ্যিক বস্তু—সব কিছুই সেই একমাত্র আত্মার চৈতন্য বা আলো-র ধার-করা শক্তিতে আলোকিত হয় এবং প্রকাশিত হয়। এই সূত্র প্রমাণ করে যে, আত্মা হলেন দ্রষ্টা বা সাক্ষী এবং জাগতিক সব কিছুই তাঁর আলোতে প্রকাশিত এক-একটি দৃশ্য মাত্র।
রমণ মহর্ষি এই ভাবকে সহজভাবে ব্যাখ্যা করে বলেন, “When you see the world, you see the reflection of the Self distorted by the mind.” অর্থাৎ মন নামক বিকারের কারণে আত্মারই বিকৃত প্রতিফলন এই দৃশ্যমান জগৎ। জগৎ তাই এক অর্থে সত্য নয়, কিন্তু ব্রহ্মের আভাস বলেই এর উপস্থিতি অনুভূত হয়। তাই আভাস-বাদ বলে, সৃষ্টির কোনো শুরু বা শেষ নেই—এটি চিরন্তন ব্রহ্মচেতনার আলোয় দেখা এক প্রতিরূপ।
এই উপলব্ধির পরবর্তী স্তর হলো চির-ব্রহ্ম-অনুভব (Cira-Brahma-Anubhava)। ‘চির’ মানে চিরন্তন, ‘ব্রহ্ম’ মানে পরম চেতনা, আর ‘অনুভব’ মানে প্রত্যক্ষ উপলব্ধি। আত্মা সর্বদা ব্রহ্ম, তাই ব্রহ্ম-অনুভবও চিরন্তন; কেবল অবিদ্যার মেঘে সেই অভিজ্ঞতা আচ্ছন্ন থাকে। যেমন সূর্য কখনও নিভে যায় না, কিন্তু মেঘে ঢাকা পড়ে; তেমনি আত্মাও কখনও জ্ঞানহীন হয় না, কেবল জ্ঞানের প্রতিবন্ধক অবিদ্যা তাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। শঙ্করাচার্য বলেন, “জ্ঞান নতুন উৎপন্ন হয় না, বরং আবৃতির অপনোদন হয়”—অর্থাৎ, জ্ঞান কোনো সৃষ্টি নয়, এটি প্রকাশ মাত্র। রমণ মহর্ষি বলেন, “You are always experiencing the Self; only you do not recognize it.” অর্থাৎ, আত্ম-অনুভব সর্বদা চলমান, কিন্তু আমরা সেটিকে ভুলভাবে বাহ্যবস্তুর অভিজ্ঞতা মনে করি। স্বামী চিন্ময়ানন্দ বলেন, “Brahman is not an experience in time; it is timeless awareness illumining all experiences.” তাই চির-ব্রহ্ম-অনুভব মানে নতুন কিছু অর্জন নয়, বরং যা সবসময় ঘটছে, তা সচেতনভাবে অনুভব করতে শেখা—যেখানে জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি—সব অবস্থায় একই চেতনা অবিচল থাকে।
এই অনুভবের পরিণতি হলো আত্মা-ব্রহ্ম-তাদাত্ম্য (Ātma-Brahma-Tādātmya), অর্থাৎ আত্মা ও ব্রহ্মের অবিচ্ছিন্ন একাত্মতা। এই তত্ত্বই উপনিষদের মহাবাক্যগুলিতে ঘোষিত হয়েছে—“অহং ব্রহ্মাস্মি” (আমি ব্রহ্ম), “তৎ ত্বম্ অসি” (তুমি সেই), “অয়ম্ আত্মা ব্রহ্ম” (এই আত্মাই ব্রহ্ম), “প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম” (চেতনা নিজেই ব্রহ্ম)। জীব ও ব্রহ্মের পার্থক্য কেবল অবিদ্যার দ্বারা সৃষ্ট। যেমন পাত্রের মধ্যে থাকা আকাশ ও বহিরাকাশ প্রকৃতপক্ষে এক, কিন্তু পাত্রের প্রাচীর তাদের আলাদা বলে মনে করায়, তেমনি দেহ-মন নামক উপাধি জীবকে ব্রহ্ম থেকে পৃথক মনে করায়। এই উপাধি দূর হলে আত্মা নিজেকে ব্রহ্মরূপে জানে—এটাই তাদাত্ম্য।
তাদাত্ম্য (Tādātmya) শব্দটির উৎস সংস্কৃত মূল “তদ্” (সেই) এবং “আত্ম” (নিজ)—এই দুই উপাদান থেকে, যার অর্থ হয়, “সেই আত্মাই আমি” বা “অভিন্ন একাত্মতা”। এর দার্শনিক তাৎপর্য হলো—দুটি সত্তা যখন এতটাই অবিচ্ছেদ্য যে, তাদের আলাদা করে চিন্তা করা যায় না, তখন সেই অবস্থাকেই তাদাত্ম্য বলা হয়।
অদ্বৈত বেদান্তে ‘তাদাত্ম্য’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় জীবাত্মা (ব্যক্তিগত আত্মা) ও পরমাত্মা বা ব্রহ্মের (সর্বব্যাপী চেতনা) সম্পর্ক বোঝাতে। অদ্বৈত-মতে, জীব ও ব্রহ্ম প্রকৃতপক্ষে এক ও অভিন্ন, কিন্তু অজ্ঞানতার (অবিদ্যা) কারণে তাদের মধ্যে ভেদবোধ বা পৃথকত্বের ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এই ভেদবোধই সংসারবদ্ধতার মূল। আর যখন এই অজ্ঞান দূর হয়, তখন জীব নিজের প্রকৃত সত্তাকে উপলব্ধি করে—সে ব্রহ্ম ব্যতীত আর কিছুই নয়।
এই তত্ত্বের মূলে রয়েছে উপনিষদীয় মহাবাক্যসমূহ—
“তৎ ত্বম্ অসি” (ছান্দোগ্য উপনিষদ ৬.৮.৭)—“তুমি সেই”,
“অহং ব্রহ্মাস্মি” (বৃহদারণ্যক উপনিষদ ১.৪.১০)—“আমি ব্রহ্ম”,
“অয়ম্ আত্মা ব্রহ্ম” (মাণ্ডুক্য উপনিষদ ১.২)—“এই আত্মাই ব্রহ্ম”,
এবং “প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম” (ঐতরেয় উপনিষদ ৩.৩)—“চেতনাই ব্রহ্ম”।
এই চারটি বাক্যই ঘোষণা করে যে, আত্মা ও ব্রহ্মের মধ্যে কোনো বাস্তব পার্থক্য নেই—তাদের তাদাত্ম্য বা অভিন্নতা অনন্ত ও অচ্যুত।
ব্রহ্ম ও জীবের তাদাত্ম্য বোঝাতে শঙ্করাচার্য একাধিক দৃষ্টান্ত দিয়েছেন। যেমন ঘটের মধ্যে যে-আকাশ (ঘটাকাশ) আছে, সে আকাশ বাইরে থাকা মহাকাশ (পটাকাশ)-এর থেকে আলাদা নয়—কেবল পাত্ররূপ সীমাবদ্ধতার কারণে আলাদা মনে হয়। তেমনি দেহ ও মনের সীমাবদ্ধতা জীবকে সীমিত করে রেখেছে; উপাধি দূর হলে সেই জীবই ব্রহ্ম—সর্বব্যাপী, নিরাকার, অদ্বিতীয়।
তাদাত্ম্য কেবল এক তাত্ত্বিক ধারণা নয়; এটি এক আত্ম-অভিজ্ঞতা। যখন সাধক জানেন, “আমি দেহ নই, মন নই, ইন্দ্রিয় নই, আমি চিরন্তন চেতনা”, তখন তিনি ব্রহ্মের সঙ্গে নিজের সম্পূর্ণ ঐক্য অনুভব করেন। এটি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়, বরং যা চিরকাল সত্য ছিল, তার প্রকাশ। তাই শঙ্করাচার্য বলেন, “জ্ঞানে না নতুন কিছু উৎপন্ন হয়; কেবল আত্মস্বরূপ প্রকাশিত হয়।”
এই উপলব্ধির ফলে কর্তা-ভোক্তার, সুখ-দুঃখের, জীব-জগতের সমস্ত ভেদবোধ লুপ্ত হয়। তখন দেখা যায়—যে-আত্মা আমার মধ্যে, সেই আত্মাই সকল জীবের মধ্যে; যে-চেতনা আমার অনুভূতির ভিত্তি, সেই চেতনা সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বিদ্যমান। এই অবস্থাই ব্রহ্মসাক্ষাৎকার বা অপরোক্ষ-জ্ঞান।
রমণ মহর্ষি বলেন, “When the ‘I’-thought disappears, what remains is not void but pure Being—the same Self in all beings. That is Tādātmya.” অর্থাৎ, যখন অহংবোধ বিলীন হয়, তখন যা অবশিষ্ট থাকে তা শূন্য নয়, বরং বিশুদ্ধ সত্তা—যে-আত্মা সর্বত্র একইভাবে বিদ্যমান। স্বামী বিবেকানন্দ একই সত্যকে আধুনিক ভাষায় বলেছেন, “Each soul is potentially divine; the realization of this identity is religion.” আর স্বামী চিন্ময়ানন্দ ব্যাখ্যা করেছেন, “Tādātmya is not union of two, but the discovery that there were never two.”
তাদাত্ম্য কোনো সংযুক্তি নয়—সংযুক্তি হলে দুটি সত্তা ধরে নিতে হয়; কিন্তু তাদাত্ম্যে মূলত একটিই সত্তা, চিরন্তন চৈতন্য, যার মধ্যে অন্য কিছু নেই। অদ্বৈত এই সত্যকেই ঘোষণা করে—“একমেবাদ্বিতীয়ম্”—এক এবং অদ্বিতীয় ব্রহ্মই সর্বত্র বিরাজমান।
যখন সাধক এই তাদাত্ম্য উপলব্ধি করেন, তখনই তাঁর মুক্তি ঘটে। তখন আর কোনো ‘অন্য’ কিছু অবশিষ্ট থাকে না—না ঈশ্বর, না জগৎ, না জীব—সব মিলিয়ে এক ব্রহ্মচৈতন্য। তখন সত্য হয় উপনিষদের ঘোষণা—“ব্রহ্মবিত্ ব্রহ্মৈব ভবতি”—যিনি ব্রহ্মকে জানেন, তিনিই ব্রহ্ম হয়ে যান।
এই তাদাত্ম্যের অভিজ্ঞতা বা উপলব্ধিই অদ্বৈত বেদান্তের চূড়ান্ত পরিণতি—যেখানে জ্ঞানী ব্যক্তি দেখে যে, সব ভেদ মিথ্যা, সব রূপ এক চেতনার লীলা, এবং আত্মাই ব্রহ্ম, ব্রহ্মই আত্মা—অখণ্ড, চিরন্তন ও নিঃশেষ।
“যথা গগনপটয়োর একতা, তথৈক্যং জীবব্রহ্মণোঃ”—অর্থাৎ, “যেমন আকাশ ও বস্ত্রের মধ্যে একতা, ঠিক তেমনই জীব ও ব্রহ্মের মধ্যে একত্ব।” বাক্যটি কোনো প্রাচীন উপনিষদীয় মন্ত্র বা শ্লোক নয়। এটি হলো অদ্বৈত বেদান্তের একটি দার্শনিক উপমা বা ন্যায় (Analogy), যা ভেদাভেদ সম্পর্কিত একটি ভুল ধারণাকে খণ্ডন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের উপমা সাধারণত মায়া এবং ব্রহ্ম-এর আলোচনায় ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত দুটি ভিন্ন বস্তু (আকাশ ও পট)-কে এক বলা যে অসম্ভব, তা দিয়ে একটি বিপরীত যুক্তি প্রতিষ্ঠা করে।
এই উপমাটি মূলত সেই ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে আকাশকে কখনো কখনো বস্তুরূপে কল্পনা করা হয় (যেমন আকাশ-নীল)। এই উপমাটি বিপরীত বস্তুর মধ্যে আপাত একতা বা অভেদত্ব বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
আকাশ-নীল (Sky-blue) বলতে বোঝায় আকাশের নীল রঙের প্রতীতি বা ভ্রম। বেদান্ত বা পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, আকাশ বা মহাকাশ (Space) হলো মূলত বস্তুহীন এবং বর্ণহীন। আকাশের নিজস্ব কোনো রং নেই। আমরা যে আকাশকে নীল রঙের দেখি, তা আসলে আকাশের নিজস্ব রং নয়। এটি হলো বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে আসা সূর্যের আলোর বিচ্ছুরণের (Scattering—Rayleigh scattering) ফল। আলো যখন বায়ুমণ্ডলের কণায় ধাক্কা খায়, তখন নীল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ে, ফলে আমাদের কাছে আকাশ নীল দেখায়। এই কারণে, আকাশকে নীল বলে মনে করা বা আকাশকে নীল রঙের বস্তু রূপে কল্পনা করাটা হলো একটি ভ্রম (Illusion) বা প্রতীতি।
এই উপমাতে আকাশ-নীল হলো একটি উদাহরণ, যা বোঝাতে সাহায্য করে যে, কীভাবে একটি বস্তুহীন (Immaterial) এবং বর্ণহীন সত্তাকে ভুল করে বস্তুগত (Material) বা গুণসম্পন্ন বলে মনে করা হয়। আকাশ-নীল উপমাটি ব্যবহৃত হয়েছে এমন এক ভ্রান্ত ধারণা বোঝানোর জন্য, যেখানে যা নেই, তাকে আছে বলে মনে করা হয়। উপমাটি দেখাতে চায়, একটি বস্তুহীন (ব্রহ্মের মতো অসীম) সত্তার ওপর কীভাবে মানুষ ভুল করে বস্তুগত বা সীমিত গুণ (যেমন, নীল রং) আরোপ করে। যেমন আকাশ-নীল হলো একটি ভ্রম, যা দূর করা দরকার, ঠিক তেমনই জীবাত্মা ও পরমাত্মার অসীম একত্বের ওপর সীমা, রং বা আকার আরোপ করাটাও অজ্ঞানজনিত ভ্রম।
ক. ভেদ-নিরাকরণ (Disproving Difference) বা উপমার খণ্ডন (Disproving the Analogy): এই উপমাটি প্রথমে স্বীকার করা হয় না, বরং খণ্ডন করা হয়। আকাশ (গগন, যা অসীম, অখণ্ড, বস্তুহীন) এবং বস্ত্র (পট, যা সসীম, জড় ও একটি ভিন্ন বস্তু), এই দুটি ভিন্ন বস্তুর মধ্যে বাস্তবে একতা অসম্ভব। অর্থাৎ, দুটি ভিন্ন ও স্বতন্ত্র বস্তুর মধ্যে একত্ব থাকতে পারে না। এই যুক্তিটি ব্যবহার করে অদ্বৈত বেদান্ত বোঝায়—যদি জীব ও ব্রহ্ম দুটি স্বতন্ত্র বস্তু হতো, তবে তাদের মধ্যে একতা বা অভেদ জ্ঞান অসম্ভব হতো। যেহেতু মোক্ষ হলো একত্ব (জীব ও ব্রহ্মের অভেদ জ্ঞান), এবং দুটি ভিন্ন বস্তুর মধ্যে একত্ব অসম্ভব, তাই এটি প্রমাণ করে—জীব ও ব্রহ্ম ভিন্ন নয়—জীবাত্মা এবং পরমাত্মা প্রকৃতিগতভাবে আকাশ ও বস্ত্রের মতো ভিন্ন হতে পারে না।
খ. আপাত-একত্ব (Apparent Oneness): অন্য একটি ব্যাখ্যানুসারে, এটা বোঝানো যেতে পারে যে, এটি দ্বারা দুটি বস্তুর মধ্যে আপাত-একতা ভ্রম সৃষ্টি করে। যেমন আকাশ এবং কাপড়ের রঙের মধ্যে আপাত-মিল থাকতে পারে, কিন্তু তাদের স্বরূপ ভিন্ন।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে, জীব ও ব্রহ্মের মধ্যে একতা দেখা গেলেও, যতক্ষণ না উপাধি দূর হয়, ততক্ষণ এই একতা ভ্রম বলে মনে হয়। এই সূত্রটি প্রথমে একটি ভ্রান্ত উপমা উপস্থাপন করে, যাতে সেই উপমার অসম্ভবতা দিয়ে প্রমাণ করা যায় যে, জীব ও ব্রহ্ম প্রকৃতিগতভাবে ভিন্ন হলে মোক্ষ অসম্ভব হতো। যেহেতু মোক্ষ সম্ভব, তাই প্রমাণিত হয় যে জীব ও ব্রহ্ম এক এবং অভিন্ন। অদ্বৈত বেদান্তে এ ধরনের উপমা প্রায়শই অভেদ জ্ঞানকে প্রতিষ্ঠা করার (Establishing Non-Duality) জন্য ভেদকে অসম্ভব প্রমাণ করতে ব্যবহৃত হয়।
স্বামী বিবেকানন্দ এই সত্যকে আধুনিক ভাষায় ব্যাখ্যা করে বলেন, “Each soul is potentially divine; the goal is to manifest this divinity within.” রমণ মহর্ষির মতে, “When the ego dies, what remains is not a void but pure Being—the Self, which is Brahman.” অর্থাৎ, অহং মুছে গেলে যা থাকে, তা শূন্য নয়, বরং চিরচেতনা—সে-ই এক আত্মা-ব্রহ্ম।