: এ অনুভূতিশূন্য কক্ষে, আপনার বিচরণ কেন ব্যথিত করছে আমায়? এই কক্ষে বিশেষ কোনো অনুভূতির প্রকাশ আমার অন্তরাত্মায় সম্ভব নয়, তবুও কেন এই পীড়নের আবির্ভাব? তবে কি আপনার সত্তা, আমার বিষাদময় বিমোহিতাকে ছুঁয়েছে?
: অনতিবিলম্বেই আপনি আমার সত্তাকে স্পর্শ করতে পেরেছিলেন, আপনার বিশেষায়িত অনুভূতির সর্বগ্রাহী আত্মসমর্পণে উজ্জীবিত হয়েছিল এই প্রাণ।
: এটি আমার অন্তরাত্মার অধিগৃহীত আঁচল থেকে যথেচ্ছভাবে দূরবর্তী, এ কক্ষের নিষ্ক্রিয় অনুভূতির দিকে দৃষ্টিপাত যেন এক অক্ষিবিভ্রম।
: অন্তঃশরীর স্বরূপত নিষ্কল হলেও, অবিদ্যার প্রভাবে এই কক্ষ আপনার পদার্পণ সম্পর্কে অবগত নয়।
: আপনার ভালোবাসা নামক বিশেষ অনুভূতির আগমন যদি সত্য হয়, তবে আপনাকে তা প্রকাশ করতে দ্বিধা কোথায়?
: হে প্রিয়দর্শন, যা অগ্রসর হয়ে চলে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী ছিল, তার স্পর্শানুভূতির প্রকটতা কীরূপে সম্ভব?
: হে আমার অঙ্কস্থিত ভাবনাসঙ্গী, আপনার অন্তরাত্মার এই মহিমান্বিত রূপ আমার হৃদয়পদ্মাকাশেপৃথক সত্তার অনুপ্রবেশকে করে তোলে দুঃসাধ্য— এ যে আপনার বিশেষায়িত অনুভূতির সম্ভোগে ব্যাকুল এক ব্রহ্মাণ্ড!
: এই সন্ধিক্ষণে, আমার অবস্থান আপনার বিশেষায়িত অনুভূতি কষ্টকে স্পর্শ করতে ব্যর্থ; কারণ, এই কক্ষ অনুভূতিশূন্য হলেও, তা আমার অন্তরাত্মার এক বিশেষ অনুভূতি গ্রহণের তীক্ষ্ণ, সনির্বন্ধ অনুনয়ে উজ্জীবিত।
: আপনি নিশ্চয়ই অবগত, এই কক্ষের দূরদর্শিতার প্রকৃতি সম্পর্কে; যা আপনার অন্তর্দৃষ্টির বাইরে, তা কেবলই আমার ভালোবাসা নামক বিশেষায়িত অনুভূতির অন্তঃপরিবর্তিত বহিঃপ্রকাশ।
: নিশ্চয়ই, আপনার বিমোহিত অন্তর্দৃষ্টির
চিত্তগ্রাহী অতীন্দ্রিয় স্বরূপে আমার অন্তরাত্মার এক নির্দিষ্ট অংশ স্থবিরতায় আচ্ছন্ন।
: এই কক্ষে আপনার অনুরতির বিশেষ যাত্রা আনন্ত্য নিরবধির অনুক্ষণে অঙ্কিত।
: যা অপ্রকাশিত, তাই সত্য; যা প্রকাশিত, তা কেবলই একটি বিকল্প মাধ্যম।
: আপনি ঐশ্বরিক ক্ষমতায় অলঙ্কৃত, আপনার প্রেমময় স্বরূপ সর্বদাই অকৈতব।