আটাশ।
মায়ের প্রশ্ন ও গুরুর জবাব
মানবসংসারে মায়ের দায়িত্বই সবচেয়ে কঠিন। তাই মা-ই সবার আগে গুরুর কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলেন—
মা: গুরুদেব, আমাদের কর্তব্য কী?
গুরু: কর্তব্য জানার আগে তোমাদের জানতে হবে—তোমরা কে, তোমাদের আসল পরিচয় কী।
মায়ের স্বরূপ
গুরু বললেন—মাতৃদেহ স্বতন্ত্র। সব জীবই মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নেয়। মা-ই সৃষ্টির মূলাধার। তিনি স্বতন্ত্র বলেই সৃষ্টি করেও অখণ্ড থাকেন। সন্তান জন্ম দিয়ে মায়ের কোনো ব্যত্যয় ঘটে না। সন্তান গর্ভে থাকলে মা–সন্তান একই সত্তা, কিন্তু জন্মের পর নাভি ছিন্ন হয়ে সন্তানও স্বতন্ত্র হয়ে ওঠে। মা-ই স্বতন্ত্র, তাই তাঁর থেকেই স্বতন্ত্র সন্তান।
দুর্দশার কারণ
গুরু বললেন—তোমরা নিজেরা তোমাদের অসীম শক্তি ও মহিমা জানো না, তাই নিজেকে ক্ষুদ্র করে রেখেছ। যদি আগে নিজেদের শক্তি চিনতে, তবে আজ স্বামীর প্রেম আর সন্তানের শ্রদ্ধা হারাতে হতো না। তোমরা দীর্ঘকাল ধরে ভুল পথে চলেছ, তাই শক্তি ক্ষয় হয়েছে। আমি সৃষ্টির শুরু থেকেই তোমাদের মধ্যে আছি, কিন্তু তোমরা কখনও আমাকে প্রয়োজনীয় মনে করোনি। আজ শক্তি নিঃশেষ হয়ে, অভাব আর অপূর্ণতার তাড়নায় তোমরা আমাকে খুঁজে পেয়েছ।
গুরুর নির্দেশ
গুরু আশ্বাস দিয়ে বললেন—এখন ভয় নেই। আমি তোমাদের কর্তব্য নির্ধারণ করে দেব। শোনো—
তুমি মা, তুমি সংসারের কেন্দ্র; তোমার চারপাশেই স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে সংসারের সব কর্মফল ঘোরে। তাই তোমাকে সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে, সংসারের কেন্দ্র হয়েই তোমার কর্তব্য পালন করতে হবে।
উনত্রিশ।
সংসার এক শিক্ষার ক্ষেত্র
ভগবান এই সংসারে মানুষের জন্য ছোট্ট একখণ্ড জমির উপর কুটিরের মতো সংসার তৈরি করেছেন—যেখানে স্বামী, স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়-স্বজন মিলে জীবনযাত্রা চলে। উদ্দেশ্য হলো, এ সংসারের মাধ্যমে ব্যবহার শিখে মানুষ যেন সমগ্র জগতের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
মায়ের ভূমিকা ও সেবা
প্রথমেই নিজের ভেতরে জ্ঞান, বুদ্ধি, শক্তি ও সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। এরপর ব্যাবহারিক জীবন ও মানসিক জগতে অভিজ্ঞ হয়ে অন্যের সেবায় নিজেকে নিয়োগ করতে হবে। কারণ সেবার মাধ্যমেই সংসারের সব দোষত্রুটি দূর হয়।
গুরু ও স্বতন্ত্র পন্থা
এই শিক্ষা কেবল বই পড়ে বা শুনে বোঝা যায় না, এটি কর্মের অভিজ্ঞতায় উপলব্ধি করতে হয়। ভিতরে যা আছে, বাইরে তা-ই প্রকাশ পায়। ভেতরেই যদি কিছু না থাকে, বাইরে প্রকাশও হবে না। তাই মায়ের প্রকৃত রূপ প্রস্ফুটিত করতে হলে প্রয়োজন স্বভাব-স্বতন্ত্র কর্মপদ্ধতি। মানুষ স্বভাব থেকে সৃষ্ট, তাই তার কর্তব্যপথও স্বভাবেই লুকানো। ঈশ্বর বা দেবতাদের মধ্যে তা খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। এ পথের নাম—স্বতন্ত্র পন্থা বা স্বাভাবিক পন্থা। এটাই পূর্ণ মনুষ্যত্ব বিকাশের একমাত্র উপায়।
পূর্ণ মনুষ্যত্বের মানে
পূর্ণ মনুষ্যত্ব, এর মানে হলো—মানুষের দেহ, মন, প্রাণ, বোধ ইত্যাদির অভাব দূর করে তাকে স্বভাবে প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু আজও মানুষ এ পথ খুঁজে পায়নি। কারণ, জন্মের পর থেকেই মানুষ মনুষ্যত্ব অর্জনের সাধনা না করে ভগবান, ব্রহ্ম, দেবতা, মুক্তি, মোক্ষ, নির্বাণ ইত্যাদির পেছনে ছুটেছে। তাই সে মনুষ্যত্বকে হারিয়ে অন্য কিছু পেতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে আবার নিজের খোঁজে ছুটছে—কিন্তু পথ খুঁজে পাচ্ছে না।
মনুষ্যত্বই প্রথম লক্ষ্য
আসলে পথ একটাই—স্বভাবের মধ্যে লুকানো। মানুষের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হলো মনুষ্যত্ব অর্জন। মনুষ্যত্বের মাধ্যমেই মানুষ নিজেকে চিনতে পারে, অন্যকে বুঝতে পারে, ভালোবাসতে পারে এবং অভাব-অভিযোগ মেটাতে পারে। তাই মনুষ্যত্বের জাগরণই সবচেয়ে জরুরি।
ভালোবাসার ভুল দিক
আমরা শিখেছি ঈশ্বর, ভগবান, দেবতাকে ভালোবাসতে; কিন্তু মনুষ্যত্বকে ভালোবাসতে শিখিনি। তাই মানুষকেও ভালোবাসতে পারিনি। আমরা যোগী, ঋষি, বিচারক সেজে ন্যায়–অন্যায়ের বাটখারা করেছি, কিন্তু আসল উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়নি। লক্ষ্য এখনও অনেক দূরে।
নতুন প্রয়াস
এখন মানুষ ধীরে ধীরে সব আশা-আকাঙ্ক্ষা ছেড়ে দিয়ে আবার পূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের পথে এগোতে শুরু করেছে।
ত্রিশ।
মনুষ্যত্বের প্রশ্ন
মানুষ ঈশ্বরত্বের মাধ্যমে ঈশ্বরকে জানতে পারে, কিন্তু মানুষকে কি সত্যিই জানতে ও ভালোবাসতে পারে? মানুষের সব অভাব, অভিযোগ, দুঃখ–বেদনার সমাধান একমাত্র মনুষ্যত্বের ভেতরেই নিহিত। মনুষ্যত্ব দিয়েই মানুষকে জানা, চেনা, তার কষ্টকে নিজের বলে অনুভব করাই স্বাভাবিক।
মনুষ্যত্বের উৎস
এই মনুষ্যত্বের মহামিলনের উৎস হলো মাতৃহৃদয়। মা-ই মনুষ্যত্বের পূজারী। তাই মায়ের চরিত্র, শিক্ষা, ব্যবহার ও প্রগতি সাধারণ মনুষ্যত্বের ভিত্তিতেই গড়ে উঠতে হবে। মা দেবী নন, ভগবতী নন—তিনি শুধু মা। তিনিই ঈশ্বরের মা, ভগবানের মা, যিশুর মা, সবার মা।
মায়ের চরিত্র
মা যদি সহজ-সরল না হন, তবে অজ্ঞ সন্তান কীভাবে মাতৃত্বের স্বাদ পাবে? তাই মায়ের রূপ, গুণ, শিক্ষা, ব্যবহার, পোশাক, চলন সব কিছুতেই সহজতা, সরলতা আর মাধুর্য থাকা দরকার। মা শুধু কয়েকজন সন্তানের মা নন, তিনি সমগ্র বিশ্বের মা। তাঁর হৃদয়, তাঁর কোলে থাকতে হবে সব সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট বিস্তার।
গুরুর নির্দেশ
মায়ের প্রশ্নে গুরু বললেন—“তোমাদের গঠনের মূল ভিত্তি স্বভাব। স্বভাবে যেটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, সেটিই আসল। তাই মাতৃজাতিকে কর্মে, জ্ঞানে, মনে আর চরিত্রে পূর্ণ হতে হবে। এভাবে গড়ে উঠবে প্রকৃত মাতৃচরিত্র, যা স্বামী ও সন্তানের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।”
অতীতের শিক্ষা ও সীমাবদ্ধতা
সত্যযুগ থেকে শিক্ষা দেওয়া হতো ব্রহ্মচর্য, চরিত্র আর সদ্গুণের ভিত্তিতে। কিন্তু আজ তা ভেঙে পড়েছে। তখনও মুনি–ঋষিরা ব্রহ্মচর্য ধরে রেখে আধ্যাত্মিক সাধনায় থেকেও লক্ষ্য অর্জন করতে পারেননি। কারণ—সংযম, ধৈর্য, অধ্যবসায় ও সঠিক পরিবেশের অভাব।
মানুষ দেবতা, ঈশ্বর, ব্রহ্মের কাছে দাসত্ব খুঁজেছে, কিন্তু মনুষ্যত্বকে খোঁজেনি। তাই পুরোনো আধ্যাত্মিক পথগুলো, ব্রহ্মচর্য ও সংযম, আসল লক্ষ্যে পৌঁছাতে সম্পূর্ণ সক্ষম হয়নি।
নতুন পথ: স্বভাব–যোগ
মানুষ আত্মিক শক্তি ছাড়া যেমন সংযম রাখতে পারে না, তেমনি যোগী-ঋষিরাও এই নশ্বর দেহে অমর হতে পারেননি। তাই এখন নতুন করে ভাবতে হবে—কোন পথে স্বাভাবিকভাবে ব্রহ্মচর্য, সংযম, চরিত্র গঠন আর মানুষের পূর্ণতা আসতে পারে?
এই পথের নাম স্বভাব–যোগ। এর লক্ষ্য একটাই—পূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জন। মানুষের আসল স্বাভাবিকতা হলো মনুষ্যত্বে পৌঁছানো। এর বাইরে যা কিছু আছে, তা অস্বাভাবিক আর অভাবপূর্ণ।
একত্রিশ।
স্তব্ধতার পর গুরুবাণী
শ্রীগুরুর উপদেশ শোনার পর মা–বাবা–সন্তান সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলেন। নীরবে নিজের ভেতর চিন্তা করতে লাগলেন—“আমরা এতদিন কী ভয়াবহ ভুল করে এসেছি!” চারদিকে গভীর নীরবতা নেমে এল।
এই সময় গুরু নীরবতা ভেঙে বললেন—
“যদি কারও মনে কোনো প্রশ্ন থাকে, নির্ভয়ে জিজ্ঞাসা করো। আমি উত্তর দেবো।”
পিতার জিজ্ঞাসা
পিতা বিনয়ের সঙ্গে বললেন—
“প্রভু, আপনি এতক্ষণ মায়ের কর্তব্য সম্পর্কে যে-উপদেশ দিয়েছেন, তা থেকে আমিও অনেক শিক্ষা পেয়েছি। তবে যদি আমার সম্পর্কেও কিছু জানার বাকি থাকে, অনুগ্রহ করে আমাকে বলুন।”
গুরুর উত্তর
গুরু বললেন—
“হ্যাঁ বৎস, তোমার জন্যও কিছু বলার আছে।
কর্মের মূল হলো জ্ঞান, আর জ্ঞানই কর্মকে চালনা করে। তাই পিতা জ্ঞান–স্বরূপ। পিতার কর্তব্য হলো পূর্ণ জ্ঞানী হয়ে পূর্ণ সংসারী হওয়া। তবেই সে স্ত্রী–সন্তান ও পরিবারের সঙ্গে সংসারের দায়িত্ব পালন করে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।
আমি মায়ের কর্তব্য নিয়ে যে উপদেশ দিয়েছি, তা সত্যিকারভাবে উপলব্ধি করতে চাইলে তোমাকেও ক্রিয়া ও কর্মের মাধ্যমে এক লক্ষ্য স্থির করে সম্যক জ্ঞানী হতে হবে। তবেই তোমার পক্ষে সংসার পরিচালনা আনন্দময় ও সহজ হবে।
এটাই তোমাকে বলার ছিল।”
বত্রিশ।
সন্তানের প্রশ্ন
মাতা ও পিতার স্বরূপ ও কর্তব্য সম্পর্কে জেনে নেবার পর সন্তান বলল—
“হে পরমপিতা, আপনি আমার মা ও বাবাকে যে উপদেশ দিয়েছেন, তা থেকে আমি তাদের প্রতি আমার কর্তব্য সম্পর্কে অনেক কিছু বুঝেছি। এখন যদি আর কিছু অবশিষ্ট থাকে, অনুগ্রহ করে আমাকে বলুন।”
গুরুর উপদেশ
গুরু বললেন—
“বৎস, তুমিই হলে মাতা–পিতার বিজ্ঞানময় রূপ। যেখানে কর্মরূপে মাতাকে জেনেছ, জ্ঞানরূপে পিতাকে জেনেছ, সেখানে বিজ্ঞানরূপে নিজেকেও জানতে হবে।
সন্তান যেমন মা ও বাবার স্বতন্ত্র রূপ, তেমনি কর্ম ও জ্ঞানের সমন্বিত স্বতন্ত্ররূপই হলো বিজ্ঞান। আশা করি এখন তুমি তোমার স্বরূপ এবং কর্তব্য সম্বন্ধে অবগত হয়েছ।
তোমার প্রথম কর্তব্য হলো—কর্ম কী এবং পূর্ণ কর্ম কী, তা জানা। যখন তুমি কর্মে প্রবৃত্ত হবে, তখনই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করবে। আর যখন এই জ্ঞান পূর্ণ হবে, তখনই তুমি পিতাকে জানবে।
মাতারূপী কর্ম আর পিতারূপী জ্ঞানকে জানতে পারলে, নিজের সম্বন্ধে জানার আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। তখন তুমি নিজেই তোমার কর্তব্য উপলব্ধি করতে পারবে। এটাই হবে সন্তানের কৃতকৃতার্থতা। তখন তুমি বিশ্বের অন্য সব সন্তানের প্রকৃত শিক্ষক হতে পারবে, আর তারাও তোমার কাছ থেকে সত্যিকারের মনুষ্যত্ব অর্জন করতে পারবে।
সবসময় মনে রেখো—মা, বাবা আর সন্তান আলাদা হলেও স্বরূপত ও স্বভাবে তারা এক। এই তিন এক হলে তবেই একটি মানুষ পূর্ণ হয়। আর এই পূর্ণতাই হলো অনন্ত সাধনা, অনন্ত তপস্যা আর অনন্ত যোগের চূড়ান্ত পরিণাম।”
তেত্রিশ।
মানবজন্ম ও তার তাৎপর্য
অসংখ্য জন্ম-মৃত্যুর ঘূর্ণিতে, চুরাশি লক্ষ যোনি অতিক্রম করে মানুষ অবশেষে মানবজন্ম লাভ করে। স্বভাবের এই অসীম সৃষ্টির মধ্যে—স্থাবর-জঙ্গম, চেতন-অচেতন, ক্ষুদ্র লতা-গুল্ম থেকে শুরু করে বৃহৎ প্রাণী পর্যন্ত—সব কিছুরই পূর্ণ রূপ প্রকাশ পায় মানুষের মধ্যে। মানুষের মধ্যেই সব সৃষ্টির অভাব-অভিযোগ, বৈশিষ্ট্য আর অভিজ্ঞতা নিহিত থাকে। তাই মানুষই তার বোধের মাধ্যমে সৃষ্টির অনন্ত আনন্দ ও বেদনার স্বাদ গ্রহণ করে।
মানবজীবনের অবস্থান
মানুষ পৃথিবীতে ছোট্ট একখণ্ড ভূমিতে, একটিমাত্র কুটিরে থেকেও জন্ম-মৃত্যুর সীমার ভেতর সৃষ্টির অসীম লীলা- বৈচিত্র্যের অভিজ্ঞতা লাভ করে। কিন্তু জন্মের সঙ্গেই সে অখণ্ড স্বভাব থেকে বিচ্যুত হয়—এ বিষয়ে সে সচেতন নয়। খণ্ডিত জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে পরিচালিত হয়ে মানুষ নিজেকেও হারায়, স্রষ্টাকেও হারায়। খণ্ডিত যোগসাধনা, শিক্ষা-দীক্ষা, নিয়ম-কানুনের মাধ্যমে সে তার স্বাভাবিক অখণ্ড সত্তাকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়।
দুই প্রবণতার ধারা
মানবজাতি জ্ঞান-উন্মেষের আদিকাল থেকেই দুইটি প্রধান ধারায় পরিচালিত হচ্ছে—
বিষয়-জগতের ধারা: এরা সংসার ও পার্থিব ঐশ্বর্যের প্রতি আসক্ত। সমাজের শাসন, পোষণ, পরিচালনা আর বৈষয়িক উন্নতির কাজেই জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাদের সময় কাটে।
ধর্ম-জগতের ধারা: এরা সমাজ থেকে দূরে সরে যোগসাধনায় লিপ্ত থাকে। ঈশ্বর, ভগবান, ব্রহ্মের অনুসন্ধানে নিমগ্ন হয়ে নিজেদের উপলব্ধি অনুযায়ী নানা শাস্ত্র ও অনুশাসনের মাধ্যমে সমাজকে চালিত করার চেষ্টা করে।
মানবতার আদিরূপ: এই দুই প্রবণতাই মানবসমাজের প্রাচীনতম বিভাজন—বিষয়ী মানুষ ও আধ্যাত্মিক মানুষ।