১.
: তুমি বেশি ভালোবাসো আমায়, না কি আমি বাসি?
: তা জানি না; কিন্তু যে দেখায় বেশি, সে সবসময়ই কম ভালোবাসে।
২.
: তুমি কখনও আমাকে আমার মতন করে ভালোবাসোনি।
: হুম, সেজন্যই তো ফেলে যাবার সব কারণ থাকা সত্ত্বেও আমি চলে যাই না।
৩.
: তোমার প্রেমিকা তোমার সাথে প্রতারণা করল, আর তুমি চুপ করে রইলে?
: যে নিজে থেকেই ঠকে, আমি তার পক্ষ নিয়ে কিছুই বলতে চাই না।
: নিজেকে অনেক বড়ো কিছু মনে করো তার মানে?
: কপাল এবং মানসিকতা দুটোই একসঙ্গে খারাপ না হলে আমার মতন মানুষকে কেউ হারায় না।
৪.
: আপনি কি খুব ভালো মানুষ?
: জানি না। তবে কোনো শিল্পমনা ব্যক্তিকে কখনও বিশ্বাস করতে যেয়ো না।
৫.
: আপনি একজন নারীর কাছ থেকে কী চান...বন্ধুত্ব, সম্মান, স্নেহ, ভালোবাসা ছাড়া?
: দেখো, আমি পুরুষ; সবার আগেই আমি যৌনতাই চাই। ওসব হাবিজাবি বলে যারা, তারা ঠিক কতটা পুরুষ, বা কতটা সত্যবাদী, আমার জানা নেই।
৬.
: মায়ের পর একজন পুরুষকে সবচাইতে ভালোবাসে কে? আপনি বলতে পারেন?
: মায়ের পরে কেন? মায়ের চেয়েও আমায় বেশি ভালোবাসে, এমন নারীকেই তো আমি চিনি।
: তা-ই! সে কে! কোথায়?
: বলব না, সে আমার গোপন। আমি কাউকে বলব না, এমনকি সেই নারীকেও না। বুকে করে আগলে রাখব তাকে। কেউ জানবে না, এমনকি সে নিজেও না।
৭.
: মানুষ কি ভালোবাসা চায়?
: না, তার ভালোবাসার মানুষ তাকে তার মতন করে ভালোবাসুক, এটা চায়।
: হয় এরকম কখনও?
: দু-একজনের হয়।
: আপনার হয়েছে?
: হ্যাঁ।
: একজনকে নাহয় পেলাম। অন্য কেউ থেকে থাকলে তাকে কই খুঁজে পাবো? আমার দেখার খুব ইচ্ছে।
: এত খোঁজাখুঁজির কিছু নেই। আমি যাকে ভালোবাসি, সে-ই দ্বিতীয় জন।
৮.
: আপনি কাফনের মতো সাদা পরে থাকেন কেন সবসময়?
: যাতে প্রতিটি কাজ আমার জীবনে শেষকাজ হিসেবে জান ঢেলে দিয়ে করতে পারি।
৯.
: আমি কখনও আপনার মন বুঝি না। এমন কেন আপনি?
: নিজের মন কি তুমি বোঝো?
১০.
: এত মানুষ থাকতে আমি যে কেন বার বার আপনার কাছেই আসি! আচ্ছা, আমি কি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি?
: না, তুমি আমাকে বিশ্বাস করো। বিশ্বাসের তীব্রতার কাছে ভালোবাসা কিছুই নয়।